খুলি যেখানে তার হারানো গল্প বলে : জামালপুরে ইতিহাসের পঁচে যাওয়া পুনরাবৃত্তি
স্কুলব্যাগ। ছোট, নিরীহ দেখতে একটা ব্যাগ। সেটাই হঠাৎ হয়ে উঠলো জাতীয় আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দু। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পরিত্যক্ত এক স্কুলব্যাগে পাঁচটি মানুষের খুলি আর হাড়গোড় পাওয়া গেছে। এই আবিষ্কার, এর স্থান-কাল-পাত্র, সবকিছু মিলে ঘটনাটি যেন শুধু একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়—বরং বাংলাদেশের রাজনীতির গোপন, রক্তাক্ত শিরা-উপশিরা ছুঁয়ে যাচ্ছে।
এটাই কি প্রথমবার? না। বরং এটা যেন সেই পুরোনো কাহিনিতে নতুন দৃশ্যপটের সংযুক্তি। যেখানে লাশ থাকে, খুলি থাকে, কিন্তু দায় কেউ নেয় না। শোক থাকে, প্রমাণ থাকে, কিন্তু বিচার থাকে না। কেবল থাকে রাজনৈতিক দখলের এক নোংরা অভিনয়, যার পেছনে ইতিহাসের রক্তমাখা ছায়া।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে "জুলাই দাঙ্গা" এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। যতটা ভয়াবহ শোনায়, বাস্তবে এর দায়-দায়িত্ব, উৎস, সংগঠন, সবকিছুই অস্পষ্ট, গোলমেলে, পক্ষপাতদুষ্ট। অথচ এর চর্চা, এর ব্যবহার, এর স্মৃতি—সবই নিখুঁতভাবে একপাক্ষিক।
এই দাঙ্গা হঠাৎ করে যেন এক রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়—একটি তালিকা তৈরি হয় "শহীদদের", যাদের পরিচয়ও গুলিয়ে ফেলা হয়, বহু 'নিখোঁজ' পরে ফিরে আসে, আর বহু নাম সেই লিস্টে ঢোকানো হয় যাদের খোঁজ আজও মেলে না।
এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো—জামালপুরের এই স্কুলব্যাগে পাওয়া খুলি ও হাড়গোড় যেন সেই তালিকারই কোনো অন্ধকার পুনরাবৃত্তি।
যিনি আজ ক্ষমতার চূড়ায় বসে আছেন—মোহাম্মদ ইউনুস—তিনি কি জানেন না এই লাশের গল্প? নাকি জানেন বলেই গল্পটাকে প্রপাগান্ডায় রূপ দিয়েছেন? ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে, সিরাজউদ্দৌলাকে হটিয়ে বৃটিশরা যা করেছে, কিংবা ইরাকে মার্কিন বাহিনী যা করেছে, সেটিই আজকের বাংলাদেশে প্রয়োগ করছেন ইউনুস ও তাঁর এনসিপি-জামায়াত জোট।
"শান্তির মানুষ" হিসেবে পরিচিত কেউ এমন কৌশলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন, যা শুরু হয় জনতার আবেগকে লাশ দিয়ে চালিত করে। শহীদের নামে গুজব তৈরি করে, আগুন লাগানো হয় গণতন্ত্রের শবদেহে। তারপর আসে সেনাশাসনের মতো শীতল নিস্তব্ধতা।
এই শীতলতা ভাঙে হঠাৎ জামালপুরের এক বাজারে। ব্যাগ খুলে পড়ে থাকে পাঁচটা খুলি।
কঙ্কাল নিরব হয়, কিন্তু ইতিহাস নয়। প্রশ্ন জাগে—এরা কারা? কবে মারা গেল? কে মেরে ফেলে রেখেছিলো স্কুলব্যাগে করে? আর কী উদ্দেশ্যে? খুনটা নিশ্চয় কোনো খুনীর একক সিদ্ধান্ত ছিল না। এই খুলি একা একা আসে না—এর সঙ্গে থাকে প্রোপাগান্ডার রূপরেখা, ক্ষমতার পেছনের অন্ধকার ইঞ্জিন, আর রাষ্ট্রীয় মিথ্যার ল্যাবরেটরি।
এটা কি জুলাই দাঙ্গাবাজদের হাতে নিহত সেই লোকজন, যাদের হত্যা করে পরে শহীদের লিস্টে ঢুকিয়ে 'রাষ্ট্রীয় মিথ্যাকে' প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে? প্রশ্ন ওঠে। এবং এসব প্রশ্ন যদি ভুল হয়, তাহলে কেন রাষ্ট্র এখনো নীরব? তদন্ত কোথায়? ডিএনএ টেস্ট? প্রমাণ? তথ্য? না কি সবটাই চাপা পড়বে ব্যাগের চেন বন্ধ করে?
ইতিহাস বলছে, সব স্বৈরতন্ত্রের শুরু হয় একটি নির্দিষ্ট মিথ্যার ভিতর দিয়ে। কখনও তা হয় "ভবিষ্যতের জন্য অতীতকে ভুলে যাও" বলে, কখনও হয় "গণতন্ত্র বাঁচাতে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ দরকার" বলে।
বাংলাদেশে সেটা ঘটেছে একাধিকবার। একাত্তরের গণহত্যা, ৭৫-এর হত্যাযজ্ঞ, ২০০৭-এর সেনাসমর্থিত সরকার—সবখানেই "মানবতার রক্ষার নামে" সত্যকে গুম করা হয়েছে, আর লাশ ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক রং মাখানোর তুলি হিসেবে।
আজকের জামালপুর সেই ধারাবাহিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।
জামালপুরের স্কুলব্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—মৃত মানুষেরাও কোনোদিন পুরোপুরি মরে না। তারা খুলি হয়ে ফিরে আসে, স্কুলব্যাগে, বাজারে, কিংবা কোনো রাষ্ট্রীয় মিথ্যার দেয়ালে।
সেই খুলি দেখে আমরা চমকে উঠি, কারণ আমরা ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম গল্প, তত্ত্ব, শহীদ তালিকা, রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং। কিন্তু একমুঠো হাড় সব গল্প পেছনে ফেলে বলে—"সত্য চাপা পড়ে না। সত্য হাড়গোড় হয়ে ফিরে আসে।"
#Bangladesh #BangladeshCrisis
স্কুলব্যাগ। ছোট, নিরীহ দেখতে একটা ব্যাগ। সেটাই হঠাৎ হয়ে উঠলো জাতীয় আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দু। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পরিত্যক্ত এক স্কুলব্যাগে পাঁচটি মানুষের খুলি আর হাড়গোড় পাওয়া গেছে। এই আবিষ্কার, এর স্থান-কাল-পাত্র, সবকিছু মিলে ঘটনাটি যেন শুধু একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়—বরং বাংলাদেশের রাজনীতির গোপন, রক্তাক্ত শিরা-উপশিরা ছুঁয়ে যাচ্ছে।
এটাই কি প্রথমবার? না। বরং এটা যেন সেই পুরোনো কাহিনিতে নতুন দৃশ্যপটের সংযুক্তি। যেখানে লাশ থাকে, খুলি থাকে, কিন্তু দায় কেউ নেয় না। শোক থাকে, প্রমাণ থাকে, কিন্তু বিচার থাকে না। কেবল থাকে রাজনৈতিক দখলের এক নোংরা অভিনয়, যার পেছনে ইতিহাসের রক্তমাখা ছায়া।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে "জুলাই দাঙ্গা" এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। যতটা ভয়াবহ শোনায়, বাস্তবে এর দায়-দায়িত্ব, উৎস, সংগঠন, সবকিছুই অস্পষ্ট, গোলমেলে, পক্ষপাতদুষ্ট। অথচ এর চর্চা, এর ব্যবহার, এর স্মৃতি—সবই নিখুঁতভাবে একপাক্ষিক।
এই দাঙ্গা হঠাৎ করে যেন এক রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়—একটি তালিকা তৈরি হয় "শহীদদের", যাদের পরিচয়ও গুলিয়ে ফেলা হয়, বহু 'নিখোঁজ' পরে ফিরে আসে, আর বহু নাম সেই লিস্টে ঢোকানো হয় যাদের খোঁজ আজও মেলে না।
এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো—জামালপুরের এই স্কুলব্যাগে পাওয়া খুলি ও হাড়গোড় যেন সেই তালিকারই কোনো অন্ধকার পুনরাবৃত্তি।
যিনি আজ ক্ষমতার চূড়ায় বসে আছেন—মোহাম্মদ ইউনুস—তিনি কি জানেন না এই লাশের গল্প? নাকি জানেন বলেই গল্পটাকে প্রপাগান্ডায় রূপ দিয়েছেন? ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে, সিরাজউদ্দৌলাকে হটিয়ে বৃটিশরা যা করেছে, কিংবা ইরাকে মার্কিন বাহিনী যা করেছে, সেটিই আজকের বাংলাদেশে প্রয়োগ করছেন ইউনুস ও তাঁর এনসিপি-জামায়াত জোট।
"শান্তির মানুষ" হিসেবে পরিচিত কেউ এমন কৌশলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন, যা শুরু হয় জনতার আবেগকে লাশ দিয়ে চালিত করে। শহীদের নামে গুজব তৈরি করে, আগুন লাগানো হয় গণতন্ত্রের শবদেহে। তারপর আসে সেনাশাসনের মতো শীতল নিস্তব্ধতা।
এই শীতলতা ভাঙে হঠাৎ জামালপুরের এক বাজারে। ব্যাগ খুলে পড়ে থাকে পাঁচটা খুলি।
কঙ্কাল নিরব হয়, কিন্তু ইতিহাস নয়। প্রশ্ন জাগে—এরা কারা? কবে মারা গেল? কে মেরে ফেলে রেখেছিলো স্কুলব্যাগে করে? আর কী উদ্দেশ্যে? খুনটা নিশ্চয় কোনো খুনীর একক সিদ্ধান্ত ছিল না। এই খুলি একা একা আসে না—এর সঙ্গে থাকে প্রোপাগান্ডার রূপরেখা, ক্ষমতার পেছনের অন্ধকার ইঞ্জিন, আর রাষ্ট্রীয় মিথ্যার ল্যাবরেটরি।
এটা কি জুলাই দাঙ্গাবাজদের হাতে নিহত সেই লোকজন, যাদের হত্যা করে পরে শহীদের লিস্টে ঢুকিয়ে 'রাষ্ট্রীয় মিথ্যাকে' প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে? প্রশ্ন ওঠে। এবং এসব প্রশ্ন যদি ভুল হয়, তাহলে কেন রাষ্ট্র এখনো নীরব? তদন্ত কোথায়? ডিএনএ টেস্ট? প্রমাণ? তথ্য? না কি সবটাই চাপা পড়বে ব্যাগের চেন বন্ধ করে?
ইতিহাস বলছে, সব স্বৈরতন্ত্রের শুরু হয় একটি নির্দিষ্ট মিথ্যার ভিতর দিয়ে। কখনও তা হয় "ভবিষ্যতের জন্য অতীতকে ভুলে যাও" বলে, কখনও হয় "গণতন্ত্র বাঁচাতে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ দরকার" বলে।
বাংলাদেশে সেটা ঘটেছে একাধিকবার। একাত্তরের গণহত্যা, ৭৫-এর হত্যাযজ্ঞ, ২০০৭-এর সেনাসমর্থিত সরকার—সবখানেই "মানবতার রক্ষার নামে" সত্যকে গুম করা হয়েছে, আর লাশ ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক রং মাখানোর তুলি হিসেবে।
আজকের জামালপুর সেই ধারাবাহিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।
জামালপুরের স্কুলব্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—মৃত মানুষেরাও কোনোদিন পুরোপুরি মরে না। তারা খুলি হয়ে ফিরে আসে, স্কুলব্যাগে, বাজারে, কিংবা কোনো রাষ্ট্রীয় মিথ্যার দেয়ালে।
সেই খুলি দেখে আমরা চমকে উঠি, কারণ আমরা ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম গল্প, তত্ত্ব, শহীদ তালিকা, রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং। কিন্তু একমুঠো হাড় সব গল্প পেছনে ফেলে বলে—"সত্য চাপা পড়ে না। সত্য হাড়গোড় হয়ে ফিরে আসে।"
#Bangladesh #BangladeshCrisis
Bangladesh: 123 Awami League Members Victims of Targeted Murder Under Dr Yunus Regime, Says RRAG – ICC Complaint to Follow
——-
In a damning report titled “Bangladesh: Organised murder for membership to the Awami League and its affiliate organisations”, the Rights and Risks Analysis Group (RRAG) has revealed that at least 123 members of the Awami League and its affiliated bodies—such as the Swechasebak League, Chhatra League, Juba League, Matsojibi League, and Krishak League—have been victims of targeted killings under the rule of Dr Muhammad Yunus’s Interim Government between 5 August 2024 and 30 April 2025.
The report, released today, documents that 41 of the victims were killed in Taliban-style executions—hacked to death, sometimes with their throats slit—while another 21 were killed while in state custody.
“These killings are only the tip of the iceberg,” said Mr Suhas Chakma, Director of the RRAG. “Many such incidents remain unreported, especially in rural areas, and the full scale of the violence is far greater than what we could verify. Even children, women, the mentally ill, and physically disabled were not spared.”
Among the shocking cases highlighted:
• On 17 December 2024, 12-year-old Mohd Rian and Chhatra League supporter Masud Rana were murdered in Nachol, Chapainawabganj for posting a “Joy Bangla” slogan on Facebook five months prior.
• On 5 December 2024, Arina Begum was hacked to death while praying, solely because her son was the local Chhatra League president and had gone into hiding.
• On 8 September 2024, former Rajshahi University Chhatra League leader Abdullah Al Masud—disabled since a 2014 attack—was beaten to death while buying medicine.
• On 13 August 2024, Awami League worker Babar Ali was abducted and had his throat slit in Bogura.
The report alleges that the political environment created by Dr Yunus and his allies—particularly the banning of the Awami League and Chhatra League—fostered an atmosphere of vengeance and impunity. “Political rhetoric from Jamaat-e-Islami, BNP, the Anti-Discrimination Students Movement, and key Interim Government figures encouraged the persecution,” Chakma stated.
The RRAG notes that out of approximately 1,400 people killed between 15 July and 5 August 2024, many were likely Awami League members, but their families were too afraid to testify to the UN due to threats and ongoing violence. The group further criticized the Interim Government for granting de facto immunity to perpetrators by prohibiting police investigations—even in the murder of 44 policemen during the July-August uprising.
Crimes Against Humanity and ICC Action
The RRAG declared the killings a clear case of crimes against humanity, as defined under Article 7 of the Rome Statute of the International Criminal Court (ICC), involving “widespread or systematic attack directed against any civilian population on political grounds.” The group identified Dr Yunus, as head of the Interim Government, and Jahangir Alam Chowdhury, Adviser for Home Affairs, as responsible under the principle of “command responsibility” (Article 28 of the Rome Statute).
The RRAG confirmed it would submit a formal complaint to the ICC, drawing parallels to the Court’s investigation into Kenya’s post-election violence in 2007–2008.
The matter is also being raised with the UK Government ahead of Dr Yunus’s planned visit to the UK from 10–13 June 2025, where he is scheduled to receive the Harmony Award 2025 from King Charles III.
[Editor’s Note:]
The full RRAG report with documentation on all 123 cases, based on Bengali-language local media reports, is available here: https://www.rightsrisks.org/wp-content/uploads/2025/06/BangladeshALOrganisedMurder.pdf
#Bangladesh #BangladeshCrisis
——-
In a damning report titled “Bangladesh: Organised murder for membership to the Awami League and its affiliate organisations”, the Rights and Risks Analysis Group (RRAG) has revealed that at least 123 members of the Awami League and its affiliated bodies—such as the Swechasebak League, Chhatra League, Juba League, Matsojibi League, and Krishak League—have been victims of targeted killings under the rule of Dr Muhammad Yunus’s Interim Government between 5 August 2024 and 30 April 2025.
The report, released today, documents that 41 of the victims were killed in Taliban-style executions—hacked to death, sometimes with their throats slit—while another 21 were killed while in state custody.
“These killings are only the tip of the iceberg,” said Mr Suhas Chakma, Director of the RRAG. “Many such incidents remain unreported, especially in rural areas, and the full scale of the violence is far greater than what we could verify. Even children, women, the mentally ill, and physically disabled were not spared.”
Among the shocking cases highlighted:
• On 17 December 2024, 12-year-old Mohd Rian and Chhatra League supporter Masud Rana were murdered in Nachol, Chapainawabganj for posting a “Joy Bangla” slogan on Facebook five months prior.
• On 5 December 2024, Arina Begum was hacked to death while praying, solely because her son was the local Chhatra League president and had gone into hiding.
• On 8 September 2024, former Rajshahi University Chhatra League leader Abdullah Al Masud—disabled since a 2014 attack—was beaten to death while buying medicine.
• On 13 August 2024, Awami League worker Babar Ali was abducted and had his throat slit in Bogura.
The report alleges that the political environment created by Dr Yunus and his allies—particularly the banning of the Awami League and Chhatra League—fostered an atmosphere of vengeance and impunity. “Political rhetoric from Jamaat-e-Islami, BNP, the Anti-Discrimination Students Movement, and key Interim Government figures encouraged the persecution,” Chakma stated.
The RRAG notes that out of approximately 1,400 people killed between 15 July and 5 August 2024, many were likely Awami League members, but their families were too afraid to testify to the UN due to threats and ongoing violence. The group further criticized the Interim Government for granting de facto immunity to perpetrators by prohibiting police investigations—even in the murder of 44 policemen during the July-August uprising.
Crimes Against Humanity and ICC Action
The RRAG declared the killings a clear case of crimes against humanity, as defined under Article 7 of the Rome Statute of the International Criminal Court (ICC), involving “widespread or systematic attack directed against any civilian population on political grounds.” The group identified Dr Yunus, as head of the Interim Government, and Jahangir Alam Chowdhury, Adviser for Home Affairs, as responsible under the principle of “command responsibility” (Article 28 of the Rome Statute).
The RRAG confirmed it would submit a formal complaint to the ICC, drawing parallels to the Court’s investigation into Kenya’s post-election violence in 2007–2008.
The matter is also being raised with the UK Government ahead of Dr Yunus’s planned visit to the UK from 10–13 June 2025, where he is scheduled to receive the Harmony Award 2025 from King Charles III.
[Editor’s Note:]
The full RRAG report with documentation on all 123 cases, based on Bengali-language local media reports, is available here: https://www.rightsrisks.org/wp-content/uploads/2025/06/BangladeshALOrganisedMurder.pdf
#Bangladesh #BangladeshCrisis
#Sheikh Hasina #Live
জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের শিকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পরিবার-পরিজনের কথা শুনছেন এবং বক্তব্য রাখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
👉https://www.facebook.com/share/v/1F4CcYBxAu/?mibextid=wwXIfr
জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের শিকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পরিবার-পরিজনের কথা শুনছেন এবং বক্তব্য রাখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
👉https://www.facebook.com/share/v/1F4CcYBxAu/?mibextid=wwXIfr
Facebook
Log in or sign up to view
See posts, photos and more on Facebook.
বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী
আজ ঐতিহাসিক ৭ জুন, ছয় দফা দিবস। ছয়দফা বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণের তথা স্বাধিকার আন্দোলনের সনদ যা ক্রমে ক্রমে স্বাধীনতার এক দফায় রূপান্তরিত হয়। বিশ্বের ইতিহাসে উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী গণজাগরণে ছয় দফা একটি মাইলফলক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা’র পক্ষে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন হরতালের মাধ্যমে তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। ছয়দফা আন্দোলনে আত্মত্যগী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত বিরোধী দলের সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ছয়দফা প্রস্তাব পেশ করেন বঙ্গবন্ধু। এর আগে তিনি অর্থনীতিবিদ ও আইনজীবিসহ বিভিন্ন পেশার একদল দক্ষ বাঙালি, যারা স্ব স্ব পেশায় উজ্বল ছিলেন তাদেরকে সংযুক্ত করে কঠোর গোপনীয়তায় এবং পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসনের রূপকল্প হিসেবে ছয়দফার খসড়া করেন। লাহোর সম্মেলনে উপস্থিত অন্য রাজনীতিবিদদের চিন্তা একটাই ছিল, সামরিক জান্তা আইয়ুবকে হটিয়ে নিজেদের ক্ষমতারোহণ। স্বায়ত্তশাসন বা জনগণের অধিকার অর্জনের সংগ্রাম তাদের লক্ষ্য ছিল না। তাই ‘ছয়দফা’ উত্থাপনের পর সেটি আলোচ্য সূচিতেই রাখতে রাজী হননি তারা। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই সম্মেলনের সাথে সম্পর্কছেদ করে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরে আসেন এবং বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের সামনে ছয়দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যা ছিল পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দেবার প্রাথমিক পদক্ষেপ।
ছয়দফাকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে এর পক্ষে জনমত গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশব্যাপী গণসংযোগ শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি সংসদের বৈঠকে ছয়দফাকে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু ছয়দফাকে ‘নতুন দিগন্তের নতুন মুক্তির সনদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এভাবে ৩৫ দিনে সারাদেশে ৩২টি জনসভায় ছয়দফার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তৃতা করেন। বাঙালি ছয়দফাকে তাদের প্রাণের দাবি হিসাবে গ্রহণ করে। কারণ ছয়দফায় ছিলো স্বাধীনতার বীজমন্ত্র।
পাকিস্তানী শাসকচক্র বুঝে যায় শেখ মুজিবের ছয়দফার ভেতরে আসলে রয়েছে একদফা। আর সেটা হলো ধীরে ধীরে বাংলার স্বাধীনতা অর্জন। তাই বুলেটের ভাষায় জবাব দেয় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। একের পর মামলায় আসামী করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। এক কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আরেক কারাগারে যেতে হয় তাঁকে। দায়ের করা হয় ‘ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’।
স্বাধীকার ও শেখ মুজিবসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বাংলার জনগণ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালন করে। হরতাল চলাকালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআর নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালায়। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন, আহত হয় অগণিত মুক্তিকামী জনতা। তাই, ৭ জুন ছয়দফা দিবস কেবলই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা শুধু একটি বিশেষ দিবস নয়, এটি বাঙালি জাতির জন্য এক মহামুক্তির প্রেরণার উৎস। ছয়দফা মূলত ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি করে দেয়।
আজ যখন অবৈধ দখলদারদের হাতে প্রিয় মাতৃভূমি বন্দী হয়ে আছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিচ্ছে, তখন ছয়দফা দিবস আমাদের সাহস জোগায়। অতীতের মতো আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশকে মুক্ত করবে ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক
বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
আজ ঐতিহাসিক ৭ জুন, ছয় দফা দিবস। ছয়দফা বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণের তথা স্বাধিকার আন্দোলনের সনদ যা ক্রমে ক্রমে স্বাধীনতার এক দফায় রূপান্তরিত হয়। বিশ্বের ইতিহাসে উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী গণজাগরণে ছয় দফা একটি মাইলফলক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা’র পক্ষে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন হরতালের মাধ্যমে তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। ছয়দফা আন্দোলনে আত্মত্যগী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত বিরোধী দলের সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ছয়দফা প্রস্তাব পেশ করেন বঙ্গবন্ধু। এর আগে তিনি অর্থনীতিবিদ ও আইনজীবিসহ বিভিন্ন পেশার একদল দক্ষ বাঙালি, যারা স্ব স্ব পেশায় উজ্বল ছিলেন তাদেরকে সংযুক্ত করে কঠোর গোপনীয়তায় এবং পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসনের রূপকল্প হিসেবে ছয়দফার খসড়া করেন। লাহোর সম্মেলনে উপস্থিত অন্য রাজনীতিবিদদের চিন্তা একটাই ছিল, সামরিক জান্তা আইয়ুবকে হটিয়ে নিজেদের ক্ষমতারোহণ। স্বায়ত্তশাসন বা জনগণের অধিকার অর্জনের সংগ্রাম তাদের লক্ষ্য ছিল না। তাই ‘ছয়দফা’ উত্থাপনের পর সেটি আলোচ্য সূচিতেই রাখতে রাজী হননি তারা। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই সম্মেলনের সাথে সম্পর্কছেদ করে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরে আসেন এবং বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের সামনে ছয়দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যা ছিল পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দেবার প্রাথমিক পদক্ষেপ।
ছয়দফাকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে এর পক্ষে জনমত গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশব্যাপী গণসংযোগ শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি সংসদের বৈঠকে ছয়দফাকে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু ছয়দফাকে ‘নতুন দিগন্তের নতুন মুক্তির সনদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এভাবে ৩৫ দিনে সারাদেশে ৩২টি জনসভায় ছয়দফার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তৃতা করেন। বাঙালি ছয়দফাকে তাদের প্রাণের দাবি হিসাবে গ্রহণ করে। কারণ ছয়দফায় ছিলো স্বাধীনতার বীজমন্ত্র।
পাকিস্তানী শাসকচক্র বুঝে যায় শেখ মুজিবের ছয়দফার ভেতরে আসলে রয়েছে একদফা। আর সেটা হলো ধীরে ধীরে বাংলার স্বাধীনতা অর্জন। তাই বুলেটের ভাষায় জবাব দেয় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। একের পর মামলায় আসামী করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। এক কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আরেক কারাগারে যেতে হয় তাঁকে। দায়ের করা হয় ‘ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’।
স্বাধীকার ও শেখ মুজিবসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বাংলার জনগণ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালন করে। হরতাল চলাকালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআর নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালায়। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন, আহত হয় অগণিত মুক্তিকামী জনতা। তাই, ৭ জুন ছয়দফা দিবস কেবলই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা শুধু একটি বিশেষ দিবস নয়, এটি বাঙালি জাতির জন্য এক মহামুক্তির প্রেরণার উৎস। ছয়দফা মূলত ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি করে দেয়।
আজ যখন অবৈধ দখলদারদের হাতে প্রিয় মাতৃভূমি বন্দী হয়ে আছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিচ্ছে, তখন ছয়দফা দিবস আমাদের সাহস জোগায়। অতীতের মতো আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশকে মুক্ত করবে ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক
বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের জাতির উদ্দেশে প্রদানকৃত নির্জলা মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
--------------
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের নামে মিথ্যার ফুলঝুরি নিয়ে বসেছিল। সে যেভাবে একের পর এক মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে চরমভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। নিজের চরম ব্যর্থতা ঢাকতে সর্বত্র ভূত দেখছে এবং ব্যর্থতার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান ও শান্তিপূর্ণ একটা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা অসাংবিধানিকভাবে দখল করে সেটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত ছিল। সেই বাংলাদেশ আজ অশান্তি ও অনিশ্চয়তার মডেলে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট ইউনূসের বক্তব্যের সঙ্গে জনগণের যাপিত জীবনের বিস্তর ফারাক। তার পরও একটা মানুষ কতটা কপট হলে এ রকম নির্জলা মিথ্যা বলে যেতে পারে?
অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সবখাতের জন্য বরাদ্দ রাখা ছিল। অথচ এই অবৈধ দখলদারদের অব্যবস্থাপনা ও চরম দুর্নীতির কারণে লেজে গোবরে অবস্থা বানিয়ে ফেলে। দুর্নীতির কারণে কোনো খাতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন করতে পারেনি। কোনো লোন পরিশোধ করে নাই। বরং বকেয়া অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। হাজার হাজার শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। একদিকে আমরা দেখছি মানুষের কর্মসংস্থান নেই, তাদের জীবন ও জীবিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে এই অবৈধ সরকারের মদদপুষ্ট একটা শ্রেণি রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। জনকল্যাণ না বুঝলেও ব্যবসা ভালো বোঝা স্বার্থলোভী ফ্যাসিস্ট ইউনূস নিজেই ৬৬৬ কোটি টাকার কর মওকুফ করিয়ে নিয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে ৫ বছরের কর অব্যাহতি প্রদান করেছে। নিজে কর ফাঁকি দিয়ে অন্যদিকে জনগণের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপাচ্ছে। লাগামহীন দুর্নীতির কারণে জনকল্যাণমুখী কোনো বাজেট দিতে পারে নাই। গত বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমিয়েছে। অর্থাৎ তারা নিজেদের গোষ্ঠীতন্ত্র ও তাদের দোসরদের পরিপুষ্ট করতে গিয়ে জনগণের জন্য অবশিষ্ট কিছু রাখে নাই।
প্রিয় দেশবাসী, জনগণই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। আপনাদের প্রতিই আমাদের যতো আবেদন-নিবেদন। আপনারা একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে, এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। তাই জনগণের প্রতিও এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এদের দায়বদ্ধতা বিদেশি প্রভুদের প্রতি এবং তাদের খুশি করার জন্য এরা যেসব কাজ করবে ভুলিয়ে-ভালিয়ে আপনাদের কাছ থেকে সেসব কাজের এক ধরনের অনুমোদন নেওয়ার অপচেষ্টা করবে। দেশের উন্নয়নের কথা শুনিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা বিদেশি প্রভুদের স্বার্থে তাদের হাতে তুলে দেবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পৃথিবীর দেশে দেশে এমনটাই ঘটেছে এবং তার বিবরণ জন পার্কিংসের 'অর্থনৈতিক বিশ্বাসঘাতকের স্বীকারোক্তি' বইতে তুলে ধরা হয়েছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারও আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে বিদেশিদের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করছে। এই অবৈধ সরকারের অধিকাংশই বিদেশি পাসপোর্টধারী। নির্দিষ্ট সময় পর এরা বিদেশেই পাড়ি জমাবে। আর এই সময়ের ব্যবধানে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে আমাদের স্বদেশভূমি। যে ভূমিতেই রোপিত আমাদের ভবিষ্যতের বীজ। আমাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় আমাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে। এই শকুনদের কুনজর থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে দেশপ্রেমিক সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি এই লড়াই চালিয়ে যেতে সক্ষম হই তাহলে দেশবিরোধী এই অশুভ শক্তিকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
--------------
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের নামে মিথ্যার ফুলঝুরি নিয়ে বসেছিল। সে যেভাবে একের পর এক মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে চরমভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। নিজের চরম ব্যর্থতা ঢাকতে সর্বত্র ভূত দেখছে এবং ব্যর্থতার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান ও শান্তিপূর্ণ একটা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা অসাংবিধানিকভাবে দখল করে সেটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত ছিল। সেই বাংলাদেশ আজ অশান্তি ও অনিশ্চয়তার মডেলে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট ইউনূসের বক্তব্যের সঙ্গে জনগণের যাপিত জীবনের বিস্তর ফারাক। তার পরও একটা মানুষ কতটা কপট হলে এ রকম নির্জলা মিথ্যা বলে যেতে পারে?
অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সবখাতের জন্য বরাদ্দ রাখা ছিল। অথচ এই অবৈধ দখলদারদের অব্যবস্থাপনা ও চরম দুর্নীতির কারণে লেজে গোবরে অবস্থা বানিয়ে ফেলে। দুর্নীতির কারণে কোনো খাতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন করতে পারেনি। কোনো লোন পরিশোধ করে নাই। বরং বকেয়া অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। হাজার হাজার শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। একদিকে আমরা দেখছি মানুষের কর্মসংস্থান নেই, তাদের জীবন ও জীবিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে এই অবৈধ সরকারের মদদপুষ্ট একটা শ্রেণি রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। জনকল্যাণ না বুঝলেও ব্যবসা ভালো বোঝা স্বার্থলোভী ফ্যাসিস্ট ইউনূস নিজেই ৬৬৬ কোটি টাকার কর মওকুফ করিয়ে নিয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে ৫ বছরের কর অব্যাহতি প্রদান করেছে। নিজে কর ফাঁকি দিয়ে অন্যদিকে জনগণের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপাচ্ছে। লাগামহীন দুর্নীতির কারণে জনকল্যাণমুখী কোনো বাজেট দিতে পারে নাই। গত বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমিয়েছে। অর্থাৎ তারা নিজেদের গোষ্ঠীতন্ত্র ও তাদের দোসরদের পরিপুষ্ট করতে গিয়ে জনগণের জন্য অবশিষ্ট কিছু রাখে নাই।
প্রিয় দেশবাসী, জনগণই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। আপনাদের প্রতিই আমাদের যতো আবেদন-নিবেদন। আপনারা একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে, এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। তাই জনগণের প্রতিও এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এদের দায়বদ্ধতা বিদেশি প্রভুদের প্রতি এবং তাদের খুশি করার জন্য এরা যেসব কাজ করবে ভুলিয়ে-ভালিয়ে আপনাদের কাছ থেকে সেসব কাজের এক ধরনের অনুমোদন নেওয়ার অপচেষ্টা করবে। দেশের উন্নয়নের কথা শুনিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা বিদেশি প্রভুদের স্বার্থে তাদের হাতে তুলে দেবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পৃথিবীর দেশে দেশে এমনটাই ঘটেছে এবং তার বিবরণ জন পার্কিংসের 'অর্থনৈতিক বিশ্বাসঘাতকের স্বীকারোক্তি' বইতে তুলে ধরা হয়েছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারও আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে বিদেশিদের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করছে। এই অবৈধ সরকারের অধিকাংশই বিদেশি পাসপোর্টধারী। নির্দিষ্ট সময় পর এরা বিদেশেই পাড়ি জমাবে। আর এই সময়ের ব্যবধানে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে আমাদের স্বদেশভূমি। যে ভূমিতেই রোপিত আমাদের ভবিষ্যতের বীজ। আমাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় আমাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে। এই শকুনদের কুনজর থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে দেশপ্রেমিক সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি এই লড়াই চালিয়ে যেতে সক্ষম হই তাহলে দেশবিরোধী এই অশুভ শক্তিকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
ছয় দফা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
ভেসে যাবে সব ষড়যন্ত্র
—-
আজ ৭ জুন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। কিন্তু এ বছর এই দিবসটি আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশে উদযাপিত হবে না। কারণ, বাংলাদেশ আজ এক গভীর ষড়যন্ত্রের অন্ধকারে নিমজ্জিত। সেই ষড়যন্ত্রের সম্মুখভাগে আছে ছয় দফার বিরোধী শক্তি, বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের বিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। তারা বাঙালির সব অর্জন ধ্বংস করতে চায়। ইতিহাস মুছে দিতে চায়, যা কখনোই সম্ভব নয়।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলন শুরু হয়।
সাবজেক্ট কমিটির এই সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি পেশ করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকা এই দাবির উল্লেখ করে বলে যে পাকিস্তানের দুটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ছয় দফা দাবি আনা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংবাদ সম্মেলন করে এর জবাব দেন।
বাঙালির মুক্তিসনদ ঐতিহাসিক ছয় দফায় আছে শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতির কথা।
তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কী হবে। মুদ্রা ও অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতার কথাও বলা হয়েছে। রাজস্ব, কর ও শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা কেমন হবে, তা বলা হয়েছে।
সব শেষে বলা হয়েছে আঞ্চলিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতার কথা।
বঙ্গবন্ধু ছয় দফার আন্দোলন শুরু করেন ১৭ এপ্রিল যশোরে জনসভা থেকে। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ওরা বলেন ছয় দফা বিচ্ছিন্নতাবাদ। ওরা জেনেশুনে মানুষকে ভুল বোঝায়। আমি আমার মানুষের অধিকার আদায় করতে চাই।
আমি ছয় দফায় পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থা চেয়েছি। তা কি বিচ্ছিন্নতাবাদ? গ্রেট ব্রিটেনের ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে কি আলাদা সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থা নেই? এমনকি স্কটল্যান্ডের আলাদা জাতীয় পতাকা নেই?’
পরদিন তাঁর খুলনার জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা। তার আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উচ্চ আদালত তাঁকে জামিন দেন। সরকার তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে। এই খেলা চলতে থাকে বহুদিন। জুন মাসে ছয় দফার আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। ৭ জুন প্রকৃতপক্ষে শুরু হয় ছয় দফার আন্দোলন। এই দিন ছয় দফার দাবিতে ঢাকা, তেজগাঁও, নারায়ণগঞ্জের রাজপথে নেমে আসা মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। ছয় দফা আন্দোলনের প্রথম শহীদ তেজগাঁওয়ের মনু মিয়া। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিবর্ষণে মোট ১১ জন শহীদ হন।
ছয় দফা প্রণয়ন সম্পর্কে প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাঁর ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে লিখেছেন : “কয়েক দিন পর মানিক মিয়ার ধানমণ্ডির বাসায় পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দাবি নিয়ে মধ্যরাতে গোপন বৈঠক বসে। এই বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমান ও মানিক মিয়া ছাড়াও নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ, মোহন মিয়া, নান্না মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছয় দফা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়। নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী, নান্না মিয়া ও মোহন মিয়া দাবিগুলোর বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। অন্যরা সেই মুহূর্তে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলনে নামার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। শেখ মুজিব খসড়া প্রস্তাব আকারে দাবিগুলো যে কাগজে লেখা হয়েছিল সেটি তুলে নিয়ে বললেন, এই দাবিগুলো হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগণের ‘ম্যাগনাকার্টা’। এই দাবির সঙ্গে আমরা অন্তত আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না। যদি আপনারা কেউ রাজি না হন, তাহলে আমাকে একাই এই দাবি পেশ করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং আর কোনো দল না চাইলেও আওয়ামী লীগকে নিয়েই আমাকে আন্দোলনে নামতে হবে।” (‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪৭-১৫১)
পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে। অসাধারণ পর্যবেক্ষণশক্তির অধিকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানিদের এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনা এবং নিপীড়নের বিষয়টি। দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে লাহোরে পাকিস্তানের সম্মিলিত বিরোধী দলের সভায় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় দফা পেশ করেন, যা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম কার্যকর পদক্ষেপ। সঙ্গে সঙ্গে তা রাজনৈতিক ও শাসক মহলসহ সারা পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ভেসে যাবে সব ষড়যন্ত্র
—-
আজ ৭ জুন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। কিন্তু এ বছর এই দিবসটি আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশে উদযাপিত হবে না। কারণ, বাংলাদেশ আজ এক গভীর ষড়যন্ত্রের অন্ধকারে নিমজ্জিত। সেই ষড়যন্ত্রের সম্মুখভাগে আছে ছয় দফার বিরোধী শক্তি, বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের বিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। তারা বাঙালির সব অর্জন ধ্বংস করতে চায়। ইতিহাস মুছে দিতে চায়, যা কখনোই সম্ভব নয়।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলন শুরু হয়।
সাবজেক্ট কমিটির এই সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি পেশ করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকা এই দাবির উল্লেখ করে বলে যে পাকিস্তানের দুটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ছয় দফা দাবি আনা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংবাদ সম্মেলন করে এর জবাব দেন।
বাঙালির মুক্তিসনদ ঐতিহাসিক ছয় দফায় আছে শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতির কথা।
তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কী হবে। মুদ্রা ও অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতার কথাও বলা হয়েছে। রাজস্ব, কর ও শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা কেমন হবে, তা বলা হয়েছে।
সব শেষে বলা হয়েছে আঞ্চলিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতার কথা।
বঙ্গবন্ধু ছয় দফার আন্দোলন শুরু করেন ১৭ এপ্রিল যশোরে জনসভা থেকে। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ওরা বলেন ছয় দফা বিচ্ছিন্নতাবাদ। ওরা জেনেশুনে মানুষকে ভুল বোঝায়। আমি আমার মানুষের অধিকার আদায় করতে চাই।
আমি ছয় দফায় পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থা চেয়েছি। তা কি বিচ্ছিন্নতাবাদ? গ্রেট ব্রিটেনের ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে কি আলাদা সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থা নেই? এমনকি স্কটল্যান্ডের আলাদা জাতীয় পতাকা নেই?’
পরদিন তাঁর খুলনার জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা। তার আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উচ্চ আদালত তাঁকে জামিন দেন। সরকার তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে। এই খেলা চলতে থাকে বহুদিন। জুন মাসে ছয় দফার আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। ৭ জুন প্রকৃতপক্ষে শুরু হয় ছয় দফার আন্দোলন। এই দিন ছয় দফার দাবিতে ঢাকা, তেজগাঁও, নারায়ণগঞ্জের রাজপথে নেমে আসা মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। ছয় দফা আন্দোলনের প্রথম শহীদ তেজগাঁওয়ের মনু মিয়া। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিবর্ষণে মোট ১১ জন শহীদ হন।
ছয় দফা প্রণয়ন সম্পর্কে প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাঁর ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে লিখেছেন : “কয়েক দিন পর মানিক মিয়ার ধানমণ্ডির বাসায় পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দাবি নিয়ে মধ্যরাতে গোপন বৈঠক বসে। এই বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমান ও মানিক মিয়া ছাড়াও নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ, মোহন মিয়া, নান্না মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছয় দফা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়। নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী, নান্না মিয়া ও মোহন মিয়া দাবিগুলোর বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। অন্যরা সেই মুহূর্তে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলনে নামার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। শেখ মুজিব খসড়া প্রস্তাব আকারে দাবিগুলো যে কাগজে লেখা হয়েছিল সেটি তুলে নিয়ে বললেন, এই দাবিগুলো হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগণের ‘ম্যাগনাকার্টা’। এই দাবির সঙ্গে আমরা অন্তত আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না। যদি আপনারা কেউ রাজি না হন, তাহলে আমাকে একাই এই দাবি পেশ করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং আর কোনো দল না চাইলেও আওয়ামী লীগকে নিয়েই আমাকে আন্দোলনে নামতে হবে।” (‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪৭-১৫১)
পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে। অসাধারণ পর্যবেক্ষণশক্তির অধিকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানিদের এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনা এবং নিপীড়নের বিষয়টি। দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে লাহোরে পাকিস্তানের সম্মিলিত বিরোধী দলের সভায় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় দফা পেশ করেন, যা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম কার্যকর পদক্ষেপ। সঙ্গে সঙ্গে তা রাজনৈতিক ও শাসক মহলসহ সারা পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে বাবাকে তখন খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছি। যদিও আজ (১৯৮৫ সাল) থেকে ২০ বছর আগের কথা, তবু মনে হয় স্পষ্ট দেখছি বাবাকে। খাবার টেবিলে যদি আমরা বাবাসহ খেতে বসেছি কিংবা দুর্লভ সব মুহূর্তে বাবাকে ঘিরে বসে গল্প শুনছি, গল্প করছি তখন হঠাৎ বাবা বলতেন, এখন চুপ; বল তো কী আমাদের প্রতিজ্ঞা? আমরা ট্রেনিংপ্রাপ্তের মতো চটপট ছয় আঙুল তুলে বসে থাকতাম। বাবা খুশি হতেন। হ্যাঁ, এই ছিল আমাদের প্রতিজ্ঞা। বাবা সংগ্রাম করেছেন ছয় দফার জন্য। অতএব আমরা তাঁর সঙ্গে একাত্ম হয়ে এই সংগ্রামে শরিক হয়েছি। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় বাবা যখন খাবার টেবিলে খেতে বসতেন বা কথা বলতেন, তখন ছয় আঙুল তুলেই পাঁচ আঙুল সরিয়ে নিয়ে তিনি বলতেন, ‘এখন শুধু এক দফা।’ (সচিত্র সন্ধানীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার, ১৯৮৫)।
ছয় দফাই শেষ পর্যন্ত এক দফার দাবিতে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। কিন্তু স্বাধীন দেশেও ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হতে থাকে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সব আয়োজন চলতে থাকে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। জাতি আবারও ছয় দফার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছে। ষড়যন্ত্রের সব জাল ছিন্ন করে আবারো বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। জয় বাংলা ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হবে।
লেখক: এম নজরুল ইসলাম,
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিকnazrul@gmx.at
ছয় দফাই শেষ পর্যন্ত এক দফার দাবিতে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। কিন্তু স্বাধীন দেশেও ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হতে থাকে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সব আয়োজন চলতে থাকে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। জাতি আবারও ছয় দফার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছে। ষড়যন্ত্রের সব জাল ছিন্ন করে আবারো বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। জয় বাংলা ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হবে।
লেখক: এম নজরুল ইসলাম,
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিকnazrul@gmx.at
চরম বিশৃঙ্খলায় এবারের কোরবানির ঈদ ,জনগণের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই, অবৈধ সরকার দায় নিচ্ছে না
——
কোরবানির ঈদ মানেই আনন্দ, শান্তি ও সহানুভূতির এক মহোৎসব। অথচ এবারের ঈদ ঘিরে দেশের চিত্র একদম ভিন্ন। *রাজধানী থেকে গ্রাম সর্বত্র চলছে চরম বিশৃঙ্খলা, ভোগান্তি আর অনিরাপত্তা*। কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই, নেই তদারকি বা কার্যকর পদক্ষেপ। দুর্ভোগে ভরা এই ঈদের জন্য কেউ দায় নিচ্ছে না *ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত সরকার বরং দায় এড়িয়ে যাচ্ছে বারবার।*
দূরপাল্লার যাত্রীরা ছিনতাই আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন। মহাসড়কে যানজটে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। বাসের টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, অভিযোগ করেও মিলছে না কোনো সহায়তা। শহরের গরুর হাটে চাঁদাবাজদের দাপট, হাটের নিয়ন্ত্রণহীনতা আর হকার-অভ্যুত্থানে ঢাকার সড়ক রীতিমতো অচল।
এই অবস্থার মাঝেই ঈদের পর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এখনো কোনো প্রস্তুতির ছাপ নেই। নগরবাসী আতঙ্কিত, কারণ অভিজ্ঞতা বলছে, ঈদের দিন বিকেল থেকেই রাজধানী রূপ নেয় এক দুর্গন্ধময় নরকে।
সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, সরকার এসব কিছু জানে, তবুও নিশ্চুপ। কেউ দায় নিচ্ছে না। ড. ইউনুস সরকারের মন্ত্রীরা গণমাধ্যমে এসে দায় এড়িয়ে বলছেন, এটা "স্থানীয় সরকারের বিষয়" বা "আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার"। অথচ সবকিছুই যে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ফল, তা দেশবাসী চোখে দেখছে।
এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাখা হচ্ছে, যেন বাইরের দুনিয়ায় ‘সব ঠিক আছে’ বলে দেখানো যায়। কিন্তু এই দেশের মানুষের ঈদ উৎসব আজ কেবল আতঙ্ক, ক্লান্তি আর হতাশার আরেক নাম।
এই অব্যবস্থার শেষ কোথায়? যদি ঈদের মতো একটি ধর্মীয় উৎসবেও সরকার ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কীভাবে তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দাবি করে?
দেশের মানুষ আজ প্রশ্ন করছে এই দুর্ভোগ দেখবে কে? এই অপশাসনের দায় নেবে কে?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
——
কোরবানির ঈদ মানেই আনন্দ, শান্তি ও সহানুভূতির এক মহোৎসব। অথচ এবারের ঈদ ঘিরে দেশের চিত্র একদম ভিন্ন। *রাজধানী থেকে গ্রাম সর্বত্র চলছে চরম বিশৃঙ্খলা, ভোগান্তি আর অনিরাপত্তা*। কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই, নেই তদারকি বা কার্যকর পদক্ষেপ। দুর্ভোগে ভরা এই ঈদের জন্য কেউ দায় নিচ্ছে না *ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত সরকার বরং দায় এড়িয়ে যাচ্ছে বারবার।*
দূরপাল্লার যাত্রীরা ছিনতাই আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন। মহাসড়কে যানজটে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। বাসের টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, অভিযোগ করেও মিলছে না কোনো সহায়তা। শহরের গরুর হাটে চাঁদাবাজদের দাপট, হাটের নিয়ন্ত্রণহীনতা আর হকার-অভ্যুত্থানে ঢাকার সড়ক রীতিমতো অচল।
এই অবস্থার মাঝেই ঈদের পর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এখনো কোনো প্রস্তুতির ছাপ নেই। নগরবাসী আতঙ্কিত, কারণ অভিজ্ঞতা বলছে, ঈদের দিন বিকেল থেকেই রাজধানী রূপ নেয় এক দুর্গন্ধময় নরকে।
সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, সরকার এসব কিছু জানে, তবুও নিশ্চুপ। কেউ দায় নিচ্ছে না। ড. ইউনুস সরকারের মন্ত্রীরা গণমাধ্যমে এসে দায় এড়িয়ে বলছেন, এটা "স্থানীয় সরকারের বিষয়" বা "আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার"। অথচ সবকিছুই যে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ফল, তা দেশবাসী চোখে দেখছে।
এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাখা হচ্ছে, যেন বাইরের দুনিয়ায় ‘সব ঠিক আছে’ বলে দেখানো যায়। কিন্তু এই দেশের মানুষের ঈদ উৎসব আজ কেবল আতঙ্ক, ক্লান্তি আর হতাশার আরেক নাম।
এই অব্যবস্থার শেষ কোথায়? যদি ঈদের মতো একটি ধর্মীয় উৎসবেও সরকার ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কীভাবে তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দাবি করে?
দেশের মানুষ আজ প্রশ্ন করছে এই দুর্ভোগ দেখবে কে? এই অপশাসনের দায় নেবে কে?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা
ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখান বঙ্গবন্ধু।
যার বাস্তবায়ন ঘটে ১৯৭০ এর নির্বাচন আর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
৭ জুন ১৯৬৬- বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল পালিত
#৬দফা #বঙ্গবন্ধু #শেখমুজিব #বাঙালিরমুক্তিরসনদ #sixpoints #CharterOfFreedom #Bangabandhu
ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখান বঙ্গবন্ধু।
যার বাস্তবায়ন ঘটে ১৯৭০ এর নির্বাচন আর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
৭ জুন ১৯৬৬- বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল পালিত
#৬দফা #বঙ্গবন্ধু #শেখমুজিব #বাঙালিরমুক্তিরসনদ #sixpoints #CharterOfFreedom #Bangabandhu
বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা
ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখান বঙ্গবন্ধু।
যার বাস্তবায়ন ঘটে ১৯৭০ এর নির্বাচন আর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
জানুয়ারি ১৯৬৯- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেলখানা থেকে ট্রাইবুনালে নেওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু
#৬দফা #বঙ্গবন্ধু #শেখমুজিব #বাঙালিরমুক্তিরসনদ #sixpoints #CharterOfFreedom #Bangabandhu
ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখান বঙ্গবন্ধু।
যার বাস্তবায়ন ঘটে ১৯৭০ এর নির্বাচন আর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
জানুয়ারি ১৯৬৯- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেলখানা থেকে ট্রাইবুনালে নেওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু
#৬দফা #বঙ্গবন্ধু #শেখমুজিব #বাঙালিরমুক্তিরসনদ #sixpoints #CharterOfFreedom #Bangabandhu
গণতন্ত্র ও #অবৈধ সুদি ইউনুসের দেশব্যাপী #সন্ত্রাস-চক্রান্তের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে র্যাব -পুলিশের বেআইনি আগ্রাসন
#অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় #মামলা ছাড়া ও মিথ্যা #মামলায় অন্যায়ভাবে #আটক হয়েছেন-
- গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া
- আওয়ামী লীগ মিরপুর থানার সহ-সভাপতি হায়দার আলী খান
- মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন হাওলাদার
- হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান
- গাজীপুর মহানগর ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মল্লিক
- চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী
- সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শিকদার
- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার জাতীয় শ্রমিক লীগের সংগ্রামী যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন
- ১ নং ওয়ার্ড (ঢাকা বিমানবন্দর থানা) ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হোসেন সিয়াম
- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ বাবলু
#সংস্কারের নামে গণ #গ্রেফতারের এইসব প্রহসন ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
#MassArrests #AwamiLeague #Bangladesh
#অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় #মামলা ছাড়া ও মিথ্যা #মামলায় অন্যায়ভাবে #আটক হয়েছেন-
- গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া
- আওয়ামী লীগ মিরপুর থানার সহ-সভাপতি হায়দার আলী খান
- মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন হাওলাদার
- হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান
- গাজীপুর মহানগর ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মল্লিক
- চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী
- সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শিকদার
- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার জাতীয় শ্রমিক লীগের সংগ্রামী যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন
- ১ নং ওয়ার্ড (ঢাকা বিমানবন্দর থানা) ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হোসেন সিয়াম
- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ বাবলু
#সংস্কারের নামে গণ #গ্রেফতারের এইসব প্রহসন ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
#MassArrests #AwamiLeague #Bangladesh