This media is not supported in your browser
VIEW IN TELEGRAM
এই ভারতবর্ষে থাকতে হলে হিন্দু ধর্ম অবলম্বন করে থাকতে হবে— ভারতের আইনজীবী।
ফিলিস্তিন জয়েন্ট অপারেশন রুম
(অপারেশন তুফানুল আকসা)
গত ২৪ ঘন্টা ধরে লড়াইয়ে গাজার কাসাম যোদ্ধারা গাজা শহরের পূর্বে দিকে আল-তুফাহ পাড়ার পূর্বে অবস্তিত আল-ওয়াফা হাসপাতালের কাছে চলে আসা ইসরাইলের ৩টি মেরকাভা-৪ ট্যাঙ্ককে 'আল-ইয়াসিন ১০৫' দিয়ে হিট করেছে কাসাম যোদ্ধারা।
Hamas never ends because its fighters never die. They live forever.
(অপারেশন তুফানুল আকসা)
গত ২৪ ঘন্টা ধরে লড়াইয়ে গাজার কাসাম যোদ্ধারা গাজা শহরের পূর্বে দিকে আল-তুফাহ পাড়ার পূর্বে অবস্তিত আল-ওয়াফা হাসপাতালের কাছে চলে আসা ইসরাইলের ৩টি মেরকাভা-৪ ট্যাঙ্ককে 'আল-ইয়াসিন ১০৫' দিয়ে হিট করেছে কাসাম যোদ্ধারা।
Hamas never ends because its fighters never die. They live forever.
RAW-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না।
- হাসনাত আব্দুল্লাহ
সমন্বয়কারী, বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলন
- হাসনাত আব্দুল্লাহ
সমন্বয়কারী, বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলন
দখলকৃত পশ্চিম তীরে নাবলুসের দক্ষিণ-পূর্বে ওসারিন গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
Media is too big
VIEW IN TELEGRAM
📌 উত্তর গাজায় জাবালিয়া শিবিরের তাল আল-জাতার এলাকায় একটি বাড়িতে IAF এর বিমান হামলায় ১১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
📌 খান ইউনুসের পূর্বে বানি সুওয়াইলার আবু দরাজ জংশনের কাছে বারাকা পরিবারের একটি বাড়িতে IAF এর বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত ও আহত হয়েছে।
📌 ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক হোদেইদা, পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে হামলায় মৃতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে ৫ জন প্যারামেডিক। জানা গিয়েছে ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে হামলায়১৪টি মার্কিন বিমান অংশ নিয়েছে।
📌 ই'স'রা'ই'লি বিমান বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের আইতা আল-শাব শহরে একটি জ্বালানী স্টেশন ও একটি বাণিজ্যিক দোকানে বোমা হামলা চালিয়েছে।
ভিডিওতে ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে হামলা।
📌 খান ইউনুসের পূর্বে বানি সুওয়াইলার আবু দরাজ জংশনের কাছে বারাকা পরিবারের একটি বাড়িতে IAF এর বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত ও আহত হয়েছে।
📌 ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক হোদেইদা, পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে হামলায় মৃতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে ৫ জন প্যারামেডিক। জানা গিয়েছে ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে হামলায়১৪টি মার্কিন বিমান অংশ নিয়েছে।
📌 ই'স'রা'ই'লি বিমান বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের আইতা আল-শাব শহরে একটি জ্বালানী স্টেশন ও একটি বাণিজ্যিক দোকানে বোমা হামলা চালিয়েছে।
ভিডিওতে ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে হামলা।
২০০১-২০০৫ সালে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া যুদ্ধগুলো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উদাহরণ হয়ে আছে। ইন্ডিয়ার চোখে চোখ রাখার মত একটি প্রসঙ্গ দেয়ার জন্য আমাদের শহীদ-গাজী সৈন্যদের জন্য হাজার সালাম রইল।
সেদিন ইন্ডিয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে খুব কম দামে কিনে নেয়ার চেষ্টা করে। যখন মূল্য পরিশোধের সময় আসলো তখন দেখা গেলো এটা খুব দামী যা মধ্যপ জাতিদের সীমার ভিতরে নেই
- মুহাম্মাদ আশরাফ
আউটপোস্ট আ্যডমিনিস্ট্রেশন
সেদিন ইন্ডিয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে খুব কম দামে কিনে নেয়ার চেষ্টা করে। যখন মূল্য পরিশোধের সময় আসলো তখন দেখা গেলো এটা খুব দামী যা মধ্যপ জাতিদের সীমার ভিতরে নেই
- মুহাম্মাদ আশরাফ
আউটপোস্ট আ্যডমিনিস্ট্রেশন
Time Is Runnig Out [1x]
উত্তর গাজা উপত্যকায় কাসাম ব্রিগেডের হামলায় একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছে।
নিহত সৈন্যের নাম ওয়ারেন্ট অফিসার গা'হালেব স্লিমান আলনাসাসরা, ৩৫ বছর বয়সী, তিনি গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন ট্র্যাকার।
জানা যায় টানেল থেকে বেরিয়ে আসা কাসাম অপারেটিভরা ইসরাইলী সেনাবাহিনীর গাড়িতে একটি আরপিজি লঞ্চ করে। হামলায় ৪১৪তম কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স কালেকশন ইউনিটের তিনজন মহিলা সদস্যও আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন, একজন অফিসার এবং একজন কমব্যাট মেডিকেল।
এরই কিছুক্ষণ পরে, গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল ওমরি মাশিয়ার নেতৃত্বে উদ্ধারকারী বাহিনী ব্রিগেডের ট্র্যাকারদের সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্ত অনুসারে, দুপুর ১:২৫ মিনিটে কাসাম যোদ্ধারা উদ্ধারকারী বাহিনীর কাছেই রাস্তার পাশে বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটান, যার ফলে ঐ সৈন্য নিহত হন।
[কাসাম আবারও ফিরে এসেছে পুরোদমে। - Time Is Runnig Out]
মুহাম্মাদ আশরাফ
আউটপোস্ট আ্যডমিনিস্ট্রেশন
উত্তর গাজা উপত্যকায় কাসাম ব্রিগেডের হামলায় একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছে।
নিহত সৈন্যের নাম ওয়ারেন্ট অফিসার গা'হালেব স্লিমান আলনাসাসরা, ৩৫ বছর বয়সী, তিনি গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন ট্র্যাকার।
জানা যায় টানেল থেকে বেরিয়ে আসা কাসাম অপারেটিভরা ইসরাইলী সেনাবাহিনীর গাড়িতে একটি আরপিজি লঞ্চ করে। হামলায় ৪১৪তম কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স কালেকশন ইউনিটের তিনজন মহিলা সদস্যও আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন, একজন অফিসার এবং একজন কমব্যাট মেডিকেল।
এরই কিছুক্ষণ পরে, গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল ওমরি মাশিয়ার নেতৃত্বে উদ্ধারকারী বাহিনী ব্রিগেডের ট্র্যাকারদের সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্ত অনুসারে, দুপুর ১:২৫ মিনিটে কাসাম যোদ্ধারা উদ্ধারকারী বাহিনীর কাছেই রাস্তার পাশে বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটান, যার ফলে ঐ সৈন্য নিহত হন।
[কাসাম আবারও ফিরে এসেছে পুরোদমে। - Time Is Runnig Out]
মুহাম্মাদ আশরাফ
আউটপোস্ট আ্যডমিনিস্ট্রেশন
এই মুহুর্তে ইয়েমেনের সানা শহর কে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী।
হোমেশ বসতিস্থলের কাছে যে গুলাগুলি হয়েছে তা গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধের জন্য বৈধ প্রতিশোধ।
হোমেশের গুলিবর্ষণের অপরাধী শহীদ প্রতিরোধ যোদ্ধা সুলেমান মানাসরার প্রতি আমরা শোক প্রকাশ করছি এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি যে আমাদের জনগণ প্রতিরোধ থেকে বিচ্যুত হবে না।
- হামাস সরকার, গাজা, ফিলিস্তিন
হোমেশের গুলিবর্ষণের অপরাধী শহীদ প্রতিরোধ যোদ্ধা সুলেমান মানাসরার প্রতি আমরা শোক প্রকাশ করছি এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি যে আমাদের জনগণ প্রতিরোধ থেকে বিচ্যুত হবে না।
- হামাস সরকার, গাজা, ফিলিস্তিন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে দুটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ৭০ সেনাকে হত্যার দাবি করেছে জামাত নাসর আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (JNIM)। JNIM মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন, এরা পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে বেশ সক্রিয়। এক দশকের বেশি সময় পর দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে তারা। বেনিন ও এর উপকূলীয় প্রতিবেশী দেশ টোগোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী একের পর এক অভিযান চালিয়েছে।
Media is too big
VIEW IN TELEGRAM
আল কাসসাম ফাইটারদের অপারেশন ব্রেকিং সোর্ড আ্যম্বুশ পরিচালনার দৃশ্য।
Media is too big
VIEW IN TELEGRAM
Performed by: Military Choir - Al-Qassam Brigades
চীন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) ক্রয়ের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে। ইতোমধ্যে চীন আমেরিকা থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
This media is not supported in your browser
VIEW IN TELEGRAM
বর্তমানে শত শত ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন। তারা নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি জানাচ্ছেন।
গতকাল অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের যেখানে আক্রমণ হয়েছে, সে জায়গাটির নাম পাহালগম। বেশ দৃষ্টিনন্দন জায়গা। কিন্তু, হামলা যেখানে হয়েছে, সে জায়গাটিকে যেমন সুরক্ষিত দাবি করা হয়েছে, আসলে সেটা তার পূর্ণ বিপরীত।
পাহালগম সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৭,২০০ ফুট উপরে অবস্থিত। হামলা যেখানে হয়েছে, সুনির্দিষ্ট করে বললে সে জায়গাটির নাম বাঈসারান উপত্যকা। এটা বেশ দূর্গম একটা স্থান। আমার জানামতে মূল রাস্তা ছেড়ে শুধুমাত্র ঘোড়ায় চড়ে তারপর ওখানে যাওয়া সম্ভব। জায়গাটির অবস্থানের কারণে এখানে Northern Command - Indian Army কোনো মিলিটারি ক্যাম্প রাখেনি। ওদের ক্যাম্প আছে মূল পাহালগমে। যা Terrain হিসাব করলে বেশ দূরে অবস্থিত।
পাহালগম ও সংলগ্ন অঞ্চলে কাশ্মিরি গেরিলাদের আনাগোনাও কোনো নতুন বিষয় নয়। '২২ সালে বাঈসারান থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে সিঁরচাঁন টপের পাহাড়ি জঙ্গলে JKP Special Operations Group (SOG), 116 Battalion - CRPF ও আর্মি নর্দার্ন কমাণ্ডের 19 Rashtriya Rifles (19 RR) একটি অপারেশন লঞ্চ করে। অপারেশনটির ফলে সেখানে কাশ্মির অঞ্চলের অন্যতম অভিজ্ঞ ও বয়োজ্যেষ্ঠ গেরিলা কমাণ্ডার, মৌলভি আশরাফ তাঁর দু'জন সঙ্গীর সাথে পৃথিবী হতে বিদায় নেন।
'২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঈসারান থেকে ৬৭ কিলোমিটার দূরে, কুকেরনাগে কাশ্মিরি গেরিলারা অভিযান চালিয়ে ইণ্ডিয়ান আর্মির কর্নেল ও মেজর পদবির দু'জন অফিসারের সাথে Indian Police Service এর হুমায়ুন ভাট নামের একজন DSP কে হত্যা করে। নিহত কর্নেল 19 RR এর কমাণ্ডিং অফিসার (CO) হিসাবে দায়িত্বে ছিল।
'২৪ সালের আগস্টে বাঈসারান থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে গেরিলা অপারেশন আরম্ভ হয়। আক্রান্ত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর 1 PARA (SF)। 'Red Devil' নামে পরিচিত ইউনিটটি হলো ইণ্ডিয়ান আর্মির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও মর্যাদাপূর্ণ স্পেশাল ফোর্স ইউনিট। গেরিলাদের আক্রমণ শুরু হলে ওদের দু'জন অপারেটর সেখানে মৃত্যুবরণ করে।
এখানে আলোচ্য অঞ্চলে হওয়া অনুরূপ অনেক 'Incident' এর ভেতর থেকে মাত্র ০৩টি তুলে ধরা হলো। মূলত পাহালগম যে জেলার অংশ, সেই অনন্তনাগে কাশ্মিরি গেরিলাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এগুলোর সদস্যদের ভারতীয়রা Over Ground Worker (OGW) নামে চিহ্নিত করে থাকে। গেরিলারা যদি মাছ হন, OGW 'রা গেরিলাদের জন্য পানির কাজ করেন।
গতকাল বাঈসারানে হওয়া অপারেশনটি অনুরূপ কোনো OGW 'দের তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া ঘটনা বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা আশংকা করছে। গতকালের আক্রমণে নিহতদের মধ্যে Indian Navy ও Intelligence Bureau (IB) এর দু'জন অফিসার রয়েছে। Indian Air Force এর একজন কর্পোরালও সেখানে নিহত হয়েছে।
ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তারা কাশ্মিরের মতো স্থানে ছুটি কাটাতে গেলে ওখানে ওনাদের ও ওনাদের পরিবারের পরিচয় ও চলাচল গোপন রাখবার নির্দেশনা রয়েছে। ধারণা করা হয় যে, পাহালগম অঞ্চলে ভ্রমণে যাওয়া নিহত অফিসাররা সম্ভবত সেটা মান্য করেননি। ওনারা ওখানে যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে Check-in এর সময়ে কোনো কারণে হয়তো নিজেদের পরিচয় দিয়ে দেন। যা গেরিলাদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো OGW এর কান পর্যন্ত চলে যায়।
বাঈসারান পাহালগমের খুব সুপরিচিত একটা 'Tourist Spot'। জায়গাটা ইণ্ডিয়ান আর্মির Response এর জন্য দূর্গম বিবেচিত হলেও গেরিলাদের জন্য বিষয়টা পূর্ণ বিপরীত। অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে মিলিটারি, পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্সের ভারী উপস্থিতির কারণে গেরিলা অপারেটিভরা সাধারণত লোকালয়ে অবস্থান করতে পারেন না। তাঁরা তাই বিচরণ করেন লোকালয়কে বেষ্টন করে থাকা সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী ও পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝ দিয়ে। যেখানে পীর পাঞ্জালের দূর্গম মাউন্টেন রেঞ্জ ভুতুড়ে নীরবতার আবরণীতে স্নেহের সাথে লুকিয়ে রাখে তাঁর প্রিয় সন্তানদের অস্তিত্ব।
অনুমান করা যায় যে, Check-in এর সময়ে পরিচয় দিয়ে OGW 'দের নজরে পড়ে যাওয়ার পর তাঁরা সেখানকার দায়িত্বশীলের নিকট বিষয়টি রিপোর্ট করেন। অতঃপর সেখান থেকে কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য চলে যায় সবচেয়ে নিকটবর্তী গেরিলা টিমের হাতে। যারা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সম্ভাব্য একটি হামলা পরিচালনার জন্য বাঈসারানের দিকে এগিয়ে এসে অবস্থান গ্রহণ করে। অতঃপর তাই হয়, যা হওয়ার ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বাঈসারানের মিনি-সুইজারল্যাণ্ড ভ্রমণের জন্য সেদিকে এগিয়ে আসে ভারতীয় ট্যুরিস্টদের দলটি। যেখানে কিনা গেরিলার দল পূর্ব থেকে Ambush সাজিয়ে বসে ছিল।
তাঁরা এগিয়ে আসে। ঘিরে ফেলা হয় ওদের। হামলায় আক্রান্তদের ভাষ্যমতে তাঁরা ফায়ার ওপেনের আগে সকলের Identification Card দেখে নেয়। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় তাঁদের ভারী গুলিবর্ষণ। এসময় নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ধরা হয় পুরুষদের।
হামলার পর ভারতীয় মিডিয়া থেকে বলা হয়েছে যে, হামলার সময়ে প্যান্ট খুলে ধর্ম নিশ্চিত করা হয়েছে। যা আসলে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। কারণ, Identification Card নেওয়ার পর সেখানে ধর্ম জানার আর কিছু বাকি থাকে না। পাশাপাশি, হামলায় আদিল হুসাইন নামের একজন স্থানীয় কাশ্মিরি গাইড নিজেও নিহত হয়েছেন। অনন্তনাগে মোতায়েন থাকা গেরিলাদের সিগনেচারের সাথে
পাহালগম সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৭,২০০ ফুট উপরে অবস্থিত। হামলা যেখানে হয়েছে, সুনির্দিষ্ট করে বললে সে জায়গাটির নাম বাঈসারান উপত্যকা। এটা বেশ দূর্গম একটা স্থান। আমার জানামতে মূল রাস্তা ছেড়ে শুধুমাত্র ঘোড়ায় চড়ে তারপর ওখানে যাওয়া সম্ভব। জায়গাটির অবস্থানের কারণে এখানে Northern Command - Indian Army কোনো মিলিটারি ক্যাম্প রাখেনি। ওদের ক্যাম্প আছে মূল পাহালগমে। যা Terrain হিসাব করলে বেশ দূরে অবস্থিত।
পাহালগম ও সংলগ্ন অঞ্চলে কাশ্মিরি গেরিলাদের আনাগোনাও কোনো নতুন বিষয় নয়। '২২ সালে বাঈসারান থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে সিঁরচাঁন টপের পাহাড়ি জঙ্গলে JKP Special Operations Group (SOG), 116 Battalion - CRPF ও আর্মি নর্দার্ন কমাণ্ডের 19 Rashtriya Rifles (19 RR) একটি অপারেশন লঞ্চ করে। অপারেশনটির ফলে সেখানে কাশ্মির অঞ্চলের অন্যতম অভিজ্ঞ ও বয়োজ্যেষ্ঠ গেরিলা কমাণ্ডার, মৌলভি আশরাফ তাঁর দু'জন সঙ্গীর সাথে পৃথিবী হতে বিদায় নেন।
'২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঈসারান থেকে ৬৭ কিলোমিটার দূরে, কুকেরনাগে কাশ্মিরি গেরিলারা অভিযান চালিয়ে ইণ্ডিয়ান আর্মির কর্নেল ও মেজর পদবির দু'জন অফিসারের সাথে Indian Police Service এর হুমায়ুন ভাট নামের একজন DSP কে হত্যা করে। নিহত কর্নেল 19 RR এর কমাণ্ডিং অফিসার (CO) হিসাবে দায়িত্বে ছিল।
'২৪ সালের আগস্টে বাঈসারান থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে গেরিলা অপারেশন আরম্ভ হয়। আক্রান্ত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর 1 PARA (SF)। 'Red Devil' নামে পরিচিত ইউনিটটি হলো ইণ্ডিয়ান আর্মির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও মর্যাদাপূর্ণ স্পেশাল ফোর্স ইউনিট। গেরিলাদের আক্রমণ শুরু হলে ওদের দু'জন অপারেটর সেখানে মৃত্যুবরণ করে।
এখানে আলোচ্য অঞ্চলে হওয়া অনুরূপ অনেক 'Incident' এর ভেতর থেকে মাত্র ০৩টি তুলে ধরা হলো। মূলত পাহালগম যে জেলার অংশ, সেই অনন্তনাগে কাশ্মিরি গেরিলাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এগুলোর সদস্যদের ভারতীয়রা Over Ground Worker (OGW) নামে চিহ্নিত করে থাকে। গেরিলারা যদি মাছ হন, OGW 'রা গেরিলাদের জন্য পানির কাজ করেন।
গতকাল বাঈসারানে হওয়া অপারেশনটি অনুরূপ কোনো OGW 'দের তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া ঘটনা বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা আশংকা করছে। গতকালের আক্রমণে নিহতদের মধ্যে Indian Navy ও Intelligence Bureau (IB) এর দু'জন অফিসার রয়েছে। Indian Air Force এর একজন কর্পোরালও সেখানে নিহত হয়েছে।
ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তারা কাশ্মিরের মতো স্থানে ছুটি কাটাতে গেলে ওখানে ওনাদের ও ওনাদের পরিবারের পরিচয় ও চলাচল গোপন রাখবার নির্দেশনা রয়েছে। ধারণা করা হয় যে, পাহালগম অঞ্চলে ভ্রমণে যাওয়া নিহত অফিসাররা সম্ভবত সেটা মান্য করেননি। ওনারা ওখানে যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে Check-in এর সময়ে কোনো কারণে হয়তো নিজেদের পরিচয় দিয়ে দেন। যা গেরিলাদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো OGW এর কান পর্যন্ত চলে যায়।
বাঈসারান পাহালগমের খুব সুপরিচিত একটা 'Tourist Spot'। জায়গাটা ইণ্ডিয়ান আর্মির Response এর জন্য দূর্গম বিবেচিত হলেও গেরিলাদের জন্য বিষয়টা পূর্ণ বিপরীত। অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে মিলিটারি, পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্সের ভারী উপস্থিতির কারণে গেরিলা অপারেটিভরা সাধারণত লোকালয়ে অবস্থান করতে পারেন না। তাঁরা তাই বিচরণ করেন লোকালয়কে বেষ্টন করে থাকা সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী ও পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝ দিয়ে। যেখানে পীর পাঞ্জালের দূর্গম মাউন্টেন রেঞ্জ ভুতুড়ে নীরবতার আবরণীতে স্নেহের সাথে লুকিয়ে রাখে তাঁর প্রিয় সন্তানদের অস্তিত্ব।
অনুমান করা যায় যে, Check-in এর সময়ে পরিচয় দিয়ে OGW 'দের নজরে পড়ে যাওয়ার পর তাঁরা সেখানকার দায়িত্বশীলের নিকট বিষয়টি রিপোর্ট করেন। অতঃপর সেখান থেকে কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য চলে যায় সবচেয়ে নিকটবর্তী গেরিলা টিমের হাতে। যারা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সম্ভাব্য একটি হামলা পরিচালনার জন্য বাঈসারানের দিকে এগিয়ে এসে অবস্থান গ্রহণ করে। অতঃপর তাই হয়, যা হওয়ার ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বাঈসারানের মিনি-সুইজারল্যাণ্ড ভ্রমণের জন্য সেদিকে এগিয়ে আসে ভারতীয় ট্যুরিস্টদের দলটি। যেখানে কিনা গেরিলার দল পূর্ব থেকে Ambush সাজিয়ে বসে ছিল।
তাঁরা এগিয়ে আসে। ঘিরে ফেলা হয় ওদের। হামলায় আক্রান্তদের ভাষ্যমতে তাঁরা ফায়ার ওপেনের আগে সকলের Identification Card দেখে নেয়। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় তাঁদের ভারী গুলিবর্ষণ। এসময় নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ধরা হয় পুরুষদের।
হামলার পর ভারতীয় মিডিয়া থেকে বলা হয়েছে যে, হামলার সময়ে প্যান্ট খুলে ধর্ম নিশ্চিত করা হয়েছে। যা আসলে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। কারণ, Identification Card নেওয়ার পর সেখানে ধর্ম জানার আর কিছু বাকি থাকে না। পাশাপাশি, হামলায় আদিল হুসাইন নামের একজন স্থানীয় কাশ্মিরি গাইড নিজেও নিহত হয়েছেন। অনন্তনাগে মোতায়েন থাকা গেরিলাদের সিগনেচারের সাথে
গাইড মারা পড়ার বিষয়টির মিল রয়েছে।
কাশ্মির যখন তাঁর Article 370 হারিয়ে ফেলে, তখন Bharatiya Janata Party (BJP) এর বিক্রম সৈনি পার্টির সদস্যদের বলেছিল - "এখন সাদা কাশ্মিরি মেয়েদের বিয়ে করার সময় হয়েছে।"
তখন থেকে কাশ্মিরের গেরিলারা সতর্কবার্তা দিতে শুরু করে যে - "কাশ্মিরে ভারতের মূল ভূখণ্ড হতে যারা আসবে, ওরা আমাদের দৃষ্টিতে 'Combatant' বলে বিবেচিত হবে ও ওদের সাথে আমরা তেমন আচরণ করব, যেমনটা আমরা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সাথে করে থাকি। পাশাপাশি, ওদের স্থানীয় যারা এখানে সাহায্য করবে, তারাও আমাদের দৃষ্টিতে বিশ্বাসঘাতক মর্মে বিবেচিত হবে।"
আমার দৃষ্টিতে তাই হামলাটি কোনো False Flag ছিল না। কারণ, আমি এখানে কাশ্মিরি গেরিলাদের খুব শক্তিশালী সিগনেচার দেখছি। এবং আমার ধারণাটি আরো শক্তিশালী হয়েছে কারণ, The Resistance Front (TRF) নামের একটি সংগঠন হামলাটির দায়িত্ব স্বীকার করেছে। অনন্তনাগ অঞ্চলের নেটওয়ার্ক তাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। হামলার কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছে যে - "কাশ্মিরের স্থানীয় নয়, এমন ৮৫,০০০ মানুষকে কাশ্মিরের স্থানীয় হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে দিল্লি ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে। এসব দখলদারেরা আমাদের মাঝে Tourist এর বেশ ধরে আসে, স্থানীয় হিসাবে ডকুমেন্ট আদায় করে ও এরপর ওরা কাশ্মিরের আসল মালিকের বেশ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আরম্ভ করে।"
সবমিলিয়ে, হামলাটি ছিল পুলওয়ামার পর মিডিয়া কাভারেজের দিক থেকে কাশ্মিরে গেরিলাদের প্রথম সত্যিকার বড় কোনো অপারেশন। গতকাল নারী ও শিশুদের হামলার সময়ে ছেড়ে দেওয়াটা এটি একটি গেরিলা সংশ্লিষ্ট অপারেশন ছিল, তার আরেকটি বড় উদাহরণ। কারণ, False Flag হলে নারী ও শিশুদের না ছাড়লে বরং আরো বেশি মানুষের আবেগ আদায় করা যেতো। গতকাল যখন হামলা চলমান, তখন একজন মহিলার সঙ্গীকে গুলি করার পর তিনি অস্ত্রধারী গেরিলার নিকট তাঁকেও তাঁর স্বামীর সাথে গুলি করার আকুতি করেন। তখন গেরিলার জবাব ছিল - "ইঁয়ে তুঁম মোদি কো বোলো"।
অর্থাৎ, তুমি মোদিকে গিয়ে বলো যে, সে যেন তোমাকে গুলি করে। কারণ, ওর দখলদারিত্বের এজেণ্ডার কারণে তোমার স্বামীর আজ এখানে এমন দশা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
— Revan M
আউটপোস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
কাশ্মির যখন তাঁর Article 370 হারিয়ে ফেলে, তখন Bharatiya Janata Party (BJP) এর বিক্রম সৈনি পার্টির সদস্যদের বলেছিল - "এখন সাদা কাশ্মিরি মেয়েদের বিয়ে করার সময় হয়েছে।"
তখন থেকে কাশ্মিরের গেরিলারা সতর্কবার্তা দিতে শুরু করে যে - "কাশ্মিরে ভারতের মূল ভূখণ্ড হতে যারা আসবে, ওরা আমাদের দৃষ্টিতে 'Combatant' বলে বিবেচিত হবে ও ওদের সাথে আমরা তেমন আচরণ করব, যেমনটা আমরা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সাথে করে থাকি। পাশাপাশি, ওদের স্থানীয় যারা এখানে সাহায্য করবে, তারাও আমাদের দৃষ্টিতে বিশ্বাসঘাতক মর্মে বিবেচিত হবে।"
আমার দৃষ্টিতে তাই হামলাটি কোনো False Flag ছিল না। কারণ, আমি এখানে কাশ্মিরি গেরিলাদের খুব শক্তিশালী সিগনেচার দেখছি। এবং আমার ধারণাটি আরো শক্তিশালী হয়েছে কারণ, The Resistance Front (TRF) নামের একটি সংগঠন হামলাটির দায়িত্ব স্বীকার করেছে। অনন্তনাগ অঞ্চলের নেটওয়ার্ক তাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। হামলার কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছে যে - "কাশ্মিরের স্থানীয় নয়, এমন ৮৫,০০০ মানুষকে কাশ্মিরের স্থানীয় হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে দিল্লি ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে। এসব দখলদারেরা আমাদের মাঝে Tourist এর বেশ ধরে আসে, স্থানীয় হিসাবে ডকুমেন্ট আদায় করে ও এরপর ওরা কাশ্মিরের আসল মালিকের বেশ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আরম্ভ করে।"
সবমিলিয়ে, হামলাটি ছিল পুলওয়ামার পর মিডিয়া কাভারেজের দিক থেকে কাশ্মিরে গেরিলাদের প্রথম সত্যিকার বড় কোনো অপারেশন। গতকাল নারী ও শিশুদের হামলার সময়ে ছেড়ে দেওয়াটা এটি একটি গেরিলা সংশ্লিষ্ট অপারেশন ছিল, তার আরেকটি বড় উদাহরণ। কারণ, False Flag হলে নারী ও শিশুদের না ছাড়লে বরং আরো বেশি মানুষের আবেগ আদায় করা যেতো। গতকাল যখন হামলা চলমান, তখন একজন মহিলার সঙ্গীকে গুলি করার পর তিনি অস্ত্রধারী গেরিলার নিকট তাঁকেও তাঁর স্বামীর সাথে গুলি করার আকুতি করেন। তখন গেরিলার জবাব ছিল - "ইঁয়ে তুঁম মোদি কো বোলো"।
অর্থাৎ, তুমি মোদিকে গিয়ে বলো যে, সে যেন তোমাকে গুলি করে। কারণ, ওর দখলদারিত্বের এজেণ্ডার কারণে তোমার স্বামীর আজ এখানে এমন দশা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
— Revan M
আউটপোস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।