Bangladesh Awami League
93.4K subscribers
9.89K photos
2.79K videos
18 files
10.5K links
Official Telegram Channel of Bangladesh Awami League.
Stay Connceted on Web 👉 www.albd.org
Follow us on -
🔴 Insta 👉 https://instagram.com/albd1949
🟣 Tw 👉 https://twitter.com/albd1971
🔵 FB 👉https://www.facebook.com/awamileague.1949
Download Telegram
প্রিয় নেতা কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ,

শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি করে যাচ্ছে এবং দলের দাবিনামা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

বরাবরের মতো এই লিফলেট প্রিন্ট করে - প্রচার করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

#Bangladesh #AwamiLeague #YunusMustGo
'এই বিচার কেবল অতীতের প্রতিশোধ নয়'
- তাজুল স্বীকার করে নিলো ৭১ এর রাজাকারদের ফাঁসির প্রতিশোধ নিচ্ছে #জামাতিরা

এদের বিচার জনসম্মুখে করবে বাংলাদেশ!

#BangladeshCrisis #ChiefProsecutor #Razakar
ভূমিদস্যু দখল করে, প্রশাসন চুপ করে — এটাই কি #সংখ্যালঘু নিরাপত্তার বাস্তব চিত্র?

চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজানে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম রোডের পাশে অবস্থিত গঙ্গাবাড়ি মন্দিরটি প্রকাশ্য দিবালোকে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোঃ হানিফ। মন্দিরের ভেতরে জোরপূর্বক টিনের বেড়া দিয়ে দখলদারি স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে সে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দখলের সময় প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে নীরব থেকেছে—কোনো প্রতিরোধ তো দূরের কথা, অভিযোগ জানালেও প্রতিকার মেলেনি।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংরক্ষিত। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার সনদের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদেও ধর্মীয় স্বাধীনতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

তাহলে কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কি আজ নিজ দেশেই অনিরাপদ? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভূমিদস্যুদের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে?

এই ঘটনা শুধু একটি মন্দির দখলের নয়, এটি ধর্মীয় নিপীড়ন, সংবিধান লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ব্যর্থতার #নগ্ন উদাহরণ।

#Bangladesh #BangladeshCrisis #SaveBangladeshiMinorities
ড: ইউনুস গংরা পরিকল্পিত ভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে বাংলাদেশকে ঠেলে দিচ্ছে, এক গভীর ষড়যন্ত্র
——

বর্তমানে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। দেশের অর্থনীতি, শিল্প, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা সবই এক ধ্বংসাত্মক পথে ধাবিত হচ্ছে। একটি স্বাধীন, সম্ভাবনাময় জাতিকে পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপপ্রয়াস চলছে। দেশকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে বেকারত্ব বাড়বে, ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হবে, এবং জনগণ কর্মহীন হয়ে দিশেহারা হবে।

বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বড় বড় শিল্প গ্রুপ একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অথবা তাদের কার্যক্রম সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা হুমকি, হয়রানি, এবং অস্থিতিশীল নীতির শিকার হয়ে পড়ছেন। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। বাংলাদেশ, যে দেশ একসময় পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিল, সেই দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিই এখন চূড়ান্ত হুমকির মুখে।

এর চেয়েও উদ্বেগজনক হচ্ছে এই সংকট কোনো স্বাভাবিক অর্থনৈতিক চক্রের অংশ নয়, বরং মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত একটি ষড়যন্ত্র। বহুদিন ধরে নানা অভিযোগে আলোচিত ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে উপস্থাপন করেন, তার দিকেই উঠে আসছে সন্দেহের আঙুল। তার বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে এবং বাইরে একটি অদৃশ্য গোষ্ঠীর সমর্থনে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে।

*এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে*

*শিল্প উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ও আর্থিক তদন্ত শুরু করা হচ্ছে,*

*সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন নীতিতে ব্যবসায়ী মহলে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে,*

*দারিদ্র্য হ্রাসের নামে এনজিও-ভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থা দিয়ে জনগণকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে রাখা হচ্ছে,*

*এবং একই সময়ে রাষ্ট্রের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ভিত্তি গড়ে তোলা হচ্ছে।*

*আমরা ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে যদি একবার দুর্ভিক্ষ শুরু হয়, তাহলে তা আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশগুলোর চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।* কোটি কোটি মানুষ খাদ্যের *অভাবে পড়বে, অভ্যন্তরীণ সংঘাত, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা বিস্তার লাভ করবে। এর পরিণতি হবে দেশকে অন্তর্জাত এক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া যার পেছনে থাকবে কিছু বিদেশি শক্তি ও তাদের দেশীয় দোসরদের সুপরিকল্পিত নীলনকশা।*

এমতাবস্থায় জাতিকে সতর্ক হতে হবে। সময় এসেছে প্রশ্ন করার এই ধ্বংসের পেছনে কারা? কেন বারবার দেশীয় শিল্প ধ্বংসের চেষ্টা হয়? কেন আমাদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হচ্ছে?

দেশপ্রেমিক সকল নাগরিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং তরুণ প্রজন্মকে এখনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত প্রতিহত করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া হবে শুধুই ধ্বংসস্তূপ।⁩

#YunusMustGo
⁨ভিসি নিয়োগ এখন টাকার বিনিময়ে, সম্মান-মর্যাদা ধ্বংস

দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা আজ ভয়াবহ অর্থনৈতিক লেনদেন ও পৃষ্ঠপোষক চক্রের কবলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদ ভাইস চ্যান্সেলর বা ভিসি নিয়োগে এখন নীতিনৈতিকতা নয়, বরং টাকার জোরই শেষ কথা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তাবিদ আওয়াল শফিক কুয়েটের (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) পরবর্তী ভিসি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি এরইমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তার বায়োডাটা জমা দিয়েছেন, এবং প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার পর সরাসরি তদবিরের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে এই নিয়োগের জন্য ছয় কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনের দেন-দরবার চলছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বর্তমান ভিসি এবং চট্টগ্রাম জামায়াতে ইসলামী শিবিরের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এই অনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষকতা ও গবেষণার মত মহৎ একটি অঙ্গনে এমন ঘৃণ্য আর্থিক কারসাজি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং গবেষণা, শিক্ষা, ও তরুণদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এক সময় যেখানে ভিসি পদ ছিল অধ্যাপকদের জন্য সম্মানজনক ও অবদানের স্বীকৃতি, সেখানে এখন তা হয়ে উঠেছে ঘুষের বাজারে বিক্রিত একটি পণ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও সচেতন নাগরিকরা এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক ও ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন “ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কী শিখাবো, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রকরাই অর্থ ও রাজনীতির খেলায় বেচাকেনা হচ্ছেন?”

দেশের সম্মানিত শিক্ষক সমাজ, সচেতন নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান—এই দুর্নীতির দায় শুধু ব্যক্তিক নয়, এটা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। অবিলম্বে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে।⁩

#Bangladesh #BangladeshCrisis
মিডিয়া একটি সুন্দর জোকস ছেপেছে -

‘নির্বাচন আগেও হতে পারে, ৩০ জুন মানে এর বেশি যাবে না। এর মধ্যে এটা ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতে হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, মার্চেও হতে পারে, এপ্রিলে হতে পারে, মে মাসেও হতে পারে, জুনেও হতে পারে। কিন্তু জুনের ৩০-এর পরে যাবে না।’
- ডাস্টবিন শফিক

এখন প্রশ্ন - নির্বাচন কবে?

#Bangladesh #Election
ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির ওপরে দাঁড়িয়ে ইউনুসের দাঁত ক্যালানো উন্নয়ন
-----

দেশটা তো এখন একটা ধুঁকতে থাকা মেশিন, আর স্টিয়ারিং-এ বসে আছে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক অনধিকারচর্চাকারী, যিনি বৈধতা, দায়িত্ববোধ বা দূরদর্শিতার ধারে-কাছে নেই। এই লোক আর তার নিযুক্ত অ-সরকার—যাদের কারও প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট নেই—তারা দেশ চালাতে গিয়ে যা করছে, তাকে অব্যবস্থাপনা বলা অনেক বেশি শোভনীয় হয়ে যায়। গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, ব্যাংকে টাকা নেই, বিনিয়োগ নেই, আর আছে শুধু অদ্ভুত সব হুকুম আর ঘন ঘন মুখরক্ষা করার চেষ্টা।

চন্দ্রার টাওয়েল টেক্সের করুণ হাল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা একটা প্রতীক, একটা আয়না যেখানে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর অযোগ্যতা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। একটা রপ্তানিমুখী শিল্প গ্যাস পাচ্ছে না—এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে রপ্তানি বাড়বে? পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের ভবিষ্যৎ একটা সিদ্ধান্তহীন, জবাবদিহিহীন গোষ্ঠীর হাতের খেলনা হয়ে আছে। বিদ্যুৎ দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা? সেটা তো এখন লোডশেডিংয়ের আরেক নাম। আর এই ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে ইউনুস-নেতৃত্বাধীন অ-সরকার যা করছে, সেটা হচ্ছে গল্প বানানো—ব্যাংক তারল্য সংকটে নেই, গ্যাস সরবরাহ নাকি ঠিক আছে! কে বিশ্বাস করে এসব?

এই সরকারজীবী গোষ্ঠী ভুলে গেছে যে, অর্থনীতি ফটোসেশনের জায়গা না। এখানে নীতি লাগে, বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতা লাগে। একদিকে গ্যাস-পানি ছাড়া মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে মুখে ফেনা তুলে উন্নয়নগাঁথা পড়া হচ্ছে। ফলাফল? বিনিয়োগে ধস, কর্মসংস্থান শূন্যের কোঠায়, মানুষ চাকরি হারাচ্ছে আর বিদেশিরাও ঘুরেও তাকাচ্ছে না। এলসির সংখ্যা কমেছে, আমদানি কমেছে, রপ্তানি ঠেকেছে—এই সবকিছুর মাঝে তথাকথিত সরকারের কোনো উদ্বেগ নেই। আছে কেবল কীভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা যায়, তার কৌশল।

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিশ্চিন্তে বলছেন, বিনিয়োগ রাতারাতি আসে না। ঠিক আছে, রাতারাতি আসে না, কিন্তু এদের শাসনকালে তো বছর কাটে বিনা সংস্কারেই! গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, আইনের শাসন নেই—এই হিমশীতল বাস্তবতায় একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী কেন আসবে? সে কি পাগল?

ব্যবসা মানে শুধু একটা ঘর বানিয়ে কাগজে-কলমে রেজিস্ট্রেশন না। এটা একটা বিশ্বাস, একটা স্থিতিশীল পরিবেশের প্রয়োজন। আর আজকের বাংলাদেশে সেই পরিবেশ শুধু অনুপস্থিত নয়, একদম চুরি হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চায় না, সুদহার আকাশছোঁয়া, রিজার্ভ ফোকলা, তারল্য সংকট পাকা, আর এসবের মাঝেও প্রতিদিন নতুন ‘বড় প্রকল্পের’ ঘোষণায় ফাইল চড়ে। এই তো ‘ইউনুস অর্থনীতি’—মূর্খতা আর জালিয়াতির সম্মিলন।

কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এরা নিজেদের ভুল মানে না। শিল্পমালিকরা বলছে, গ্যাস না পেয়ে উৎপাদনের ৪০ শতাংশই বন্ধ—কিন্তু মন্ত্রণালয় বলছে, “না না, সব ঠিক আছে।” ব্যাংকার বলছে টাকা নেই, ঋণ মিলছে না—সরকার বলে, “সঙ্কট কেটে গেছে।” এই আত্মপ্রবঞ্চনার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি মার খাচ্ছে সাধারণ মানুষ—যাদের হাতে নেই কাজ, পকেটে নেই টাকা, সামনে নেই ভরসা।

দেশ আজ ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে একদল অপদার্থের ক্ষমতালোভ। তারা যে শুধু অযোগ্য তাই না, তারা নির্লজ্জও। এই পরিস্থিতি কার সৃষ্টি? এই অ-সরকারের! বিনিয়োগে ধস, রপ্তানিতে স্থবিরতা, নতুন কর্মসংস্থানের অনুপস্থিতি—এসব শুধু সংখ্যার হিসাব না, এগুলো মানুষের জীবনের গল্প। বেকার বেড়েছে দেড় লাখ, আর এই লোকেরা টেলিভিশনে দাঁড়িয়ে “আশা জাগানিয়া বাজেট” দিবে!

না, মোহাম্মদ ইউনুস এই দেশ চালাতে পারে না। তার নেতৃত্বে কোনো অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে না। বরং এরা আছে বলেই আজ ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে, বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো সময়ের ঘাটতি না, এটা নেতৃত্বের দেউলিয়াপনা। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আজকের এই গভীর গর্তে ফেলার জন্য কেউ দায়ী হলে, সেটা মোহাম্মদ ইউনুস আর তার অ-সরকার।

এদের হাতে এই দেশ নিরাপদ নয়।

#YunusMustGo
অসাংবিধানিক সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
------------

জনতার নয়, ক্ষমতার বাজেট

অবৈধ দখলদার সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কোন রাজনৈতিক বৈধতা নেই। অনির্বাচিত কোন সরকার জনগণের ওপর করারোপের কোন আইনি ক্ষমতা রাখে না। সরকার অন্তবর্তী হলে দৈনন্দিন আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখাই কেবল তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। রাজনৈতিক দর্শন সম্বলিত বাৎসরিক আর্থিক বিবরণী বা বাজেট প্রদান করা তাদের কাজ না। কিন্তু ড. ইউনূসের দখলদার সরকার অন্য সব এখতিয়ারবহির্ভূত কাজের মতো বাজেট প্রণয়নের কাজও করেছে। বাজেট কেবল সংখ্যার সমষ্টি নয়; এটি একটি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়বদ্ধতা, ইউনূস সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সেই দায়বদ্ধতা থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত। এটি যেমন জনগণের চাহিদাকে উপেক্ষা করে তৈরি হয়েছে, তেমনি সংবিধান আদিষ্ট রাজনৈতিক নৈতিকতাও এতে অনুপস্থিত।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাজেট হলো জন-প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনুমোদিত একটি রাজনৈতিক চুক্তি। কিন্তু বর্তমান সরকার একটি প্রশাসনিক কাঠামো—যেখানে সংসদীয় বিরোধী দল, সংসদীয় বিতর্ক কিংবা জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ অনুপস্থিত।

অংশগ্রহণহীনতা ও গণতান্ত্রিক ঘাটতি

এই বাজেট তৈরি হয়েছে নাগরিক সমাজ, অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী সংগঠন, বিরোধী দল, কিংবা শ্রমজীবী মানুষের মতামত ছাড়াই। জনমত যাচাই বা জনসাধারণের প্রস্তাব গ্রহণের কোনো প্ল্যাটফর্মই চালু করা হয়নি। এটি একটি ক্লোজড-ডোর টেকনোক্রেটিক প্রক্রিয়া—যা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ধারণার পরিপন্থী।

দায় এড়ানোর কথামালা

প্রস্তাবিত বাজেটে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সাফল্যকে কালিমালিপ্ত করতে অসত্য বক্তব্যের ফুলঝুরি ছোটানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি, জীবনমানের উন্নতি, অবকাঠামো উন্নয়নের অভাবিত অগ্রগতির সাক্ষী দেশের মানুষ। বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ‘গ্রোথ মিরাকল’ হিসেবে অভিহিত করতেন। কিন্তু ড. ইউনূসের মাত্র দশ মাসের শাসনে তার সমর্থক পত্রিকাও লিখতে বাধ্য হচ্ছে দেশে বিনিয়োগে স্থবিরতা, অর্থনীতির গতিহীনতা, অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার কথা। সবমিলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এই অবৈধ সরকার এহেন প্রেক্ষাপটে বাজেট বক্তৃতায় সমস্ত দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর। একদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর দোষ চাপিয়েছে, অন্যদিকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের লক্ষ্যে কাজ করার কথাও বলেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যদি অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে থাকে এবং ইউনূস সরকারের দোষ মাসে প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে আসে, তাহলে পরের বছর এলডিসি থেকে উত্তরণের বাস্তবতা থাকে কি? যদি থাকে তাহলে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেই সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের অবস্থায় দেশ পৌঁছালো কীভাবে? খুব সাধারণ যুক্তিতেই সরকারের এই মিথ্যা প্রচারণা খারিজ হয়ে যায়।

প্রস্তাবিত বাজেটের শুরুতেই বলা হয়েছে, তারা প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক বাজেট দেবে না। এটা একটি প্রতারণামূলক বক্তব্য। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ না করে বাজেট প্রণয়ন করা হলো- লক্ষবিহীন গন্তব্যের উদ্দেশে পথচলার মতো। কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকারহীনতাই এই সরকারের বড় একটি বৈশিষ্ট্য। বাজেট বক্তৃতাতেও তা দৃশ্যমান স্বাক্ষর রেখেছে তারা। একথা বলে সরকার ৫ দশমিক ৫ শতাংশের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা আওয়ামী লীগ আমলে অর্জিত গড় প্রবৃদ্ধি থেকে অনেক কম। অথচ এবার প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, অথচ স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি হলে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি হবার কথা। লক্ষ্য কম ধরেও তা অর্জনের অঙ্গীকার না থাকায় প্রবৃদ্ধিকেই আক্রমণ করে বসেছে সরকার। অবশ্য সমালোচকেরা বলছেন যে, বড় বড় লুটপাট ও দুর্নীতিকে আড়াল করতে প্রবৃদ্ধির অংক কমিয়ে দেখাতে চায় তারা। কেননা, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়া চলমান অর্থনীতিতে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবার কথা।

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
প্রবৃদ্ধির পর বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে। দুই অংকের ওপরে চলে যাওয়া মূল্যস্ফীতি কিভাবে পাঁচে আনবে তা নিয়ে বাস্তবোচিত কোন সমাধান দেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসৃত অনেক নীতি যেমন সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীসহ সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির ওপর ভর করে অর্থনীতির গতি বাড়ানোর কথা বলেছে এই বাজেটে। কিন্তু গতি হারানো অর্থনীতিতে অক্সিজেনের সঞ্চার করতে দরকার বিনিয়োগ। সেই বহু কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগের কোন রূপরেখাই দেয়নি সরকার। অথচ এডিপি বাস্তবায়নের অদক্ষতা্ ঢেকেছে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে। এডিপির আকার হ্রাস তথা সরকারি বিনিয়োগ কমানোর মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। একদিকে বেসরকারি বিনিয়োগ নেই, অন্যদিকে সরকারি বিনিয়োগ হ্রাস—এই দুই আঘাত দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বদলে অসংখ্য বেকার তৈরি করবে। বাজেটে এই সংকট থেকে উত্তরণের কোন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১.৯%—যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ ৫%। শিক্ষা খাতে প্রকৃত অর্থায়ন কমেছে(মুদ্রাস্ফীতির হিসাবে)। ডিজিটাল নজরদারির প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যালয় ও হাসপাতাল চালু রাখাই কঠিন হয়ে পড়ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯–১০ শতাংশ। এই অবস্থায় যেখানে সাধারণ মানুষের চাল, ডাল, তেল, ওষুধ কেনার ক্ষমতা কমে গেছে, সেখানে বাজেটে পর্যাপ্ত খাদ্য ভর্তুকি বা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো কৌশল নেই। এই বাজেটে সাধারণ মানুষের—বিশেষত দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবিকার প্রশ্নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। উপরন্তু, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা বা বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হলেও বেসরকারি বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা থাকছেন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। এতে করে সামাজিক বৈষম্য আরও বাড়বে। অথচ কর্পোরেট কর ছাড়, সাশ্রয়ের কথা বলে সরকারের উচ্চবর্গের মানুষের সুযোগ-সুবিধায় উদারতা এই বাজেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

ঋণনির্ভর বাজেট ও কর কাঠামোর দুর্বলতা

এই বাজেটের একটি বড় অংশ অর্থায়ন করা হবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের বড় অংশ এখনও আসে শুল্ক (ভ্যাট) ও পরোক্ষ কর (ট্যাক্স) থেকে, যা সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর চাপ তৈরি করে। কিন্তু ধনীদের ওপর প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো, কর ফাঁকি রোধ বা সম্পদের উপরে কর আরোপের মতো সাহসী সিদ্ধান্ত এই বাজেটে অনুপস্থিত।

উন্নয়নের নামে শহরকেন্দ্রিক পক্ষপাত

অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এখনো মেগা প্রকল্প আর শহরভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নকে বোঝানো হচ্ছে। গ্রামের কৃষক, হাওর এলাকার বাসিন্দা, উপকূলের জলবায়ু বাস্তুচ্যুত জনগণ—তাদের জন্য নেই কোনো আলাদা পরিকল্পনা বা পর্যাপ্ত বাজেট। অথচ, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫% মানুষ এখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি ও গ্রামের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে প্রতিশ্রুতি আছে, কিন্তু বাস্তবায়নের নির্দেশনা নেই।

সংকটের সময়ে সাহসহীন বাজেট

বাংলাদেশে বর্তমানে ডলার সংকট, রেমিট্যান্সের হ্রাস, বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি, বেকারত্ব এবং জলবায়ু ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছিল একটি সাহসী, পুনর্বিন্যাসকৃত এবং বৈষম্যহ্রাসক বাজেট। কিন্তু এই বাজেট নতুন কোনো দিগন্ত উন্মোচন করেনি। এটি গতানুগতিক, শহরমুখী, আমলাতান্ত্রিক এবং জনবিচ্ছিন্ন বাজেট হিসেবেই উপস্থাপিত হয়েছে।
• ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৯% হ্রাস পেয়েছে, এবং পূর্ববর্তী কয়েক বছরের গড় বাজেটের তুলনায় এটি প্রায় ১০% কম। অন্যদিকে, আগের বছরগুলোতে বাজেট গড় হিসাবে প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই দিক বিবেচনায়, নতুন বাজেটটি পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় ২০% কম।
• উন্নয়ন খাতে গুরুত্ব কমেছে, কারণ উন্নয়ন ব্যয়ের বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় গড়ে ১০% হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
• ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের মোট দায় ২০২৪-২৫ সালের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫% বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এর মানে, সরকার আগামী বছর বেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, যার ফলে প্রতি নাগরিকের ওপর দায়ভার আরও বাড়বে।
• বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৩৫% হারে হ্রাস করা হয়েছে, যা দেশের বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে হুমকির মুখে ফেলবে, এবং অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। একই অবস্থা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতেও, যেখানে ৯% বাজেট কাটছাঁট হতে পারে। এতে দেশের সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সাথেও সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত শক্তি তার মানুষ। তাদের কণ্ঠস্বর, প্রয়োজন ও মর্যাদা প্রতিফলিত না হলে কোনো বাজেটই জনকল্যাণমুখী হতে পারে না। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একতরফা নীতির বহিঃপ্রকাশ, যা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই বাজেট গণতান্ত্রিকতার ঘাটতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক বিচ্যুতির একটি রূপরেখা মাত্র। বাংলাদেশকে প্রয়োজন একটি মানবিক, অংশগ্রহণমূলক এবং বৈষম্যহ্রাসক বাজেট, যা গণতন্ত্রের ন্যায্য ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, এই বাজেট দেশের কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না, বরং দেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল ও পঙ্গু করবে। দেশকে আরও সংকটে পতিত করবে। ফলে এই বাজেট ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক
বাংলাদেশ মুক্তি পাক।⁩
#রাজাকার, #আলবদররা মুক্ত বাতাসে,
আর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে রশি!

এই ছবিটির মানুষটি একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় সৈনিক, ৭৬ বছর বয়স্ক প্রবীণ রাজনীতিবিদ শারীরিকভাবে অসুস্থ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম মিলন।

মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে সম্মুখ সমরে অংশ নেয়া মানুষটির প্রতিদানে জুটলো পশুর মতো হাতে লাগানো দড়ি, জঘন্য প্রতিহিংসা আর নির্বাক দৃষ্টি।

স্বাধীনতার চেতনাকে ক্ষতবিক্ষত করতে ক্ষমতা দখলকারী আর স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।

#Bangladesh #BangladeshCrisis #freedomfighter #Razakar
যে তাজুল রাজাকারের সাথী,
তার হাতে নেই ন্যায়বিচার পাথি।

আইনের পোশাকে মুখে দেয় বুলি,
বিচারের নামে করে ছলচাতুরী।
আসল পরিচয় যে রাজাকার সাথী।

#Bangladesh #BangladeshCrisis #Tajulislam #Razakar
একটা ভেঙে পড়া দেশের অসহায় হিসাব
- অর্থনীতির গতি মন্থর, বিনিয়োগ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
------------

এই দেশে এখন একটা সংখ্যা দিয়ে সবকিছু মাপা যায় : তিন কোটি মানুষ—যারা খুব শিগগিরই চরম দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়ে যাবে। আরেকটা সংখ্যা মাথার মধ্যে গেঁথে রাখা উচিত : ১০ মাস ধরে ১০ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি। এক যুগ ধরে যারা শুধু দেখেছে উন্নয়নকে দৃশ্যমান হতে, পদ্মার উপরে ব্রীজ, কর্নফুলির নিচ দিয়ে টানেল, বিদ্যুতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মহাকাশে দেশের দীপ্ত পদচারণা, তারা এখন বাজারে গিয়ে এক কেজি ডাল না কিনেই ফিরে আসে।

যারা আজ দেশের অর্থনীতি চালাচ্ছে, তারা আসলে কী চালাচ্ছে? এটা কি একটা অর্থনীতি, নাকি ব্যর্থতার একটা দীর্ঘ লেজ টেনে নিয়ে যাওয়া? মানুষ যেখানে খেতে পাচ্ছে না, সেখানে তারা বাজেট নিয়ে ব্যস্ত, কোন আমলা কত ভাতা পাবে, তার হিসাব করছে। কৃষকের ভর্তুকি কাটা হচ্ছে, অথচ উপদেষ্টাদের গাড়ির বহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

একটা জিনিস খুব স্পষ্ট—এই অর্থনীতি মানুষ চালাচ্ছে না, এই অর্থনীতি মানুষকে চালাচ্ছে। আর সেই পথের শেষে আছে খালি থালা, খালি পকেট, আর চোখে অন্ধকার।

যে মোহাম্মদ ইউনুস নামধারী লোক ও তার কথিত ‘অ-সরকার’ আজ দেশের ঘাড়ে চেপে বসেছে, তারা উন্নয়ন বলতে বোঝে শুধু ব্রিফকেস ভর্তি ধান্দা। তারা বিনিয়োগের মৃত্যু দেখে না, কর্মসংস্থানের খরা দেখে না, গ্রাম থেকে শহরে এসে বেকার হয়ে ঘুরতে থাকা ছেলেমেয়েদের মুখ দেখে না। তারা শুধু দেখে বিদেশ থেকে শিল্পীদের চামড়া চুঁয়ে পড়া আলোর ঝলকানি, বিদেশ থেকে আমদানি করা দামী মদিরায় চুমুক দিতে দিতে।

ব্যাংকিং খাত একেবারে দেউলিয়া। খেলাপি ঋণ আর চোরাচালান নিয়ে যারা প্রতিদিন মহড়া দেয়, তারা কোনো বিচার পায় না। বরং রাতের অন্ধকারে সাদা কালি দিয়ে রিপোর্ট মুছে দেওয়া হয়। যেসব ব্যাংক রাষ্ট্রের রক্তচোষা রূপ নিয়েছে, তাদের আজও "ব্যবস্থাপনা বোর্ড" আছে।

অর্থনীতির গায়ে ছোপ ছোপ পচন ধরেছে। জিডিপি নামছে, বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে, সঞ্চয় কমছে, ব্যাংকে মানুষ টাকা রাখছে না, বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই, অথচ উপদেষ্টা-আমলা-মহাপরিচালকদের চকচকা ছবি ঠিকই আছে। সরকার নিজের খরচ কাটছে না, উল্টো জনগণের পকেট কেটে চলেছে।

একটা সময় ছিল, সরকার মানে একটা ছায়া—মানুষের উপর থাকা একটা নির্ভরতার নাম। আজ সেই সরকার মানে একটা শকুন—ঘাড়ে বসে মাংস ছিঁড়তে থাকা ক্ষমতার মুখ।

এই দেশের শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছে, নারীরা কাজ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে, ব্যবসায়ী বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছে। এই ভয় শুধু টাকাপয়সার না—এই ভয় আসলে একটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা দেখার ভয়। এই ভয়ের উৎস দুর্নীতি না, বরং অব্যবস্থাপনা; এই ভয় আসে প্রতিদিনের অচলায়তনের মুখোমুখি হয়ে। প্রতিদিন যখন একটার পর একটা প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে, তখন বোঝা যায়—ক্ষমতায় থাকা মানুষেরা একেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যাদের দেশের মানুষ বা বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সত্যটা হচ্ছে, এই অর্থনীতি আর অর্থনীতি নেই—এটা একটা খাঁচা, যেখানে মানুষ বন্দি। সরকার বলছে, তারা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখবে—কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তারা শুধু হিসাব দিচ্ছে, দায় নিচ্ছে না। তারা জানে, এই মানুষেরা কাঁদে, কিন্তু দাঁড়ায় না। তারা কাঁদতে কাঁদতে সব কিছু মেনে নেয়। সেই সুযোগেই তারা চালায় আরও এক ধাপ লুটপাট।

কিন্তু কাঁদা শেষ হলে মানুষ চুপ করে না—তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন এই সরকার তাই সেইদিনের জন্যই তার হাতে রেডি করে রাখছে ভয়, অস্ত্র আর মুখরোচক ভাষণ।

এই লেখার শেষে কোনো আহ্বান নেই। এই লেখা শুধু একটা কালেক্টিভ ক্ষোভ, যা জমে আছে কোটি মানুষের ভেতর। এই ক্ষোভ কোনোদিন চিৎকার হয়ে উঠবে কি না—তা জানি না।

#Bangladesh #Budget #BangladeshCrisis
আওয়ামী লীগের সাপোর্টারস গ্রুপে জয়েন করুন এবং সরাসরি পোস্ট করুন।

https://www.facebook.com/share/g/1B29n6GBvu/