প্রিয় নেতা কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ,
শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি করে যাচ্ছে এবং দলের দাবিনামা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
বরাবরের মতো এই লিফলেট প্রিন্ট করে - প্রচার করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
প্রিন্ট ফাইল -
https://drive.google.com/file/d/1mtkREfMJUH6z1kS5cwSMCQ43eXoVN-J-/view?usp=drivesdk
শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি করে যাচ্ছে এবং দলের দাবিনামা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
বরাবরের মতো এই লিফলেট প্রিন্ট করে - প্রচার করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
প্রিন্ট ফাইল -
https://drive.google.com/file/d/1mtkREfMJUH6z1kS5cwSMCQ43eXoVN-J-/view?usp=drivesdk
🛑#Live #Albd
বাংলাদেশ অর্থনীতির বর্তমান #সংকটের মূল কোথায়?
👉https://www.facebook.com/share/v/1JTys9MsSx/?mibextid=wwXIfr
বাংলাদেশ অর্থনীতির বর্তমান #সংকটের মূল কোথায়?
👉https://www.facebook.com/share/v/1JTys9MsSx/?mibextid=wwXIfr
Facebook
Log in or sign up to view
See posts, photos and more on Facebook.
আরো একটি ইউনুসের ম্যাজিক : বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সৌদি আরবের ‘ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত!
সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ করেছে। শুনতে হয়তো একটা কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত মনে হয়—কিন্তু আসলে এটা হলো একটা আন্তর্জাতিক চপেটাঘাত। এবং এই চড়টি খাওয়া হয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের সেই তথাকথিত ‘অন্তর্বর্তী সরকার’-এর গালে, যারা এনজিওর চায়ের টেবিল থেকে উঠে এসে রাষ্ট্র চালাতে নেমেছে।
তারা ভাবছে, “কর্মসূচি” আর “ফান্ডিং” দিয়েই একটা দেশ চালানো যায়। বাস্তবতা হলো—রাষ্ট্র হলো হাড়ভাঙা বাস্তবতা, এখানে মিটিংয়ে বসে প্রজেক্ট প্রপোজাল বানানোর মতো কিছুই চলে না।
একটা সরল মনের প্রশ্ন : যদি এনজিও চালানো আর দেশ চালানো একই হতো, তাহলে দুনিয়ার সব দেশেই মোহাম্মদ ইউনুসের মতো “নোবেলপুষ্ট” এনজিও ডনদের দিয়ে সরকার গঠন হতো। কেন হয় না? কারণ সবাই জানে, এনজিওর আদর্শ রাষ্ট্রের রূপরেখা হতে পারে না।
এনজিওরা ত্রাণ দিতে পারে, টাকায় স্কুল বানাতে পারে, মহিলাদের গ্রুপ মিটিং করাতে পারে—কিন্তু রাষ্ট্র কূটনীতি, রাজনীতি, সামরিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক গ্লোবাল পজিশনিং, শ্রমবাজার কৌশল—এই ভয়ানক জটিল বাস্তব জিনিসগুলো সামাল দেওয়া এক অতিমানবীয় কাজ।
আর ইউনুস? তিনি এখনো প্রেস কনফারেন্সে “ইনোভেশন” আর “সোশ্যাল বিজনেস” নিয়ে ব্লা ব্লা করেন। সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বাতিল করল? তিনি বলবেন—“এটা একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড, আমরা একটা প্রক্রিয়ায় আছি।”
না স্যার, এটা প্রক্রিয়া না, এটা জাস্ট ডাহা ফেল মারা।
যে রাষ্ট্র কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ করতে পারে না, বিদেশি বন্ধুদের ধরে রাখতে পারে না, তাদের পক্ষে শ্রমবাজার ধরে রাখা তো দূরের কথা—নিজেদের অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়।
সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বন্ধের ঘটনা এমন এক সময় এলো, যখন বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমবাজার ছিল সৌদি। লাখ লাখ তরুণ সেখানে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। অনেকে ইতিমধ্যে দালালের হাতে টাকা দিয়ে বসে আছে, কেউ ধার করেছে, কেউ বসতভিটে বিক্রি করেছে।
কিন্তু তথাকথিত সরকার কী করছে? মুখে শব্দ নেই। কারণ এই সরকার অবৈধ, দায়িত্ববোধহীন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এনজিও চালানো মানে কী?
বিদেশি ডোনারদের খুশি করা, রিপোর্ট বানানো, সেমিনারে বসে সুন্দর ইংরেজিতে বুলি আওড়া।
রাষ্ট্র চালানো মানে?
মাটিতে দাঁড়িয়ে, রক্ত-মাটি-পরিস্থিতির হিসাব করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
মোহাম্মদ ইউনুস এবং তাঁর 'শুভানুধ্যায়ী'রা আসলে এখনো বুঝতেই পারছেন না, তাঁরা কোথায় এসে পড়েছেন।
তাঁরা ভাবছেন, দেশ চালানো মানে কোনো এক ‘গভর্ন্যান্স মডেল’ বা ‘ডেভেলপমেন্ট থিওরি’ বাস্তবায়ন করা।
না ভাই, রাষ্ট্র চালানো মানে হচ্ছে জবাবদিহিতা, দায়, আস্থা অর্জন—দেশি ও আন্তর্জাতিক দুই জগতেই।
আপনারা সে জায়গায় নেই। আর দুনিয়া আপনাদের পুঁছেও না।
আজ সৌদি ভিসা বন্ধ করেছে, কাল হয়তো মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার—সবাই একে একে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দেবে। কারণ তারা জানে, এখন বাংলাদেশে যেটা চলছে, সেটা কোনো সরকার না—এটা একটা সমঝোতা-চক্রে গঠিত ক্ষমতাসীন এনজিও ক্যাম্প।
প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে চলা অর্থনীতি আজ এই ‘শোভন পরিবর্তনের’ খপ্পরে পড়ে কাঁপছে।
আর এই সময়ে তথাকথিত নেতারা ইউরোপের শহরে গলা পরিষ্কার করে বক্তৃতা দিচ্ছেন—“ডেমোক্রেসি উইল বি রিবিল্ট”—আরে ভাই, আগে রাষ্ট্রটা টিকিয়ে রাখেন! নিজের লুঙ্গির গিঁঠের ঠিক নাই, আপনি আছেন চুলে কলপ কোনটা ভালো হবে সেটা নিয়ে!
#BangladeshCrisis #YunusMustGo
সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ করেছে। শুনতে হয়তো একটা কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত মনে হয়—কিন্তু আসলে এটা হলো একটা আন্তর্জাতিক চপেটাঘাত। এবং এই চড়টি খাওয়া হয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের সেই তথাকথিত ‘অন্তর্বর্তী সরকার’-এর গালে, যারা এনজিওর চায়ের টেবিল থেকে উঠে এসে রাষ্ট্র চালাতে নেমেছে।
তারা ভাবছে, “কর্মসূচি” আর “ফান্ডিং” দিয়েই একটা দেশ চালানো যায়। বাস্তবতা হলো—রাষ্ট্র হলো হাড়ভাঙা বাস্তবতা, এখানে মিটিংয়ে বসে প্রজেক্ট প্রপোজাল বানানোর মতো কিছুই চলে না।
একটা সরল মনের প্রশ্ন : যদি এনজিও চালানো আর দেশ চালানো একই হতো, তাহলে দুনিয়ার সব দেশেই মোহাম্মদ ইউনুসের মতো “নোবেলপুষ্ট” এনজিও ডনদের দিয়ে সরকার গঠন হতো। কেন হয় না? কারণ সবাই জানে, এনজিওর আদর্শ রাষ্ট্রের রূপরেখা হতে পারে না।
এনজিওরা ত্রাণ দিতে পারে, টাকায় স্কুল বানাতে পারে, মহিলাদের গ্রুপ মিটিং করাতে পারে—কিন্তু রাষ্ট্র কূটনীতি, রাজনীতি, সামরিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক গ্লোবাল পজিশনিং, শ্রমবাজার কৌশল—এই ভয়ানক জটিল বাস্তব জিনিসগুলো সামাল দেওয়া এক অতিমানবীয় কাজ।
আর ইউনুস? তিনি এখনো প্রেস কনফারেন্সে “ইনোভেশন” আর “সোশ্যাল বিজনেস” নিয়ে ব্লা ব্লা করেন। সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বাতিল করল? তিনি বলবেন—“এটা একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড, আমরা একটা প্রক্রিয়ায় আছি।”
না স্যার, এটা প্রক্রিয়া না, এটা জাস্ট ডাহা ফেল মারা।
যে রাষ্ট্র কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ করতে পারে না, বিদেশি বন্ধুদের ধরে রাখতে পারে না, তাদের পক্ষে শ্রমবাজার ধরে রাখা তো দূরের কথা—নিজেদের অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়।
সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বন্ধের ঘটনা এমন এক সময় এলো, যখন বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমবাজার ছিল সৌদি। লাখ লাখ তরুণ সেখানে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। অনেকে ইতিমধ্যে দালালের হাতে টাকা দিয়ে বসে আছে, কেউ ধার করেছে, কেউ বসতভিটে বিক্রি করেছে।
কিন্তু তথাকথিত সরকার কী করছে? মুখে শব্দ নেই। কারণ এই সরকার অবৈধ, দায়িত্ববোধহীন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এনজিও চালানো মানে কী?
বিদেশি ডোনারদের খুশি করা, রিপোর্ট বানানো, সেমিনারে বসে সুন্দর ইংরেজিতে বুলি আওড়া।
রাষ্ট্র চালানো মানে?
মাটিতে দাঁড়িয়ে, রক্ত-মাটি-পরিস্থিতির হিসাব করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
মোহাম্মদ ইউনুস এবং তাঁর 'শুভানুধ্যায়ী'রা আসলে এখনো বুঝতেই পারছেন না, তাঁরা কোথায় এসে পড়েছেন।
তাঁরা ভাবছেন, দেশ চালানো মানে কোনো এক ‘গভর্ন্যান্স মডেল’ বা ‘ডেভেলপমেন্ট থিওরি’ বাস্তবায়ন করা।
না ভাই, রাষ্ট্র চালানো মানে হচ্ছে জবাবদিহিতা, দায়, আস্থা অর্জন—দেশি ও আন্তর্জাতিক দুই জগতেই।
আপনারা সে জায়গায় নেই। আর দুনিয়া আপনাদের পুঁছেও না।
আজ সৌদি ভিসা বন্ধ করেছে, কাল হয়তো মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার—সবাই একে একে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দেবে। কারণ তারা জানে, এখন বাংলাদেশে যেটা চলছে, সেটা কোনো সরকার না—এটা একটা সমঝোতা-চক্রে গঠিত ক্ষমতাসীন এনজিও ক্যাম্প।
প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে চলা অর্থনীতি আজ এই ‘শোভন পরিবর্তনের’ খপ্পরে পড়ে কাঁপছে।
আর এই সময়ে তথাকথিত নেতারা ইউরোপের শহরে গলা পরিষ্কার করে বক্তৃতা দিচ্ছেন—“ডেমোক্রেসি উইল বি রিবিল্ট”—আরে ভাই, আগে রাষ্ট্রটা টিকিয়ে রাখেন! নিজের লুঙ্গির গিঁঠের ঠিক নাই, আপনি আছেন চুলে কলপ কোনটা ভালো হবে সেটা নিয়ে!
#BangladeshCrisis #YunusMustGo
Illegal Crackdown by RAB-Police on Awami League’s Peaceful Nationwide Movement Against Yunus’s Undemocratic and Predatory Regime
👉 https://x.com/albdmedia/status/1929223145530999027?s=46
👉 https://x.com/albdmedia/status/1929223145530999027?s=46
X (formerly Twitter)
Bangladesh Awami League Media Cell (@ALBDMedia) on X
📷 Illegal Crackdown by RAB-Police on Awami League’s Peaceful Nationwide Movement Against Yunus’s Undemocratic and Predatory Regime
At the direction of the illegitimate Yunus-backed regime, law enforcement agencies, including RAB and the police, have unlawfully…
At the direction of the illegitimate Yunus-backed regime, law enforcement agencies, including RAB and the police, have unlawfully…
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনমূলক বিচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতি
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনমূলক বিচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেননা দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গঠিত ক্যাঙ্গারু কোর্টে প্রহসনমূলক বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আজ সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের নামে বিভিন্ন আষাঢ়ে গল্প ও আজগুবি কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে। তাদের এই সাজানো প্রহসনমূলক বিচার বাংলার জনগণ মানে না। জুলাই-আগস্টে ম্যাটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে হতাহতের যেই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, সেই ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত করেনি অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। অথচ এই হতাহতের ঘটনা তদন্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন। অন্যদিকে অধিকতর স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। অথচ ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গি ইউনূস গং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর এই আন্তর্জাতিক তদন্তের পথ রুদ্ধ করে দেয়। অন্যদিকে আমরা সবাই ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি যে, এ সকল হত্যাকাণ্ডে ৭.৬২ রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে। যা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে না। এমনকি কোনো মৃতদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়নি। এ রকম বড় ধরনের প্রশ্ন যখন সামনে আসে তখন সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত না করে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থই হলো নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের দায়মোচনের লক্ষে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছিলেন। সেটার পাল্টা প্রতিশোধ নিতেই সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রহসনমূলক বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। ইউনূস গংরা স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তি একজোট বেঁধে পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পাকিস্তান আজ ভারতের কাছে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীকে মদত জোগাচ্ছে। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এই জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতিভূ ফ্যাসিস্ট ইউনূস বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে নস্যাৎ করতে চায়। এরা ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অপরাজেয় নেতৃত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারে সেজন্য মিথ্যা ও বানোয়াট হয়রানিমূলক মামলায় প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে তাঁকে অভিযুক্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা এ হেন নীলনকশার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে আমরা বিশ্বাস করি সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী এই অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র গুড়িয়ে দেবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনমূলক বিচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেননা দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গঠিত ক্যাঙ্গারু কোর্টে প্রহসনমূলক বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আজ সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের নামে বিভিন্ন আষাঢ়ে গল্প ও আজগুবি কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে। তাদের এই সাজানো প্রহসনমূলক বিচার বাংলার জনগণ মানে না। জুলাই-আগস্টে ম্যাটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে হতাহতের যেই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, সেই ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত করেনি অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। অথচ এই হতাহতের ঘটনা তদন্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন। অন্যদিকে অধিকতর স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। অথচ ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গি ইউনূস গং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর এই আন্তর্জাতিক তদন্তের পথ রুদ্ধ করে দেয়। অন্যদিকে আমরা সবাই ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি যে, এ সকল হত্যাকাণ্ডে ৭.৬২ রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে। যা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে না। এমনকি কোনো মৃতদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়নি। এ রকম বড় ধরনের প্রশ্ন যখন সামনে আসে তখন সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত না করে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থই হলো নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের দায়মোচনের লক্ষে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছিলেন। সেটার পাল্টা প্রতিশোধ নিতেই সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রহসনমূলক বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। ইউনূস গংরা স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তি একজোট বেঁধে পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পাকিস্তান আজ ভারতের কাছে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীকে মদত জোগাচ্ছে। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এই জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতিভূ ফ্যাসিস্ট ইউনূস বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে নস্যাৎ করতে চায়। এরা ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অপরাজেয় নেতৃত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারে সেজন্য মিথ্যা ও বানোয়াট হয়রানিমূলক মামলায় প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে তাঁকে অভিযুক্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা এ হেন নীলনকশার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে আমরা বিশ্বাস করি সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী এই অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র গুড়িয়ে দেবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রিয় নেতা কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ,
শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি করে যাচ্ছে এবং দলের দাবিনামা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
বরাবরের মতো এই লিফলেট প্রিন্ট করে - প্রচার করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
#Bangladesh #AwamiLeague #YunusMustGo
শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি করে যাচ্ছে এবং দলের দাবিনামা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
বরাবরের মতো এই লিফলেট প্রিন্ট করে - প্রচার করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
#Bangladesh #AwamiLeague #YunusMustGo
'এই বিচার কেবল অতীতের প্রতিশোধ নয়'
- তাজুল স্বীকার করে নিলো ৭১ এর রাজাকারদের ফাঁসির প্রতিশোধ নিচ্ছে #জামাতিরা
এদের বিচার জনসম্মুখে করবে বাংলাদেশ!
#BangladeshCrisis #ChiefProsecutor #Razakar
- তাজুল স্বীকার করে নিলো ৭১ এর রাজাকারদের ফাঁসির প্রতিশোধ নিচ্ছে #জামাতিরা
এদের বিচার জনসম্মুখে করবে বাংলাদেশ!
#BangladeshCrisis #ChiefProsecutor #Razakar
ভূমিদস্যু দখল করে, প্রশাসন চুপ করে — এটাই কি #সংখ্যালঘু নিরাপত্তার বাস্তব চিত্র?
চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজানে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম রোডের পাশে অবস্থিত গঙ্গাবাড়ি মন্দিরটি প্রকাশ্য দিবালোকে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোঃ হানিফ। মন্দিরের ভেতরে জোরপূর্বক টিনের বেড়া দিয়ে দখলদারি স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে সে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দখলের সময় প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে নীরব থেকেছে—কোনো প্রতিরোধ তো দূরের কথা, অভিযোগ জানালেও প্রতিকার মেলেনি।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংরক্ষিত। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার সনদের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদেও ধর্মীয় স্বাধীনতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
তাহলে কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কি আজ নিজ দেশেই অনিরাপদ? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভূমিদস্যুদের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে?
এই ঘটনা শুধু একটি মন্দির দখলের নয়, এটি ধর্মীয় নিপীড়ন, সংবিধান লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ব্যর্থতার #নগ্ন উদাহরণ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #SaveBangladeshiMinorities
চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজানে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম রোডের পাশে অবস্থিত গঙ্গাবাড়ি মন্দিরটি প্রকাশ্য দিবালোকে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোঃ হানিফ। মন্দিরের ভেতরে জোরপূর্বক টিনের বেড়া দিয়ে দখলদারি স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে সে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দখলের সময় প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে নীরব থেকেছে—কোনো প্রতিরোধ তো দূরের কথা, অভিযোগ জানালেও প্রতিকার মেলেনি।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংরক্ষিত। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার সনদের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদেও ধর্মীয় স্বাধীনতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
তাহলে কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কি আজ নিজ দেশেই অনিরাপদ? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভূমিদস্যুদের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে?
এই ঘটনা শুধু একটি মন্দির দখলের নয়, এটি ধর্মীয় নিপীড়ন, সংবিধান লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ব্যর্থতার #নগ্ন উদাহরণ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #SaveBangladeshiMinorities
ড: ইউনুস গংরা পরিকল্পিত ভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে বাংলাদেশকে ঠেলে দিচ্ছে, এক গভীর ষড়যন্ত্র
——
বর্তমানে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। দেশের অর্থনীতি, শিল্প, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা সবই এক ধ্বংসাত্মক পথে ধাবিত হচ্ছে। একটি স্বাধীন, সম্ভাবনাময় জাতিকে পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপপ্রয়াস চলছে। দেশকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে বেকারত্ব বাড়বে, ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হবে, এবং জনগণ কর্মহীন হয়ে দিশেহারা হবে।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বড় বড় শিল্প গ্রুপ একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অথবা তাদের কার্যক্রম সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা হুমকি, হয়রানি, এবং অস্থিতিশীল নীতির শিকার হয়ে পড়ছেন। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। বাংলাদেশ, যে দেশ একসময় পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিল, সেই দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিই এখন চূড়ান্ত হুমকির মুখে।
এর চেয়েও উদ্বেগজনক হচ্ছে এই সংকট কোনো স্বাভাবিক অর্থনৈতিক চক্রের অংশ নয়, বরং মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত একটি ষড়যন্ত্র। বহুদিন ধরে নানা অভিযোগে আলোচিত ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে উপস্থাপন করেন, তার দিকেই উঠে আসছে সন্দেহের আঙুল। তার বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে এবং বাইরে একটি অদৃশ্য গোষ্ঠীর সমর্থনে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে।
*এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে*
*শিল্প উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ও আর্থিক তদন্ত শুরু করা হচ্ছে,*
*সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন নীতিতে ব্যবসায়ী মহলে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে,*
*দারিদ্র্য হ্রাসের নামে এনজিও-ভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থা দিয়ে জনগণকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে রাখা হচ্ছে,*
*এবং একই সময়ে রাষ্ট্রের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ভিত্তি গড়ে তোলা হচ্ছে।*
*আমরা ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে যদি একবার দুর্ভিক্ষ শুরু হয়, তাহলে তা আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশগুলোর চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।* কোটি কোটি মানুষ খাদ্যের *অভাবে পড়বে, অভ্যন্তরীণ সংঘাত, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা বিস্তার লাভ করবে। এর পরিণতি হবে দেশকে অন্তর্জাত এক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া যার পেছনে থাকবে কিছু বিদেশি শক্তি ও তাদের দেশীয় দোসরদের সুপরিকল্পিত নীলনকশা।*
এমতাবস্থায় জাতিকে সতর্ক হতে হবে। সময় এসেছে প্রশ্ন করার এই ধ্বংসের পেছনে কারা? কেন বারবার দেশীয় শিল্প ধ্বংসের চেষ্টা হয়? কেন আমাদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হচ্ছে?
দেশপ্রেমিক সকল নাগরিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং তরুণ প্রজন্মকে এখনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত প্রতিহত করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া হবে শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
#YunusMustGo
——
বর্তমানে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। দেশের অর্থনীতি, শিল্প, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা সবই এক ধ্বংসাত্মক পথে ধাবিত হচ্ছে। একটি স্বাধীন, সম্ভাবনাময় জাতিকে পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপপ্রয়াস চলছে। দেশকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে বেকারত্ব বাড়বে, ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হবে, এবং জনগণ কর্মহীন হয়ে দিশেহারা হবে।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বড় বড় শিল্প গ্রুপ একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অথবা তাদের কার্যক্রম সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা হুমকি, হয়রানি, এবং অস্থিতিশীল নীতির শিকার হয়ে পড়ছেন। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। বাংলাদেশ, যে দেশ একসময় পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিল, সেই দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিই এখন চূড়ান্ত হুমকির মুখে।
এর চেয়েও উদ্বেগজনক হচ্ছে এই সংকট কোনো স্বাভাবিক অর্থনৈতিক চক্রের অংশ নয়, বরং মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত একটি ষড়যন্ত্র। বহুদিন ধরে নানা অভিযোগে আলোচিত ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে উপস্থাপন করেন, তার দিকেই উঠে আসছে সন্দেহের আঙুল। তার বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে এবং বাইরে একটি অদৃশ্য গোষ্ঠীর সমর্থনে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে।
*এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে*
*শিল্প উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ও আর্থিক তদন্ত শুরু করা হচ্ছে,*
*সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন নীতিতে ব্যবসায়ী মহলে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে,*
*দারিদ্র্য হ্রাসের নামে এনজিও-ভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থা দিয়ে জনগণকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে রাখা হচ্ছে,*
*এবং একই সময়ে রাষ্ট্রের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ভিত্তি গড়ে তোলা হচ্ছে।*
*আমরা ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে যদি একবার দুর্ভিক্ষ শুরু হয়, তাহলে তা আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশগুলোর চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।* কোটি কোটি মানুষ খাদ্যের *অভাবে পড়বে, অভ্যন্তরীণ সংঘাত, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা বিস্তার লাভ করবে। এর পরিণতি হবে দেশকে অন্তর্জাত এক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া যার পেছনে থাকবে কিছু বিদেশি শক্তি ও তাদের দেশীয় দোসরদের সুপরিকল্পিত নীলনকশা।*
এমতাবস্থায় জাতিকে সতর্ক হতে হবে। সময় এসেছে প্রশ্ন করার এই ধ্বংসের পেছনে কারা? কেন বারবার দেশীয় শিল্প ধ্বংসের চেষ্টা হয়? কেন আমাদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হচ্ছে?
দেশপ্রেমিক সকল নাগরিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং তরুণ প্রজন্মকে এখনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত প্রতিহত করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া হবে শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
#YunusMustGo
ভিসি নিয়োগ এখন টাকার বিনিময়ে, সম্মান-মর্যাদা ধ্বংস
দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা আজ ভয়াবহ অর্থনৈতিক লেনদেন ও পৃষ্ঠপোষক চক্রের কবলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদ ভাইস চ্যান্সেলর বা ভিসি নিয়োগে এখন নীতিনৈতিকতা নয়, বরং টাকার জোরই শেষ কথা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তাবিদ আওয়াল শফিক কুয়েটের (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) পরবর্তী ভিসি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি এরইমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তার বায়োডাটা জমা দিয়েছেন, এবং প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার পর সরাসরি তদবিরের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে এই নিয়োগের জন্য ছয় কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনের দেন-দরবার চলছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বর্তমান ভিসি এবং চট্টগ্রাম জামায়াতে ইসলামী শিবিরের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এই অনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষকতা ও গবেষণার মত মহৎ একটি অঙ্গনে এমন ঘৃণ্য আর্থিক কারসাজি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং গবেষণা, শিক্ষা, ও তরুণদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এক সময় যেখানে ভিসি পদ ছিল অধ্যাপকদের জন্য সম্মানজনক ও অবদানের স্বীকৃতি, সেখানে এখন তা হয়ে উঠেছে ঘুষের বাজারে বিক্রিত একটি পণ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও সচেতন নাগরিকরা এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক ও ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন “ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কী শিখাবো, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রকরাই অর্থ ও রাজনীতির খেলায় বেচাকেনা হচ্ছেন?”
দেশের সম্মানিত শিক্ষক সমাজ, সচেতন নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান—এই দুর্নীতির দায় শুধু ব্যক্তিক নয়, এটা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। অবিলম্বে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা আজ ভয়াবহ অর্থনৈতিক লেনদেন ও পৃষ্ঠপোষক চক্রের কবলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদ ভাইস চ্যান্সেলর বা ভিসি নিয়োগে এখন নীতিনৈতিকতা নয়, বরং টাকার জোরই শেষ কথা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তাবিদ আওয়াল শফিক কুয়েটের (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) পরবর্তী ভিসি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি এরইমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তার বায়োডাটা জমা দিয়েছেন, এবং প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার পর সরাসরি তদবিরের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে এই নিয়োগের জন্য ছয় কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনের দেন-দরবার চলছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বর্তমান ভিসি এবং চট্টগ্রাম জামায়াতে ইসলামী শিবিরের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এই অনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষকতা ও গবেষণার মত মহৎ একটি অঙ্গনে এমন ঘৃণ্য আর্থিক কারসাজি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং গবেষণা, শিক্ষা, ও তরুণদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এক সময় যেখানে ভিসি পদ ছিল অধ্যাপকদের জন্য সম্মানজনক ও অবদানের স্বীকৃতি, সেখানে এখন তা হয়ে উঠেছে ঘুষের বাজারে বিক্রিত একটি পণ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও সচেতন নাগরিকরা এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক ও ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন “ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কী শিখাবো, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রকরাই অর্থ ও রাজনীতির খেলায় বেচাকেনা হচ্ছেন?”
দেশের সম্মানিত শিক্ষক সমাজ, সচেতন নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান—এই দুর্নীতির দায় শুধু ব্যক্তিক নয়, এটা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। অবিলম্বে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
মিডিয়া একটি সুন্দর জোকস ছেপেছে -
‘নির্বাচন আগেও হতে পারে, ৩০ জুন মানে এর বেশি যাবে না। এর মধ্যে এটা ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতে হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, মার্চেও হতে পারে, এপ্রিলে হতে পারে, মে মাসেও হতে পারে, জুনেও হতে পারে। কিন্তু জুনের ৩০-এর পরে যাবে না।’
- ডাস্টবিন শফিক
এখন প্রশ্ন - নির্বাচন কবে?
#Bangladesh #Election
‘নির্বাচন আগেও হতে পারে, ৩০ জুন মানে এর বেশি যাবে না। এর মধ্যে এটা ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতে হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, মার্চেও হতে পারে, এপ্রিলে হতে পারে, মে মাসেও হতে পারে, জুনেও হতে পারে। কিন্তু জুনের ৩০-এর পরে যাবে না।’
- ডাস্টবিন শফিক
এখন প্রশ্ন - নির্বাচন কবে?
#Bangladesh #Election
ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির ওপরে দাঁড়িয়ে ইউনুসের দাঁত ক্যালানো উন্নয়ন
-----
দেশটা তো এখন একটা ধুঁকতে থাকা মেশিন, আর স্টিয়ারিং-এ বসে আছে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক অনধিকারচর্চাকারী, যিনি বৈধতা, দায়িত্ববোধ বা দূরদর্শিতার ধারে-কাছে নেই। এই লোক আর তার নিযুক্ত অ-সরকার—যাদের কারও প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট নেই—তারা দেশ চালাতে গিয়ে যা করছে, তাকে অব্যবস্থাপনা বলা অনেক বেশি শোভনীয় হয়ে যায়। গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, ব্যাংকে টাকা নেই, বিনিয়োগ নেই, আর আছে শুধু অদ্ভুত সব হুকুম আর ঘন ঘন মুখরক্ষা করার চেষ্টা।
চন্দ্রার টাওয়েল টেক্সের করুণ হাল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা একটা প্রতীক, একটা আয়না যেখানে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর অযোগ্যতা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। একটা রপ্তানিমুখী শিল্প গ্যাস পাচ্ছে না—এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে রপ্তানি বাড়বে? পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের ভবিষ্যৎ একটা সিদ্ধান্তহীন, জবাবদিহিহীন গোষ্ঠীর হাতের খেলনা হয়ে আছে। বিদ্যুৎ দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা? সেটা তো এখন লোডশেডিংয়ের আরেক নাম। আর এই ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে ইউনুস-নেতৃত্বাধীন অ-সরকার যা করছে, সেটা হচ্ছে গল্প বানানো—ব্যাংক তারল্য সংকটে নেই, গ্যাস সরবরাহ নাকি ঠিক আছে! কে বিশ্বাস করে এসব?
এই সরকারজীবী গোষ্ঠী ভুলে গেছে যে, অর্থনীতি ফটোসেশনের জায়গা না। এখানে নীতি লাগে, বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতা লাগে। একদিকে গ্যাস-পানি ছাড়া মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে মুখে ফেনা তুলে উন্নয়নগাঁথা পড়া হচ্ছে। ফলাফল? বিনিয়োগে ধস, কর্মসংস্থান শূন্যের কোঠায়, মানুষ চাকরি হারাচ্ছে আর বিদেশিরাও ঘুরেও তাকাচ্ছে না। এলসির সংখ্যা কমেছে, আমদানি কমেছে, রপ্তানি ঠেকেছে—এই সবকিছুর মাঝে তথাকথিত সরকারের কোনো উদ্বেগ নেই। আছে কেবল কীভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা যায়, তার কৌশল।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিশ্চিন্তে বলছেন, বিনিয়োগ রাতারাতি আসে না। ঠিক আছে, রাতারাতি আসে না, কিন্তু এদের শাসনকালে তো বছর কাটে বিনা সংস্কারেই! গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, আইনের শাসন নেই—এই হিমশীতল বাস্তবতায় একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী কেন আসবে? সে কি পাগল?
ব্যবসা মানে শুধু একটা ঘর বানিয়ে কাগজে-কলমে রেজিস্ট্রেশন না। এটা একটা বিশ্বাস, একটা স্থিতিশীল পরিবেশের প্রয়োজন। আর আজকের বাংলাদেশে সেই পরিবেশ শুধু অনুপস্থিত নয়, একদম চুরি হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চায় না, সুদহার আকাশছোঁয়া, রিজার্ভ ফোকলা, তারল্য সংকট পাকা, আর এসবের মাঝেও প্রতিদিন নতুন ‘বড় প্রকল্পের’ ঘোষণায় ফাইল চড়ে। এই তো ‘ইউনুস অর্থনীতি’—মূর্খতা আর জালিয়াতির সম্মিলন।
কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এরা নিজেদের ভুল মানে না। শিল্পমালিকরা বলছে, গ্যাস না পেয়ে উৎপাদনের ৪০ শতাংশই বন্ধ—কিন্তু মন্ত্রণালয় বলছে, “না না, সব ঠিক আছে।” ব্যাংকার বলছে টাকা নেই, ঋণ মিলছে না—সরকার বলে, “সঙ্কট কেটে গেছে।” এই আত্মপ্রবঞ্চনার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি মার খাচ্ছে সাধারণ মানুষ—যাদের হাতে নেই কাজ, পকেটে নেই টাকা, সামনে নেই ভরসা।
দেশ আজ ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে একদল অপদার্থের ক্ষমতালোভ। তারা যে শুধু অযোগ্য তাই না, তারা নির্লজ্জও। এই পরিস্থিতি কার সৃষ্টি? এই অ-সরকারের! বিনিয়োগে ধস, রপ্তানিতে স্থবিরতা, নতুন কর্মসংস্থানের অনুপস্থিতি—এসব শুধু সংখ্যার হিসাব না, এগুলো মানুষের জীবনের গল্প। বেকার বেড়েছে দেড় লাখ, আর এই লোকেরা টেলিভিশনে দাঁড়িয়ে “আশা জাগানিয়া বাজেট” দিবে!
না, মোহাম্মদ ইউনুস এই দেশ চালাতে পারে না। তার নেতৃত্বে কোনো অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে না। বরং এরা আছে বলেই আজ ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে, বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো সময়ের ঘাটতি না, এটা নেতৃত্বের দেউলিয়াপনা। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আজকের এই গভীর গর্তে ফেলার জন্য কেউ দায়ী হলে, সেটা মোহাম্মদ ইউনুস আর তার অ-সরকার।
এদের হাতে এই দেশ নিরাপদ নয়।
#YunusMustGo
-----
দেশটা তো এখন একটা ধুঁকতে থাকা মেশিন, আর স্টিয়ারিং-এ বসে আছে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক অনধিকারচর্চাকারী, যিনি বৈধতা, দায়িত্ববোধ বা দূরদর্শিতার ধারে-কাছে নেই। এই লোক আর তার নিযুক্ত অ-সরকার—যাদের কারও প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট নেই—তারা দেশ চালাতে গিয়ে যা করছে, তাকে অব্যবস্থাপনা বলা অনেক বেশি শোভনীয় হয়ে যায়। গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, ব্যাংকে টাকা নেই, বিনিয়োগ নেই, আর আছে শুধু অদ্ভুত সব হুকুম আর ঘন ঘন মুখরক্ষা করার চেষ্টা।
চন্দ্রার টাওয়েল টেক্সের করুণ হাল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা একটা প্রতীক, একটা আয়না যেখানে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর অযোগ্যতা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। একটা রপ্তানিমুখী শিল্প গ্যাস পাচ্ছে না—এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে রপ্তানি বাড়বে? পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের ভবিষ্যৎ একটা সিদ্ধান্তহীন, জবাবদিহিহীন গোষ্ঠীর হাতের খেলনা হয়ে আছে। বিদ্যুৎ দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা? সেটা তো এখন লোডশেডিংয়ের আরেক নাম। আর এই ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে ইউনুস-নেতৃত্বাধীন অ-সরকার যা করছে, সেটা হচ্ছে গল্প বানানো—ব্যাংক তারল্য সংকটে নেই, গ্যাস সরবরাহ নাকি ঠিক আছে! কে বিশ্বাস করে এসব?
এই সরকারজীবী গোষ্ঠী ভুলে গেছে যে, অর্থনীতি ফটোসেশনের জায়গা না। এখানে নীতি লাগে, বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতা লাগে। একদিকে গ্যাস-পানি ছাড়া মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে মুখে ফেনা তুলে উন্নয়নগাঁথা পড়া হচ্ছে। ফলাফল? বিনিয়োগে ধস, কর্মসংস্থান শূন্যের কোঠায়, মানুষ চাকরি হারাচ্ছে আর বিদেশিরাও ঘুরেও তাকাচ্ছে না। এলসির সংখ্যা কমেছে, আমদানি কমেছে, রপ্তানি ঠেকেছে—এই সবকিছুর মাঝে তথাকথিত সরকারের কোনো উদ্বেগ নেই। আছে কেবল কীভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা যায়, তার কৌশল।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিশ্চিন্তে বলছেন, বিনিয়োগ রাতারাতি আসে না। ঠিক আছে, রাতারাতি আসে না, কিন্তু এদের শাসনকালে তো বছর কাটে বিনা সংস্কারেই! গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, আইনের শাসন নেই—এই হিমশীতল বাস্তবতায় একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী কেন আসবে? সে কি পাগল?
ব্যবসা মানে শুধু একটা ঘর বানিয়ে কাগজে-কলমে রেজিস্ট্রেশন না। এটা একটা বিশ্বাস, একটা স্থিতিশীল পরিবেশের প্রয়োজন। আর আজকের বাংলাদেশে সেই পরিবেশ শুধু অনুপস্থিত নয়, একদম চুরি হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চায় না, সুদহার আকাশছোঁয়া, রিজার্ভ ফোকলা, তারল্য সংকট পাকা, আর এসবের মাঝেও প্রতিদিন নতুন ‘বড় প্রকল্পের’ ঘোষণায় ফাইল চড়ে। এই তো ‘ইউনুস অর্থনীতি’—মূর্খতা আর জালিয়াতির সম্মিলন।
কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এরা নিজেদের ভুল মানে না। শিল্পমালিকরা বলছে, গ্যাস না পেয়ে উৎপাদনের ৪০ শতাংশই বন্ধ—কিন্তু মন্ত্রণালয় বলছে, “না না, সব ঠিক আছে।” ব্যাংকার বলছে টাকা নেই, ঋণ মিলছে না—সরকার বলে, “সঙ্কট কেটে গেছে।” এই আত্মপ্রবঞ্চনার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি মার খাচ্ছে সাধারণ মানুষ—যাদের হাতে নেই কাজ, পকেটে নেই টাকা, সামনে নেই ভরসা।
দেশ আজ ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে একদল অপদার্থের ক্ষমতালোভ। তারা যে শুধু অযোগ্য তাই না, তারা নির্লজ্জও। এই পরিস্থিতি কার সৃষ্টি? এই অ-সরকারের! বিনিয়োগে ধস, রপ্তানিতে স্থবিরতা, নতুন কর্মসংস্থানের অনুপস্থিতি—এসব শুধু সংখ্যার হিসাব না, এগুলো মানুষের জীবনের গল্প। বেকার বেড়েছে দেড় লাখ, আর এই লোকেরা টেলিভিশনে দাঁড়িয়ে “আশা জাগানিয়া বাজেট” দিবে!
না, মোহাম্মদ ইউনুস এই দেশ চালাতে পারে না। তার নেতৃত্বে কোনো অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে না। বরং এরা আছে বলেই আজ ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে, বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো সময়ের ঘাটতি না, এটা নেতৃত্বের দেউলিয়াপনা। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আজকের এই গভীর গর্তে ফেলার জন্য কেউ দায়ী হলে, সেটা মোহাম্মদ ইউনুস আর তার অ-সরকার।
এদের হাতে এই দেশ নিরাপদ নয়।
#YunusMustGo
অসাংবিধানিক সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
------------
জনতার নয়, ক্ষমতার বাজেট
অবৈধ দখলদার সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কোন রাজনৈতিক বৈধতা নেই। অনির্বাচিত কোন সরকার জনগণের ওপর করারোপের কোন আইনি ক্ষমতা রাখে না। সরকার অন্তবর্তী হলে দৈনন্দিন আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখাই কেবল তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। রাজনৈতিক দর্শন সম্বলিত বাৎসরিক আর্থিক বিবরণী বা বাজেট প্রদান করা তাদের কাজ না। কিন্তু ড. ইউনূসের দখলদার সরকার অন্য সব এখতিয়ারবহির্ভূত কাজের মতো বাজেট প্রণয়নের কাজও করেছে। বাজেট কেবল সংখ্যার সমষ্টি নয়; এটি একটি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়বদ্ধতা, ইউনূস সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সেই দায়বদ্ধতা থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত। এটি যেমন জনগণের চাহিদাকে উপেক্ষা করে তৈরি হয়েছে, তেমনি সংবিধান আদিষ্ট রাজনৈতিক নৈতিকতাও এতে অনুপস্থিত।
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাজেট হলো জন-প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনুমোদিত একটি রাজনৈতিক চুক্তি। কিন্তু বর্তমান সরকার একটি প্রশাসনিক কাঠামো—যেখানে সংসদীয় বিরোধী দল, সংসদীয় বিতর্ক কিংবা জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ অনুপস্থিত।
অংশগ্রহণহীনতা ও গণতান্ত্রিক ঘাটতি
এই বাজেট তৈরি হয়েছে নাগরিক সমাজ, অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী সংগঠন, বিরোধী দল, কিংবা শ্রমজীবী মানুষের মতামত ছাড়াই। জনমত যাচাই বা জনসাধারণের প্রস্তাব গ্রহণের কোনো প্ল্যাটফর্মই চালু করা হয়নি। এটি একটি ক্লোজড-ডোর টেকনোক্রেটিক প্রক্রিয়া—যা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ধারণার পরিপন্থী।
দায় এড়ানোর কথামালা
প্রস্তাবিত বাজেটে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সাফল্যকে কালিমালিপ্ত করতে অসত্য বক্তব্যের ফুলঝুরি ছোটানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি, জীবনমানের উন্নতি, অবকাঠামো উন্নয়নের অভাবিত অগ্রগতির সাক্ষী দেশের মানুষ। বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ‘গ্রোথ মিরাকল’ হিসেবে অভিহিত করতেন। কিন্তু ড. ইউনূসের মাত্র দশ মাসের শাসনে তার সমর্থক পত্রিকাও লিখতে বাধ্য হচ্ছে দেশে বিনিয়োগে স্থবিরতা, অর্থনীতির গতিহীনতা, অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার কথা। সবমিলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এই অবৈধ সরকার এহেন প্রেক্ষাপটে বাজেট বক্তৃতায় সমস্ত দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর। একদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর দোষ চাপিয়েছে, অন্যদিকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের লক্ষ্যে কাজ করার কথাও বলেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যদি অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে থাকে এবং ইউনূস সরকারের দোষ মাসে প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে আসে, তাহলে পরের বছর এলডিসি থেকে উত্তরণের বাস্তবতা থাকে কি? যদি থাকে তাহলে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেই সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের অবস্থায় দেশ পৌঁছালো কীভাবে? খুব সাধারণ যুক্তিতেই সরকারের এই মিথ্যা প্রচারণা খারিজ হয়ে যায়।
প্রস্তাবিত বাজেটের শুরুতেই বলা হয়েছে, তারা প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক বাজেট দেবে না। এটা একটি প্রতারণামূলক বক্তব্য। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ না করে বাজেট প্রণয়ন করা হলো- লক্ষবিহীন গন্তব্যের উদ্দেশে পথচলার মতো। কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকারহীনতাই এই সরকারের বড় একটি বৈশিষ্ট্য। বাজেট বক্তৃতাতেও তা দৃশ্যমান স্বাক্ষর রেখেছে তারা। একথা বলে সরকার ৫ দশমিক ৫ শতাংশের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা আওয়ামী লীগ আমলে অর্জিত গড় প্রবৃদ্ধি থেকে অনেক কম। অথচ এবার প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, অথচ স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি হলে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি হবার কথা। লক্ষ্য কম ধরেও তা অর্জনের অঙ্গীকার না থাকায় প্রবৃদ্ধিকেই আক্রমণ করে বসেছে সরকার। অবশ্য সমালোচকেরা বলছেন যে, বড় বড় লুটপাট ও দুর্নীতিকে আড়াল করতে প্রবৃদ্ধির অংক কমিয়ে দেখাতে চায় তারা। কেননা, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়া চলমান অর্থনীতিতে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবার কথা।
মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
------------
জনতার নয়, ক্ষমতার বাজেট
অবৈধ দখলদার সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কোন রাজনৈতিক বৈধতা নেই। অনির্বাচিত কোন সরকার জনগণের ওপর করারোপের কোন আইনি ক্ষমতা রাখে না। সরকার অন্তবর্তী হলে দৈনন্দিন আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখাই কেবল তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। রাজনৈতিক দর্শন সম্বলিত বাৎসরিক আর্থিক বিবরণী বা বাজেট প্রদান করা তাদের কাজ না। কিন্তু ড. ইউনূসের দখলদার সরকার অন্য সব এখতিয়ারবহির্ভূত কাজের মতো বাজেট প্রণয়নের কাজও করেছে। বাজেট কেবল সংখ্যার সমষ্টি নয়; এটি একটি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়বদ্ধতা, ইউনূস সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সেই দায়বদ্ধতা থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত। এটি যেমন জনগণের চাহিদাকে উপেক্ষা করে তৈরি হয়েছে, তেমনি সংবিধান আদিষ্ট রাজনৈতিক নৈতিকতাও এতে অনুপস্থিত।
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাজেট হলো জন-প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনুমোদিত একটি রাজনৈতিক চুক্তি। কিন্তু বর্তমান সরকার একটি প্রশাসনিক কাঠামো—যেখানে সংসদীয় বিরোধী দল, সংসদীয় বিতর্ক কিংবা জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ অনুপস্থিত।
অংশগ্রহণহীনতা ও গণতান্ত্রিক ঘাটতি
এই বাজেট তৈরি হয়েছে নাগরিক সমাজ, অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী সংগঠন, বিরোধী দল, কিংবা শ্রমজীবী মানুষের মতামত ছাড়াই। জনমত যাচাই বা জনসাধারণের প্রস্তাব গ্রহণের কোনো প্ল্যাটফর্মই চালু করা হয়নি। এটি একটি ক্লোজড-ডোর টেকনোক্রেটিক প্রক্রিয়া—যা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ধারণার পরিপন্থী।
দায় এড়ানোর কথামালা
প্রস্তাবিত বাজেটে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সাফল্যকে কালিমালিপ্ত করতে অসত্য বক্তব্যের ফুলঝুরি ছোটানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি, জীবনমানের উন্নতি, অবকাঠামো উন্নয়নের অভাবিত অগ্রগতির সাক্ষী দেশের মানুষ। বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ‘গ্রোথ মিরাকল’ হিসেবে অভিহিত করতেন। কিন্তু ড. ইউনূসের মাত্র দশ মাসের শাসনে তার সমর্থক পত্রিকাও লিখতে বাধ্য হচ্ছে দেশে বিনিয়োগে স্থবিরতা, অর্থনীতির গতিহীনতা, অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার কথা। সবমিলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এই অবৈধ সরকার এহেন প্রেক্ষাপটে বাজেট বক্তৃতায় সমস্ত দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর। একদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের উপর দোষ চাপিয়েছে, অন্যদিকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের লক্ষ্যে কাজ করার কথাও বলেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যদি অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে থাকে এবং ইউনূস সরকারের দোষ মাসে প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে আসে, তাহলে পরের বছর এলডিসি থেকে উত্তরণের বাস্তবতা থাকে কি? যদি থাকে তাহলে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেই সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের অবস্থায় দেশ পৌঁছালো কীভাবে? খুব সাধারণ যুক্তিতেই সরকারের এই মিথ্যা প্রচারণা খারিজ হয়ে যায়।
প্রস্তাবিত বাজেটের শুরুতেই বলা হয়েছে, তারা প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক বাজেট দেবে না। এটা একটি প্রতারণামূলক বক্তব্য। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ না করে বাজেট প্রণয়ন করা হলো- লক্ষবিহীন গন্তব্যের উদ্দেশে পথচলার মতো। কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকারহীনতাই এই সরকারের বড় একটি বৈশিষ্ট্য। বাজেট বক্তৃতাতেও তা দৃশ্যমান স্বাক্ষর রেখেছে তারা। একথা বলে সরকার ৫ দশমিক ৫ শতাংশের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা আওয়ামী লীগ আমলে অর্জিত গড় প্রবৃদ্ধি থেকে অনেক কম। অথচ এবার প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, অথচ স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি হলে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি হবার কথা। লক্ষ্য কম ধরেও তা অর্জনের অঙ্গীকার না থাকায় প্রবৃদ্ধিকেই আক্রমণ করে বসেছে সরকার। অবশ্য সমালোচকেরা বলছেন যে, বড় বড় লুটপাট ও দুর্নীতিকে আড়াল করতে প্রবৃদ্ধির অংক কমিয়ে দেখাতে চায় তারা। কেননা, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়া চলমান অর্থনীতিতে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবার কথা।
মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি
প্রবৃদ্ধির পর বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে। দুই অংকের ওপরে চলে যাওয়া মূল্যস্ফীতি কিভাবে পাঁচে আনবে তা নিয়ে বাস্তবোচিত কোন সমাধান দেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসৃত অনেক নীতি যেমন সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীসহ সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির ওপর ভর করে অর্থনীতির গতি বাড়ানোর কথা বলেছে এই বাজেটে। কিন্তু গতি হারানো অর্থনীতিতে অক্সিজেনের সঞ্চার করতে দরকার বিনিয়োগ। সেই বহু কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগের কোন রূপরেখাই দেয়নি সরকার। অথচ এডিপি বাস্তবায়নের অদক্ষতা্ ঢেকেছে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে। এডিপির আকার হ্রাস তথা সরকারি বিনিয়োগ কমানোর মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। একদিকে বেসরকারি বিনিয়োগ নেই, অন্যদিকে সরকারি বিনিয়োগ হ্রাস—এই দুই আঘাত দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বদলে অসংখ্য বেকার তৈরি করবে। বাজেটে এই সংকট থেকে উত্তরণের কোন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১.৯%—যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ ৫%। শিক্ষা খাতে প্রকৃত অর্থায়ন কমেছে(মুদ্রাস্ফীতির হিসাবে)। ডিজিটাল নজরদারির প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যালয় ও হাসপাতাল চালু রাখাই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯–১০ শতাংশ। এই অবস্থায় যেখানে সাধারণ মানুষের চাল, ডাল, তেল, ওষুধ কেনার ক্ষমতা কমে গেছে, সেখানে বাজেটে পর্যাপ্ত খাদ্য ভর্তুকি বা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো কৌশল নেই। এই বাজেটে সাধারণ মানুষের—বিশেষত দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবিকার প্রশ্নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। উপরন্তু, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা বা বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হলেও বেসরকারি বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা থাকছেন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। এতে করে সামাজিক বৈষম্য আরও বাড়বে। অথচ কর্পোরেট কর ছাড়, সাশ্রয়ের কথা বলে সরকারের উচ্চবর্গের মানুষের সুযোগ-সুবিধায় উদারতা এই বাজেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
ঋণনির্ভর বাজেট ও কর কাঠামোর দুর্বলতা
এই বাজেটের একটি বড় অংশ অর্থায়ন করা হবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের বড় অংশ এখনও আসে শুল্ক (ভ্যাট) ও পরোক্ষ কর (ট্যাক্স) থেকে, যা সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর চাপ তৈরি করে। কিন্তু ধনীদের ওপর প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো, কর ফাঁকি রোধ বা সম্পদের উপরে কর আরোপের মতো সাহসী সিদ্ধান্ত এই বাজেটে অনুপস্থিত।
উন্নয়নের নামে শহরকেন্দ্রিক পক্ষপাত
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এখনো মেগা প্রকল্প আর শহরভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নকে বোঝানো হচ্ছে। গ্রামের কৃষক, হাওর এলাকার বাসিন্দা, উপকূলের জলবায়ু বাস্তুচ্যুত জনগণ—তাদের জন্য নেই কোনো আলাদা পরিকল্পনা বা পর্যাপ্ত বাজেট। অথচ, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫% মানুষ এখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি ও গ্রামের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে প্রতিশ্রুতি আছে, কিন্তু বাস্তবায়নের নির্দেশনা নেই।
সংকটের সময়ে সাহসহীন বাজেট
বাংলাদেশে বর্তমানে ডলার সংকট, রেমিট্যান্সের হ্রাস, বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি, বেকারত্ব এবং জলবায়ু ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছিল একটি সাহসী, পুনর্বিন্যাসকৃত এবং বৈষম্যহ্রাসক বাজেট। কিন্তু এই বাজেট নতুন কোনো দিগন্ত উন্মোচন করেনি। এটি গতানুগতিক, শহরমুখী, আমলাতান্ত্রিক এবং জনবিচ্ছিন্ন বাজেট হিসেবেই উপস্থাপিত হয়েছে।
• ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৯% হ্রাস পেয়েছে, এবং পূর্ববর্তী কয়েক বছরের গড় বাজেটের তুলনায় এটি প্রায় ১০% কম। অন্যদিকে, আগের বছরগুলোতে বাজেট গড় হিসাবে প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই দিক বিবেচনায়, নতুন বাজেটটি পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় ২০% কম।
• উন্নয়ন খাতে গুরুত্ব কমেছে, কারণ উন্নয়ন ব্যয়ের বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় গড়ে ১০% হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
• ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের মোট দায় ২০২৪-২৫ সালের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫% বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এর মানে, সরকার আগামী বছর বেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, যার ফলে প্রতি নাগরিকের ওপর দায়ভার আরও বাড়বে।
• বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৩৫% হারে হ্রাস করা হয়েছে, যা দেশের বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে হুমকির মুখে ফেলবে, এবং অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। একই অবস্থা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতেও, যেখানে ৯% বাজেট কাটছাঁট হতে পারে। এতে দেশের সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সাথেও সাংঘর্ষিক।
উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১.৯%—যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ ৫%। শিক্ষা খাতে প্রকৃত অর্থায়ন কমেছে(মুদ্রাস্ফীতির হিসাবে)। ডিজিটাল নজরদারির প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যালয় ও হাসপাতাল চালু রাখাই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯–১০ শতাংশ। এই অবস্থায় যেখানে সাধারণ মানুষের চাল, ডাল, তেল, ওষুধ কেনার ক্ষমতা কমে গেছে, সেখানে বাজেটে পর্যাপ্ত খাদ্য ভর্তুকি বা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো কৌশল নেই। এই বাজেটে সাধারণ মানুষের—বিশেষত দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবিকার প্রশ্নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। উপরন্তু, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা বা বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হলেও বেসরকারি বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা থাকছেন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। এতে করে সামাজিক বৈষম্য আরও বাড়বে। অথচ কর্পোরেট কর ছাড়, সাশ্রয়ের কথা বলে সরকারের উচ্চবর্গের মানুষের সুযোগ-সুবিধায় উদারতা এই বাজেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
ঋণনির্ভর বাজেট ও কর কাঠামোর দুর্বলতা
এই বাজেটের একটি বড় অংশ অর্থায়ন করা হবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের বড় অংশ এখনও আসে শুল্ক (ভ্যাট) ও পরোক্ষ কর (ট্যাক্স) থেকে, যা সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর চাপ তৈরি করে। কিন্তু ধনীদের ওপর প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো, কর ফাঁকি রোধ বা সম্পদের উপরে কর আরোপের মতো সাহসী সিদ্ধান্ত এই বাজেটে অনুপস্থিত।
উন্নয়নের নামে শহরকেন্দ্রিক পক্ষপাত
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এখনো মেগা প্রকল্প আর শহরভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নকে বোঝানো হচ্ছে। গ্রামের কৃষক, হাওর এলাকার বাসিন্দা, উপকূলের জলবায়ু বাস্তুচ্যুত জনগণ—তাদের জন্য নেই কোনো আলাদা পরিকল্পনা বা পর্যাপ্ত বাজেট। অথচ, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫% মানুষ এখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি ও গ্রামের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে প্রতিশ্রুতি আছে, কিন্তু বাস্তবায়নের নির্দেশনা নেই।
সংকটের সময়ে সাহসহীন বাজেট
বাংলাদেশে বর্তমানে ডলার সংকট, রেমিট্যান্সের হ্রাস, বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি, বেকারত্ব এবং জলবায়ু ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছিল একটি সাহসী, পুনর্বিন্যাসকৃত এবং বৈষম্যহ্রাসক বাজেট। কিন্তু এই বাজেট নতুন কোনো দিগন্ত উন্মোচন করেনি। এটি গতানুগতিক, শহরমুখী, আমলাতান্ত্রিক এবং জনবিচ্ছিন্ন বাজেট হিসেবেই উপস্থাপিত হয়েছে।
• ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৯% হ্রাস পেয়েছে, এবং পূর্ববর্তী কয়েক বছরের গড় বাজেটের তুলনায় এটি প্রায় ১০% কম। অন্যদিকে, আগের বছরগুলোতে বাজেট গড় হিসাবে প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই দিক বিবেচনায়, নতুন বাজেটটি পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় ২০% কম।
• উন্নয়ন খাতে গুরুত্ব কমেছে, কারণ উন্নয়ন ব্যয়ের বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় গড়ে ১০% হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
• ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের মোট দায় ২০২৪-২৫ সালের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫% বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এর মানে, সরকার আগামী বছর বেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, যার ফলে প্রতি নাগরিকের ওপর দায়ভার আরও বাড়বে।
• বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৩৫% হারে হ্রাস করা হয়েছে, যা দেশের বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে হুমকির মুখে ফেলবে, এবং অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। একই অবস্থা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতেও, যেখানে ৯% বাজেট কাটছাঁট হতে পারে। এতে দেশের সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সাথেও সাংঘর্ষিক।