Bangladesh Awami League
93.5K subscribers
9.87K photos
2.79K videos
18 files
10.5K links
Official Telegram Channel of Bangladesh Awami League.
Stay Connceted on Web 👉 www.albd.org
Follow us on -
🔴 Insta 👉 https://instagram.com/albd1949
🟣 Tw 👉 https://twitter.com/albd1971
🔵 FB 👉https://www.facebook.com/awamileague.1949
Download Telegram
⁨চুরির নতুন সংজ্ঞা : জনগণের নামে চালানো ইউনুসের ঋণনাট্য

লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের নিয়ন্ত্রিত অ-সরকার, অথচ দেশের অর্থনৈতিক চিত্র দেখে মনে হচ্ছে যেন শকুনের পাল ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাজেটের লাশের উপর। মেগা প্রকল্প থমকে আছে, উন্নয়ন থেমে গেছে, অথচ ঋণের পাহাড় দিনকে দিন আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এ কেমন শাসন? না, শাসন নয়—এ এক গোটা জাতির সঙ্গে পরিকল্পিত প্রতারণা।

ব্যাংকগুলোকে রক্তশূন্য করে দিয়ে এই অদৃশ্য সরকার কী বানাতে চাইছে? পকেটভর্তি গুম, গুজব আর গুলতি দিয়ে কি অর্থনীতির চাকায় গতি আনা যায়? কোটি কোটি টাকার ঋণ যখন কেবল "ঘাটতি মেটানোর" নামে জঠরের গহ্বরে বিলীন হয়, তখন এটা স্পষ্ট—আমাদের সামনে এখন আর কোনো সরকার নেই, আছে এক দল চোরাকারবারি, যারা রাষ্ট্রক্ষমতার হ্যাংলা মুখোশ পরে লুটপাট চালাচ্ছে নির্বিকার।

যাদের হাতে নেই জনগণের ভোট, নেই কোনো নৈতিক ভিত্তি, তাদের জন্য ব্যাংকও যেন ব্যক্তিগত এটিএম বুথ। মোহাম্মদ ইউনুসের পেছনে বসে থাকা পুতুলনাট্যকাররা এখন ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেই করে তুলেছে জুয়াড়িদের বোর্ড। যে হারে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেটার এক কণা যদি উৎপাদন খাতে যেত, তাহলে এই মুহূর্তে রপ্তানি হতো উন্নয়নের সুবাস। বাস্তবে যা হয়েছে, তা হলো খরচের জুতাপেটা থেকে উন্নয়নের কঙ্কাল টেনে বের করা।

এডিপি বাস্তবায়নের হার ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান কোনো অর্থনীতিবিদের গবেষণার বিষয় না—এটা একবারে প্রকাশ্য ডাকাতির খবর। ইউনুসের এই বেআইনি অ-সরকার জনগণের টাকা চুষে নিচ্ছে, বিনিময়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে কেবল শূন্যতা, দুঃস্বপ্ন আর বোকা বানানোর প্রটোকল।

দেশজুড়ে চলছে এক বিকারগ্রস্ত প্রহসন—যেখানে সবকিছু চলছে, শুধু কাজ হচ্ছে না। উন্নয়ন থেমে আছে, অথচ ঋণ বেড়েই চলেছে। অঙ্কটা পরিষ্কার—মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার কুশীলবেরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে ব্যক্তিগত ক্যাসিনো হিসেবে। টাকা ঢুকছে, ঘুরছে, হারিয়ে যাচ্ছে। জনগণের কাঁধে চাপছে সুদের বোঝা, অথচ উন্নয়নের নামে মঞ্চে কেবল ধোঁয়ার প্রদর্শনী।

তাদের হাতে থাকা প্রশাসন এখন প্রতিবেদনও সাজায় নিজ সুবিধেমতো। কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো স্বচ্ছতা নেই। এক সময় যাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ গর্ব বোধ করত, আজ তাদের নাম উচ্চারণ করাও হয় নির্লজ্জ এক হাস্যরসের উপাদান।

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে, রাজস্ব আয় কমছে, অথচ ঋণ বাড়ছে। কারণ? কারণ এই সরকার কিছু তৈরি করতে চায় না, শুধু ভোগ করতে চায়। গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে তারা এখন রাষ্ট্রকে চুষে খেতে খেতে হাড় গুঁড়ো করে ফেলছে। এদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে—জনগণের সামনে কোনো কৈফিয়ত দিতে হবে না। শুধু গলা চড়িয়ে বললেই হয়, “সব ঠিক আছে”।

সত্যিটা হলো, সব ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি মৃতপ্রায়, বাজারে আতঙ্ক, আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে শূন্যতা। প্রশ্ন হচ্ছে: এত টাকা গেল কোথায়? এর কোনো জবাব নেই, কারণ যারা দেশ চালাচ্ছে তারা দেশের কাছে দায়বদ্ধই নয়।

এই মুহূর্তে মোহাম্মদ ইউনুসের অ-সরকার হচ্ছে সেই কর্পোরেট দানব, যাদের গিলে খাওয়ার ক্ষুধা সীমাহীন। তারা চায় শুধু আরেকটু সময়, আরেকটু সুযোগ, যাতে আরেকটু লুট করতে পারে। এই যে ‘ঋণ নিয়েছে বাজেট ঘাটতি মেটাতে’—এই বুলি শুনতে শুনতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। কাজকর্ম, উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প—সবকিছু যেন মিউজিয়ামে তুলে রাখা হয়েছে, শুধু ধার আর বিলি-বণ্টনের হিসাব চালু।

মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার অ-সরকার এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যেখানে ক্ষমতা মানে হচ্ছে হরণ, উন্নয়ন মানে হচ্ছে ধোঁকা, আর ঋণ মানে হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দায়বদ্ধ করে রাখা।

অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাজেট বাস্তবায়নের হার দিয়ে কোনো অর্জন বোঝা যাচ্ছে না—বরং এটাকে এখন ব্যর্থতার তাম্রপত্র হিসেবে দেখলেই ভালো হয়। জিডিপি, মুদ্রানীতি, বিনিয়োগ—সব কিছুই এখন ফাঁকা বুলি। শুধু ঋণের চাকা ঘুরছে, আর সেই চাকার নিচে পিষে যাচ্ছে জনগণের ভবিষ্যৎ।

এটা আর সরকার নয়—এ এক মহা আত্মঘাতী চক্র। একটা পরজীবী গোষ্ঠী যেভাবে হোস্ট বডির রক্ত চুষে খায়, মোহাম্মদ ইউনুসের এই গ্যাংও ঠিক সেই কৌশলে দেশের অর্থনীতিকে শুষে নিচ্ছে। আর আমরা দাঁড়িয়ে আছি, গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে গিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছি—আর কতটা নিচে নামতে পারে এক রাষ্ট্রব্যবস্থা।

#YunusMustGo
ইউনুসের একনায়কত্বে বিনিয়োগ নির্বাসনে

বাংলাদেশ আজ বিনিয়োগহীন। বাজারে পুঁজি নেই, কারখানায় গতি নেই, কর্মক্ষেত্রে আশা নেই। অথচ প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ কাজ খুঁজে নামে বাস্তবতার মাটিতে, মুখোমুখি হয় এক নিষ্ঠুর ব্যবস্থার, যার মুখ মোহাম্মদ ইউনুস। হ্যাঁ, অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে থাকা এই একচ্ছত্র চরিত্রটি—রাষ্ট্রকে চিরস্থায়ী অচলাবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপির ২৮ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছিল। আজ সেটি ২২.৪৮ শতাংশে ঠেকেছে। গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি একটি পরিকল্পিত বিনাশের ফল।

বিনিয়োগ নেই, কারণ নেতৃত্বে আস্থা নেই। আর নেতৃত্বের নামে যা চলছে, তা আসলে চূড়ান্ত অরাজকতা ও প্রতারণার এক ধূসর ছায়াপথ। মোহাম্মদ ইউনুস আর তার অদৃশ্য সরকার—নির্বাচিত নয়, স্বীকৃত নয়, দায়দায়িত্ববোধবর্জিত—একটি জাতিকে চোখের সামনে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।

গ্যাস নেই, অথচ দাম বেড়েছে। ব্যাংকে টাকা নেই, অথচ ঋণের সুদের হার ১৭ শতাংশ। এলসি খোলা বন্ধ, পণ্য আমদানি বন্ধ, তারপরে বলে—অর্থনীতি ভালো আছে! এ কেমন হাস্যকর আত্মপ্রবঞ্চনা? প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতারণা—যার মাস্টারমাইন্ড একজন লোক : ইউনুস।

এই ইউনুস উন্নয়ন চান না—তিনি চান নিয়ন্ত্রণ। তিনি প্রবৃদ্ধি চান না—তিনি চান আর্থ-রাজনৈতিক দমন। সুতরাং বিনিয়োগ এলে তার স্বৈরশাসনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। বিনিয়োগকারীর সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অনিশ্চয়তা, আর ইউনুসের নেতৃত্ব মানেই সেটি অজানা, অনির্দেশ্য, অগণতান্ত্রিক।

ব্যবসায়ীরা মুখে বলছেন “চিন্তিত”, ভেতরে ভেতরে তারা আতঙ্কিত। আমদানিকারক জানে না তার এলসি বাতিল হবে কি না। রপ্তানিকারক জানে না তার কাঁচামাল আদৌ বন্দরে আসবে কি না। ঋণ চাওয়া মানেই শাস্তি, বিনিয়োগ মানেই লোকসানের গ্যারান্টি।

এই ধ্বংস শুধু অর্থনীতির নয়—এটি একটি জাতির আত্মার ক্ষয়। একজন অবৈধ শাসকের জেদের বলি হয়ে একটি রাষ্ট্র তার সম্ভাবনার শেষ কফিনে পেরেক ঠুকে দিচ্ছে। ইউনুস নিজেকে 'উদ্ধারকর্তা' হিসেবে সাজাতে চান, কিন্তু বাস্তবতা বলছে তিনিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের স্থপতি।

রাষ্ট্র চালাতে হলে বৈধতা লাগে। আস্থা লাগে। ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা লাগে। এগুলোর কোনোটাই আজকের এই ছায়া-ক্ষমতা ও তার একগুঁয়ে নেতৃত্বের ভাণ্ডারে নেই। আছে শুধু আমিত্ব, আত্মম্ভরিতা, অযোগ্যতা।

আজ যারা বিনিয়োগ করছে না, তারা বোকা নয়—তারা বুঝেছে, এই ব্যবস্থায় লাভ নয়, টিকে থাকাটাই প্রশ্নবিদ্ধ। তারা পালাচ্ছে, কারণ রাষ্ট্রের কর্ণধারই নিজে পালিয়ে বেড়ানো চরিত্র—আন্তর্জাতিক নীতিগত জবাবদিহিতার বাইরে দাঁড়িয়ে, একছত্র নিয়ন্ত্রণ চায়, কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই।

এটা অর্থনীতির ধস না—এটা বিশ্বাসঘাতকতার ফল। এটা বাজারের ব্যর্থতা না—এটা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ডহীনতার প্রতিচ্ছবি।

আর কতদূর নামলে জাতি বুঝবে, একটি ব্যক্তি এবং একটি গোষ্ঠীর অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা কেমন করে গোটা দেশের ভবিষ্যৎকে জিম্মি করে রাখতে পারে?

#YunusMustGo
🛑#Live #Albd

“জঙ্গীবান্ধব ইউনূসের রাজাকার পুনর্বাসন প্রকল্প”

👉https://www.facebook.com/share/v/1DtSd29daM/?mibextid=wwXIfr
⁨সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিবৃতি
--------

সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অবৈধ ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গি ইউনূস সরকারের প্রযোজনায় পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে বিষোদগার, কুৎসা রটানো এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার জন্য এই ইউনূস গংদের কোনো সাংবিধানিক ও নৈতিক ভিত্তি নেই। একদিকে তাদের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। অন্যদিকে তাদের জনসমর্থনও শূন্যের কোঠায়। জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের সময় কিছু মিথ্যার ফানুস উড়িয়ে তারা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে। তবে দিন যত যাচ্ছে এদের সকল ষড়যন্ত্র ও ব্যর্থতা একের পর এক জনসম্মুখে উঠে আসছে। বাংলার জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করছে। ফলে এই অবৈধ দখলদার গোষ্ঠীর সবকিছু টালমাটাল হয়ে গেছে। যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একদিকে অযৌক্তিকভাবে বন্ধুপ্রতীম পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিরোধিতা করছে। আবার অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। অবৈধ দখলদার গোষ্ঠীর প্রযোজনায় পরিচালিত এই মিথ্যা অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের যে নিখাদ আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশিত হচ্ছে তা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আরেকটি মহিমান্বিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি ও কর্মপরিকল্পনা বাংলার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের এবং বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সমগ্র বাঙালি জাতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে পরাজিত করে। একটি কণ্ঠের বজ্রনিনাদ থেকে মুক্তিপাগল সাড়ে ৭ কোটি মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ। বরাবরের ন্যায় ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গি ইউনূসের গংদের বিরুদ্ধেও আমরা জয়ী হবই। আমাদের আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা পুনরায় বিজয় লাভ করে সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত করব, ইনশাল্লাহ।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ৩১ মে ২০২৫⁩
ক্ষমতা দখল করলেই সরকার হওয়া যায় না — এটা দুনিয়া দেখিয়ে দিল ইউনুসকে
———

চীন চুপ। কাতার নিরুত্তর। আমিরাত শুধু কাঁধে হাত রেখেই ক্ষান্ত। সৌদি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্যে সীমাবদ্ধ। কেউই টাকা দিচ্ছে না। কেউই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। অথচ ঢাকায় বসে এক দখলদার নামিয়ে ফেলেছে দেশের সর্বশেষ গণতান্ত্রিক অবকাঠামো, আর এখন বিশ্বসভায় নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান সাজিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একটা নির্লজ্জ তামাশা চলছে—নিয়মতান্ত্রিকতার মুখোশে, অবৈধতার মহড়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা ফেলতেই বুঝে ফেলেছেন—দুনিয়া হাসছে, কেউ পাশে নেই।

চীনে গেছেন, কাতার গেছেন, দুবাই গেছেন—সবখানে করমর্দন, সম্মেলন, বৈঠক হয়েছে। কিন্তু হাত পাতার পর ভরার কিছু নেই। কেবল শুনতে পেয়েছেন “আমরা দেখছি”, “আমরা ভাবছি”, “আমরা মূল্যায়ন করছি”। এসব কথার অর্থ একটাই—“তোমাকে আমরা সরকার হিসেবে মেনে নিইনি। আপাতত শুধু দেখছি তুমি কতটুকু ঠিকে থাকতে পারো”। এই অবহেলার বুলেটগুলো সুসজ্জিত রাজকীয় কফিনেই পোঁতা হয়েছে। টাকা নেই, প্রতিশ্রুতি নেই, কারণ আস্থার খাতা শূন্য।

যে সরকার নিজের দেশের জনগণের অনুমোদন ছাড়া ক্ষমতায় বসে, দুনিয়া তাকে কতটুকু পাত্তা দেয় সেটা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হিসাবেই তো লেখা আছে—চীন কোনো ঋণ দেয়নি। মধ্যপ্রাচ্য দিয়েছে বটে, তবে এতটাই নগণ্য যে সেই ঋণকে তালিকার ভেতরে স্থান দেয়া হয়নি। এরচেয়ে বড় অপমান আর কী হতে পারে?

এখন প্রশ্ন হলো—কেন দিচ্ছে না? চীন তো একসময় ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে কৌশলগত অংশীদার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বহু বছর ধরেই বাংলাদেশে বিপুল অর্থ প্রবাহিত করে এসেছে। তাহলে এখন কেনো তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? কারণ তারা জানে, এই সরকার টেকসই নয়। এই সরকার বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই সরকার অবৈধ।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির সবচেয়ে মৌলিক নীতিগুলোর একটি হলো—নাগরিক-সমর্থনহীন সরকারের সঙ্গে বড় চুক্তি করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ সরকার যেকোনো সময় উড়ে যেতে পারে, যেকোনো সময় ইতিহাসের গর্তে চাপা পড়ে যেতে পারে। তাই চীন, কাতার, আরব আমিরাত কেউই টাকা ঢালার ঝুঁকি নিচ্ছে না। সৌজন্য রক্ষা করে মুখে বলছে "সমর্থন করছি", কিন্তু কার্যত কিছুই করছে না।

আর এই তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্ররা এখন কেবল অপেক্ষায়—কবে চীন বা কাতার কিছু বলবে, কবে একটা চিঠি আসবে, কবে কেউ বলবে “হ্যাঁ, নিচ্ছি তোমাদের সিরিয়াসলি।” কিন্তু এমন কোনো দিন আর হয়তো আসবে না। কারণ বিশ্ব জানে, জনগণের অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা যে কোনো কাঠামো—তাতে পেরেক মেরে লাভ নেই। ওটা টিকবে না।

আজ এই সরকারের আন্তর্জাতিক বেইজ্জতির হিসাবটা শুধু অর্থনৈতিক নয়—এটা রাজনৈতিক, এটা নৈতিক। ক্ষমতায় বসার ছক কষে যারা মনে করেছিল বিদেশি শক্তি তাদের কাঁধে হাত রাখবে, আজ তারাই সবচেয়ে বেশি চুপচাপ, কারণ সেই হাত আসেনি। কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুনিয়া দেখছে, বুঝছে, কিন্তু বলছে না। তারা শুধু কাজের মাধ্যমে বলে দিচ্ছে—"আমরা পেছনে নেই।"

শেষ কথা একটাই—বিশ্ব যখন চুপ করে দেয়, বুঝে নিতে হয়—তোমাকে তারা মেনে নেয়নি। যত কাগজে-কলমে ক্ষমতা থাক, যত পতাকা সামনে উড়ুক—বিশ্বাস আর সমর্থন ছাড়া কিছুই টিকে না। এই সরকার শুধু দেশের ভেতরে নয়, বাইরেও আজ নগ্ন, একা, অবহেলিত। এটা তাদের বানানো ইতিহাসেরই উপযুক্ত ফল।

#YunusMustGo
#⁨শিবিরের #বর্বরতা, প্রশাসনের নীরবতা — মনে রেখো এই রাতগুলো বাংলাদেশ!

গাজীপুরে ছাত্রলীগ নেতা অন্তর অপহরণ ও মুক্তিপণ চক্রের ভয়াল চিত্র প্রকাশ্যে! “আওয়ামী লীগের দোসরকে ধরেছি”, “হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর #হামলার বদলা” — এই স্লোগান তুলে গত ২৮ মে রাত ৯টার দিকে গাজীপুরের মাউনা চৌরাস্তা থেকে ছাত্রলীগ নেতা অন্তরকে অপহরণ করে ৩০-৪০ জনের একটি #সশস্ত্র দল, যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে শিবিরপন্থী ক্যাডার ও সমন্বয়ক হিসেবে।

৮-১০টি মোটরসাইকেল ও অটোতে করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ইয়াকুব আলি মার্কেটের পেছনে ফাঁকা মাঠে। সেখানেই চলে অমানবিক নির্যাতন। রাতভর চলে হাতুড়ি, রড, বৈদ্যুতিক শক ও লাঠির মার। পরিবারের কাছে আসে ৩০ লাখ টাকার মুক্তিপণের দাবি। পরিবার বারবার টাকা, কান্না, অনুনয় নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু #সন্ত্রাসীরা দিয়েছে প্রতিশ্রুতি — ভেঙেছে বারবার। ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকাও নেয়। তবু অন্তরকে ফেরায় না।

রাত ১১টা — ঝুম বৃষ্টির মধ্যে হাত-পা বাঁধা । মনে রেখো এই রাতগুলো বাংলাদেশ — #শিবিরের #সন্ত্রাসে আরেকটি যুবক রক্তাক্ত!⁩

#Bangladesh #BangladeshCrisis
মহাজনের চালাকি ধরে ফেলেছে জনগণ!

#YunusMustGo
কেন আইসিটি কোর্ট ইউনুস - আসিফ নজরুল আর তাজুলের ক্যাঙ্গারু কোর্ট?
------

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনিরের চেম্বারের জুনিয়র আসামি পক্ষের আইনজীবী হয়েছে। এর থেকে হাস্যকর কি হতে পারে!

অর্থাৎ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামায়াতের, আসামীপক্ষের আইনজীবী জামায়াতের, বিচারক জামায়াতের, সবকিছুই জামায়াতের। রঙ্গমঞ্চ উপস্থাপিত হচ্ছে!

এই জুনিয়রের নাম যায়েদ বিন আমজাদ। প্র‍্যাক্টিস অভিজ্ঞতা ৩ বছরের বেশি না।

আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষের আইনজীবী জামায়াতের, ক্যাঙ্গারু কোর্ট ইতিহাস হয়ে থাকবে।

#Bangladesh
উপদেষ্টা পদে বসে দুর্নীতির মহোৎসব : নাহিদ-আসিফ-নূরজাহানের #লুটপাটের সাম্রাজ্য
——
বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে। ক্ষমতায় বসে আছে একদল রাজনৈতিক অনুপযুক্ত, নৈতিকভাবে দেউলিয়া, লোভের পশুতে পরিণত হওয়া একদল অপদার্থ #দুর্বৃত্ত। নামধারী উপদেষ্টা—নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম—যারা নিজেরা সরাসরি ধরা না পড়ে, নিজেদের পিএ, এপিএস, পিও-দের আড়ালে রেখে এমন একটা দুর্নীতির সাম্রাজ্য দাঁড় করিয়েছে, যার পরিমাণ শত শত কোটি টাকা। অথচ এদের মুখে সংস্কার আর স্বচ্ছতার বুলি। ভেতরে শুধু লোভ, হিংস্রতা, #লুট।

এই চক্রের মূল খেলা ছিল 'সহযোগী'দের দিয়ে কাজ করানো। কিন্তু এই নাটকের পরিচালকরাও তারাই। পিএ বা পিএস-রা ছিল শুধু মুখোশ। বেহায়াপনার এক এমন বর্ধিত সংস্করণ চালু করেছে তারা, যেখানে দেশের টাকা লুট করাও গর্বের, ক্ষমতার দাপট দেখানোও যেনো ন্যায্য। এই অপরাধীরা এখনো বুক ফুলিয়ে হাঁটে, চায়ের কাপে ঝড় তোলে, আর গণমাধ্যমে ‘উন্নয়ন’ গপ্প শোনায়।

জ্ঞাতিগুষ্টিকে সাথে নিয়ে নাহিদের অন্ধকার সাম্রাজ্য

নাহিদ ইসলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের তথাকথিত তথ্য উপদেষ্টা, যিনি আজ পর্যন্ত নিজের মুখ দিয়ে আতিক মোর্শেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা শব্দ বলেননি। কারণ একটাই—আতিক মোর্শেদ কোনো 'সহকারী' ছিল না, সে ছিল সরাসরি নাহিদের ছায়ায় পরিচালিত কোটি কোটি টাকার #লুটপাট মেশিন। নগদ-এর ১৫০ কোটি টাকা গিলে খাওয়ার অভিযোগ শুধু একটি নমুনা।

নগদ ভবনের ৬ তলায় সে কীভাবে রোজ রুটিন অফিস করে? সে কে? কোন নিয়োগে? উত্তর একটাই—ক্ষমতার নেকাব পড়ে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজের পারিবারিক #লুটের জায়গায় পরিণত করেছে এই তথাকথিত উপদেষ্টা। নিজের স্ত্রীকে ম্যানেজার কমপ্লায়েন্স বানিয়ে, আত্মীয়স্বজনকে পদে বসিয়ে রাষ্ট্রকে গিলে খাচ্ছে এই চক্র। ‘আমাদের ডোনেট করে ধনীরা’—এই ধৃষ্টতাপূর্ণ কথার মানে এখন স্পষ্ট: ধনীরা শুধু দান করছে না, বিনিয়োগ করছে—#লুটের শেয়ারে, কমিশনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।

আসিফ ও মোয়াজ্জেম : তদবিরের ডন

যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ‘এপিএস’ মোয়াজ্জেম হোসেন—অবশ্যই তার চেয়েও বড় ভূমিকা পালন করেছে। মন্ত্রণালয় ঘুরে ঘুরে টেন্ডার, বদলি, নিয়োগ—সব জায়গায় ‘কমিশন’ ব্যবস্থা চালু করেছে। অথচ এই মোয়াজ্জেম তো একা না, সে শুধু আসিফের মুখ। নায়ক আসিফ নিজেই, আর মোয়াজ্জেম হলো দালালি সাম্রাজ্যের ডেপুটি।

যে রাষ্ট্রে একজন এপিএস সচিবালয়ে রাতে ১০টা পর্যন্ত বসে তদবির করে, আর সেই তদবিরে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়—সেই রাষ্ট্র আসলে কে চালায়? মন্ত্রী না উপদেষ্টা? না উপদেষ্টার দালাল? মোয়াজ্জেমের অতীত ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’-এর মুখোশ আজ ছিঁড়ে পড়েছে। এখন সে বৈষম্যেরই সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। ঠিকাদারদের বিল পাইয়ে দেওয়ার বদলে শেয়ারের টাকা নেয়, প্রকৌশলীর বদলি লিস্ট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়—এটাই এখন তার কাজ। আর এই পুরো পাপের ছাতা হয়ে আছেন উপদেষ্টা আসিফ।

নূরজাহানের সিন্ডিকেট : স্বাস্থ্য খাতের খাদকরা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম—একসময় যাকে ‘জনস্বার্থে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তিনি এখন স্বাস্থ্য খাতের সর্বনাশের মূল কারিগর। তার দুই ‘ছাত্র প্রতিনিধি’—তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসান—চিকিৎসক, নার্স, সিভিল সার্জন, পরিচালক বদলির নামে লাখ লাখ টাকা করে আদায় করেছে। এরকম ১০০টা বদলি মানেই ১০ কোটি টাকা। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তো বদলির স্বর্গরাজ্য।

তুহিন এখন বিদেশে—কারণ টাকা পাচার শেষ, মিশন সফল। মাহমুদুল হাসান এখনো বহাল তবিয়তে। যারাই হজ টিমে যাবে, তাদের থেকে টাকা নিচ্ছে; মিডওয়াইফের বদলিতে লাখ টাকা; মেডিকেল কলেজে পোস্টিং-এর দালালি—এসবই নূরজাহানের আশীর্বাদ ছাড়া কীভাবে সম্ভব? এরা শুধু দালাল না, এরা খাদক। দেশের স্বাস্থ্য খাত, নাগরিকের চিকিৎসা—সব কিছুর ওপর থুথু ফেলেছে।

এই চক্রের আসল নাম : চোর চক্র

এরা কেউই শুধু পিএ, পিএস বা ছাত্র প্রতিনিধি না। এরা সেই সিস্টেমের অংশ, যা নাহিদ, আসিফ আর নূরজাহান নিজেরা চালায়। এই নামগুলোর আড়ালে আর কোনো কথা নেই। এরা সরাসরি চোর। মুখোশ খুলে গেছে।

রাষ্ট্রকে আজ যারা 'পরিচালনা' করছে, তারা ক্ষমতা নিয়েছে শুধু একটি উদ্দেশ্যে—#লুট, চুরি, আত্মসাৎ। নির্বাচন, ম্যান্ডেট, গণতন্ত্র—এসব শব্দ তাদের অভিধানে নেই। তাদের স্লোগান একটাই—"তুমি টাকা দাও, আমি বদলি দিই, তুমি কমিশন দাও, আমি নিয়োগ পাইয়ে দিই।" এই হচ্ছে বাংলাদেশের আজকের শাসকের প্রকৃত চেহারা।

সবাই জানে। সবাই বোঝে। কিন্তু তারা থামে না, কারণ তাদের থামানোর কেউ নেই। সংসদ নেই, আদালত নিঃশব্দ, মিডিয়া কিনে ফেলা, আর প্রশাসন পুরোপুরি পকেটে।

এই রাষ্ট্রে এখন নীতির কোনো জায়গা নেই—এটা এখন চোরদের প্লে-গ্রাউন্ড।⁩

#Bangladesh #BangladeshCrisis
প্রিয় নেতা কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ,

শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি করে যাচ্ছে এবং দলের দাবিনামা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

বরাবরের মতো এই লিফলেট প্রিন্ট করে - প্রচার করে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

প্রিন্ট ফাইল -
https://drive.google.com/file/d/1mtkREfMJUH6z1kS5cwSMCQ43eXoVN-J-/view?usp=drivesdk
🛑#Live #Albd

বাংলাদেশ অর্থনীতির বর্তমান #সংকটের মূল কোথায়?

👉https://www.facebook.com/share/v/1JTys9MsSx/?mibextid=wwXIfr
আরো একটি ইউনুসের ম্যাজিক : বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সৌদি আরবের ‘ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত!

সৌদি আরব বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ করেছে। শুনতে হয়তো একটা কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত মনে হয়—কিন্তু আসলে এটা হলো একটা আন্তর্জাতিক চপেটাঘাত। এবং এই চড়টি খাওয়া হয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের সেই তথাকথিত ‘অন্তর্বর্তী সরকার’-এর গালে, যারা এনজিওর চায়ের টেবিল থেকে উঠে এসে রাষ্ট্র চালাতে নেমেছে।

তারা ভাবছে, “কর্মসূচি” আর “ফান্ডিং” দিয়েই একটা দেশ চালানো যায়। বাস্তবতা হলো—রাষ্ট্র হলো হাড়ভাঙা বাস্তবতা, এখানে মিটিংয়ে বসে প্রজেক্ট প্রপোজাল বানানোর মতো কিছুই চলে না।

একটা সরল মনের প্রশ্ন : যদি এনজিও চালানো আর দেশ চালানো একই হতো, তাহলে দুনিয়ার সব দেশেই মোহাম্মদ ইউনুসের মতো “নোবেলপুষ্ট” এনজিও ডনদের দিয়ে সরকার গঠন হতো। কেন হয় না? কারণ সবাই জানে, এনজিওর আদর্শ রাষ্ট্রের রূপরেখা হতে পারে না।

এনজিওরা ত্রাণ দিতে পারে, টাকায় স্কুল বানাতে পারে, মহিলাদের গ্রুপ মিটিং করাতে পারে—কিন্তু রাষ্ট্র কূটনীতি, রাজনীতি, সামরিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক গ্লোবাল পজিশনিং, শ্রমবাজার কৌশল—এই ভয়ানক জটিল বাস্তব জিনিসগুলো সামাল দেওয়া এক অতিমানবীয় কাজ।

আর ইউনুস? তিনি এখনো প্রেস কনফারেন্সে “ইনোভেশন” আর “সোশ্যাল বিজনেস” নিয়ে ব্লা ব্লা করেন। সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বাতিল করল? তিনি বলবেন—“এটা একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড, আমরা একটা প্রক্রিয়ায় আছি।”

না স্যার, এটা প্রক্রিয়া না, এটা জাস্ট ডাহা ফেল মারা।

যে রাষ্ট্র কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ করতে পারে না, বিদেশি বন্ধুদের ধরে রাখতে পারে না, তাদের পক্ষে শ্রমবাজার ধরে রাখা তো দূরের কথা—নিজেদের অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়।

সৌদি ওয়ার্ক ভিসা বন্ধের ঘটনা এমন এক সময় এলো, যখন বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমবাজার ছিল সৌদি। লাখ লাখ তরুণ সেখানে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। অনেকে ইতিমধ্যে দালালের হাতে টাকা দিয়ে বসে আছে, কেউ ধার করেছে, কেউ বসতভিটে বিক্রি করেছে।

কিন্তু তথাকথিত সরকার কী করছে? মুখে শব্দ নেই। কারণ এই সরকার অবৈধ, দায়িত্ববোধহীন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এনজিও চালানো মানে কী?
বিদেশি ডোনারদের খুশি করা, রিপোর্ট বানানো, সেমিনারে বসে সুন্দর ইংরেজিতে বুলি আওড়া।
রাষ্ট্র চালানো মানে?
মাটিতে দাঁড়িয়ে, রক্ত-মাটি-পরিস্থিতির হিসাব করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

মোহাম্মদ ইউনুস এবং তাঁর 'শুভানুধ্যায়ী'রা আসলে এখনো বুঝতেই পারছেন না, তাঁরা কোথায় এসে পড়েছেন।

তাঁরা ভাবছেন, দেশ চালানো মানে কোনো এক ‘গভর্ন্যান্স মডেল’ বা ‘ডেভেলপমেন্ট থিওরি’ বাস্তবায়ন করা।

না ভাই, রাষ্ট্র চালানো মানে হচ্ছে জবাবদিহিতা, দায়, আস্থা অর্জন—দেশি ও আন্তর্জাতিক দুই জগতেই।

আপনারা সে জায়গায় নেই। আর দুনিয়া আপনাদের পুঁছেও না।

আজ সৌদি ভিসা বন্ধ করেছে, কাল হয়তো মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার—সবাই একে একে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দেবে। কারণ তারা জানে, এখন বাংলাদেশে যেটা চলছে, সেটা কোনো সরকার না—এটা একটা সমঝোতা-চক্রে গঠিত ক্ষমতাসীন এনজিও ক্যাম্প।

প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে চলা অর্থনীতি আজ এই ‘শোভন পরিবর্তনের’ খপ্পরে পড়ে কাঁপছে।

আর এই সময়ে তথাকথিত নেতারা ইউরোপের শহরে গলা পরিষ্কার করে বক্তৃতা দিচ্ছেন—“ডেমোক্রেসি উইল বি রিবিল্ট”—আরে ভাই, আগে রাষ্ট্রটা টিকিয়ে রাখেন! নিজের লুঙ্গির গিঁঠের ঠিক নাই, আপনি আছেন চুলে কলপ কোনটা ভালো হবে সেটা নিয়ে!

#BangladeshCrisis #YunusMustGo