সংখ্যালঘু নির্যাতনের আরেকটি #বর্বর অধ্যায়! #ইউনুস সরকারের ছত্রছায়ায় মাগুরার হরিন্দী গ্রামে নারকীয় ঘটনা!
—
গতরাতে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামে ঘটলো এক বিভৎস ও লোমহর্ষক ডাকাতি ও #গণধর্ষণের ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর কুমার রায় ও তার স্ত্রী (মায়ের বয়সী একজন নারী) – দুজনেই এখন মাগুরা আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ডাকাত দল শুধু তাদের ঘরবাড়ি #লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং স্ত্রীকে #বর্বরভাবে শারীরিক #নির্যাতন ও #গণধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে তাকে অচেতন ও #নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক হও বাঙালি! আজ হরিন্দী, কাল হয়তো তোমার বাড়ি!
#BangladeshCrisis #SavebangladeshiMinorities
—
গতরাতে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামে ঘটলো এক বিভৎস ও লোমহর্ষক ডাকাতি ও #গণধর্ষণের ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর কুমার রায় ও তার স্ত্রী (মায়ের বয়সী একজন নারী) – দুজনেই এখন মাগুরা আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ডাকাত দল শুধু তাদের ঘরবাড়ি #লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং স্ত্রীকে #বর্বরভাবে শারীরিক #নির্যাতন ও #গণধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে তাকে অচেতন ও #নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক হও বাঙালি! আজ হরিন্দী, কাল হয়তো তোমার বাড়ি!
#BangladeshCrisis #SavebangladeshiMinorities
শেখ হাসিনার পতনের নেপথ্যে #লস্করইতৈযবা সহ #জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা _ ইউনুস এবং সমন্বয়কগণ
—
মুজাম্মিল হাজমির বক্তব্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ দাবি হলো—বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে লস্কর-ই-তৈয়বার সক্রিয় ভূমিকা এবং এই পতনের পর ইউনুস সরকারের উত্থান। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনোই চরমপন্থীদের আশ্রয়স্থল ছিল না—এটি ছিল এক উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র। সেই দেশের মাথায় যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রভাবে গঠিত সরকার বসে, তাহলে প্রশ্ন উঠে আসে দেশের সার্বভৌমত্ব, বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের মৌলিক নীতিমালাকে ঘিরে।
জনগণ চায় একটি নিরাপদ, মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত উগ্র সংগঠনের ছায়ায় বিলীন হয়ে যায়, তবে কেবল বাংলাদেশ নয়—পুরো দক্ষিণ এশিয়াই ফিরে যাবে অন্ধকার যুগে।
ইউনুস সরকার ও লস্কর-ই-তৈয়বা: সরাসরি সংযোগ
১ বর্তমানে জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়া: ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে জঙ্গি দমন কার্যক্রমে শৈথিল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান কিংবা সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকা মৌলবাদী প্রচারণা নিয়েও সরকারের নীরবতা প্রশ্ন তুলছে।
৩ নীরব সমর্থন: লস্কর-ই-তৈয়বার মতো চরমপন্থী সংগঠন যখন দাবি করে তারা সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে, তখন একটি স্বাভাবিক ও শক্তিশালী সরকারের উচিত হতো প্রকাশ্যে এ ধরনের দাবির প্রতিবাদ জানানো বা তদন্ত শুরু করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নীরবতা সন্দেহজনক এবং জঙ্গিবাদের সাথে ইনুস এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলে।
৩.রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী: বলা হয়ে থাকে, এই সরকার দেশের একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শিক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত—যাদের মধ্যে উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী রয়েছে যারা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার মত সংগঠনের সাথে আদর্শিক মিল রাখত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছিল।
৪ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান: ইউনুস সরকারের অনেক কূটনৈতিক কার্যক্রমে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের । যা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তায় একটি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তবে তা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, সারাবিশ্বের জন্যও একটি নিরাপত্তা হুমকি। কারণ এটি সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাঠামো বদলের একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে, যা বিশ্বের যে কোনো দেশে পুনরাবৃত্তি হতে পারে। জনগণ যেন অন্ধকারে না থাকে,একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এখনই সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। জঙ্গিবাদের ছায়ায় গড়ে ওঠা কোনো সরকারকে বৈধতা দেওয়া মানে ভবিষ্যতের জন্য নিজ হাতেই ধ্বংসের রূপরেখা তৈরি করা। জনগণের এখন সবচেয়ে বড় কর্তব্য—সচেতন থাকা, প্রশ্ন করা, এবং অন্ধকারে না থাকা।
—
সাখাওয়াত হোসেন
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#Bangladesh #YunusMustGo #LeT
—
মুজাম্মিল হাজমির বক্তব্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ দাবি হলো—বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে লস্কর-ই-তৈয়বার সক্রিয় ভূমিকা এবং এই পতনের পর ইউনুস সরকারের উত্থান। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনোই চরমপন্থীদের আশ্রয়স্থল ছিল না—এটি ছিল এক উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র। সেই দেশের মাথায় যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রভাবে গঠিত সরকার বসে, তাহলে প্রশ্ন উঠে আসে দেশের সার্বভৌমত্ব, বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের মৌলিক নীতিমালাকে ঘিরে।
জনগণ চায় একটি নিরাপদ, মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত উগ্র সংগঠনের ছায়ায় বিলীন হয়ে যায়, তবে কেবল বাংলাদেশ নয়—পুরো দক্ষিণ এশিয়াই ফিরে যাবে অন্ধকার যুগে।
ইউনুস সরকার ও লস্কর-ই-তৈয়বা: সরাসরি সংযোগ
১ বর্তমানে জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়া: ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে জঙ্গি দমন কার্যক্রমে শৈথিল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান কিংবা সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকা মৌলবাদী প্রচারণা নিয়েও সরকারের নীরবতা প্রশ্ন তুলছে।
৩ নীরব সমর্থন: লস্কর-ই-তৈয়বার মতো চরমপন্থী সংগঠন যখন দাবি করে তারা সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে, তখন একটি স্বাভাবিক ও শক্তিশালী সরকারের উচিত হতো প্রকাশ্যে এ ধরনের দাবির প্রতিবাদ জানানো বা তদন্ত শুরু করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নীরবতা সন্দেহজনক এবং জঙ্গিবাদের সাথে ইনুস এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলে।
৩.রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী: বলা হয়ে থাকে, এই সরকার দেশের একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শিক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত—যাদের মধ্যে উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী রয়েছে যারা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার মত সংগঠনের সাথে আদর্শিক মিল রাখত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছিল।
৪ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান: ইউনুস সরকারের অনেক কূটনৈতিক কার্যক্রমে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের । যা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তায় একটি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তবে তা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, সারাবিশ্বের জন্যও একটি নিরাপত্তা হুমকি। কারণ এটি সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাঠামো বদলের একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে, যা বিশ্বের যে কোনো দেশে পুনরাবৃত্তি হতে পারে। জনগণ যেন অন্ধকারে না থাকে,একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এখনই সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। জঙ্গিবাদের ছায়ায় গড়ে ওঠা কোনো সরকারকে বৈধতা দেওয়া মানে ভবিষ্যতের জন্য নিজ হাতেই ধ্বংসের রূপরেখা তৈরি করা। জনগণের এখন সবচেয়ে বড় কর্তব্য—সচেতন থাকা, প্রশ্ন করা, এবং অন্ধকারে না থাকা।
—
সাখাওয়াত হোসেন
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#Bangladesh #YunusMustGo #LeT
রাষ্ট্রীয় পয়সায় জাপানে সফরে গিয়ে নিজের লাইসেন্সের নামে আদম ব্যবসা শুরু করলেন ড. ইউনুস
—-
বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ কর্মী যাবে এই শিরোনাম শুনে অনেকেই আশায় বুক বাঁধেন। বিদেশে কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স, উন্নয়ন এসব ইতিবাচক শব্দের আবরণে ঢাকা পড়ে থাকে বাস্তবতার নির্মম চিত্র। কিন্তু এবার এই ‘স্বপ্নের প্রচারণা’ এক ভয়াবহ প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেছে, যার মূলনায়ক হলেন ইউনুস।
সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অথচ এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জাপানের সরকারি বাণিজ্য সংস্থা JETRO এই বিষয়ে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহমিদ মইনের এই অতীত জেনেও যে ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন ড. ইউনুস নিজেই। চমকপ্রদ বিষয় হলো, তিনি এখন নিজস্ব লাইসেন্সে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি খুলেছেন, যা এখন তার নতুন ‘সংস্কার’ মডেল! অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় সফরের পয়সায় গিয়ে নিজস্ব ব্যবসার সুবিধার্থে এক বহিষ্কৃত প্রতারকের সঙ্গে চুক্তি করে আদম ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিচ্ছেন তিনি।
JBCCI-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক কর্মকর্তা সাঈদ আরমান বলেন, “তাহমিদ একজন প্রতারক। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে JBCCI থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।”
এদিকে জাপানি দূতাবাসের উদ্বেগ ও আপত্তি স্পষ্ট। তারা মনে করছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক চুক্তি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
প্রশ্ন উঠেছে একজন নোবেল বিজয়ী কীভাবে এমন এক প্রতারক চক্রের অংশীদার হয়ে উঠলেন? কেন রাষ্ট্রীয় সফরকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক এজেন্ডার হাতিয়ার বানানো হলো?
আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটেছে। রাষ্ট্রের অর্থে বিদেশ সফর, রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে খেলাচলা, প্রতারকের সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি সব মিলে এটি যেন একটি ‘রাষ্ট্রীয় বৈধতা পেয়েছে এমন বেনিয়াপনা’।
ড. ইউনুস কি আজ একজন নোবেল বিজয়ী থেকে রাষ্ট্রীয় সফরের সুযোগে আন্তর্জাতিক আদম ব্যবসার উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন?
এই প্রশ্ন শুধু একজন ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও স্বচ্ছতা নিয়েও উঠতে বাধ্য। জনগণের করের টাকা, সরকারের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি সব মিলিয়ে এই নাটকীয় ও বিতর্কিত চুক্তির পেছনে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চক্রান্ত আছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি এখন সময়ের দাবি।
#YunusMustGo
—-
বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ কর্মী যাবে এই শিরোনাম শুনে অনেকেই আশায় বুক বাঁধেন। বিদেশে কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স, উন্নয়ন এসব ইতিবাচক শব্দের আবরণে ঢাকা পড়ে থাকে বাস্তবতার নির্মম চিত্র। কিন্তু এবার এই ‘স্বপ্নের প্রচারণা’ এক ভয়াবহ প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেছে, যার মূলনায়ক হলেন ইউনুস।
সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অথচ এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জাপানের সরকারি বাণিজ্য সংস্থা JETRO এই বিষয়ে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহমিদ মইনের এই অতীত জেনেও যে ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন ড. ইউনুস নিজেই। চমকপ্রদ বিষয় হলো, তিনি এখন নিজস্ব লাইসেন্সে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি খুলেছেন, যা এখন তার নতুন ‘সংস্কার’ মডেল! অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় সফরের পয়সায় গিয়ে নিজস্ব ব্যবসার সুবিধার্থে এক বহিষ্কৃত প্রতারকের সঙ্গে চুক্তি করে আদম ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিচ্ছেন তিনি।
JBCCI-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক কর্মকর্তা সাঈদ আরমান বলেন, “তাহমিদ একজন প্রতারক। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে JBCCI থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।”
এদিকে জাপানি দূতাবাসের উদ্বেগ ও আপত্তি স্পষ্ট। তারা মনে করছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক চুক্তি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
প্রশ্ন উঠেছে একজন নোবেল বিজয়ী কীভাবে এমন এক প্রতারক চক্রের অংশীদার হয়ে উঠলেন? কেন রাষ্ট্রীয় সফরকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক এজেন্ডার হাতিয়ার বানানো হলো?
আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটেছে। রাষ্ট্রের অর্থে বিদেশ সফর, রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে খেলাচলা, প্রতারকের সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি সব মিলে এটি যেন একটি ‘রাষ্ট্রীয় বৈধতা পেয়েছে এমন বেনিয়াপনা’।
ড. ইউনুস কি আজ একজন নোবেল বিজয়ী থেকে রাষ্ট্রীয় সফরের সুযোগে আন্তর্জাতিক আদম ব্যবসার উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন?
এই প্রশ্ন শুধু একজন ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও স্বচ্ছতা নিয়েও উঠতে বাধ্য। জনগণের করের টাকা, সরকারের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি সব মিলিয়ে এই নাটকীয় ও বিতর্কিত চুক্তির পেছনে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চক্রান্ত আছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি এখন সময়ের দাবি।
#YunusMustGo
নির্বাচন বিতর্কিত করল কারা
—-
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে অনেক মায়াকান্না হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীরা নিজেদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা দাবি করেছে। সুশীল নামধারী কিছু ব্যক্তি নিকট অতীতে গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না ছাড়িয়ে রীতিমতো মরা-কান্না জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় আইনের শাসন? কোথায় মানবাধিকার? দেশের মানুষ আজ ভণ্ডদের স্বরূপ দেখছে। ভাওতাবাজির কুৎসিত চেহারা দেখছে। আর জীবন দিয়ে এদের কথায় বিশ্বাস করার পরিণতি ভোগ করছে।
আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেক মিথ্যা বলেছে। বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। অংশ নেয়নি উপজেলা নির্বাচনেও। বরং উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। আর আজ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দলটি নির্বাচন চেয়ে পাথরে মাথা কুটছে। কিন্তু নির্বাচনের সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাসও পাচ্ছে না। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, নবগঠিত এনসিপি, জামায়াতসহ সরকারের পক্ষের শক্তি যতদিন না বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী হবে, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারটি যতক্ষণ না নিশ্চিত হবে, ততদিন কোনো নির্বাচন হবে না।
যাক, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রশ্ন হলো, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চায়নি কেন? আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যেসব দোষারোপ করে, সেসবের বাস্তব ভিত্তি কতটুকু? বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে কারা কলুষিত করেছে? কিভাবে করেছে?
একটু পেছনে তাকানো যাক। স্পষ্ট করেই দেখা যাবে, বাংলাদেশে কারা, কখন, কিভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে। কারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। কারা মানবাধিকারকে ভুলুণ্ঠিত করেছে। কারা নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচন বর্জন করেছে।
বাংলাদেশে সব সময় নির্বাচন বিতর্কিত ও বাধাগ্রস্ত করেছে বিএনপি। নির্বাচনে ভোট কারচুপি থেকে শুরু করে সব অনিয়মের জন্মদাতা বিএনপি। কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার জন্য সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল বিএনপি। বার্তা সংস্থা বিবিসি ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মুখে যে কয়েকটি একতরফা ও বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।’ ১৯৯৬ সালের ওই নির্বাচন নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ভোটারের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট দেননি।’ নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ১০ শতাংশের কম হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে। এর আগে আরো একটি নির্বাচন আছে। সেটি হচ্ছে, ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ, মাগুরা উপনির্বাচন। কারচুপি ও জালিয়াতির নিকৃষ্ট উদাহরণ ছিল সেই উপনির্বাচন।
নির্বাচন নিয়ে আরো একটু পেছনে তাকানো যাক। গণতন্ত্র হত্যাসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সব রকমভাবে দূষিত করেছেন যে ব্যক্তি, তাঁর নাম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতিতে বৈধতা দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এমন ব্যক্তিদের জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মন্ত্রী বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয় ১৯৭৭ সালের ৩০ মে। সেদিন অদ্ভুত এক নির্বাচন প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা ভোট বা গণভোট নামের একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কি রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) প্রতি এবং তাঁর দ্বারা গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থাশীল? ভোটের ফল দেখানো হয় ৯৮.৯ শতাংশ ‘হ্যাঁ’। মোট ভোট প্রদানের হার দেখানো হয় ৮৮.১ শতাংশ। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এই ভোটকে বলা হয়ে থাকে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট। এই ‘হ্যাঁ-না’ ভোট নিয়ে আমার এক বন্ধুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা এখানে তুলে ধরি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি তাঁর ১৩ জন বন্ধুকে নিয়ে যান ভোট দিতে। গিয়ে দেখেন ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা ভোটকেন্দ্রে হৈচৈ শুরু করে দেন। তখন তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। তাঁরা ধরে নিলেন ওই কেন্দ্রে অন্তত ১৩টি ‘না’ ভোট তো নিশ্চিত। সন্ধ্যায় তাঁরা জানতে পারলেন, ওই কেন্দ্রে মোট ‘না’ ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি। জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লজ্জাজনকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।
—-
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে অনেক মায়াকান্না হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীরা নিজেদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা দাবি করেছে। সুশীল নামধারী কিছু ব্যক্তি নিকট অতীতে গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না ছাড়িয়ে রীতিমতো মরা-কান্না জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় আইনের শাসন? কোথায় মানবাধিকার? দেশের মানুষ আজ ভণ্ডদের স্বরূপ দেখছে। ভাওতাবাজির কুৎসিত চেহারা দেখছে। আর জীবন দিয়ে এদের কথায় বিশ্বাস করার পরিণতি ভোগ করছে।
আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেক মিথ্যা বলেছে। বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। অংশ নেয়নি উপজেলা নির্বাচনেও। বরং উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। আর আজ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দলটি নির্বাচন চেয়ে পাথরে মাথা কুটছে। কিন্তু নির্বাচনের সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাসও পাচ্ছে না। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, নবগঠিত এনসিপি, জামায়াতসহ সরকারের পক্ষের শক্তি যতদিন না বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী হবে, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারটি যতক্ষণ না নিশ্চিত হবে, ততদিন কোনো নির্বাচন হবে না।
যাক, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রশ্ন হলো, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চায়নি কেন? আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যেসব দোষারোপ করে, সেসবের বাস্তব ভিত্তি কতটুকু? বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে কারা কলুষিত করেছে? কিভাবে করেছে?
একটু পেছনে তাকানো যাক। স্পষ্ট করেই দেখা যাবে, বাংলাদেশে কারা, কখন, কিভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে। কারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। কারা মানবাধিকারকে ভুলুণ্ঠিত করেছে। কারা নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচন বর্জন করেছে।
বাংলাদেশে সব সময় নির্বাচন বিতর্কিত ও বাধাগ্রস্ত করেছে বিএনপি। নির্বাচনে ভোট কারচুপি থেকে শুরু করে সব অনিয়মের জন্মদাতা বিএনপি। কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার জন্য সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল বিএনপি। বার্তা সংস্থা বিবিসি ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মুখে যে কয়েকটি একতরফা ও বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।’ ১৯৯৬ সালের ওই নির্বাচন নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ভোটারের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট দেননি।’ নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ১০ শতাংশের কম হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে। এর আগে আরো একটি নির্বাচন আছে। সেটি হচ্ছে, ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ, মাগুরা উপনির্বাচন। কারচুপি ও জালিয়াতির নিকৃষ্ট উদাহরণ ছিল সেই উপনির্বাচন।
নির্বাচন নিয়ে আরো একটু পেছনে তাকানো যাক। গণতন্ত্র হত্যাসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সব রকমভাবে দূষিত করেছেন যে ব্যক্তি, তাঁর নাম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতিতে বৈধতা দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এমন ব্যক্তিদের জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মন্ত্রী বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয় ১৯৭৭ সালের ৩০ মে। সেদিন অদ্ভুত এক নির্বাচন প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা ভোট বা গণভোট নামের একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কি রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) প্রতি এবং তাঁর দ্বারা গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থাশীল? ভোটের ফল দেখানো হয় ৯৮.৯ শতাংশ ‘হ্যাঁ’। মোট ভোট প্রদানের হার দেখানো হয় ৮৮.১ শতাংশ। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এই ভোটকে বলা হয়ে থাকে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট। এই ‘হ্যাঁ-না’ ভোট নিয়ে আমার এক বন্ধুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা এখানে তুলে ধরি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি তাঁর ১৩ জন বন্ধুকে নিয়ে যান ভোট দিতে। গিয়ে দেখেন ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা ভোটকেন্দ্রে হৈচৈ শুরু করে দেন। তখন তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। তাঁরা ধরে নিলেন ওই কেন্দ্রে অন্তত ১৩টি ‘না’ ভোট তো নিশ্চিত। সন্ধ্যায় তাঁরা জানতে পারলেন, ওই কেন্দ্রে মোট ‘না’ ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি। জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লজ্জাজনকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।
আরো একটু পেছনে তাকাই। বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজেই এক সামরিক ফরমান জারি করে তিনি নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেছিলেন। আবার নিজেই আরেক ফরমান জারি করে ঘোষণা দেন তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি। তাঁকে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তাঁর ইচ্ছা হয়েছে, তিনি চেয়ার দখল করেছেন। একসময় তাঁর মনে হয়েছে, বিষয়টা হালাল করা দরকার। তিনি ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দেন। নিজেকে দেওয়া নিজের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ বৈধ করার জন্যই এই গণভোট বা আস্থা ভোটের আয়োজন। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থায় দুষ্ট ক্ষত ১৯৭৭ সালের ৩০ মের গণভোট বা ‘হ্যাঁ-না’ ভোট। কী আশ্চর্য, একদল বিদ্রোহী সেনা সদস্যের হাতে তাঁর নিহত হওয়ার দিনটিও ৩০ মে।
লেখক: এম নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
লেখক: এম নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি
----------
অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের লাগাতার ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড ও মনোবৃত্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে একের পর এক স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে চলেছে। ম্যাটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর ফ্যাসিস্ট ইউনূসই বলেছিলেন যে, রিসেট বাটনে প্রেস করা হয়ে গেছে। অর্থাৎ অতীতের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জনসহ সবকিছু ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে তারা সমগ্র জাতিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে ও বুঝতে বাধ্য করার অপচেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় যে কোনো জায়গায় কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, বাকস্বাধীনতার কথা বলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতনের খড়গ। গণমাধ্যমকে পরিণত করা হয় ইউনূস বন্দনার মাধ্যম। বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে মব সৃষ্টি করে ও সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করে এক ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা হয়। গণমাধ্যম জনমত সৃষ্টি করবে বা তুলে ধরবে তো দূরের কথা, নিজেদের মত বা কণ্ঠস্বর তুলে ধরার কথাই ভুলে গেছে। শুধু ফ্যাসিস্ট এই সরকারের প্রেসক্রাইব ও অনুমোদন দেওয়া সংবাদই প্রকাশ হয়। এর বাইরে কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে বা করতে চাইলে ঐ মিডিয়া হাউজ বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মবসন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়। তাই সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে সেল্ফসেন্সরশিপের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই ছিল অল্টারনেটিভ ভয়েস। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তার পরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার আদায়ের অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অদম্য সাহস ও শক্তির সাথে না পেরে এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। আমরা এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে দলটির আত্মার সম্পর্ক। কোনো উপায়ে এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটানো সম্ভব নয়। বাংলার জনগণ যে কোনো প্রতিকূল অবস্থায় বার বার তাদের আস্থার সংগঠন আওয়ামী লীগের কাছে আসবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ সামনে দিকে এগিয়ে যাবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়েই আমরা এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের সকল অপতৎপরতা রুখতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ৩০ মে ২০২৫
#FreedomOfSpeech #AwamiLeague #Bangladesh #YunusRegime #YunusMustGo
----------
অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের লাগাতার ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড ও মনোবৃত্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে একের পর এক স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে চলেছে। ম্যাটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর ফ্যাসিস্ট ইউনূসই বলেছিলেন যে, রিসেট বাটনে প্রেস করা হয়ে গেছে। অর্থাৎ অতীতের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জনসহ সবকিছু ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে তারা সমগ্র জাতিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে ও বুঝতে বাধ্য করার অপচেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় যে কোনো জায়গায় কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, বাকস্বাধীনতার কথা বলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতনের খড়গ। গণমাধ্যমকে পরিণত করা হয় ইউনূস বন্দনার মাধ্যম। বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে মব সৃষ্টি করে ও সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করে এক ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা হয়। গণমাধ্যম জনমত সৃষ্টি করবে বা তুলে ধরবে তো দূরের কথা, নিজেদের মত বা কণ্ঠস্বর তুলে ধরার কথাই ভুলে গেছে। শুধু ফ্যাসিস্ট এই সরকারের প্রেসক্রাইব ও অনুমোদন দেওয়া সংবাদই প্রকাশ হয়। এর বাইরে কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে বা করতে চাইলে ঐ মিডিয়া হাউজ বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মবসন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়। তাই সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে সেল্ফসেন্সরশিপের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই ছিল অল্টারনেটিভ ভয়েস। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তার পরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার আদায়ের অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অদম্য সাহস ও শক্তির সাথে না পেরে এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। আমরা এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে দলটির আত্মার সম্পর্ক। কোনো উপায়ে এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটানো সম্ভব নয়। বাংলার জনগণ যে কোনো প্রতিকূল অবস্থায় বার বার তাদের আস্থার সংগঠন আওয়ামী লীগের কাছে আসবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ সামনে দিকে এগিয়ে যাবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়েই আমরা এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের সকল অপতৎপরতা রুখতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ৩০ মে ২০২৫
#FreedomOfSpeech #AwamiLeague #Bangladesh #YunusRegime #YunusMustGo
ইউনুসের রাষ্ট্রদখল : ধ্বংসের রূপরেখা বাস্তবায়নের দিনলিপি
দেখে মনে হয় এই দেশটায় এখন কেউ আর ঘুম থেকে উঠে ভালো খবর শোনে না। শুধু হিসাবের খাতা খুললেই বোঝা যায়, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি—একটা জাতি, একটা অর্থনীতি, একটা স্বপ্ন। মহামারির ধাক্কা সামলে উঠেছিল দেশ। টিকে ছিল, মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। ঠিক তখনই, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, মোহাম্মদ ইউনুস নামের একজন লোক কায়েম করলেন ইতিহাসের অন্যতম কুৎসিত রাজনৈতিক ডাকাতি—জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে নিজের গায়ে ‘অন্তর্বর্তী’ নামের একটা ধোপদুরস্ত চাদর জড়িয়ে বসে পড়লেন গদিতে। এখন, প্রায় এক বছর যেতে না যেতেই সেই অ-সরকার দেশকে নামিয়ে আনলো এমন একটা অর্থনৈতিক গহ্বরে, যেখানে চারপাশে শুধু ক্ষয়, অন্ধকার আর চরম অপদার্থতার গন্ধ।
৩.৯৭ শতাংশ। এটুকু পড়ে মাথা চক্কর দেয়াই স্বাভাবিক, কারণ কোভিডের ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে গেছে এই সংখ্যা। একচেটিয়া ব্যর্থতার ঝাণ্ডা ওড়ানো এই তথাকথিত সরকার শুধু দেশের অর্থনীতিকে নয়, দেশের মেরুদণ্ডকেই ভেঙে দিয়েছে। এরা পরিকল্পনা জানে না, বাস্তবতা বোঝে না, অথচ ঘাড়ে বসে আছে গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল সেজে। করোনার সময়ে, যখন গোটা পৃথিবী হাহাকার করছিল, তখনও বাংলাদেশ ৩.৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছিল। আজ? আজ একঝাঁক তথাকথিত “দার্শনিক” আর মঞ্চ-কাঁপানো বক্তা মিলে রাষ্ট্র চালাচ্ছে, আর ফলাফল চোখের সামনে।
কৃষি খাত, যেখানে দেশের কোটি মানুষের জীবন বেঁচে থাকে, সেখানে এখন মাত্র ১.৭৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এই সরকার জানেই না যে কৃষি মানে শুধু ধান গম না, এটা জীবনরেখা। অথচ একে রেখেছে অবহেলার পাতালে। কৃষক মরছে, ফলন নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু ইউনুস বাহিনী ব্যস্ত বিদেশিদের জন্য পিআর প্যাকেজ বানাতে। সেবা খাতেও ধস, ৪.৫১ শতাংশে এসে ঠেকেছে। মানুষ খরচ করছে না, কারণ তাদের হাতে টাকা নেই। কাজ নেই। দাম আকাশে, ক্রয়ক্ষমতা পাতালে। শিল্প খাতেও এক রকম মৃতপ্রায় অবস্থা, একমাত্র তৈরি পোশাক টিকে আছে আগের গতি থেকে, বাকিগুলো নিঃশব্দে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ? সেটা তো এখন গল্প। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ পড়ে গেছে। ঋণ প্রবৃদ্ধিও ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশি-বিদেশি কেউ এখন এই সরকারের ওপর আস্থা রাখছে না। বিদেশিরা, যারা ইউনুসকে এই গদিতে বসিয়েছিল, তারাও এখন পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। আর ইউনুস সাহেব মুচকি হেসে জাতির সামনে ডলার ডলার গল্প শুনাচ্ছেন, অথচ বাস্তবে মানুষ বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুই কিনতে পারছে না।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের নাম করে এক অদ্ভুত মেকআপ চলছে, যেন এই একটা খাত বাঁচিয়ে বাকিটা ধ্বংস করলেও চলবে। গ্যাস খাতে প্রবৃদ্ধি মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ তারাও বলবে, “দেশ এগোচ্ছে!” কী এগোচ্ছে? কার পকেট ফুলছে? কতজনের ঘর বন্ধ, কতগুলো কারখানায় তালা, সেই হিসাব কী কেউ দিচ্ছে?
মাথাপিছু আয় কিছুটা বেড়েছে দেখিয়ে বড়াই করে তারা। অথচ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বলছে—এই হিসাব ত্রুটিপূর্ণ, পুরনো তথ্য দিয়ে আঁকা। একদল গবেষক বলে দিচ্ছেন, আগস্ট ৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের জিডিপির হিসাবই অতিরঞ্জিত, মিথ্যা, বানোয়াট। এবং এই মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে ইউনুস অ্যান্ড কোম্পানি বানাচ্ছেন মঞ্চ। একটা জঘন্য নাটক, যেখানে জনগণের বাস্তবতা ভুলিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে: “সব ঠিক আছে।”
কিন্তু কিছুই ঠিক নেই। এই সরকার জনগণের নয়, এই সরকার গণতন্ত্রের নয়। এই সরকার টাকার, অস্ত্রের আর ষড়যন্ত্রের। ইসলামি মৌলবাদীদের ছায়ায় বড় হওয়া, বিদেশি মদতে জোর করে গদি দখল করা এই শাসনব্যবস্থা দেশের প্রতিটা শিরা উপশিরায় বিষ ঢেলে দিয়েছে। আর ইউনুস সাহেব, তাঁর কথিত তত্ত্ব, তাঁর তথাকথিত সংলাপ—সবই এখন এক ভয়ংকর ব্যর্থতার মুখোশ।
এটা কোনো সাধারণ অর্থনৈতিক পতন নয়। এটা পরিকল্পিত ধ্বংস, রাষ্ট্রীয় অনাচার। এবং এই অনাচারের একমাত্র নাম মোহাম্মদ ইউনুস। ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। আর বাংলাদেশের মানুষ? তারা আজ না হোক কাল, ঠিক চিনে নেবে কারা এই পতনের প্রকৃত রচয়িতা।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
দেখে মনে হয় এই দেশটায় এখন কেউ আর ঘুম থেকে উঠে ভালো খবর শোনে না। শুধু হিসাবের খাতা খুললেই বোঝা যায়, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি—একটা জাতি, একটা অর্থনীতি, একটা স্বপ্ন। মহামারির ধাক্কা সামলে উঠেছিল দেশ। টিকে ছিল, মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। ঠিক তখনই, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, মোহাম্মদ ইউনুস নামের একজন লোক কায়েম করলেন ইতিহাসের অন্যতম কুৎসিত রাজনৈতিক ডাকাতি—জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে নিজের গায়ে ‘অন্তর্বর্তী’ নামের একটা ধোপদুরস্ত চাদর জড়িয়ে বসে পড়লেন গদিতে। এখন, প্রায় এক বছর যেতে না যেতেই সেই অ-সরকার দেশকে নামিয়ে আনলো এমন একটা অর্থনৈতিক গহ্বরে, যেখানে চারপাশে শুধু ক্ষয়, অন্ধকার আর চরম অপদার্থতার গন্ধ।
৩.৯৭ শতাংশ। এটুকু পড়ে মাথা চক্কর দেয়াই স্বাভাবিক, কারণ কোভিডের ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে গেছে এই সংখ্যা। একচেটিয়া ব্যর্থতার ঝাণ্ডা ওড়ানো এই তথাকথিত সরকার শুধু দেশের অর্থনীতিকে নয়, দেশের মেরুদণ্ডকেই ভেঙে দিয়েছে। এরা পরিকল্পনা জানে না, বাস্তবতা বোঝে না, অথচ ঘাড়ে বসে আছে গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল সেজে। করোনার সময়ে, যখন গোটা পৃথিবী হাহাকার করছিল, তখনও বাংলাদেশ ৩.৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছিল। আজ? আজ একঝাঁক তথাকথিত “দার্শনিক” আর মঞ্চ-কাঁপানো বক্তা মিলে রাষ্ট্র চালাচ্ছে, আর ফলাফল চোখের সামনে।
কৃষি খাত, যেখানে দেশের কোটি মানুষের জীবন বেঁচে থাকে, সেখানে এখন মাত্র ১.৭৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এই সরকার জানেই না যে কৃষি মানে শুধু ধান গম না, এটা জীবনরেখা। অথচ একে রেখেছে অবহেলার পাতালে। কৃষক মরছে, ফলন নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু ইউনুস বাহিনী ব্যস্ত বিদেশিদের জন্য পিআর প্যাকেজ বানাতে। সেবা খাতেও ধস, ৪.৫১ শতাংশে এসে ঠেকেছে। মানুষ খরচ করছে না, কারণ তাদের হাতে টাকা নেই। কাজ নেই। দাম আকাশে, ক্রয়ক্ষমতা পাতালে। শিল্প খাতেও এক রকম মৃতপ্রায় অবস্থা, একমাত্র তৈরি পোশাক টিকে আছে আগের গতি থেকে, বাকিগুলো নিঃশব্দে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ? সেটা তো এখন গল্প। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ পড়ে গেছে। ঋণ প্রবৃদ্ধিও ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশি-বিদেশি কেউ এখন এই সরকারের ওপর আস্থা রাখছে না। বিদেশিরা, যারা ইউনুসকে এই গদিতে বসিয়েছিল, তারাও এখন পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। আর ইউনুস সাহেব মুচকি হেসে জাতির সামনে ডলার ডলার গল্প শুনাচ্ছেন, অথচ বাস্তবে মানুষ বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুই কিনতে পারছে না।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের নাম করে এক অদ্ভুত মেকআপ চলছে, যেন এই একটা খাত বাঁচিয়ে বাকিটা ধ্বংস করলেও চলবে। গ্যাস খাতে প্রবৃদ্ধি মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ তারাও বলবে, “দেশ এগোচ্ছে!” কী এগোচ্ছে? কার পকেট ফুলছে? কতজনের ঘর বন্ধ, কতগুলো কারখানায় তালা, সেই হিসাব কী কেউ দিচ্ছে?
মাথাপিছু আয় কিছুটা বেড়েছে দেখিয়ে বড়াই করে তারা। অথচ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বলছে—এই হিসাব ত্রুটিপূর্ণ, পুরনো তথ্য দিয়ে আঁকা। একদল গবেষক বলে দিচ্ছেন, আগস্ট ৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের জিডিপির হিসাবই অতিরঞ্জিত, মিথ্যা, বানোয়াট। এবং এই মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে ইউনুস অ্যান্ড কোম্পানি বানাচ্ছেন মঞ্চ। একটা জঘন্য নাটক, যেখানে জনগণের বাস্তবতা ভুলিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে: “সব ঠিক আছে।”
কিন্তু কিছুই ঠিক নেই। এই সরকার জনগণের নয়, এই সরকার গণতন্ত্রের নয়। এই সরকার টাকার, অস্ত্রের আর ষড়যন্ত্রের। ইসলামি মৌলবাদীদের ছায়ায় বড় হওয়া, বিদেশি মদতে জোর করে গদি দখল করা এই শাসনব্যবস্থা দেশের প্রতিটা শিরা উপশিরায় বিষ ঢেলে দিয়েছে। আর ইউনুস সাহেব, তাঁর কথিত তত্ত্ব, তাঁর তথাকথিত সংলাপ—সবই এখন এক ভয়ংকর ব্যর্থতার মুখোশ।
এটা কোনো সাধারণ অর্থনৈতিক পতন নয়। এটা পরিকল্পিত ধ্বংস, রাষ্ট্রীয় অনাচার। এবং এই অনাচারের একমাত্র নাম মোহাম্মদ ইউনুস। ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। আর বাংলাদেশের মানুষ? তারা আজ না হোক কাল, ঠিক চিনে নেবে কারা এই পতনের প্রকৃত রচয়িতা।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
রাতের মহাসড়কে ইউনুসের #খুনে সার্কাস
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে গাড়ি চালানো এখন জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকির নাম। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে যিনি বসেন, যাত্রীরা যাঁর উপর ভরসা করে রওনা দেন, তিনিও জানেন—মাঝরাতে হয়তো লোহার রড ছুটে আসবে জানালার কাঁচ ভেঙে, পেছন থেকে ছুটে আসবে ছুরি হাতে বুনো শকুনের মতো #ডাকাত দল। এই রাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যস্ত মহাসড়কটি এখন যেনো কোনো গ্যাংস্টার সিনেমার সেট। পার্থক্য একটাই—এটা সিনেমা নয়, এটা বাংলাদেশ। আর এই অরাজক, নৈরাজ্যতন্ত্রের দায় মোহাম্মদ ইউনুস নামের অবৈধ দখলদার ও তার পেছনের অদৃশ্য হায়েনার দলের।
মহাসড়কের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেনো এখন একেকটা ফাঁদ। কাঁচপুর, গজারিয়া, দাউদকান্দি, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, ফেনি থেকে শুরু করে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত একের পর এক ঘাঁটি। রড-ছোঁড়া, ছুরি মারা, গাড়ি থামিয়ে জিম্মি করা—এগুলো এখন আর খবর নয়, নৈমিত্তিক বাস্তবতা। কারণ, এই দেশে রাষ্ট্র আছে শুধু ক্ষমতার উৎসবের দিনগুলোতে, আর বাকি সময়টা ইউনুসের মতো ক্ষমতা-কুক্ষিগত পিশাচদের কাছে লিজে দেওয়া। মানুষ মরুক, পঙ্গু হোক, তার তো দায় ইউনুসের না, পুলিশেরও না। কারণ তারা এখন আর জনগণের চাকর নয়, তারা ইউনুসের সিকিউরিটি গার্ড।
রাতে রাস্তায় বের হলেই গাড়ির ভেতর মৃত্যুর আতঙ্কে কাঁপে পরিবার, চালক, ব্যবসায়ী, প্রবাসী। একটা রড এসে পড়ে গাড়ির বডিতে, গাড়ি থামে, দরজা খোলে, আর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে ইউনুসের #রক্তপিপাসু সেনাবাহিনী—সংঘবদ্ধ, প্রশিক্ষিত, #সশস্ত্র। কারা এই #ডাকাতেরা? কী সাহস তাদের? উত্তর একটাই: পেছনে রয়েছে ইউনুসের অবৈধ ছত্রছায়া। এই সব ‘পুনর্বাসিত’ ডাকাত এখন গডফাদারের আদেশে নিয়ন্ত্রিত #খুনি, যারা প্রতিটি রাতে একটা রাষ্ট্রকে জিম্মি করে রাখে।
মোহাম্মদ ইউনুস কী জানেন না এই সবকিছু? জানেন, খুব ভালো করেই জানেন। বরং এই ভয়, আতঙ্ক, অরাজকতা তিনিই চান। কারণ ভয় দেখিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করে রাখা যায়। সড়ক নিরাপত্তা দিয়ে না, #সন্ত্রাস দিয়েই মানুষকে বন্দি করে রাখার কৌশল এদের জানা।
#ডাকাতি এখন যেনো ‘পলিসি’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেনো অন্ধ, বধির। রুটিন টহল, চেকপোস্ট—সবই একটা নিছক প্রহসন। যখন কোনো #ডাকাত ধরা পড়ে, তখন দেখা যায় তার নাম কোন ‘লোকাল’ নেতার তালিকায়, তার হাতের মোবাইলে ‘উপরের লোক’দের নাম্বার। আজকে যাকে ধরে, কালকেই জামিন। কার হাতে চলে গেছে বিচার-আইন, সেটাও তো প্রশ্ন।
মোহাম্মদ ইউনুস নামের এই ক্ষমতালোভী ব্যর্থ শাসক জাতির সঙ্গে যে কেমন পৈশাচিক তামাশা করছেন, তার সবচেয়ে নির্মম প্রমাণ রাতের মহাসড়ক। এই চক্র শুধু টাকা চুরি করছে না, মানুষের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, শান্তি—সব চুরি করছে। এটা আর শুধুমাত্র #ডাকাতি নয়, এটা রাষ্ট্রীয় #সন্ত্রাস, যা চালাচ্ছে ইউনুসের অঘোষিত গুণ্ডা-বাহিনী।
এই লেখার শেষ নেই, যেমন শেষ নেই ইউনুসের ব্যর্থতার। যতদিন এই অন্ধকারের খেলোয়াড় ক্ষমতার আসনে চেপে থাকবে, ততদিন রাতের মহাসড়ক মানেই মৃত্যু ফাঁদ। রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দায় আর কত লুকাবে ইউনুস? আর কতদিন? আর কত #লাশ চাই তাদের বিবেক নামের মৃতদেহটাকে কবর থেকে তোলার জন্য?
মানুষ মরছে, ইউনুস দেখছেন। মানুষ আতঙ্কে বাস করছে, ইউনুস হাসছেন। এই যদি হয় নেতৃত্ব, তবে রাষ্ট্র আছে কই?
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে গাড়ি চালানো এখন জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকির নাম। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে যিনি বসেন, যাত্রীরা যাঁর উপর ভরসা করে রওনা দেন, তিনিও জানেন—মাঝরাতে হয়তো লোহার রড ছুটে আসবে জানালার কাঁচ ভেঙে, পেছন থেকে ছুটে আসবে ছুরি হাতে বুনো শকুনের মতো #ডাকাত দল। এই রাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যস্ত মহাসড়কটি এখন যেনো কোনো গ্যাংস্টার সিনেমার সেট। পার্থক্য একটাই—এটা সিনেমা নয়, এটা বাংলাদেশ। আর এই অরাজক, নৈরাজ্যতন্ত্রের দায় মোহাম্মদ ইউনুস নামের অবৈধ দখলদার ও তার পেছনের অদৃশ্য হায়েনার দলের।
মহাসড়কের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেনো এখন একেকটা ফাঁদ। কাঁচপুর, গজারিয়া, দাউদকান্দি, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, ফেনি থেকে শুরু করে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত একের পর এক ঘাঁটি। রড-ছোঁড়া, ছুরি মারা, গাড়ি থামিয়ে জিম্মি করা—এগুলো এখন আর খবর নয়, নৈমিত্তিক বাস্তবতা। কারণ, এই দেশে রাষ্ট্র আছে শুধু ক্ষমতার উৎসবের দিনগুলোতে, আর বাকি সময়টা ইউনুসের মতো ক্ষমতা-কুক্ষিগত পিশাচদের কাছে লিজে দেওয়া। মানুষ মরুক, পঙ্গু হোক, তার তো দায় ইউনুসের না, পুলিশেরও না। কারণ তারা এখন আর জনগণের চাকর নয়, তারা ইউনুসের সিকিউরিটি গার্ড।
রাতে রাস্তায় বের হলেই গাড়ির ভেতর মৃত্যুর আতঙ্কে কাঁপে পরিবার, চালক, ব্যবসায়ী, প্রবাসী। একটা রড এসে পড়ে গাড়ির বডিতে, গাড়ি থামে, দরজা খোলে, আর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে ইউনুসের #রক্তপিপাসু সেনাবাহিনী—সংঘবদ্ধ, প্রশিক্ষিত, #সশস্ত্র। কারা এই #ডাকাতেরা? কী সাহস তাদের? উত্তর একটাই: পেছনে রয়েছে ইউনুসের অবৈধ ছত্রছায়া। এই সব ‘পুনর্বাসিত’ ডাকাত এখন গডফাদারের আদেশে নিয়ন্ত্রিত #খুনি, যারা প্রতিটি রাতে একটা রাষ্ট্রকে জিম্মি করে রাখে।
মোহাম্মদ ইউনুস কী জানেন না এই সবকিছু? জানেন, খুব ভালো করেই জানেন। বরং এই ভয়, আতঙ্ক, অরাজকতা তিনিই চান। কারণ ভয় দেখিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করে রাখা যায়। সড়ক নিরাপত্তা দিয়ে না, #সন্ত্রাস দিয়েই মানুষকে বন্দি করে রাখার কৌশল এদের জানা।
#ডাকাতি এখন যেনো ‘পলিসি’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেনো অন্ধ, বধির। রুটিন টহল, চেকপোস্ট—সবই একটা নিছক প্রহসন। যখন কোনো #ডাকাত ধরা পড়ে, তখন দেখা যায় তার নাম কোন ‘লোকাল’ নেতার তালিকায়, তার হাতের মোবাইলে ‘উপরের লোক’দের নাম্বার। আজকে যাকে ধরে, কালকেই জামিন। কার হাতে চলে গেছে বিচার-আইন, সেটাও তো প্রশ্ন।
মোহাম্মদ ইউনুস নামের এই ক্ষমতালোভী ব্যর্থ শাসক জাতির সঙ্গে যে কেমন পৈশাচিক তামাশা করছেন, তার সবচেয়ে নির্মম প্রমাণ রাতের মহাসড়ক। এই চক্র শুধু টাকা চুরি করছে না, মানুষের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, শান্তি—সব চুরি করছে। এটা আর শুধুমাত্র #ডাকাতি নয়, এটা রাষ্ট্রীয় #সন্ত্রাস, যা চালাচ্ছে ইউনুসের অঘোষিত গুণ্ডা-বাহিনী।
এই লেখার শেষ নেই, যেমন শেষ নেই ইউনুসের ব্যর্থতার। যতদিন এই অন্ধকারের খেলোয়াড় ক্ষমতার আসনে চেপে থাকবে, ততদিন রাতের মহাসড়ক মানেই মৃত্যু ফাঁদ। রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দায় আর কত লুকাবে ইউনুস? আর কতদিন? আর কত #লাশ চাই তাদের বিবেক নামের মৃতদেহটাকে কবর থেকে তোলার জন্য?
মানুষ মরছে, ইউনুস দেখছেন। মানুষ আতঙ্কে বাস করছে, ইউনুস হাসছেন। এই যদি হয় নেতৃত্ব, তবে রাষ্ট্র আছে কই?
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
ইউনুসের #অবৈধ সরকারের আমলে চোরবাটপারে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর হাতে #গ্রেফতার মহিষপাচারকারী বৈছা আন্দোলনের নেতা এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা #বিএনপির নেতা
কুড়িগ্রাম জেলা #বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোগসাজশে পাচারকৃত #অবৈধ মহিষ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আলমগীর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা #বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুর রহমান সেনাবাহিনীর হাতে #গ্রেফতার হয়েছে। ২৮ মে রাত ১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। #বিএনপির নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে স্থানীয় #বিএনপির সিনিয়র নেতারা থানায় জোর তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
#অবৈধ ইউনুস সরকারের আমলে স্বাধীনতা পেয়েছে #চোর-#বাটপার আর #ডাকাতেরা, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ যেন এক জেলখানায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
#YunusMustGo #BangladeshCrisis #SaveBangladesh #BNP #Smugglers
সেনাবাহিনীর হাতে #গ্রেফতার মহিষপাচারকারী বৈছা আন্দোলনের নেতা এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা #বিএনপির নেতা
কুড়িগ্রাম জেলা #বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোগসাজশে পাচারকৃত #অবৈধ মহিষ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আলমগীর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা #বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুর রহমান সেনাবাহিনীর হাতে #গ্রেফতার হয়েছে। ২৮ মে রাত ১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। #বিএনপির নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে স্থানীয় #বিএনপির সিনিয়র নেতারা থানায় জোর তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
#অবৈধ ইউনুস সরকারের আমলে স্বাধীনতা পেয়েছে #চোর-#বাটপার আর #ডাকাতেরা, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ যেন এক জেলখানায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
#YunusMustGo #BangladeshCrisis #SaveBangladesh #BNP #Smugglers
চুরির নতুন সংজ্ঞা : জনগণের নামে চালানো ইউনুসের ঋণনাট্য
লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের নিয়ন্ত্রিত অ-সরকার, অথচ দেশের অর্থনৈতিক চিত্র দেখে মনে হচ্ছে যেন শকুনের পাল ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাজেটের লাশের উপর। মেগা প্রকল্প থমকে আছে, উন্নয়ন থেমে গেছে, অথচ ঋণের পাহাড় দিনকে দিন আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এ কেমন শাসন? না, শাসন নয়—এ এক গোটা জাতির সঙ্গে পরিকল্পিত প্রতারণা।
ব্যাংকগুলোকে রক্তশূন্য করে দিয়ে এই অদৃশ্য সরকার কী বানাতে চাইছে? পকেটভর্তি গুম, গুজব আর গুলতি দিয়ে কি অর্থনীতির চাকায় গতি আনা যায়? কোটি কোটি টাকার ঋণ যখন কেবল "ঘাটতি মেটানোর" নামে জঠরের গহ্বরে বিলীন হয়, তখন এটা স্পষ্ট—আমাদের সামনে এখন আর কোনো সরকার নেই, আছে এক দল চোরাকারবারি, যারা রাষ্ট্রক্ষমতার হ্যাংলা মুখোশ পরে লুটপাট চালাচ্ছে নির্বিকার।
যাদের হাতে নেই জনগণের ভোট, নেই কোনো নৈতিক ভিত্তি, তাদের জন্য ব্যাংকও যেন ব্যক্তিগত এটিএম বুথ। মোহাম্মদ ইউনুসের পেছনে বসে থাকা পুতুলনাট্যকাররা এখন ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেই করে তুলেছে জুয়াড়িদের বোর্ড। যে হারে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেটার এক কণা যদি উৎপাদন খাতে যেত, তাহলে এই মুহূর্তে রপ্তানি হতো উন্নয়নের সুবাস। বাস্তবে যা হয়েছে, তা হলো খরচের জুতাপেটা থেকে উন্নয়নের কঙ্কাল টেনে বের করা।
এডিপি বাস্তবায়নের হার ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান কোনো অর্থনীতিবিদের গবেষণার বিষয় না—এটা একবারে প্রকাশ্য ডাকাতির খবর। ইউনুসের এই বেআইনি অ-সরকার জনগণের টাকা চুষে নিচ্ছে, বিনিময়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে কেবল শূন্যতা, দুঃস্বপ্ন আর বোকা বানানোর প্রটোকল।
দেশজুড়ে চলছে এক বিকারগ্রস্ত প্রহসন—যেখানে সবকিছু চলছে, শুধু কাজ হচ্ছে না। উন্নয়ন থেমে আছে, অথচ ঋণ বেড়েই চলেছে। অঙ্কটা পরিষ্কার—মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার কুশীলবেরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে ব্যক্তিগত ক্যাসিনো হিসেবে। টাকা ঢুকছে, ঘুরছে, হারিয়ে যাচ্ছে। জনগণের কাঁধে চাপছে সুদের বোঝা, অথচ উন্নয়নের নামে মঞ্চে কেবল ধোঁয়ার প্রদর্শনী।
তাদের হাতে থাকা প্রশাসন এখন প্রতিবেদনও সাজায় নিজ সুবিধেমতো। কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো স্বচ্ছতা নেই। এক সময় যাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ গর্ব বোধ করত, আজ তাদের নাম উচ্চারণ করাও হয় নির্লজ্জ এক হাস্যরসের উপাদান।
সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে, রাজস্ব আয় কমছে, অথচ ঋণ বাড়ছে। কারণ? কারণ এই সরকার কিছু তৈরি করতে চায় না, শুধু ভোগ করতে চায়। গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে তারা এখন রাষ্ট্রকে চুষে খেতে খেতে হাড় গুঁড়ো করে ফেলছে। এদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে—জনগণের সামনে কোনো কৈফিয়ত দিতে হবে না। শুধু গলা চড়িয়ে বললেই হয়, “সব ঠিক আছে”।
সত্যিটা হলো, সব ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি মৃতপ্রায়, বাজারে আতঙ্ক, আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে শূন্যতা। প্রশ্ন হচ্ছে: এত টাকা গেল কোথায়? এর কোনো জবাব নেই, কারণ যারা দেশ চালাচ্ছে তারা দেশের কাছে দায়বদ্ধই নয়।
এই মুহূর্তে মোহাম্মদ ইউনুসের অ-সরকার হচ্ছে সেই কর্পোরেট দানব, যাদের গিলে খাওয়ার ক্ষুধা সীমাহীন। তারা চায় শুধু আরেকটু সময়, আরেকটু সুযোগ, যাতে আরেকটু লুট করতে পারে। এই যে ‘ঋণ নিয়েছে বাজেট ঘাটতি মেটাতে’—এই বুলি শুনতে শুনতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। কাজকর্ম, উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প—সবকিছু যেন মিউজিয়ামে তুলে রাখা হয়েছে, শুধু ধার আর বিলি-বণ্টনের হিসাব চালু।
মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার অ-সরকার এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যেখানে ক্ষমতা মানে হচ্ছে হরণ, উন্নয়ন মানে হচ্ছে ধোঁকা, আর ঋণ মানে হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দায়বদ্ধ করে রাখা।
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাজেট বাস্তবায়নের হার দিয়ে কোনো অর্জন বোঝা যাচ্ছে না—বরং এটাকে এখন ব্যর্থতার তাম্রপত্র হিসেবে দেখলেই ভালো হয়। জিডিপি, মুদ্রানীতি, বিনিয়োগ—সব কিছুই এখন ফাঁকা বুলি। শুধু ঋণের চাকা ঘুরছে, আর সেই চাকার নিচে পিষে যাচ্ছে জনগণের ভবিষ্যৎ।
এটা আর সরকার নয়—এ এক মহা আত্মঘাতী চক্র। একটা পরজীবী গোষ্ঠী যেভাবে হোস্ট বডির রক্ত চুষে খায়, মোহাম্মদ ইউনুসের এই গ্যাংও ঠিক সেই কৌশলে দেশের অর্থনীতিকে শুষে নিচ্ছে। আর আমরা দাঁড়িয়ে আছি, গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে গিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছি—আর কতটা নিচে নামতে পারে এক রাষ্ট্রব্যবস্থা।
#YunusMustGo
লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়েছে মোহাম্মদ ইউনুসের নিয়ন্ত্রিত অ-সরকার, অথচ দেশের অর্থনৈতিক চিত্র দেখে মনে হচ্ছে যেন শকুনের পাল ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাজেটের লাশের উপর। মেগা প্রকল্প থমকে আছে, উন্নয়ন থেমে গেছে, অথচ ঋণের পাহাড় দিনকে দিন আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এ কেমন শাসন? না, শাসন নয়—এ এক গোটা জাতির সঙ্গে পরিকল্পিত প্রতারণা।
ব্যাংকগুলোকে রক্তশূন্য করে দিয়ে এই অদৃশ্য সরকার কী বানাতে চাইছে? পকেটভর্তি গুম, গুজব আর গুলতি দিয়ে কি অর্থনীতির চাকায় গতি আনা যায়? কোটি কোটি টাকার ঋণ যখন কেবল "ঘাটতি মেটানোর" নামে জঠরের গহ্বরে বিলীন হয়, তখন এটা স্পষ্ট—আমাদের সামনে এখন আর কোনো সরকার নেই, আছে এক দল চোরাকারবারি, যারা রাষ্ট্রক্ষমতার হ্যাংলা মুখোশ পরে লুটপাট চালাচ্ছে নির্বিকার।
যাদের হাতে নেই জনগণের ভোট, নেই কোনো নৈতিক ভিত্তি, তাদের জন্য ব্যাংকও যেন ব্যক্তিগত এটিএম বুথ। মোহাম্মদ ইউনুসের পেছনে বসে থাকা পুতুলনাট্যকাররা এখন ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেই করে তুলেছে জুয়াড়িদের বোর্ড। যে হারে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেটার এক কণা যদি উৎপাদন খাতে যেত, তাহলে এই মুহূর্তে রপ্তানি হতো উন্নয়নের সুবাস। বাস্তবে যা হয়েছে, তা হলো খরচের জুতাপেটা থেকে উন্নয়নের কঙ্কাল টেনে বের করা।
এডিপি বাস্তবায়নের হার ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান কোনো অর্থনীতিবিদের গবেষণার বিষয় না—এটা একবারে প্রকাশ্য ডাকাতির খবর। ইউনুসের এই বেআইনি অ-সরকার জনগণের টাকা চুষে নিচ্ছে, বিনিময়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে কেবল শূন্যতা, দুঃস্বপ্ন আর বোকা বানানোর প্রটোকল।
দেশজুড়ে চলছে এক বিকারগ্রস্ত প্রহসন—যেখানে সবকিছু চলছে, শুধু কাজ হচ্ছে না। উন্নয়ন থেমে আছে, অথচ ঋণ বেড়েই চলেছে। অঙ্কটা পরিষ্কার—মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার কুশীলবেরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে ব্যক্তিগত ক্যাসিনো হিসেবে। টাকা ঢুকছে, ঘুরছে, হারিয়ে যাচ্ছে। জনগণের কাঁধে চাপছে সুদের বোঝা, অথচ উন্নয়নের নামে মঞ্চে কেবল ধোঁয়ার প্রদর্শনী।
তাদের হাতে থাকা প্রশাসন এখন প্রতিবেদনও সাজায় নিজ সুবিধেমতো। কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো স্বচ্ছতা নেই। এক সময় যাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ গর্ব বোধ করত, আজ তাদের নাম উচ্চারণ করাও হয় নির্লজ্জ এক হাস্যরসের উপাদান।
সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে, রাজস্ব আয় কমছে, অথচ ঋণ বাড়ছে। কারণ? কারণ এই সরকার কিছু তৈরি করতে চায় না, শুধু ভোগ করতে চায়। গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে তারা এখন রাষ্ট্রকে চুষে খেতে খেতে হাড় গুঁড়ো করে ফেলছে। এদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে—জনগণের সামনে কোনো কৈফিয়ত দিতে হবে না। শুধু গলা চড়িয়ে বললেই হয়, “সব ঠিক আছে”।
সত্যিটা হলো, সব ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি মৃতপ্রায়, বাজারে আতঙ্ক, আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে শূন্যতা। প্রশ্ন হচ্ছে: এত টাকা গেল কোথায়? এর কোনো জবাব নেই, কারণ যারা দেশ চালাচ্ছে তারা দেশের কাছে দায়বদ্ধই নয়।
এই মুহূর্তে মোহাম্মদ ইউনুসের অ-সরকার হচ্ছে সেই কর্পোরেট দানব, যাদের গিলে খাওয়ার ক্ষুধা সীমাহীন। তারা চায় শুধু আরেকটু সময়, আরেকটু সুযোগ, যাতে আরেকটু লুট করতে পারে। এই যে ‘ঋণ নিয়েছে বাজেট ঘাটতি মেটাতে’—এই বুলি শুনতে শুনতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। কাজকর্ম, উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প—সবকিছু যেন মিউজিয়ামে তুলে রাখা হয়েছে, শুধু ধার আর বিলি-বণ্টনের হিসাব চালু।
মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার অ-সরকার এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যেখানে ক্ষমতা মানে হচ্ছে হরণ, উন্নয়ন মানে হচ্ছে ধোঁকা, আর ঋণ মানে হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দায়বদ্ধ করে রাখা।
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাজেট বাস্তবায়নের হার দিয়ে কোনো অর্জন বোঝা যাচ্ছে না—বরং এটাকে এখন ব্যর্থতার তাম্রপত্র হিসেবে দেখলেই ভালো হয়। জিডিপি, মুদ্রানীতি, বিনিয়োগ—সব কিছুই এখন ফাঁকা বুলি। শুধু ঋণের চাকা ঘুরছে, আর সেই চাকার নিচে পিষে যাচ্ছে জনগণের ভবিষ্যৎ।
এটা আর সরকার নয়—এ এক মহা আত্মঘাতী চক্র। একটা পরজীবী গোষ্ঠী যেভাবে হোস্ট বডির রক্ত চুষে খায়, মোহাম্মদ ইউনুসের এই গ্যাংও ঠিক সেই কৌশলে দেশের অর্থনীতিকে শুষে নিচ্ছে। আর আমরা দাঁড়িয়ে আছি, গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে গিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছি—আর কতটা নিচে নামতে পারে এক রাষ্ট্রব্যবস্থা।
#YunusMustGo
ইউনুসের একনায়কত্বে বিনিয়োগ নির্বাসনে
বাংলাদেশ আজ বিনিয়োগহীন। বাজারে পুঁজি নেই, কারখানায় গতি নেই, কর্মক্ষেত্রে আশা নেই। অথচ প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ কাজ খুঁজে নামে বাস্তবতার মাটিতে, মুখোমুখি হয় এক নিষ্ঠুর ব্যবস্থার, যার মুখ মোহাম্মদ ইউনুস। হ্যাঁ, অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে থাকা এই একচ্ছত্র চরিত্রটি—রাষ্ট্রকে চিরস্থায়ী অচলাবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপির ২৮ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছিল। আজ সেটি ২২.৪৮ শতাংশে ঠেকেছে। গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি একটি পরিকল্পিত বিনাশের ফল।
বিনিয়োগ নেই, কারণ নেতৃত্বে আস্থা নেই। আর নেতৃত্বের নামে যা চলছে, তা আসলে চূড়ান্ত অরাজকতা ও প্রতারণার এক ধূসর ছায়াপথ। মোহাম্মদ ইউনুস আর তার অদৃশ্য সরকার—নির্বাচিত নয়, স্বীকৃত নয়, দায়দায়িত্ববোধবর্জিত—একটি জাতিকে চোখের সামনে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
গ্যাস নেই, অথচ দাম বেড়েছে। ব্যাংকে টাকা নেই, অথচ ঋণের সুদের হার ১৭ শতাংশ। এলসি খোলা বন্ধ, পণ্য আমদানি বন্ধ, তারপরে বলে—অর্থনীতি ভালো আছে! এ কেমন হাস্যকর আত্মপ্রবঞ্চনা? প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতারণা—যার মাস্টারমাইন্ড একজন লোক : ইউনুস।
এই ইউনুস উন্নয়ন চান না—তিনি চান নিয়ন্ত্রণ। তিনি প্রবৃদ্ধি চান না—তিনি চান আর্থ-রাজনৈতিক দমন। সুতরাং বিনিয়োগ এলে তার স্বৈরশাসনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। বিনিয়োগকারীর সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অনিশ্চয়তা, আর ইউনুসের নেতৃত্ব মানেই সেটি অজানা, অনির্দেশ্য, অগণতান্ত্রিক।
ব্যবসায়ীরা মুখে বলছেন “চিন্তিত”, ভেতরে ভেতরে তারা আতঙ্কিত। আমদানিকারক জানে না তার এলসি বাতিল হবে কি না। রপ্তানিকারক জানে না তার কাঁচামাল আদৌ বন্দরে আসবে কি না। ঋণ চাওয়া মানেই শাস্তি, বিনিয়োগ মানেই লোকসানের গ্যারান্টি।
এই ধ্বংস শুধু অর্থনীতির নয়—এটি একটি জাতির আত্মার ক্ষয়। একজন অবৈধ শাসকের জেদের বলি হয়ে একটি রাষ্ট্র তার সম্ভাবনার শেষ কফিনে পেরেক ঠুকে দিচ্ছে। ইউনুস নিজেকে 'উদ্ধারকর্তা' হিসেবে সাজাতে চান, কিন্তু বাস্তবতা বলছে তিনিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের স্থপতি।
রাষ্ট্র চালাতে হলে বৈধতা লাগে। আস্থা লাগে। ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা লাগে। এগুলোর কোনোটাই আজকের এই ছায়া-ক্ষমতা ও তার একগুঁয়ে নেতৃত্বের ভাণ্ডারে নেই। আছে শুধু আমিত্ব, আত্মম্ভরিতা, অযোগ্যতা।
আজ যারা বিনিয়োগ করছে না, তারা বোকা নয়—তারা বুঝেছে, এই ব্যবস্থায় লাভ নয়, টিকে থাকাটাই প্রশ্নবিদ্ধ। তারা পালাচ্ছে, কারণ রাষ্ট্রের কর্ণধারই নিজে পালিয়ে বেড়ানো চরিত্র—আন্তর্জাতিক নীতিগত জবাবদিহিতার বাইরে দাঁড়িয়ে, একছত্র নিয়ন্ত্রণ চায়, কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই।
এটা অর্থনীতির ধস না—এটা বিশ্বাসঘাতকতার ফল। এটা বাজারের ব্যর্থতা না—এটা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ডহীনতার প্রতিচ্ছবি।
আর কতদূর নামলে জাতি বুঝবে, একটি ব্যক্তি এবং একটি গোষ্ঠীর অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা কেমন করে গোটা দেশের ভবিষ্যৎকে জিম্মি করে রাখতে পারে?
#YunusMustGo
বাংলাদেশ আজ বিনিয়োগহীন। বাজারে পুঁজি নেই, কারখানায় গতি নেই, কর্মক্ষেত্রে আশা নেই। অথচ প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ কাজ খুঁজে নামে বাস্তবতার মাটিতে, মুখোমুখি হয় এক নিষ্ঠুর ব্যবস্থার, যার মুখ মোহাম্মদ ইউনুস। হ্যাঁ, অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে থাকা এই একচ্ছত্র চরিত্রটি—রাষ্ট্রকে চিরস্থায়ী অচলাবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপির ২৮ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছিল। আজ সেটি ২২.৪৮ শতাংশে ঠেকেছে। গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি একটি পরিকল্পিত বিনাশের ফল।
বিনিয়োগ নেই, কারণ নেতৃত্বে আস্থা নেই। আর নেতৃত্বের নামে যা চলছে, তা আসলে চূড়ান্ত অরাজকতা ও প্রতারণার এক ধূসর ছায়াপথ। মোহাম্মদ ইউনুস আর তার অদৃশ্য সরকার—নির্বাচিত নয়, স্বীকৃত নয়, দায়দায়িত্ববোধবর্জিত—একটি জাতিকে চোখের সামনে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
গ্যাস নেই, অথচ দাম বেড়েছে। ব্যাংকে টাকা নেই, অথচ ঋণের সুদের হার ১৭ শতাংশ। এলসি খোলা বন্ধ, পণ্য আমদানি বন্ধ, তারপরে বলে—অর্থনীতি ভালো আছে! এ কেমন হাস্যকর আত্মপ্রবঞ্চনা? প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতারণা—যার মাস্টারমাইন্ড একজন লোক : ইউনুস।
এই ইউনুস উন্নয়ন চান না—তিনি চান নিয়ন্ত্রণ। তিনি প্রবৃদ্ধি চান না—তিনি চান আর্থ-রাজনৈতিক দমন। সুতরাং বিনিয়োগ এলে তার স্বৈরশাসনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। বিনিয়োগকারীর সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অনিশ্চয়তা, আর ইউনুসের নেতৃত্ব মানেই সেটি অজানা, অনির্দেশ্য, অগণতান্ত্রিক।
ব্যবসায়ীরা মুখে বলছেন “চিন্তিত”, ভেতরে ভেতরে তারা আতঙ্কিত। আমদানিকারক জানে না তার এলসি বাতিল হবে কি না। রপ্তানিকারক জানে না তার কাঁচামাল আদৌ বন্দরে আসবে কি না। ঋণ চাওয়া মানেই শাস্তি, বিনিয়োগ মানেই লোকসানের গ্যারান্টি।
এই ধ্বংস শুধু অর্থনীতির নয়—এটি একটি জাতির আত্মার ক্ষয়। একজন অবৈধ শাসকের জেদের বলি হয়ে একটি রাষ্ট্র তার সম্ভাবনার শেষ কফিনে পেরেক ঠুকে দিচ্ছে। ইউনুস নিজেকে 'উদ্ধারকর্তা' হিসেবে সাজাতে চান, কিন্তু বাস্তবতা বলছে তিনিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের স্থপতি।
রাষ্ট্র চালাতে হলে বৈধতা লাগে। আস্থা লাগে। ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা লাগে। এগুলোর কোনোটাই আজকের এই ছায়া-ক্ষমতা ও তার একগুঁয়ে নেতৃত্বের ভাণ্ডারে নেই। আছে শুধু আমিত্ব, আত্মম্ভরিতা, অযোগ্যতা।
আজ যারা বিনিয়োগ করছে না, তারা বোকা নয়—তারা বুঝেছে, এই ব্যবস্থায় লাভ নয়, টিকে থাকাটাই প্রশ্নবিদ্ধ। তারা পালাচ্ছে, কারণ রাষ্ট্রের কর্ণধারই নিজে পালিয়ে বেড়ানো চরিত্র—আন্তর্জাতিক নীতিগত জবাবদিহিতার বাইরে দাঁড়িয়ে, একছত্র নিয়ন্ত্রণ চায়, কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই।
এটা অর্থনীতির ধস না—এটা বিশ্বাসঘাতকতার ফল। এটা বাজারের ব্যর্থতা না—এটা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ডহীনতার প্রতিচ্ছবি।
আর কতদূর নামলে জাতি বুঝবে, একটি ব্যক্তি এবং একটি গোষ্ঠীর অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা কেমন করে গোটা দেশের ভবিষ্যৎকে জিম্মি করে রাখতে পারে?
#YunusMustGo