বিচার ব্যবস্থার মুখে চপেটাঘাত—হার্টস্ট্রোকের পরও জেলহাজতে ফেরত এক রাজনৈতিক নেতার করুণ পরিণতি!
মৌলভীবাজারে আইনের নামে #নির্মমতা!
বড়লেখা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৪২) দীর্ঘ সাত মাসের কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েও রেহাই পেলেন না। জীবনের শেষ সম্বল বসতভিটার একাংশ বিক্রি করে হাইকোর্ট থেকে তৃতীয়বারের মতো জামিনে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু গতকাল (২৬ মে ২০২৫) জেলগেইট থেকে বের হওয়ার পরপরই আবারও #গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
আজ (২৭ মে) বড়লেখা কোর্ট হাজতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ হার্টস্ট্রোক করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে আবারও জেলহাজতে পাঠানো হয় – যেন তার প্রতি মানবিকতা নয়, প্রতিশোধই যেন প্রশাসনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একজন রাজনৈতিক কর্মী কতটা সহ্য করলে তবে তার প্রতি মানবতা দেখানো হবে?
রাষ্ট্র কি আজ প্রতিপক্ষ দমনে এতটাই উন্মত্ত যে, মানবিকতার স্থান নেই বিচারব্যবস্থার পরিমণ্ডলেও?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
মৌলভীবাজারে আইনের নামে #নির্মমতা!
বড়লেখা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৪২) দীর্ঘ সাত মাসের কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েও রেহাই পেলেন না। জীবনের শেষ সম্বল বসতভিটার একাংশ বিক্রি করে হাইকোর্ট থেকে তৃতীয়বারের মতো জামিনে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু গতকাল (২৬ মে ২০২৫) জেলগেইট থেকে বের হওয়ার পরপরই আবারও #গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
আজ (২৭ মে) বড়লেখা কোর্ট হাজতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ হার্টস্ট্রোক করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে আবারও জেলহাজতে পাঠানো হয় – যেন তার প্রতি মানবিকতা নয়, প্রতিশোধই যেন প্রশাসনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একজন রাজনৈতিক কর্মী কতটা সহ্য করলে তবে তার প্রতি মানবতা দেখানো হবে?
রাষ্ট্র কি আজ প্রতিপক্ষ দমনে এতটাই উন্মত্ত যে, মানবিকতার স্থান নেই বিচারব্যবস্থার পরিমণ্ডলেও?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
রাষ্ট্র যখন নিজের বীরদের চিনতে পারে না, তখন বুঝে নিতে হয়—রাষ্ট্রটা আর আমাদের নিজেদের নেই
——————
আনোয়ারা বেগম। নামটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাথা নত হওয়ার কথা। আশির কোঠায় বয়স। ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়—তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে, দেশ যখন দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হিংস্র থাবায় জর্জরিত, তখন তিনি আর তাঁর বোন মনু হাতে #অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। যুদ্ধ করেছিলেন সম্মুখভাগে। বুক দিয়ে আগলেছেন দেশটাকে পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে।
আজ সেই আনোয়ারা বেগম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান প্রশাসনিক একটি কাজে। এবং সেখানে তাঁকে চিনতে দেরি করে না বর্তমান প্রশাসন। চিনে, এবং ভয় পায়। এই ভয় কোনো নিরাপত্তাজনিত নয়—এই ভয় ইতিহাসের। যারা আজ প্রশাসনের গদি গরম করে বসে আছেন, তাদের রক্তকণিকায় ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরাই দৌড়ে বেড়াচ্ছে। তাই তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এই ঘটনাটি নিছক একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। এই বার্তা বলছে—বাংলাদেশ এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাজাকার-ঘেঁষা প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধকে ‘পরাজয়’ মনে করে আর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বিপজ্জনক’। এবং এই বার্তা এসেছে মোহাম্মদ ইউনুস নামক এক অনির্বাচিত, বিদেশী দালাল, এবং বিকৃত চরিত্রের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা অস্বীকৃত ‘সরকার’ থেকে—যার গোড়ায় বসে আছে পরাজিত রাজনীতির পরিত্যক্ত কঙ্কাল।
আনোয়ারা বেগমকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার মানে শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা নয় — এটি গোটা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, আত্মত্যাগ, এবং আদর্শকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা। এই বাংলাদেশ, যার জন্মই হয়েছিল পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, আজ তারই গন্ধমাখা লোকদের দখলে। যারা মুখে আইন, উন্নয়ন, প্রগতি বলে, ভেতরে এখনো মীর জাফরের মানসিকতা লালন করে।
রাষ্ট্র যখন নিজের বীরদের চিনতে পারে না, তখন বুঝে নিতে হয়—রাষ্ট্রটা আর আমাদের নিজেদের নেই।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #SaveBangladesh #YunusMustGo
——————
আনোয়ারা বেগম। নামটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাথা নত হওয়ার কথা। আশির কোঠায় বয়স। ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়—তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে, দেশ যখন দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হিংস্র থাবায় জর্জরিত, তখন তিনি আর তাঁর বোন মনু হাতে #অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। যুদ্ধ করেছিলেন সম্মুখভাগে। বুক দিয়ে আগলেছেন দেশটাকে পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে।
আজ সেই আনোয়ারা বেগম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান প্রশাসনিক একটি কাজে। এবং সেখানে তাঁকে চিনতে দেরি করে না বর্তমান প্রশাসন। চিনে, এবং ভয় পায়। এই ভয় কোনো নিরাপত্তাজনিত নয়—এই ভয় ইতিহাসের। যারা আজ প্রশাসনের গদি গরম করে বসে আছেন, তাদের রক্তকণিকায় ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরাই দৌড়ে বেড়াচ্ছে। তাই তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এই ঘটনাটি নিছক একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। এই বার্তা বলছে—বাংলাদেশ এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাজাকার-ঘেঁষা প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধকে ‘পরাজয়’ মনে করে আর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বিপজ্জনক’। এবং এই বার্তা এসেছে মোহাম্মদ ইউনুস নামক এক অনির্বাচিত, বিদেশী দালাল, এবং বিকৃত চরিত্রের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা অস্বীকৃত ‘সরকার’ থেকে—যার গোড়ায় বসে আছে পরাজিত রাজনীতির পরিত্যক্ত কঙ্কাল।
আনোয়ারা বেগমকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার মানে শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা নয় — এটি গোটা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, আত্মত্যাগ, এবং আদর্শকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা। এই বাংলাদেশ, যার জন্মই হয়েছিল পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, আজ তারই গন্ধমাখা লোকদের দখলে। যারা মুখে আইন, উন্নয়ন, প্রগতি বলে, ভেতরে এখনো মীর জাফরের মানসিকতা লালন করে।
রাষ্ট্র যখন নিজের বীরদের চিনতে পারে না, তখন বুঝে নিতে হয়—রাষ্ট্রটা আর আমাদের নিজেদের নেই।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #SaveBangladesh #YunusMustGo
সাংবিধানিক কর্তব্য, ন্যায়বিচার এবং জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা
-----
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিচার বিভাগ কেবল আইনের ব্যাখ্যাই করে না, বরং সংবিধানের রক্ষক হিসেবেও কাজ করে। জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা, নির্বাহী ও আইনসভার ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করা এবং ন্যায়সঙ্গত সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা - এই সবই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কি এই সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে?
উত্তরটি দুঃখজনকভাবে নেতিবাচক। বিচার বিভাগ আজ রাজনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক প্রভাব এবং নিরাপত্তাহীনতার চক্রে আটকা পড়ে আছে। ফলস্বরূপ, আদালত আর সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল নয় - বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
বিচার বিভাগের সাংবিধানিক দায়িত্ব:
বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে - "বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।" এটি কেবল একটি শব্দ নয়, বরং রাষ্ট্রের একটি মৌলিক অঙ্গের জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত। বিচার বিভাগ যদি স্বাধীনভাবে কাজ না করে, তাহলে সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র একটি নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়।
একটি ন্যায়সঙ্গত রাষ্ট্র গঠনে, বিচার বিভাগ জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারে যেখানে অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ ব্যর্থ হয়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বিচার বিভাগ নিজেই অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের ছায়ায় পরিণত হয়েছে।
সাহসী বিচারকদের অনুপস্থিতি
আমাদের ইতিহাসে অনেক সাহসী বিচারক রয়েছেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী থেকে শুরু করে বিচারপতি মো. হাবিবুর রহমান পর্যন্ত, তারা বিভিন্ন সময়ে আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিচারকরা মূলত নীরব, অনুগত এবং "ব্যবস্থার অংশ" হয়ে উঠেছেন।
আজ, যখন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করা হচ্ছে, এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে - তখন আমাদের বিচার বিভাগ নীরব। এই নীরবতা কি ভয়ের ফলাফল? নাকি এটি বিচার বিভাগের উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ?
যখন একজন বিচারক সাহস দেখানোর চেষ্টা করেন, তখন তাকে বরখাস্ত, পদোন্নতি বা তদন্তের হুমকি দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, বিচারকরা ন্যায়বিচারের পথ নয় বরং আত্মরক্ষার পথ বেছে নিচ্ছেন।
সরকার কি বাধা দিচ্ছে?**
প্রশ্ন উঠছে—সরকার কি বিচার বিভাগকে তার দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছে না? দুর্ভাগ্যবশত, বাস্তবতা বলছে—না।
* বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্য দেখা যায়।
* বিচার বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে।
* গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি "মনোনীত" বেঞ্চে পাঠানো হয়।
* অনেক বিচারককে সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে—নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, রাজনৈতিক গ্রেপ্তারকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, এমনকি মিডিয়া সেন্সরশিপকে বৈধতা দেওয়ার জন্য।
ফলস্বরূপ, বিচার বিভাগ আর জনগণের নয়—বরং সরকারের একটি অনুগত শাখা হয়ে উঠছে।
জনগণের আস্থা এবং ন্যায়বিচারের শেষ অবলম্বন হ্রাস:**
মানুষ শেষ আশার আলো হিসেবে আদালতে যায়। কিন্তু যখন সেই আদালত রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়, অথবা মৌলিক অধিকারের মামলায় ন্যায্যতা নিশ্চিত করে না, তখন জনগণ কোথায় যাবে? এই পরিস্থিতি কেবল ন্যায়বিচারের অপমানই নয়—এটি একটি জাতির মনোবলের তীব্র অবক্ষয়।
বিচার বিভাগের এই দুর্বলতা এবং সাহসী বিচারকদের অনুপস্থিতি আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য একটি বিপজ্জনক সংকেত। সরকার যদি সত্যিই জনগণের সেবা করতে চায়, তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
* সাহসী বিচারকদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে,
* বিচারক নিয়োগে দলীয় প্রভাব বন্ধ করতে হবে,
এবং সংবিধান অনুসারে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করতে হবে।
যতক্ষণ না রাষ্ট্র তার বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেয়, ততক্ষণ জনগণ সুরক্ষিত থাকবে না এবং সংবিধান কেবল কাগজে লেখা একটি 'আদর্শ' হিসেবেই থেকে যাবে।
আজ, আমরা বিচার বিভাগের কাছে একটি প্রশ্ন রেখে যেতে চাই - আপনি কি ইতিহাসের পাশে দাঁড়াবেন, নাকি ক্ষমতার ছায়ায় অদৃশ্য হয়ে যাবেন?
সাখাওয়াত হোসেন
মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।
প্রাথমিক সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
-----
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিচার বিভাগ কেবল আইনের ব্যাখ্যাই করে না, বরং সংবিধানের রক্ষক হিসেবেও কাজ করে। জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা, নির্বাহী ও আইনসভার ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করা এবং ন্যায়সঙ্গত সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা - এই সবই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কি এই সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে?
উত্তরটি দুঃখজনকভাবে নেতিবাচক। বিচার বিভাগ আজ রাজনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক প্রভাব এবং নিরাপত্তাহীনতার চক্রে আটকা পড়ে আছে। ফলস্বরূপ, আদালত আর সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল নয় - বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
বিচার বিভাগের সাংবিধানিক দায়িত্ব:
বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে - "বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।" এটি কেবল একটি শব্দ নয়, বরং রাষ্ট্রের একটি মৌলিক অঙ্গের জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত। বিচার বিভাগ যদি স্বাধীনভাবে কাজ না করে, তাহলে সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র একটি নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়।
একটি ন্যায়সঙ্গত রাষ্ট্র গঠনে, বিচার বিভাগ জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারে যেখানে অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ ব্যর্থ হয়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বিচার বিভাগ নিজেই অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের ছায়ায় পরিণত হয়েছে।
সাহসী বিচারকদের অনুপস্থিতি
আমাদের ইতিহাসে অনেক সাহসী বিচারক রয়েছেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী থেকে শুরু করে বিচারপতি মো. হাবিবুর রহমান পর্যন্ত, তারা বিভিন্ন সময়ে আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিচারকরা মূলত নীরব, অনুগত এবং "ব্যবস্থার অংশ" হয়ে উঠেছেন।
আজ, যখন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করা হচ্ছে, এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে - তখন আমাদের বিচার বিভাগ নীরব। এই নীরবতা কি ভয়ের ফলাফল? নাকি এটি বিচার বিভাগের উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ?
যখন একজন বিচারক সাহস দেখানোর চেষ্টা করেন, তখন তাকে বরখাস্ত, পদোন্নতি বা তদন্তের হুমকি দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, বিচারকরা ন্যায়বিচারের পথ নয় বরং আত্মরক্ষার পথ বেছে নিচ্ছেন।
সরকার কি বাধা দিচ্ছে?**
প্রশ্ন উঠছে—সরকার কি বিচার বিভাগকে তার দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছে না? দুর্ভাগ্যবশত, বাস্তবতা বলছে—না।
* বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্য দেখা যায়।
* বিচার বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে।
* গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি "মনোনীত" বেঞ্চে পাঠানো হয়।
* অনেক বিচারককে সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে—নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, রাজনৈতিক গ্রেপ্তারকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, এমনকি মিডিয়া সেন্সরশিপকে বৈধতা দেওয়ার জন্য।
ফলস্বরূপ, বিচার বিভাগ আর জনগণের নয়—বরং সরকারের একটি অনুগত শাখা হয়ে উঠছে।
জনগণের আস্থা এবং ন্যায়বিচারের শেষ অবলম্বন হ্রাস:**
মানুষ শেষ আশার আলো হিসেবে আদালতে যায়। কিন্তু যখন সেই আদালত রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়, অথবা মৌলিক অধিকারের মামলায় ন্যায্যতা নিশ্চিত করে না, তখন জনগণ কোথায় যাবে? এই পরিস্থিতি কেবল ন্যায়বিচারের অপমানই নয়—এটি একটি জাতির মনোবলের তীব্র অবক্ষয়।
বিচার বিভাগের এই দুর্বলতা এবং সাহসী বিচারকদের অনুপস্থিতি আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য একটি বিপজ্জনক সংকেত। সরকার যদি সত্যিই জনগণের সেবা করতে চায়, তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
* সাহসী বিচারকদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে,
* বিচারক নিয়োগে দলীয় প্রভাব বন্ধ করতে হবে,
এবং সংবিধান অনুসারে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করতে হবে।
যতক্ষণ না রাষ্ট্র তার বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেয়, ততক্ষণ জনগণ সুরক্ষিত থাকবে না এবং সংবিধান কেবল কাগজে লেখা একটি 'আদর্শ' হিসেবেই থেকে যাবে।
আজ, আমরা বিচার বিভাগের কাছে একটি প্রশ্ন রেখে যেতে চাই - আপনি কি ইতিহাসের পাশে দাঁড়াবেন, নাকি ক্ষমতার ছায়ায় অদৃশ্য হয়ে যাবেন?
সাখাওয়াত হোসেন
মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।
প্রাথমিক সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
#Live #SheikhHasina
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউবে কথা বলবেন
জননেত্রী শেখ হাসিনা
সময় রাত ৯ টা, ২৯ মে ২০২৫
#AwamiLeague #SheikhHasinaLive #ALBDLive
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউবে কথা বলবেন
জননেত্রী শেখ হাসিনা
সময় রাত ৯ টা, ২৯ মে ২০২৫
#AwamiLeague #SheikhHasinaLive #ALBDLive
🛑#Live #SheikhHasina #Albd
জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের শিকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পরিবার-পরিজনের কথা শুনছেন এবং বক্তব্য রাখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সরাসরি 👉https://www.facebook.com/share/v/1Cd39SmiDP/?mibextid=wwXIfr
জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের শিকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পরিবার-পরিজনের কথা শুনছেন এবং বক্তব্য রাখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সরাসরি 👉https://www.facebook.com/share/v/1Cd39SmiDP/?mibextid=wwXIfr
Facebook
Log in or sign up to view
See posts, photos and more on Facebook.
বাবা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা, সেই অপরাধে ছেলের ওপর #হামলা করে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে #বিএনপি
শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবদুল হক সজিবকে না পেয়ে তাঁর ১৮ বছরের ছেলে জাহিদ হাসানকে ১৯ মে রাতে #নির্মমভাবে #নির্যাতন করে স্থানীয় #বিএনপি-#জামাত ক্যাডাররা। আকাশ ও রনির নেতৃত্বে #সন্ত্রাসীরা #হত্যার উদ্দেশ্যে #হামলা চালিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করে এবং চিকিৎসা না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। জাহিদের একমাত্র ‘অপরাধ’—তার বাবা আওয়ামী লীগ করেন।
এই #বর্বর #হামলা এবং পুলিশের পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে আইনের শাসন ধ্বংস করেছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
#Bangladesh #BNP #BangladeshCrisis
শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবদুল হক সজিবকে না পেয়ে তাঁর ১৮ বছরের ছেলে জাহিদ হাসানকে ১৯ মে রাতে #নির্মমভাবে #নির্যাতন করে স্থানীয় #বিএনপি-#জামাত ক্যাডাররা। আকাশ ও রনির নেতৃত্বে #সন্ত্রাসীরা #হত্যার উদ্দেশ্যে #হামলা চালিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করে এবং চিকিৎসা না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। জাহিদের একমাত্র ‘অপরাধ’—তার বাবা আওয়ামী লীগ করেন।
এই #বর্বর #হামলা এবং পুলিশের পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে আইনের শাসন ধ্বংস করেছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
#Bangladesh #BNP #BangladeshCrisis
গণতন্ত্র ও #অবৈধ সুদি ইউনুসের দেশব্যাপী সন্ত্রাস-চক্রান্তের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে র্যাব -পুলিশের বেআইনি আগ্রাসন
#অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় #মামলা ছাড়া ও মিথ্যা #মামলায় অন্যায়ভাবে #আটক হয়েছেন-
- কুমিল্লা দঃ জেলার আওতাধীন বরুড়া উপজেলার শীলমুড়ী উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এমরান হোসেন হেলাল
- কুমিল্লা উত্তর জেলার চান্দিনা উপজেলার, বাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো সেলিম ভুঁইয়া
- পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিম মৃধা
- শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল কবির
- ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড় যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন মানিক
- ৯নং ওয়ার্ড, কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা: আহমদুর রহমান
- রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তর্গত ২৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক রতন মিয়া
- শরীয়তপুরের সখিপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরান
- কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন আহমেদ রাজ
- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক
#সংস্কারের নামে গণ #গ্রেফতারের এইসব প্রহসন ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
#MassArrests #AwamiLeague #Bangladesh
#অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় #মামলা ছাড়া ও মিথ্যা #মামলায় অন্যায়ভাবে #আটক হয়েছেন-
- কুমিল্লা দঃ জেলার আওতাধীন বরুড়া উপজেলার শীলমুড়ী উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এমরান হোসেন হেলাল
- কুমিল্লা উত্তর জেলার চান্দিনা উপজেলার, বাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো সেলিম ভুঁইয়া
- পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিম মৃধা
- শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল কবির
- ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড় যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন মানিক
- ৯নং ওয়ার্ড, কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা: আহমদুর রহমান
- রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তর্গত ২৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক রতন মিয়া
- শরীয়তপুরের সখিপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরান
- কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন আহমেদ রাজ
- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক
#সংস্কারের নামে গণ #গ্রেফতারের এইসব প্রহসন ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
#MassArrests #AwamiLeague #Bangladesh
সংখ্যালঘু নির্যাতনের আরেকটি #বর্বর অধ্যায়! #ইউনুস সরকারের ছত্রছায়ায় মাগুরার হরিন্দী গ্রামে নারকীয় ঘটনা!
—
গতরাতে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামে ঘটলো এক বিভৎস ও লোমহর্ষক ডাকাতি ও #গণধর্ষণের ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর কুমার রায় ও তার স্ত্রী (মায়ের বয়সী একজন নারী) – দুজনেই এখন মাগুরা আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ডাকাত দল শুধু তাদের ঘরবাড়ি #লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং স্ত্রীকে #বর্বরভাবে শারীরিক #নির্যাতন ও #গণধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে তাকে অচেতন ও #নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক হও বাঙালি! আজ হরিন্দী, কাল হয়তো তোমার বাড়ি!
#BangladeshCrisis #SavebangladeshiMinorities
—
গতরাতে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামে ঘটলো এক বিভৎস ও লোমহর্ষক ডাকাতি ও #গণধর্ষণের ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর কুমার রায় ও তার স্ত্রী (মায়ের বয়সী একজন নারী) – দুজনেই এখন মাগুরা আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ডাকাত দল শুধু তাদের ঘরবাড়ি #লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং স্ত্রীকে #বর্বরভাবে শারীরিক #নির্যাতন ও #গণধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে তাকে অচেতন ও #নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক হও বাঙালি! আজ হরিন্দী, কাল হয়তো তোমার বাড়ি!
#BangladeshCrisis #SavebangladeshiMinorities
শেখ হাসিনার পতনের নেপথ্যে #লস্করইতৈযবা সহ #জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা _ ইউনুস এবং সমন্বয়কগণ
—
মুজাম্মিল হাজমির বক্তব্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ দাবি হলো—বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে লস্কর-ই-তৈয়বার সক্রিয় ভূমিকা এবং এই পতনের পর ইউনুস সরকারের উত্থান। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনোই চরমপন্থীদের আশ্রয়স্থল ছিল না—এটি ছিল এক উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র। সেই দেশের মাথায় যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রভাবে গঠিত সরকার বসে, তাহলে প্রশ্ন উঠে আসে দেশের সার্বভৌমত্ব, বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের মৌলিক নীতিমালাকে ঘিরে।
জনগণ চায় একটি নিরাপদ, মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত উগ্র সংগঠনের ছায়ায় বিলীন হয়ে যায়, তবে কেবল বাংলাদেশ নয়—পুরো দক্ষিণ এশিয়াই ফিরে যাবে অন্ধকার যুগে।
ইউনুস সরকার ও লস্কর-ই-তৈয়বা: সরাসরি সংযোগ
১ বর্তমানে জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়া: ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে জঙ্গি দমন কার্যক্রমে শৈথিল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান কিংবা সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকা মৌলবাদী প্রচারণা নিয়েও সরকারের নীরবতা প্রশ্ন তুলছে।
৩ নীরব সমর্থন: লস্কর-ই-তৈয়বার মতো চরমপন্থী সংগঠন যখন দাবি করে তারা সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে, তখন একটি স্বাভাবিক ও শক্তিশালী সরকারের উচিত হতো প্রকাশ্যে এ ধরনের দাবির প্রতিবাদ জানানো বা তদন্ত শুরু করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নীরবতা সন্দেহজনক এবং জঙ্গিবাদের সাথে ইনুস এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলে।
৩.রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী: বলা হয়ে থাকে, এই সরকার দেশের একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শিক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত—যাদের মধ্যে উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী রয়েছে যারা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার মত সংগঠনের সাথে আদর্শিক মিল রাখত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছিল।
৪ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান: ইউনুস সরকারের অনেক কূটনৈতিক কার্যক্রমে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের । যা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তায় একটি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তবে তা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, সারাবিশ্বের জন্যও একটি নিরাপত্তা হুমকি। কারণ এটি সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাঠামো বদলের একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে, যা বিশ্বের যে কোনো দেশে পুনরাবৃত্তি হতে পারে। জনগণ যেন অন্ধকারে না থাকে,একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এখনই সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। জঙ্গিবাদের ছায়ায় গড়ে ওঠা কোনো সরকারকে বৈধতা দেওয়া মানে ভবিষ্যতের জন্য নিজ হাতেই ধ্বংসের রূপরেখা তৈরি করা। জনগণের এখন সবচেয়ে বড় কর্তব্য—সচেতন থাকা, প্রশ্ন করা, এবং অন্ধকারে না থাকা।
—
সাখাওয়াত হোসেন
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#Bangladesh #YunusMustGo #LeT
—
মুজাম্মিল হাজমির বক্তব্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ দাবি হলো—বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে লস্কর-ই-তৈয়বার সক্রিয় ভূমিকা এবং এই পতনের পর ইউনুস সরকারের উত্থান। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনোই চরমপন্থীদের আশ্রয়স্থল ছিল না—এটি ছিল এক উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র। সেই দেশের মাথায় যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রভাবে গঠিত সরকার বসে, তাহলে প্রশ্ন উঠে আসে দেশের সার্বভৌমত্ব, বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের মৌলিক নীতিমালাকে ঘিরে।
জনগণ চায় একটি নিরাপদ, মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন যদি লস্কর-ই-তৈয়বার মত উগ্র সংগঠনের ছায়ায় বিলীন হয়ে যায়, তবে কেবল বাংলাদেশ নয়—পুরো দক্ষিণ এশিয়াই ফিরে যাবে অন্ধকার যুগে।
ইউনুস সরকার ও লস্কর-ই-তৈয়বা: সরাসরি সংযোগ
১ বর্তমানে জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়া: ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে জঙ্গি দমন কার্যক্রমে শৈথিল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান কিংবা সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকা মৌলবাদী প্রচারণা নিয়েও সরকারের নীরবতা প্রশ্ন তুলছে।
৩ নীরব সমর্থন: লস্কর-ই-তৈয়বার মতো চরমপন্থী সংগঠন যখন দাবি করে তারা সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে, তখন একটি স্বাভাবিক ও শক্তিশালী সরকারের উচিত হতো প্রকাশ্যে এ ধরনের দাবির প্রতিবাদ জানানো বা তদন্ত শুরু করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নীরবতা সন্দেহজনক এবং জঙ্গিবাদের সাথে ইনুস এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলে।
৩.রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী: বলা হয়ে থাকে, এই সরকার দেশের একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শিক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত—যাদের মধ্যে উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী রয়েছে যারা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার মত সংগঠনের সাথে আদর্শিক মিল রাখত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছিল।
৪ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান: ইউনুস সরকারের অনেক কূটনৈতিক কার্যক্রমে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের । যা অতীতে লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তায় একটি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তবে তা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, সারাবিশ্বের জন্যও একটি নিরাপত্তা হুমকি। কারণ এটি সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাঠামো বদলের একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে, যা বিশ্বের যে কোনো দেশে পুনরাবৃত্তি হতে পারে। জনগণ যেন অন্ধকারে না থাকে,একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এখনই সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। জঙ্গিবাদের ছায়ায় গড়ে ওঠা কোনো সরকারকে বৈধতা দেওয়া মানে ভবিষ্যতের জন্য নিজ হাতেই ধ্বংসের রূপরেখা তৈরি করা। জনগণের এখন সবচেয়ে বড় কর্তব্য—সচেতন থাকা, প্রশ্ন করা, এবং অন্ধকারে না থাকা।
—
সাখাওয়াত হোসেন
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#Bangladesh #YunusMustGo #LeT
রাষ্ট্রীয় পয়সায় জাপানে সফরে গিয়ে নিজের লাইসেন্সের নামে আদম ব্যবসা শুরু করলেন ড. ইউনুস
—-
বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ কর্মী যাবে এই শিরোনাম শুনে অনেকেই আশায় বুক বাঁধেন। বিদেশে কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স, উন্নয়ন এসব ইতিবাচক শব্দের আবরণে ঢাকা পড়ে থাকে বাস্তবতার নির্মম চিত্র। কিন্তু এবার এই ‘স্বপ্নের প্রচারণা’ এক ভয়াবহ প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেছে, যার মূলনায়ক হলেন ইউনুস।
সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অথচ এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জাপানের সরকারি বাণিজ্য সংস্থা JETRO এই বিষয়ে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহমিদ মইনের এই অতীত জেনেও যে ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন ড. ইউনুস নিজেই। চমকপ্রদ বিষয় হলো, তিনি এখন নিজস্ব লাইসেন্সে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি খুলেছেন, যা এখন তার নতুন ‘সংস্কার’ মডেল! অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় সফরের পয়সায় গিয়ে নিজস্ব ব্যবসার সুবিধার্থে এক বহিষ্কৃত প্রতারকের সঙ্গে চুক্তি করে আদম ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিচ্ছেন তিনি।
JBCCI-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক কর্মকর্তা সাঈদ আরমান বলেন, “তাহমিদ একজন প্রতারক। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে JBCCI থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।”
এদিকে জাপানি দূতাবাসের উদ্বেগ ও আপত্তি স্পষ্ট। তারা মনে করছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক চুক্তি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
প্রশ্ন উঠেছে একজন নোবেল বিজয়ী কীভাবে এমন এক প্রতারক চক্রের অংশীদার হয়ে উঠলেন? কেন রাষ্ট্রীয় সফরকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক এজেন্ডার হাতিয়ার বানানো হলো?
আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটেছে। রাষ্ট্রের অর্থে বিদেশ সফর, রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে খেলাচলা, প্রতারকের সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি সব মিলে এটি যেন একটি ‘রাষ্ট্রীয় বৈধতা পেয়েছে এমন বেনিয়াপনা’।
ড. ইউনুস কি আজ একজন নোবেল বিজয়ী থেকে রাষ্ট্রীয় সফরের সুযোগে আন্তর্জাতিক আদম ব্যবসার উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন?
এই প্রশ্ন শুধু একজন ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও স্বচ্ছতা নিয়েও উঠতে বাধ্য। জনগণের করের টাকা, সরকারের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি সব মিলিয়ে এই নাটকীয় ও বিতর্কিত চুক্তির পেছনে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চক্রান্ত আছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি এখন সময়ের দাবি।
#YunusMustGo
—-
বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ কর্মী যাবে এই শিরোনাম শুনে অনেকেই আশায় বুক বাঁধেন। বিদেশে কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স, উন্নয়ন এসব ইতিবাচক শব্দের আবরণে ঢাকা পড়ে থাকে বাস্তবতার নির্মম চিত্র। কিন্তু এবার এই ‘স্বপ্নের প্রচারণা’ এক ভয়াবহ প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেছে, যার মূলনায়ক হলেন ইউনুস।
সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অথচ এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জাপানের সরকারি বাণিজ্য সংস্থা JETRO এই বিষয়ে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহমিদ মইনের এই অতীত জেনেও যে ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন ড. ইউনুস নিজেই। চমকপ্রদ বিষয় হলো, তিনি এখন নিজস্ব লাইসেন্সে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি খুলেছেন, যা এখন তার নতুন ‘সংস্কার’ মডেল! অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় সফরের পয়সায় গিয়ে নিজস্ব ব্যবসার সুবিধার্থে এক বহিষ্কৃত প্রতারকের সঙ্গে চুক্তি করে আদম ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিচ্ছেন তিনি।
JBCCI-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক কর্মকর্তা সাঈদ আরমান বলেন, “তাহমিদ একজন প্রতারক। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে JBCCI থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।”
এদিকে জাপানি দূতাবাসের উদ্বেগ ও আপত্তি স্পষ্ট। তারা মনে করছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক চুক্তি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
প্রশ্ন উঠেছে একজন নোবেল বিজয়ী কীভাবে এমন এক প্রতারক চক্রের অংশীদার হয়ে উঠলেন? কেন রাষ্ট্রীয় সফরকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক এজেন্ডার হাতিয়ার বানানো হলো?
আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটেছে। রাষ্ট্রের অর্থে বিদেশ সফর, রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে খেলাচলা, প্রতারকের সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি সব মিলে এটি যেন একটি ‘রাষ্ট্রীয় বৈধতা পেয়েছে এমন বেনিয়াপনা’।
ড. ইউনুস কি আজ একজন নোবেল বিজয়ী থেকে রাষ্ট্রীয় সফরের সুযোগে আন্তর্জাতিক আদম ব্যবসার উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন?
এই প্রশ্ন শুধু একজন ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও স্বচ্ছতা নিয়েও উঠতে বাধ্য। জনগণের করের টাকা, সরকারের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি সব মিলিয়ে এই নাটকীয় ও বিতর্কিত চুক্তির পেছনে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চক্রান্ত আছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি এখন সময়ের দাবি।
#YunusMustGo
নির্বাচন বিতর্কিত করল কারা
—-
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে অনেক মায়াকান্না হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীরা নিজেদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা দাবি করেছে। সুশীল নামধারী কিছু ব্যক্তি নিকট অতীতে গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না ছাড়িয়ে রীতিমতো মরা-কান্না জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় আইনের শাসন? কোথায় মানবাধিকার? দেশের মানুষ আজ ভণ্ডদের স্বরূপ দেখছে। ভাওতাবাজির কুৎসিত চেহারা দেখছে। আর জীবন দিয়ে এদের কথায় বিশ্বাস করার পরিণতি ভোগ করছে।
আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেক মিথ্যা বলেছে। বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। অংশ নেয়নি উপজেলা নির্বাচনেও। বরং উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। আর আজ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দলটি নির্বাচন চেয়ে পাথরে মাথা কুটছে। কিন্তু নির্বাচনের সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাসও পাচ্ছে না। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, নবগঠিত এনসিপি, জামায়াতসহ সরকারের পক্ষের শক্তি যতদিন না বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী হবে, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারটি যতক্ষণ না নিশ্চিত হবে, ততদিন কোনো নির্বাচন হবে না।
যাক, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রশ্ন হলো, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চায়নি কেন? আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যেসব দোষারোপ করে, সেসবের বাস্তব ভিত্তি কতটুকু? বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে কারা কলুষিত করেছে? কিভাবে করেছে?
একটু পেছনে তাকানো যাক। স্পষ্ট করেই দেখা যাবে, বাংলাদেশে কারা, কখন, কিভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে। কারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। কারা মানবাধিকারকে ভুলুণ্ঠিত করেছে। কারা নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচন বর্জন করেছে।
বাংলাদেশে সব সময় নির্বাচন বিতর্কিত ও বাধাগ্রস্ত করেছে বিএনপি। নির্বাচনে ভোট কারচুপি থেকে শুরু করে সব অনিয়মের জন্মদাতা বিএনপি। কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার জন্য সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল বিএনপি। বার্তা সংস্থা বিবিসি ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মুখে যে কয়েকটি একতরফা ও বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।’ ১৯৯৬ সালের ওই নির্বাচন নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ভোটারের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট দেননি।’ নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ১০ শতাংশের কম হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে। এর আগে আরো একটি নির্বাচন আছে। সেটি হচ্ছে, ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ, মাগুরা উপনির্বাচন। কারচুপি ও জালিয়াতির নিকৃষ্ট উদাহরণ ছিল সেই উপনির্বাচন।
নির্বাচন নিয়ে আরো একটু পেছনে তাকানো যাক। গণতন্ত্র হত্যাসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সব রকমভাবে দূষিত করেছেন যে ব্যক্তি, তাঁর নাম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতিতে বৈধতা দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এমন ব্যক্তিদের জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মন্ত্রী বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয় ১৯৭৭ সালের ৩০ মে। সেদিন অদ্ভুত এক নির্বাচন প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা ভোট বা গণভোট নামের একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কি রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) প্রতি এবং তাঁর দ্বারা গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থাশীল? ভোটের ফল দেখানো হয় ৯৮.৯ শতাংশ ‘হ্যাঁ’। মোট ভোট প্রদানের হার দেখানো হয় ৮৮.১ শতাংশ। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এই ভোটকে বলা হয়ে থাকে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট। এই ‘হ্যাঁ-না’ ভোট নিয়ে আমার এক বন্ধুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা এখানে তুলে ধরি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি তাঁর ১৩ জন বন্ধুকে নিয়ে যান ভোট দিতে। গিয়ে দেখেন ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা ভোটকেন্দ্রে হৈচৈ শুরু করে দেন। তখন তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। তাঁরা ধরে নিলেন ওই কেন্দ্রে অন্তত ১৩টি ‘না’ ভোট তো নিশ্চিত। সন্ধ্যায় তাঁরা জানতে পারলেন, ওই কেন্দ্রে মোট ‘না’ ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি। জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লজ্জাজনকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।
—-
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে অনেক মায়াকান্না হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীরা নিজেদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা দাবি করেছে। সুশীল নামধারী কিছু ব্যক্তি নিকট অতীতে গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না ছাড়িয়ে রীতিমতো মরা-কান্না জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় আইনের শাসন? কোথায় মানবাধিকার? দেশের মানুষ আজ ভণ্ডদের স্বরূপ দেখছে। ভাওতাবাজির কুৎসিত চেহারা দেখছে। আর জীবন দিয়ে এদের কথায় বিশ্বাস করার পরিণতি ভোগ করছে।
আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেক মিথ্যা বলেছে। বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। অংশ নেয়নি উপজেলা নির্বাচনেও। বরং উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। আর আজ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দলটি নির্বাচন চেয়ে পাথরে মাথা কুটছে। কিন্তু নির্বাচনের সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাসও পাচ্ছে না। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, নবগঠিত এনসিপি, জামায়াতসহ সরকারের পক্ষের শক্তি যতদিন না বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী হবে, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারটি যতক্ষণ না নিশ্চিত হবে, ততদিন কোনো নির্বাচন হবে না।
যাক, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রশ্ন হলো, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চায়নি কেন? আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যেসব দোষারোপ করে, সেসবের বাস্তব ভিত্তি কতটুকু? বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে কারা কলুষিত করেছে? কিভাবে করেছে?
একটু পেছনে তাকানো যাক। স্পষ্ট করেই দেখা যাবে, বাংলাদেশে কারা, কখন, কিভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে। কারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। কারা মানবাধিকারকে ভুলুণ্ঠিত করেছে। কারা নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচন বর্জন করেছে।
বাংলাদেশে সব সময় নির্বাচন বিতর্কিত ও বাধাগ্রস্ত করেছে বিএনপি। নির্বাচনে ভোট কারচুপি থেকে শুরু করে সব অনিয়মের জন্মদাতা বিএনপি। কারচুপি করে নির্বাচনে জেতার জন্য সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল বিএনপি। বার্তা সংস্থা বিবিসি ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মুখে যে কয়েকটি একতরফা ও বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।’ ১৯৯৬ সালের ওই নির্বাচন নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ভোটারের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট দেননি।’ নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ১০ শতাংশের কম হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে। এর আগে আরো একটি নির্বাচন আছে। সেটি হচ্ছে, ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ, মাগুরা উপনির্বাচন। কারচুপি ও জালিয়াতির নিকৃষ্ট উদাহরণ ছিল সেই উপনির্বাচন।
নির্বাচন নিয়ে আরো একটু পেছনে তাকানো যাক। গণতন্ত্র হত্যাসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সব রকমভাবে দূষিত করেছেন যে ব্যক্তি, তাঁর নাম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতিতে বৈধতা দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এমন ব্যক্তিদের জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মন্ত্রী বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয় ১৯৭৭ সালের ৩০ মে। সেদিন অদ্ভুত এক নির্বাচন প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা ভোট বা গণভোট নামের একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কি রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) প্রতি এবং তাঁর দ্বারা গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থাশীল? ভোটের ফল দেখানো হয় ৯৮.৯ শতাংশ ‘হ্যাঁ’। মোট ভোট প্রদানের হার দেখানো হয় ৮৮.১ শতাংশ। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এই ভোটকে বলা হয়ে থাকে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট। এই ‘হ্যাঁ-না’ ভোট নিয়ে আমার এক বন্ধুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা এখানে তুলে ধরি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি তাঁর ১৩ জন বন্ধুকে নিয়ে যান ভোট দিতে। গিয়ে দেখেন ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা ভোটকেন্দ্রে হৈচৈ শুরু করে দেন। তখন তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। তাঁরা ধরে নিলেন ওই কেন্দ্রে অন্তত ১৩টি ‘না’ ভোট তো নিশ্চিত। সন্ধ্যায় তাঁরা জানতে পারলেন, ওই কেন্দ্রে মোট ‘না’ ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি। জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লজ্জাজনকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।