Even Uttering the Word “Awami League” Is a Crime to Fascists—Freedom of Speech Suffocated Across the Country to Erase the Spirit of the Liberation War
https://albd.org/articles/news/41556/
https://albd.org/articles/news/41556/
albd.org
Even Uttering the Word “Awami League” Is a Crime to Fascists—Freedom of Speech Suffocated Across the Country to Erase the Spirit…
Bangladesh is now facing a grim reality where speaking for truth and justice requires first checking whether your words might be interpreted as supportive of the Awami League—something that could provoke Yunus’s fascist mob. If you present accurate facts…
তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সিআইডি-#এনসিপির #চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক নিধনযজ্ঞের নীল নকশা চুড়ান্ত
---
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সংকেত বয়ে আনছে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সিআইডি ও তথাকথিত এনসিপির নেতৃত্বে গ্রামীণ পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে তৈরি করা হচ্ছে কালো তালিকা। প্রতিটি নেতার নামে অন্তত পাঁচটি মিথ্যা #মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্দেশ্য একটাই তাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে নতুন দলে বাধ্যতামূলক যোগদান নিশ্চিত করা।
এই প্রক্রিয়ায় একটি “কম্প্রোমাইজ অপশন” রাখা হয়েছে, যেখানে নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগ ত্যাগ করতে হবে, নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতে হবে এবং কিংস পার্টি বা এনসিপিতে যোগ দিতে হবে। #চাঁদাবাজির এই অর্থের একটি অংশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা আত্মসাৎ করবে, বাকিটা জমা হবে নতুন দলের ফান্ডে। এভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনীতি থেকে একদলীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নীলনকশা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের ভিত্তি। তাদের ওপর এভাবে আঘাত মানে দেশের স্বাধীন রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
এখনই সময় প্রতিরোধ গড়ার। নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, এবং দেশের সব সচেতন মহলকে এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একসাথে সোচ্চার হতে হবে। না হলে খুব শিগগিরই আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবো।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
---
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সংকেত বয়ে আনছে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সিআইডি ও তথাকথিত এনসিপির নেতৃত্বে গ্রামীণ পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে তৈরি করা হচ্ছে কালো তালিকা। প্রতিটি নেতার নামে অন্তত পাঁচটি মিথ্যা #মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্দেশ্য একটাই তাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে নতুন দলে বাধ্যতামূলক যোগদান নিশ্চিত করা।
এই প্রক্রিয়ায় একটি “কম্প্রোমাইজ অপশন” রাখা হয়েছে, যেখানে নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগ ত্যাগ করতে হবে, নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতে হবে এবং কিংস পার্টি বা এনসিপিতে যোগ দিতে হবে। #চাঁদাবাজির এই অর্থের একটি অংশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা আত্মসাৎ করবে, বাকিটা জমা হবে নতুন দলের ফান্ডে। এভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনীতি থেকে একদলীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নীলনকশা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের ভিত্তি। তাদের ওপর এভাবে আঘাত মানে দেশের স্বাধীন রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
এখনই সময় প্রতিরোধ গড়ার। নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, এবং দেশের সব সচেতন মহলকে এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একসাথে সোচ্চার হতে হবে। না হলে খুব শিগগিরই আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবো।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
১৭ মে, শনিবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা
সরাসরি প্রচারিত হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
সময়ঃ রাত ৯ টা
#ALBDLive #SheikhHasina
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা
সরাসরি প্রচারিত হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
সময়ঃ রাত ৯ টা
#ALBDLive #SheikhHasina
আস্থার প্রতীক হিসেবে তাঁর ফিরে আসা
------------
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এর পর দেশে এমন এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যেখানে কেউ বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করার সাহস পেত না। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সব প্রচেষ্টা করা হয়। নেতাকর্মীরা ছিল হতাশ এবং দিশাহীন। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবনের ঝুঁকি তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নয়, বাঙালি জাতিসত্তায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ সেদিন নতুন প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই বাঙালি জাতির ইতিহাসে এই দিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭১ সালে একটি সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা বাঙালি জাতি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দিশা হারায়। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এক নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির আস্ফালন শুরু হয় চতুর্দিকে। গণতন্ত্র দূরে থাক, সান্ধ্য আইনের ঘেরাটোপে কথা বলতেও ভয় পেত মানুষ। সেই অবরুদ্ধ দিনের অর্গল খুলে যাওয়ার দিন ১৯৮১ সালের ১৭ মে।
এ যেন অনেকটাই গ্রিক পুরাণের বীর প্রমিথিউসের গল্প নতুন করে ফিরে আসা। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। অলিম্পাসের চূড়ায় জিউসসহ যেসব দেবতার বাস ছিল, তাদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল টাইটানরা। কিন্তু দেবতাদের মতো অত ক্ষমতা না থাকায় যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয়েছিল তাদের। পরাজিত টাইটানদের বন্দি করা হয়েছিল এমন এক জায়গায়, যেন তারা আর ফিরে আসতে না পারে। প্রমিথিউস ছিলেন এ রকম এক টাইটানের ছেলে। প্রমিথিউস আর তাঁর ভাই এপিমিথিউসকে বন্দি না করে জিউস তাঁর সঙ্গেই রেখেছিলেন। কিন্তু প্রমিথিউসের কোনো ইচ্ছা ছিল না অলিম্পাসে থাকার। তিনি তাঁর ভাইকে নিয়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন।
তখন মানুষ সুখে ছিল না। প্রমিথিউসের মন খারাপ হলো। তিনি চিন্তা করে দেখলেন যে মানুষের কাছে যদি আগুন থাকত, তাহলে তো এ রকম করে জীবন কাটাতে হতো না। অনেক চিন্তা করে প্রমিথিউস জিউসের কাছে গিয়ে মানুষের জন্য আগুন চাইলেন। কিন্তু জিউস স্রেফ না করে দিলেন। কারণ দেখালেন যে আগুন পেলে মানুষ ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং একসময় তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে দাঁড়াবে। প্রমিথিউস দুঃখ পেলেও আর কিছু না বলে চলে এলেন। কিন্তু মনে মনে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলেন, মানুষকে তিনি আগুন এনে দেবেনই। এই ভেবে প্রমিথিউস একদিন রওনা হলেন পূর্ব দিকে, যেদিক দিয়ে সূর্য ওঠে। পূর্ব দিকের সর্বশেষ প্রান্তে পৌঁছে তিনি দেখলেন যে সূর্য তার সারা দিনের পথপরিক্রমার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তখনো পুরো তেজ নিয়ে জ্বলা শুরু করেনি। সুযোগ বুঝে প্রমিথিউস সূর্যের এক কোনা ভেঙে নিয়ে চলে এলেন।
মানুষের কাছে এসে তিনি আগুন ধরিয়ে দেখালেন। আগুন কিভাবে জ্বালাতে হয়, কিভাবে আগুন দিয়ে রান্না করে খেতে হয়, তা শেখালেন। এর পাশাপাশি চাষাবাদ, হাতিয়ার তৈরি থেকে আরো অনেক কিছু শিখিয়ে দিলেন। মানুষ স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার গুহা ছেড়ে বাইরে থাকা শুরু করল, ঘরবাড়ি বানানো শিখল। মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াল।
এই গল্পেরই পুনরাবৃত্তি যেন আমরা দেখতে পাই ১৯৮১ সালের ১৭ মে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে এ দেশের একদল মানুষ যেন নিজেদের দেবতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। যা কিছু ভালো, সব তাদের অবদান, এটাই ছিল একমাত্র প্রচার। গণতন্ত্রের আকাশ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সামরিকতন্ত্রের কালো মেঘ দিয়ে। সমাজের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেশ ও জাতিকে গ্রাস করেছিল একরাশ অন্ধকার। সে এক অবরুদ্ধ অবস্থা। সপরিবারে নিহত জাতির পিতা। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। সেই দিকভ্রান্ত দিনে আলোকবর্তিকা নিয়ে তিনি পা রাখলেন সেই মাটিতে, যেখানে মিশে আছে তাঁর স্বজনের রক্ত। সেই দিনটি হচ্ছে ১৭ মে ১৯৮১। মানুষের প্রাণের আকুতি ভাগাভাগি করে দেওয়ার এই দিনটি বাঙালির কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার দিন আজ। উর্দিধারী শাসকগোষ্ঠীকে প্রবল ঝাঁকুনি দেওয়ার দিন ১৭ মে। সর্বস্বহারা এক নারী আজকের এই দিনে খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর আত্মিক স্বজন। ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনেই দীর্ঘ ছয় বছরের প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসেন আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
------------
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এর পর দেশে এমন এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যেখানে কেউ বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করার সাহস পেত না। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সব প্রচেষ্টা করা হয়। নেতাকর্মীরা ছিল হতাশ এবং দিশাহীন। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবনের ঝুঁকি তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নয়, বাঙালি জাতিসত্তায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ সেদিন নতুন প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই বাঙালি জাতির ইতিহাসে এই দিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭১ সালে একটি সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা বাঙালি জাতি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দিশা হারায়। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এক নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির আস্ফালন শুরু হয় চতুর্দিকে। গণতন্ত্র দূরে থাক, সান্ধ্য আইনের ঘেরাটোপে কথা বলতেও ভয় পেত মানুষ। সেই অবরুদ্ধ দিনের অর্গল খুলে যাওয়ার দিন ১৯৮১ সালের ১৭ মে।
এ যেন অনেকটাই গ্রিক পুরাণের বীর প্রমিথিউসের গল্প নতুন করে ফিরে আসা। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। অলিম্পাসের চূড়ায় জিউসসহ যেসব দেবতার বাস ছিল, তাদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল টাইটানরা। কিন্তু দেবতাদের মতো অত ক্ষমতা না থাকায় যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয়েছিল তাদের। পরাজিত টাইটানদের বন্দি করা হয়েছিল এমন এক জায়গায়, যেন তারা আর ফিরে আসতে না পারে। প্রমিথিউস ছিলেন এ রকম এক টাইটানের ছেলে। প্রমিথিউস আর তাঁর ভাই এপিমিথিউসকে বন্দি না করে জিউস তাঁর সঙ্গেই রেখেছিলেন। কিন্তু প্রমিথিউসের কোনো ইচ্ছা ছিল না অলিম্পাসে থাকার। তিনি তাঁর ভাইকে নিয়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন।
তখন মানুষ সুখে ছিল না। প্রমিথিউসের মন খারাপ হলো। তিনি চিন্তা করে দেখলেন যে মানুষের কাছে যদি আগুন থাকত, তাহলে তো এ রকম করে জীবন কাটাতে হতো না। অনেক চিন্তা করে প্রমিথিউস জিউসের কাছে গিয়ে মানুষের জন্য আগুন চাইলেন। কিন্তু জিউস স্রেফ না করে দিলেন। কারণ দেখালেন যে আগুন পেলে মানুষ ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং একসময় তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে দাঁড়াবে। প্রমিথিউস দুঃখ পেলেও আর কিছু না বলে চলে এলেন। কিন্তু মনে মনে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলেন, মানুষকে তিনি আগুন এনে দেবেনই। এই ভেবে প্রমিথিউস একদিন রওনা হলেন পূর্ব দিকে, যেদিক দিয়ে সূর্য ওঠে। পূর্ব দিকের সর্বশেষ প্রান্তে পৌঁছে তিনি দেখলেন যে সূর্য তার সারা দিনের পথপরিক্রমার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তখনো পুরো তেজ নিয়ে জ্বলা শুরু করেনি। সুযোগ বুঝে প্রমিথিউস সূর্যের এক কোনা ভেঙে নিয়ে চলে এলেন।
মানুষের কাছে এসে তিনি আগুন ধরিয়ে দেখালেন। আগুন কিভাবে জ্বালাতে হয়, কিভাবে আগুন দিয়ে রান্না করে খেতে হয়, তা শেখালেন। এর পাশাপাশি চাষাবাদ, হাতিয়ার তৈরি থেকে আরো অনেক কিছু শিখিয়ে দিলেন। মানুষ স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার গুহা ছেড়ে বাইরে থাকা শুরু করল, ঘরবাড়ি বানানো শিখল। মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াল।
এই গল্পেরই পুনরাবৃত্তি যেন আমরা দেখতে পাই ১৯৮১ সালের ১৭ মে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে এ দেশের একদল মানুষ যেন নিজেদের দেবতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। যা কিছু ভালো, সব তাদের অবদান, এটাই ছিল একমাত্র প্রচার। গণতন্ত্রের আকাশ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সামরিকতন্ত্রের কালো মেঘ দিয়ে। সমাজের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেশ ও জাতিকে গ্রাস করেছিল একরাশ অন্ধকার। সে এক অবরুদ্ধ অবস্থা। সপরিবারে নিহত জাতির পিতা। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। সেই দিকভ্রান্ত দিনে আলোকবর্তিকা নিয়ে তিনি পা রাখলেন সেই মাটিতে, যেখানে মিশে আছে তাঁর স্বজনের রক্ত। সেই দিনটি হচ্ছে ১৭ মে ১৯৮১। মানুষের প্রাণের আকুতি ভাগাভাগি করে দেওয়ার এই দিনটি বাঙালির কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার দিন আজ। উর্দিধারী শাসকগোষ্ঠীকে প্রবল ঝাঁকুনি দেওয়ার দিন ১৭ মে। সর্বস্বহারা এক নারী আজকের এই দিনে খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর আত্মিক স্বজন। ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনেই দীর্ঘ ছয় বছরের প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসেন আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
সেদিন ঢাকার সব পথ মিশে গিয়েছিল বিমানবন্দর ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। আসলে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছিল যে মানুষ, তারা বুঝেছিল তাদের ত্রাতা আসছেন। আসছেন সেই দিকনির্দেশক, যিনি মুক্তির অগ্রযাত্রায় আসন্ন বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবেন। মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে নতুন গতি যে তাঁরই যোগ্য নেতৃত্বে নতুন করে সূচিত হবে, তা বুঝতে এ দেশের মানুষের একটুও সময় লাগেনি। বঙ্গবন্ধুর মতো উদারপ্রাণ, মহৎ মানুষকে হারিয়ে এ দেশের মানুষ তখন এমন কাউকে খুঁজছে, যাঁর ওপর শতভাগ নির্ভর করা যায়। মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবেই তাঁর ফিরে আসা এই মাটিতে।
প্রমিথিউস প্রকৃতির শক্তির বিরুদ্ধে মানুষের অগ্রগতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন আগুন এবং আশার উপহার। আশা মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করতে সাহায্য করে। আগুন প্রযুক্তির উৎস হিসেবে সেই সংগ্রামে সাফল্যকে সম্ভব করে তোলে। বাংলাদেশ যে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল, তার শতভাগ কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছিল।
জনকল্যাণের ব্রত সাধনার মন্ত্রে নতুন দীক্ষা নিয়ে আজকের এই দিনে এক নিঃস্ব নারী পিতৃভূমিতে পা রেখেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তিনি একেবারেই একা নন। বাংলার মানুষ রয়েছে তাঁর পাশে। এরাই তাঁর আত্মার আত্মীয়।
রাজনীতি ও জনকল্যাণের এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বহুবার হামলাও করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেটি আবারও ষড়যন্ত্রকারীদের চক্ষুশূল হলো। আবারও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশছাড়া করা হলো। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ মের মতো আবারও বীরদর্পে ফিরে আসবেন দেশের মাটিতে। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আবারও রক্তিম সূর্য উঠবে পূর্ব দিগন্তে।
লেখক: এম নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
প্রমিথিউস প্রকৃতির শক্তির বিরুদ্ধে মানুষের অগ্রগতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন আগুন এবং আশার উপহার। আশা মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করতে সাহায্য করে। আগুন প্রযুক্তির উৎস হিসেবে সেই সংগ্রামে সাফল্যকে সম্ভব করে তোলে। বাংলাদেশ যে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল, তার শতভাগ কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছিল।
জনকল্যাণের ব্রত সাধনার মন্ত্রে নতুন দীক্ষা নিয়ে আজকের এই দিনে এক নিঃস্ব নারী পিতৃভূমিতে পা রেখেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তিনি একেবারেই একা নন। বাংলার মানুষ রয়েছে তাঁর পাশে। এরাই তাঁর আত্মার আত্মীয়।
রাজনীতি ও জনকল্যাণের এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বহুবার হামলাও করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেটি আবারও ষড়যন্ত্রকারীদের চক্ষুশূল হলো। আবারও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশছাড়া করা হলো। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ মের মতো আবারও বীরদর্পে ফিরে আসবেন দেশের মাটিতে। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আবারও রক্তিম সূর্য উঠবে পূর্ব দিগন্তে।
লেখক: এম নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
১৭ই মে, ১৯৮১
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম ভাষণ
"আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।"
#স্বদেশপ্রত্যাবর্তন #১৭মে #শেখহাসিনা #17thMay1981 #SheikhHasina #HomecomingDay #বাংলাদেশ #আওয়ামীলীগ #Bangladesh #AwamiLeague
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম ভাষণ
"আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।"
#স্বদেশপ্রত্যাবর্তন #১৭মে #শেখহাসিনা #17thMay1981 #SheikhHasina #HomecomingDay #বাংলাদেশ #আওয়ামীলীগ #Bangladesh #AwamiLeague
"আমার মা টা মারা গেছে, আল্লাহর কসম কাল ফতেহা আমার মায়ের"- আওয়ামী লীগ নেতার আকুতি শোনে নি #স্বৈরাচার ইউনূস, পালন করতে দেয়নি মায়ের শেষ কীর্তি ফাতেহা
এমন মা ভক্ত সন্তানকে মিথ্যা মামলায় অন্যায় ভাবে #গ্রেফতার করে ধরে নিয়ে গেছে #স্বৈরাচারী ইউনূস গং। আল্লাহর আরশ কাপানো গুনাহগুলো থেকে মাফ পাবেনা ইউনূস৷
#Bangladesh #BangladeshCrisis #BangladeshUnderFascism #YunusMustGo
এমন মা ভক্ত সন্তানকে মিথ্যা মামলায় অন্যায় ভাবে #গ্রেফতার করে ধরে নিয়ে গেছে #স্বৈরাচারী ইউনূস গং। আল্লাহর আরশ কাপানো গুনাহগুলো থেকে মাফ পাবেনা ইউনূস৷
#Bangladesh #BangladeshCrisis #BangladeshUnderFascism #YunusMustGo
আজ ১৭ই মে। ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এরপর থেকে টানা দলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকের দল। বিদেশে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দু’বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার।
ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশ-মাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার। তৎকালীন সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষের মিছিল দেশের মাটিতে স্বাগত জানায় শেখ হাসিনাকে। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। নেতাকর্মীদের মুখে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম-পিতৃ হত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।
লাখো মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
#17May #HomeComingDay #SheikhHasina
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকের দল। বিদেশে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দু’বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার।
ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশ-মাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার। তৎকালীন সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষের মিছিল দেশের মাটিতে স্বাগত জানায় শেখ হাসিনাকে। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। নেতাকর্মীদের মুখে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম-পিতৃ হত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।
লাখো মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
#17May #HomeComingDay #SheikhHasina
ইউনুসের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে #জামাত ও #উগ্রবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া -
সেনাবাহিনী, পুলিশ, মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ কি মেনে নেবে?
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
সেনাবাহিনী, পুলিশ, মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ কি মেনে নেবে?
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
A Story of Sacrifice and Loyalty
"I Couldn't Take My SSC Exam Because I Was Born into an Awami League Family"
https://x.com/albd1971/status/1923682028370661852
"I Couldn't Take My SSC Exam Because I Was Born into an Awami League Family"
https://x.com/albd1971/status/1923682028370661852
🛑#Live #Sheikh Hasina #Albd
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা
সরাসরি দেখুন 🎦https://www.facebook.com/share/v/1AUcMMQB62/?mibextid=wwXIfr
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা
সরাসরি দেখুন 🎦https://www.facebook.com/share/v/1AUcMMQB62/?mibextid=wwXIfr
Facebook
Log in or sign up to view
See posts, photos and more on Facebook.
১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ইতিহাসের বাঁকে এক আশার আলো
----
একটি জাতির ভাগ্য গঠনে সময় যেমন মুখ্য, তেমনি নেতৃত্বের ভূমিকাও অপরিহার্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন একটি দিন হলো ১৭ মে ১৯৮১, যেদিন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে পা রাখেন। এই দিনটি শুধু একটি ব্যক্তির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন নয়; এটি একটি বিপর্যস্ত জাতির নতুন করে বাঁচার আশায় বুক বাঁধার দিন।প্রেক্ষাপট: রক্তাক্ত আগস্ট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এটি ছিল জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়। সে সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তী ছয় বছর তাঁরা ছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে—প্রথমে জার্মানি, পরে ভারতে।
দেশে তখন সামরিক শাসন জারি, বাক-স্বাধীনতা স্তব্ধ, গণতন্ত্রকে বন্দী করে রাখা হয়েছে বন্দুকের নলের সামনে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বশূন্য ও বিপর্যস্ত। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।প্রত্যাবর্তনের দিন: ১৭ মে ১৯৮১
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে বাংলাদেশে ফেরেন। তাঁকে বহনকারী বিমান যখন ঢাকায় অবতরণ করে, তখন তীব্র ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও লাখো মানুষের ভিড় তাকে বরণ করতে হাজির হয় বিমানবন্দরে। চোখে জল, হাতে ফুল, কণ্ঠে স্লোগান—"হাসিনা ফিরে এসো, বাংলা তোমায় চায়।"
তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল আবেগময়:
"আমি শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবে নয়, আপনাদের কর্মী হিসেবে দেশে ফিরেছি।"
সেদিন তাঁর চোখে ছিল শোক, বুকে ছিল প্রতিজ্ঞা, এবং কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা। মানুষের ভালোবাসা তাঁকে আশ্বস্ত করেছিল, তাঁর পথচলা সঠিক এবং জরুরি।
একটি সাক্ষাৎকারের আলোকে
১৯৮১ সালের ১৮ মে, বিবিসি ও এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন:
"আমি গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ফিরে এসেছি। আমি জানি সামনে অনেক বাধা, কিন্তু আমি ভয় পাই না।"
এই সাহসী উচ্চারণই তাঁকে সময়ের সাহসী নেতায় রূপান্তর করে।
জনতার প্রতিক্রিয়া ও গণআন্দোলনের ভিত্তি
তার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণ ফিরে আসে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ দলে দলে এসে দেখা করে, মত দেয়, ও অনুপ্রাণিত হয়। একসময় দেশের বুকে বয়ে চলে গণতন্ত্রের হাওয়া। একদল তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়।পরবর্তী সংগ্রাম ও সাফল্যের ধারা
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই সরকারের সময় খাদ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটে।
২০০8 সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ পেয়েছে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ, উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ও “ডিজিটাল বাংলাদেশ”।
বিশ্ব মঞ্চেও তিনি হয়ে উঠেছেন প্রশংসিত নেতা। জাতিসংঘ তাঁকে 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ', 'ডিজিটাল উইমেন লিডার', এবং 'টেকসই উন্নয়নের দূত' হিসেবে সম্মানিত করেছে।
আধুনিক বাংলাদেশ: স্বপ্ন থেকে বাস্তবায়ন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচক, বৈদেশিক রিজার্ভ, নারী শিক্ষার হার, স্বাস্থ্যসেবার মান, কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জাতি আজ তার স্বপ্নের পথে—‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’-এর দিকে এগিয়ে চলেছে।
১৭ মে আজ কেবল একটি দিবস নয়; এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। শেখ হাসিনার সেই প্রত্যাবর্তন ছিল গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রকাশ, নেতৃত্বের প্রতি জনগণের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।আজকের দিনে আমরা স্মরণ করি একজন নেত্রীর সাহস, দৃঢ়তা এবং ত্যাগের ইতিহাস। সেই সঙ্গে আমরা প্রতিজ্ঞা করি—গণতন্ত্র, উন্নয়ন, শান্তি ও মানবিকতাকে লালন করে একটি উন্নত, আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলব, শেখ হাসিনার দেখানো পথ অনুসরণ করে।
শাখাওয়াত হোসেন।
প্রবাসী বাঙালি
বাংলাদেশ আওয়ামী প্রাথমিক সদস্য
সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ।
----
একটি জাতির ভাগ্য গঠনে সময় যেমন মুখ্য, তেমনি নেতৃত্বের ভূমিকাও অপরিহার্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন একটি দিন হলো ১৭ মে ১৯৮১, যেদিন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে পা রাখেন। এই দিনটি শুধু একটি ব্যক্তির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন নয়; এটি একটি বিপর্যস্ত জাতির নতুন করে বাঁচার আশায় বুক বাঁধার দিন।প্রেক্ষাপট: রক্তাক্ত আগস্ট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এটি ছিল জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়। সে সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তী ছয় বছর তাঁরা ছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে—প্রথমে জার্মানি, পরে ভারতে।
দেশে তখন সামরিক শাসন জারি, বাক-স্বাধীনতা স্তব্ধ, গণতন্ত্রকে বন্দী করে রাখা হয়েছে বন্দুকের নলের সামনে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বশূন্য ও বিপর্যস্ত। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।প্রত্যাবর্তনের দিন: ১৭ মে ১৯৮১
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে বাংলাদেশে ফেরেন। তাঁকে বহনকারী বিমান যখন ঢাকায় অবতরণ করে, তখন তীব্র ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও লাখো মানুষের ভিড় তাকে বরণ করতে হাজির হয় বিমানবন্দরে। চোখে জল, হাতে ফুল, কণ্ঠে স্লোগান—"হাসিনা ফিরে এসো, বাংলা তোমায় চায়।"
তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল আবেগময়:
"আমি শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবে নয়, আপনাদের কর্মী হিসেবে দেশে ফিরেছি।"
সেদিন তাঁর চোখে ছিল শোক, বুকে ছিল প্রতিজ্ঞা, এবং কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা। মানুষের ভালোবাসা তাঁকে আশ্বস্ত করেছিল, তাঁর পথচলা সঠিক এবং জরুরি।
একটি সাক্ষাৎকারের আলোকে
১৯৮১ সালের ১৮ মে, বিবিসি ও এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন:
"আমি গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ফিরে এসেছি। আমি জানি সামনে অনেক বাধা, কিন্তু আমি ভয় পাই না।"
এই সাহসী উচ্চারণই তাঁকে সময়ের সাহসী নেতায় রূপান্তর করে।
জনতার প্রতিক্রিয়া ও গণআন্দোলনের ভিত্তি
তার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণ ফিরে আসে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ দলে দলে এসে দেখা করে, মত দেয়, ও অনুপ্রাণিত হয়। একসময় দেশের বুকে বয়ে চলে গণতন্ত্রের হাওয়া। একদল তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়।পরবর্তী সংগ্রাম ও সাফল্যের ধারা
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই সরকারের সময় খাদ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটে।
২০০8 সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ পেয়েছে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ, উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ও “ডিজিটাল বাংলাদেশ”।
বিশ্ব মঞ্চেও তিনি হয়ে উঠেছেন প্রশংসিত নেতা। জাতিসংঘ তাঁকে 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ', 'ডিজিটাল উইমেন লিডার', এবং 'টেকসই উন্নয়নের দূত' হিসেবে সম্মানিত করেছে।
আধুনিক বাংলাদেশ: স্বপ্ন থেকে বাস্তবায়ন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচক, বৈদেশিক রিজার্ভ, নারী শিক্ষার হার, স্বাস্থ্যসেবার মান, কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জাতি আজ তার স্বপ্নের পথে—‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’-এর দিকে এগিয়ে চলেছে।
১৭ মে আজ কেবল একটি দিবস নয়; এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। শেখ হাসিনার সেই প্রত্যাবর্তন ছিল গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রকাশ, নেতৃত্বের প্রতি জনগণের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।আজকের দিনে আমরা স্মরণ করি একজন নেত্রীর সাহস, দৃঢ়তা এবং ত্যাগের ইতিহাস। সেই সঙ্গে আমরা প্রতিজ্ঞা করি—গণতন্ত্র, উন্নয়ন, শান্তি ও মানবিকতাকে লালন করে একটি উন্নত, আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলব, শেখ হাসিনার দেখানো পথ অনুসরণ করে।
শাখাওয়াত হোসেন।
প্রবাসী বাঙালি
বাংলাদেশ আওয়ামী প্রাথমিক সদস্য
সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ।