Bangladesh Awami League
93.6K subscribers
9.82K photos
2.79K videos
18 files
10.5K links
Official Telegram Channel of Bangladesh Awami League.
Stay Connceted on Web 👉 www.albd.org
Follow us on -
🔴 Insta 👉 https://instagram.com/albd1949
🟣 Tw 👉 https://twitter.com/albd1971
🔵 FB 👉https://www.facebook.com/awamileague.1949
Download Telegram
Awami League—Bangladesh’s largest and historic political party that led the Liberation War—has been banned by the very regime that claimed to bring “reform.” What’s unfolding isn’t reform but a targeted political vendetta led by the NCP & Yunus-backed regime, silencing democratic voices and rewriting history.

Full report: https://thevoice.news/awami-league-banned-a-historic-party-falls-victim-to-vengeance-2/

#Bangladesh #AwamiLeague #DemocracyUnderAttack
১৭মে গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৫তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ে নেতৃত্বদানকারী ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

#Bangladesh #SheikhHasina
রাজনৈতিক শকুনির দল এখন অসুস্থ সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে নিয়েও খেলছে!

সাবেক রাষ্ট্রপতি ৮২-৮৩ বছরের একজন গুরুতর অসুস্থ মানুষ—যিনি দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, দুই ঘণ্টা বসে থাকতে পারেন না—অসুস্থ শরীর নিয়ে শয্যাশায়ী। ওজন কমতে কমতে নেমে এসেছে মাত্র ৫৪ কেজিতে, বাধ্য হয়ে লুঙ্গি পরে বিছানায় শুয়ে আছেন। দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের যৌথ বোর্ড স্পষ্টভাবে বলেছেন: তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি, যিনি মেয়াদ শেষে পরিস্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আর রাজনীতির সাথে যুক্ত হবেন না। সেই প্রতিশ্রুতি তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। এরপর আর কোনো রাজনৈতিক মঞ্চে, আলোচনায় কিংবা কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন না।

ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ ইউনুস সরকার ও তাঁর দোসররা এতটাই বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত যে, মিথ্যাচারকে এখন শিল্পে পরিণত করেছে! অসুস্থ একজন মানুষকে নিয়েও যারা ঘৃণা ছড়াতে পারে, তাদের মানবতা কি পুরোপুরি বিলুপ্ত? যিনি একসময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য সেখানে গেলে সেটি নিয়ে রাজনীতি কেন?

ইউনুস সরকার, আপনি কি আদৌ মানুষ? একজন অরাজনৈতিক, অসুস্থ বৃদ্ধের উপর এত ঘৃণা ছড়ানো আপনাকে কোন শিক্ষা দিয়েছে? নাকি আপনার রাজনীতি মানেই মিথ্যা, অপপ্রচার আর মর্যাদাহানি?

আপনার মতো রাজনৈতিক দালালেরা আজ মিথ্যা রটিয়ে আনন্দ পেলেও ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৬ মে ২০২৫

*বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিতার মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শোক*

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ এক শোক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিতা এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দিনাজপুরে মুজিববাহিনীর একটি দলের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আজ (১৬ মে ২০২৫) নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি........রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর এবং তিনি সন্তান-সন্ততি ও পরিবার-পরিজনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।⁩
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি
--

১৭ মে ২০২৫, শনিবার বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আধুনিক-উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতকগোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানের সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিচার ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল। আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারে বিপর্যস্ত তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে শ্রাবণের বারিধারার মতো, পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল-মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু-শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, সাহস, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে অনন্য। আপন কর্মমহিমায় হয়ে উঠেছেন- নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি।বার বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মানবতার জননী।

জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ।

অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কল্যাণকর নেতৃত্বের আলোয় যে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনা নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মেটিক্যুলাসলি ডিজাইনড চক্রান্তের কারণে আজ তা গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিদেশি পাসপোর্টধারী একদল অবৈধ দখলদার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নানা অপশক্তির হাতে তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তা আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। গোপনে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে বিক্রির চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে বিদেশিদের দলদাসেরা। গত ৯ মাসে বাংলাদেশ হত্যা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মবসন্ত্রাস, অপহরণ, হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত দেড় দশক বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। অর্থনীতির সকল সূচকেরও পতন ঘটেছে। সর্বোপরি, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণিত হলো ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে।

বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানকে পরাজিত করে স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন করেছে। তদ্রূপভাবে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তি ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের পরাজিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন করব। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে অবৈধ ও দখলদার ইউনূস গংদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভাগ্যোন্নেয়নের ইতিহাস বিনির্মাণের সূত্রক্ষণ ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি :

*** আলোচনা সভা বা ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।

*** দেশব্যাপী সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা।

*** বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা

বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক জেলা,উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৬ মে ২০২৫⁩
বাংলাদেশ এখন এমন এক বাস্তবতার সম্মুখীন, যেখানে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বলার আগে ভাবতে হবে কোন কথা আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে যায় কিনা, যা স্বৈরাচার ইউনূসের মব বাহিনীকে উস্কাতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, ধর্মনিরপেক্ষতা কিংবা রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত বিষয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করলেই রাজাকার পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীরা আপনাকে ঘিরে ধরবে, আপনাকে আক্রমণ করবে, হেনস্তা করে চিৎকার দিয়ে বলে উঠবে আপনি 'আওয়ামী দোসর'।

https://albd.org/bn/articles/news/41555/
তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সিআইডি-#এনসিপির #চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক নিধনযজ্ঞের নীল নকশা চুড়ান্ত
---

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সংকেত বয়ে আনছে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সিআইডি ও তথাকথিত এনসিপির নেতৃত্বে গ্রামীণ পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে তৈরি করা হচ্ছে কালো তালিকা। প্রতিটি নেতার নামে অন্তত পাঁচটি মিথ্যা #মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্দেশ্য একটাই তাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে নতুন দলে বাধ্যতামূলক যোগদান নিশ্চিত করা।

এই প্রক্রিয়ায় একটি “কম্প্রোমাইজ অপশন” রাখা হয়েছে, যেখানে নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগ ত্যাগ করতে হবে, নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতে হবে এবং কিংস পার্টি বা এনসিপিতে যোগ দিতে হবে। #চাঁদাবাজির এই অর্থের একটি অংশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা আত্মসাৎ করবে, বাকিটা জমা হবে নতুন দলের ফান্ডে। এভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনীতি থেকে একদলীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নীলনকশা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের ভিত্তি। তাদের ওপর এভাবে আঘাত মানে দেশের স্বাধীন রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

এখনই সময় প্রতিরোধ গড়ার। নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, এবং দেশের সব সচেতন মহলকে এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একসাথে সোচ্চার হতে হবে। না হলে খুব শিগগিরই আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবো।

#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
১৭ মে, শনিবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা

সরাসরি প্রচারিত হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
সময়ঃ রাত ৯ টা

#ALBDLive #SheikhHasina
রেমিট্যান্স বাড়ছে - ঐদিকে আমদানি কমেছে ৬০% - তাহলে রিজার্ভ না বেড়ে কমছে কেন?

৯ মাসে ১০ বিলিয়ন ডলারের হিসাব নেই কেন?

রেমিট্যান্স বন্ধ করুন।
⁨আস্থার প্রতীক হিসেবে তাঁর ফিরে আসা
------------

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এর পর দেশে এমন এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যেখানে কেউ বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করার সাহস পেত না। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সব প্রচেষ্টা করা হয়। নেতাকর্মীরা ছিল হতাশ এবং দিশাহীন। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবনের ঝুঁকি তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নয়, বাঙালি জাতিসত্তায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ সেদিন নতুন প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই বাঙালি জাতির ইতিহাসে এই দিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৭১ সালে একটি সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা বাঙালি জাতি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দিশা হারায়। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এক নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির আস্ফালন শুরু হয় চতুর্দিকে। গণতন্ত্র দূরে থাক, সান্ধ্য আইনের ঘেরাটোপে কথা বলতেও ভয় পেত মানুষ। সেই অবরুদ্ধ দিনের অর্গল খুলে যাওয়ার দিন ১৯৮১ সালের ১৭ মে।
এ যেন অনেকটাই গ্রিক পুরাণের বীর প্রমিথিউসের গল্প নতুন করে ফিরে আসা। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। অলিম্পাসের চূড়ায় জিউসসহ যেসব দেবতার বাস ছিল, তাদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল টাইটানরা। কিন্তু দেবতাদের মতো অত ক্ষমতা না থাকায় যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয়েছিল তাদের। পরাজিত টাইটানদের বন্দি করা হয়েছিল এমন এক জায়গায়, যেন তারা আর ফিরে আসতে না পারে। প্রমিথিউস ছিলেন এ রকম এক টাইটানের ছেলে। প্রমিথিউস আর তাঁর ভাই এপিমিথিউসকে বন্দি না করে জিউস তাঁর সঙ্গেই রেখেছিলেন। কিন্তু প্রমিথিউসের কোনো ইচ্ছা ছিল না অলিম্পাসে থাকার। তিনি তাঁর ভাইকে নিয়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন।
তখন মানুষ সুখে ছিল না। প্রমিথিউসের মন খারাপ হলো। তিনি চিন্তা করে দেখলেন যে মানুষের কাছে যদি আগুন থাকত, তাহলে তো এ রকম করে জীবন কাটাতে হতো না। অনেক চিন্তা করে প্রমিথিউস জিউসের কাছে গিয়ে মানুষের জন্য আগুন চাইলেন। কিন্তু জিউস স্রেফ না করে দিলেন। কারণ দেখালেন যে আগুন পেলে মানুষ ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং একসময় তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে দাঁড়াবে। প্রমিথিউস দুঃখ পেলেও আর কিছু না বলে চলে এলেন। কিন্তু মনে মনে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলেন, মানুষকে তিনি আগুন এনে দেবেনই। এই ভেবে প্রমিথিউস একদিন রওনা হলেন পূর্ব দিকে, যেদিক দিয়ে সূর্য ওঠে। পূর্ব দিকের সর্বশেষ প্রান্তে পৌঁছে তিনি দেখলেন যে সূর্য তার সারা দিনের পথপরিক্রমার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তখনো পুরো তেজ নিয়ে জ্বলা শুরু করেনি। সুযোগ বুঝে প্রমিথিউস সূর্যের এক কোনা ভেঙে নিয়ে চলে এলেন।
মানুষের কাছে এসে তিনি আগুন ধরিয়ে দেখালেন। আগুন কিভাবে জ্বালাতে হয়, কিভাবে আগুন দিয়ে রান্না করে খেতে হয়, তা শেখালেন। এর পাশাপাশি চাষাবাদ, হাতিয়ার তৈরি থেকে আরো অনেক কিছু শিখিয়ে দিলেন। মানুষ স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার গুহা ছেড়ে বাইরে থাকা শুরু করল, ঘরবাড়ি বানানো শিখল। মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াল।

এই গল্পেরই পুনরাবৃত্তি যেন আমরা দেখতে পাই ১৯৮১ সালের ১৭ মে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে এ দেশের একদল মানুষ যেন নিজেদের দেবতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। যা কিছু ভালো, সব তাদের অবদান, এটাই ছিল একমাত্র প্রচার। গণতন্ত্রের আকাশ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সামরিকতন্ত্রের কালো মেঘ দিয়ে। সমাজের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেশ ও জাতিকে গ্রাস করেছিল একরাশ অন্ধকার। সে এক অবরুদ্ধ অবস্থা। সপরিবারে নিহত জাতির পিতা। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। সেই দিকভ্রান্ত দিনে আলোকবর্তিকা নিয়ে তিনি পা রাখলেন সেই মাটিতে, যেখানে মিশে আছে তাঁর স্বজনের রক্ত। সেই দিনটি হচ্ছে ১৭ মে ১৯৮১। মানুষের প্রাণের আকুতি ভাগাভাগি করে দেওয়ার এই দিনটি বাঙালির কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার দিন আজ। উর্দিধারী শাসকগোষ্ঠীকে প্রবল ঝাঁকুনি দেওয়ার দিন ১৭ মে। সর্বস্বহারা এক নারী আজকের এই দিনে খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর আত্মিক স্বজন। ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনেই দীর্ঘ ছয় বছরের প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসেন আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
সেদিন ঢাকার সব পথ মিশে গিয়েছিল বিমানবন্দর ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। আসলে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছিল যে মানুষ, তারা বুঝেছিল তাদের ত্রাতা আসছেন। আসছেন সেই দিকনির্দেশক, যিনি মুক্তির অগ্রযাত্রায় আসন্ন বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবেন। মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে নতুন গতি যে তাঁরই যোগ্য নেতৃত্বে নতুন করে সূচিত হবে, তা বুঝতে এ দেশের মানুষের একটুও সময় লাগেনি। বঙ্গবন্ধুর মতো উদারপ্রাণ, মহৎ মানুষকে হারিয়ে এ দেশের মানুষ তখন এমন কাউকে খুঁজছে, যাঁর ওপর শতভাগ নির্ভর করা যায়। মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবেই তাঁর ফিরে আসা এই মাটিতে।

প্রমিথিউস প্রকৃতির শক্তির বিরুদ্ধে মানুষের অগ্রগতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন আগুন এবং আশার উপহার। আশা মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করতে সাহায্য করে। আগুন প্রযুক্তির উৎস হিসেবে সেই সংগ্রামে সাফল্যকে সম্ভব করে তোলে। বাংলাদেশ যে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল, তার শতভাগ কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছিল।

জনকল্যাণের ব্রত সাধনার মন্ত্রে নতুন দীক্ষা নিয়ে আজকের এই দিনে এক নিঃস্ব নারী পিতৃভূমিতে পা রেখেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তিনি একেবারেই একা নন। বাংলার মানুষ রয়েছে তাঁর পাশে। এরাই তাঁর আত্মার আত্মীয়।

রাজনীতি ও জনকল্যাণের এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বহুবার হামলাও করা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেটি আবারও ষড়যন্ত্রকারীদের চক্ষুশূল হলো। আবারও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশছাড়া করা হলো। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ মের মতো আবারও বীরদর্পে ফিরে আসবেন দেশের মাটিতে। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আবারও রক্তিম সূর্য উঠবে পূর্ব দিগন্তে।

লেখক: এম নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক⁩