সানার ঘটনাটি অভিনব কিছু নয়। বালুচিস্তানে এই ঘটনা ঘটেছে আরও বহু মানুষের ভাগ্যে। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পাকিস্তানের এই প্রদেশটিতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ। বালুচিস্তানে প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সেটি দমনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নৃশংস পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে সামরিক বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করে।' ( বালুচিস্তান: স্বাধীন মাতৃভূমির স্বপ্নের জন্য লড়ছে পাকিস্তানের যে মধ্যবিত্ত তরুণরা, বিবিসি, ২ অগাস্ট ২০২০)
ইউনূসের বাঙালি গণহত্যাকারী পাকিস্তান প্রীতিঃ
'পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে 'মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা স্বাধীনতাপূর্ব অভিন্ন সম্পদের জন্য বকেয়া অর্থ দাবির' মতো বিষয় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের দিক থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে এই অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কোনো উল্লেখ নেই।' ( ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে, বিবিসি বাংলা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫)
দেড় দশক পর হওয়া এই বৈঠকে ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদারের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের। এছাড়াও, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আকাশপথে ফের সরাসরি যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
একাত্তরে গণহত্যার দায় স্বীকার কিংবা অভিন্ন সম্পদের বকেয়া দুটো বিষয় পাকিস্তান এড়িয়ে গেলেও ইউনূস টিভি-মিডিয়াগুলোতে বেকুবের মত ফলাও করে তার ঢোল পিটিয়েছে। এরপরেও পাকিস্তানপ্রীতি ছাড়েনি ইউনূস এখনো যে পাকসেনারা বালুচিস্তানে নির্বিচারে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র জনগণের উপর গুম-খুনের নৃশংস নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। জানুয়ারিতে বাংলাদেশি আর্মি জেনারেলদের পাকিস্তান সফর এবং সম্প্রতি আকস্মিক ছুটিতে চলে যাওয়া পাকস্তান হাইকমিশনার মারুফের কক্সবাজার সফর করে রোহিঙ্গাদের সাথে বৈঠক ইউনূসের প্রশ্রয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের আভাসই দিচ্ছে।
#PakArmyGenocide #1971LiberationWar
ইউনূসের বাঙালি গণহত্যাকারী পাকিস্তান প্রীতিঃ
'পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে 'মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা স্বাধীনতাপূর্ব অভিন্ন সম্পদের জন্য বকেয়া অর্থ দাবির' মতো বিষয় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের দিক থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে এই অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কোনো উল্লেখ নেই।' ( ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে, বিবিসি বাংলা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫)
দেড় দশক পর হওয়া এই বৈঠকে ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদারের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের। এছাড়াও, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আকাশপথে ফের সরাসরি যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
একাত্তরে গণহত্যার দায় স্বীকার কিংবা অভিন্ন সম্পদের বকেয়া দুটো বিষয় পাকিস্তান এড়িয়ে গেলেও ইউনূস টিভি-মিডিয়াগুলোতে বেকুবের মত ফলাও করে তার ঢোল পিটিয়েছে। এরপরেও পাকিস্তানপ্রীতি ছাড়েনি ইউনূস এখনো যে পাকসেনারা বালুচিস্তানে নির্বিচারে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র জনগণের উপর গুম-খুনের নৃশংস নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। জানুয়ারিতে বাংলাদেশি আর্মি জেনারেলদের পাকিস্তান সফর এবং সম্প্রতি আকস্মিক ছুটিতে চলে যাওয়া পাকস্তান হাইকমিশনার মারুফের কক্সবাজার সফর করে রোহিঙ্গাদের সাথে বৈঠক ইউনূসের প্রশ্রয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের আভাসই দিচ্ছে।
#PakArmyGenocide #1971LiberationWar
১৭মে গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৫তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ে নেতৃত্বদানকারী ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
Print File ➡️https://drive.google.com/file/d/1RIx01bIzLA_OQ7RbEKkjqpbgmUoS-D9v/view
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ে নেতৃত্বদানকারী ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
Print File ➡️https://drive.google.com/file/d/1RIx01bIzLA_OQ7RbEKkjqpbgmUoS-D9v/view
অন্তবর্তী সরকারের ৮ মাসে #ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশু সংখ্যা ৫৬৩ জন; #ধর্ষণ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে কেন এত অনীহা?
---
যে সরকার নারীদের অসম্মানজনক গালাগালিপূর্ণ বকৃতা প্রদানের পরেও হেফাজতে ইসলাম এবং তাদের সমর্থনে হাসনাত আব্দুল্লাহদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, সেই #অবৈধ সরকার #ধর্ষকদেরই রক্ষাকর্তা।
গত সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষিতা নারী এবং শিশুর সংখ্যা ৫৬৩ জন। #ধর্ষণ, #যৌন হয়রানি, শারিরীক #নির্যাতন, #আত্মহত্যা ও #সহিংসতার শিকার মোট নারী ও শিশুর সংখ্যা ১৯০৫ জন। গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে #ধর্ষণ কম হলেও জানুয়ারি থেকে আবার বেড়ে যায়। বিগত মার্চ মাসে #ধর্ষণ হয় ১৩২ জন, যা অন্তরবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে বিগত ৮ মাসের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ। #ধর্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিলো এপ্রিল মাসে, ৮০ জন #ধর্ষিত। #ধর্ষণের পর #হত্যা সর্বোচ্চ অক্টোবর ২০২৪ এ ৭ জন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গত এপ্রিলেই ৫ জন।
#ধর্ষণের পর বিগত ১৩ ই মার্চ ৮ বছরের ছোট্ট শিশু আছিয়ার ইন্তেকালের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে মিছিল করেন জনগণ৷ এরপরেও মার্চ মাসেই #ধর্ষণের মাত্রা আগের মাসের দ্বীগুণ ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যা হলেও ইউনূস তার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরকে স্বপদে বহাল রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় স্বীকার করেনি। সরকার যদি #ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান না পালটে আশ্রয়দাতার ভূমিকা অব্যাহত রাখে তাহলে এদেশের নারীদের ভবিষ্যত শুধুই লাঞ্চনা আর নির্যাতনের৷ দখলদার এই সরকার অপরাধীদের না ধরে তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি করার মিশনে নেমেছে জনগণের উপর ফ্যাসিজম চালিয়ে চাচ্ছে।
নারীদের প্রতি অমর্যাদা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে সরকার নির্বাক তারা নারীদের নিরাপত্তা বিধান করতে ব্যর্থ; ইউনূস আর জাহাঙ্গীরকে অবশ্যই এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে হবে। দেশের এহেন অস্থিতিশীল এবং অনিরাপদ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দানকারী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
---
যে সরকার নারীদের অসম্মানজনক গালাগালিপূর্ণ বকৃতা প্রদানের পরেও হেফাজতে ইসলাম এবং তাদের সমর্থনে হাসনাত আব্দুল্লাহদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, সেই #অবৈধ সরকার #ধর্ষকদেরই রক্ষাকর্তা।
গত সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষিতা নারী এবং শিশুর সংখ্যা ৫৬৩ জন। #ধর্ষণ, #যৌন হয়রানি, শারিরীক #নির্যাতন, #আত্মহত্যা ও #সহিংসতার শিকার মোট নারী ও শিশুর সংখ্যা ১৯০৫ জন। গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে #ধর্ষণ কম হলেও জানুয়ারি থেকে আবার বেড়ে যায়। বিগত মার্চ মাসে #ধর্ষণ হয় ১৩২ জন, যা অন্তরবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে বিগত ৮ মাসের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ। #ধর্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিলো এপ্রিল মাসে, ৮০ জন #ধর্ষিত। #ধর্ষণের পর #হত্যা সর্বোচ্চ অক্টোবর ২০২৪ এ ৭ জন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গত এপ্রিলেই ৫ জন।
#ধর্ষণের পর বিগত ১৩ ই মার্চ ৮ বছরের ছোট্ট শিশু আছিয়ার ইন্তেকালের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে মিছিল করেন জনগণ৷ এরপরেও মার্চ মাসেই #ধর্ষণের মাত্রা আগের মাসের দ্বীগুণ ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যা হলেও ইউনূস তার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরকে স্বপদে বহাল রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় স্বীকার করেনি। সরকার যদি #ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান না পালটে আশ্রয়দাতার ভূমিকা অব্যাহত রাখে তাহলে এদেশের নারীদের ভবিষ্যত শুধুই লাঞ্চনা আর নির্যাতনের৷ দখলদার এই সরকার অপরাধীদের না ধরে তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি করার মিশনে নেমেছে জনগণের উপর ফ্যাসিজম চালিয়ে চাচ্ছে।
নারীদের প্রতি অমর্যাদা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে সরকার নির্বাক তারা নারীদের নিরাপত্তা বিধান করতে ব্যর্থ; ইউনূস আর জাহাঙ্গীরকে অবশ্যই এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে হবে। দেশের এহেন অস্থিতিশীল এবং অনিরাপদ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দানকারী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাবা কিছুক্ষণ আগে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
সাংবাদিকতার ওপর #বর্বর #হামলা:ইউনুস সরকারের ফ্যাসিবাদী মুখোশ উন্মোচন!
---
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন কাভার করতে গিয়ে পুলিশের #বর্বর #হামলার শিকার দুই সাংবাদিক—Bangla Tribune-এর সুবর্ণ আসসাইফ ও দৈনিক সংবাদ-এর মেহেদি হাসান। সাংবাদিক পরিচয় থাকা সত্ত্বেও পুলিশের লাঠিচার্জ, ঘুষি ও নির্মম #নির্যাতন যেন স্পষ্ট করে দেয়, ইউনুস সরকার কেবল শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধে নয়, এখন গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতেও মরিয়া। সংবাদ সংগ্রহে বাধা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা—সব মিলিয়ে এটি একটি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ভয়ানক নজির।
সাংবাদিকতার ওপর হামলা মানেই গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত—ইউনুস সরকার কি তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও রুদ্ধ করতে চাইছেন, ইউনুস সরকার কি স্বৈরাচারের নতুন সংস্করণ?
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
---
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন কাভার করতে গিয়ে পুলিশের #বর্বর #হামলার শিকার দুই সাংবাদিক—Bangla Tribune-এর সুবর্ণ আসসাইফ ও দৈনিক সংবাদ-এর মেহেদি হাসান। সাংবাদিক পরিচয় থাকা সত্ত্বেও পুলিশের লাঠিচার্জ, ঘুষি ও নির্মম #নির্যাতন যেন স্পষ্ট করে দেয়, ইউনুস সরকার কেবল শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধে নয়, এখন গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতেও মরিয়া। সংবাদ সংগ্রহে বাধা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা—সব মিলিয়ে এটি একটি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ভয়ানক নজির।
সাংবাদিকতার ওপর হামলা মানেই গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত—ইউনুস সরকার কি তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও রুদ্ধ করতে চাইছেন, ইউনুস সরকার কি স্বৈরাচারের নতুন সংস্করণ?
#Bangladesh #BangladeshCrisis #YunusMustGo
Awami League—Bangladesh’s largest and historic political party that led the Liberation War—has been banned by the very regime that claimed to bring “reform.” What’s unfolding isn’t reform but a targeted political vendetta led by the NCP & Yunus-backed regime, silencing democratic voices and rewriting history.
Full report: https://thevoice.news/awami-league-banned-a-historic-party-falls-victim-to-vengeance-2/
#Bangladesh #AwamiLeague #DemocracyUnderAttack
Full report: https://thevoice.news/awami-league-banned-a-historic-party-falls-victim-to-vengeance-2/
#Bangladesh #AwamiLeague #DemocracyUnderAttack
The Voice
Awami League Banned: A Historic Party Falls Victim to Vengeance - TheVOICE News
The Awami League, a name deeply engraved in every chapter of Bangladesh’s political history, now faces one of its darkest moments. The state has officially
১৭মে গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৫তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ে নেতৃত্বদানকারী ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
#Bangladesh #SheikhHasina
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ে নেতৃত্বদানকারী ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
#Bangladesh #SheikhHasina
রাজনৈতিক শকুনির দল এখন অসুস্থ সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে নিয়েও খেলছে!
সাবেক রাষ্ট্রপতি ৮২-৮৩ বছরের একজন গুরুতর অসুস্থ মানুষ—যিনি দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, দুই ঘণ্টা বসে থাকতে পারেন না—অসুস্থ শরীর নিয়ে শয্যাশায়ী। ওজন কমতে কমতে নেমে এসেছে মাত্র ৫৪ কেজিতে, বাধ্য হয়ে লুঙ্গি পরে বিছানায় শুয়ে আছেন। দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের যৌথ বোর্ড স্পষ্টভাবে বলেছেন: তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি, যিনি মেয়াদ শেষে পরিস্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আর রাজনীতির সাথে যুক্ত হবেন না। সেই প্রতিশ্রুতি তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। এরপর আর কোনো রাজনৈতিক মঞ্চে, আলোচনায় কিংবা কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন না।
ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ ইউনুস সরকার ও তাঁর দোসররা এতটাই বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত যে, মিথ্যাচারকে এখন শিল্পে পরিণত করেছে! অসুস্থ একজন মানুষকে নিয়েও যারা ঘৃণা ছড়াতে পারে, তাদের মানবতা কি পুরোপুরি বিলুপ্ত? যিনি একসময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য সেখানে গেলে সেটি নিয়ে রাজনীতি কেন?
ইউনুস সরকার, আপনি কি আদৌ মানুষ? একজন অরাজনৈতিক, অসুস্থ বৃদ্ধের উপর এত ঘৃণা ছড়ানো আপনাকে কোন শিক্ষা দিয়েছে? নাকি আপনার রাজনীতি মানেই মিথ্যা, অপপ্রচার আর মর্যাদাহানি?
আপনার মতো রাজনৈতিক দালালেরা আজ মিথ্যা রটিয়ে আনন্দ পেলেও ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ৮২-৮৩ বছরের একজন গুরুতর অসুস্থ মানুষ—যিনি দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, দুই ঘণ্টা বসে থাকতে পারেন না—অসুস্থ শরীর নিয়ে শয্যাশায়ী। ওজন কমতে কমতে নেমে এসেছে মাত্র ৫৪ কেজিতে, বাধ্য হয়ে লুঙ্গি পরে বিছানায় শুয়ে আছেন। দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের যৌথ বোর্ড স্পষ্টভাবে বলেছেন: তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি, যিনি মেয়াদ শেষে পরিস্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আর রাজনীতির সাথে যুক্ত হবেন না। সেই প্রতিশ্রুতি তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। এরপর আর কোনো রাজনৈতিক মঞ্চে, আলোচনায় কিংবা কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন না।
ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ ইউনুস সরকার ও তাঁর দোসররা এতটাই বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত যে, মিথ্যাচারকে এখন শিল্পে পরিণত করেছে! অসুস্থ একজন মানুষকে নিয়েও যারা ঘৃণা ছড়াতে পারে, তাদের মানবতা কি পুরোপুরি বিলুপ্ত? যিনি একসময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য সেখানে গেলে সেটি নিয়ে রাজনীতি কেন?
ইউনুস সরকার, আপনি কি আদৌ মানুষ? একজন অরাজনৈতিক, অসুস্থ বৃদ্ধের উপর এত ঘৃণা ছড়ানো আপনাকে কোন শিক্ষা দিয়েছে? নাকি আপনার রাজনীতি মানেই মিথ্যা, অপপ্রচার আর মর্যাদাহানি?
আপনার মতো রাজনৈতিক দালালেরা আজ মিথ্যা রটিয়ে আনন্দ পেলেও ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৬ মে ২০২৫
*বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিতার মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শোক*
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ এক শোক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিতা এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দিনাজপুরে মুজিববাহিনীর একটি দলের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আজ (১৬ মে ২০২৫) নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি........রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর এবং তিনি সন্তান-সন্ততি ও পরিবার-পরিজনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তারিখ: ১৬ মে ২০২৫
*বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিতার মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শোক*
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ এক শোক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিতা এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দিনাজপুরে মুজিববাহিনীর একটি দলের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আজ (১৬ মে ২০২৫) নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি........রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর এবং তিনি সন্তান-সন্ততি ও পরিবার-পরিজনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি
--
১৭ মে ২০২৫, শনিবার বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আধুনিক-উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতকগোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানের সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিচার ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল। আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারে বিপর্যস্ত তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে শ্রাবণের বারিধারার মতো, পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল-মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।
--
১৭ মে ২০২৫, শনিবার বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আধুনিক-উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতকগোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানের সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিচার ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল। আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারে বিপর্যস্ত তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে শ্রাবণের বারিধারার মতো, পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল-মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু-শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, সাহস, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে অনন্য। আপন কর্মমহিমায় হয়ে উঠেছেন- নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি।বার বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মানবতার জননী।
জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কল্যাণকর নেতৃত্বের আলোয় যে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনা নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মেটিক্যুলাসলি ডিজাইনড চক্রান্তের কারণে আজ তা গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিদেশি পাসপোর্টধারী একদল অবৈধ দখলদার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নানা অপশক্তির হাতে তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তা আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। গোপনে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে বিক্রির চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে বিদেশিদের দলদাসেরা। গত ৯ মাসে বাংলাদেশ হত্যা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মবসন্ত্রাস, অপহরণ, হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত দেড় দশক বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। অর্থনীতির সকল সূচকেরও পতন ঘটেছে। সর্বোপরি, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণিত হলো ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানকে পরাজিত করে স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন করেছে। তদ্রূপভাবে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তি ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের পরাজিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন করব। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে অবৈধ ও দখলদার ইউনূস গংদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভাগ্যোন্নেয়নের ইতিহাস বিনির্মাণের সূত্রক্ষণ ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, সাহস, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে অনন্য। আপন কর্মমহিমায় হয়ে উঠেছেন- নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি।বার বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মানবতার জননী।
জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কল্যাণকর নেতৃত্বের আলোয় যে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনা নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মেটিক্যুলাসলি ডিজাইনড চক্রান্তের কারণে আজ তা গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিদেশি পাসপোর্টধারী একদল অবৈধ দখলদার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নানা অপশক্তির হাতে তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তা আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। গোপনে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে বিক্রির চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে বিদেশিদের দলদাসেরা। গত ৯ মাসে বাংলাদেশ হত্যা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মবসন্ত্রাস, অপহরণ, হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত দেড় দশক বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। অর্থনীতির সকল সূচকেরও পতন ঘটেছে। সর্বোপরি, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণিত হলো ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানকে পরাজিত করে স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন করেছে। তদ্রূপভাবে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তি ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের পরাজিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন করব। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে অবৈধ ও দখলদার ইউনূস গংদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভাগ্যোন্নেয়নের ইতিহাস বিনির্মাণের সূত্রক্ষণ ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি :
*** আলোচনা সভা বা ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
*** দেশব্যাপী সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা।
*** বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক জেলা,উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৬ মে ২০২৫
*** আলোচনা সভা বা ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
*** দেশব্যাপী সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা।
*** বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক জেলা,উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৬ মে ২০২৫
বাংলাদেশ এখন এমন এক বাস্তবতার সম্মুখীন, যেখানে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বলার আগে ভাবতে হবে কোন কথা আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে যায় কিনা, যা স্বৈরাচার ইউনূসের মব বাহিনীকে উস্কাতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, ধর্মনিরপেক্ষতা কিংবা রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত বিষয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করলেই রাজাকার পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীরা আপনাকে ঘিরে ধরবে, আপনাকে আক্রমণ করবে, হেনস্তা করে চিৎকার দিয়ে বলে উঠবে আপনি 'আওয়ামী দোসর'।
https://albd.org/bn/articles/news/41555/
https://albd.org/bn/articles/news/41555/
albd.org
আওয়ামী লীগ শব্দটি উচ্চারণ করাই ফ্যাসিস্টদের কাছে অপরাধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিশ্চিহ্ন করতে সারাদেশে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ
বাংলাদেশ এখন এমন এক বাস্তবতার সম্মুখীন, যেখানে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বলার আগে ভাবতে হবে কোন কথা আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে যায় কিনা, যা স্বৈরাচার ইউনূসের মব বাহিনীকে উস্কাতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, ধর্মনিরপেক্ষতা কিংবা রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত…
Even Uttering the Word “Awami League” Is a Crime to Fascists—Freedom of Speech Suffocated Across the Country to Erase the Spirit of the Liberation War
https://albd.org/articles/news/41556/
https://albd.org/articles/news/41556/
albd.org
Even Uttering the Word “Awami League” Is a Crime to Fascists—Freedom of Speech Suffocated Across the Country to Erase the Spirit…
Bangladesh is now facing a grim reality where speaking for truth and justice requires first checking whether your words might be interpreted as supportive of the Awami League—something that could provoke Yunus’s fascist mob. If you present accurate facts…