তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে, এটাই হলো ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বাংলাদেশ তাই থাকবে, তাই আমি আশা করি।
- বঙ্গবন্ধু
#Bangabandhu #Bangladesh
- বঙ্গবন্ধু
#Bangabandhu #Bangladesh
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী
----
প্রিয় দেশবাসী,
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। আপনাদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
বিশ্বসাহিত্যের এক বিরল প্রতিভার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ এখন পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে সাহিত্যে একমাত্র নোবেলজয়ী লেখক। সাহিত্যের প্রায় সর্বশাখায় তো বটেই সংগীত এবং চিত্রকলায়ও তিনি বাঙালির ভাবজগতকে বিশ্বদরবারে অসামান্য ভাষা ও শৈলীতে প্রকাশ করেছেন। সমাজচিন্তক এবং দার্শনিক হিসেবেও প্রাতঃস্মরণীয়। বাঙালির ভাবশক্তির স্বীকৃতি বিশ্বদরবারে তিনি আদায় করেছেন; তাঁরই পথ ধরে তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত আরেক প্রবাদপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদায় করেছেন বাঙালির রাজনৈতিক সত্ত্বার স্বীকৃতি। বাঙালির জাতীয় জীবনে অতুলনীয় দুই ঘটনা।
প্রিয় দেশবাসী,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অনিঃশেষ প্রেরণার উৎস ও বাতিঘর। পশ্চিম পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল বাঙালির জীবনধারা, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন যার প্রাণভোমরা। পাকিস্তান সরকার ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তাই রবীন্দ্রচর্চাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আজকের অবৈধ দখলদার সরকারের শত্রুও দেখা যাচ্ছে অভিন্ন এবং তারা পাকিস্তানী ভাবাদর্শের নানাবিধ প্রকাশ দেখিয়ে অঘোষিতভাবে বাঙালির সংস্কৃতি ও জীবনধারাকে তারা প্রতিনিয়ত আক্রমণ করছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বলেছিলেন, ‘আমরা মির্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকসপিয়ার, অ্যারিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাও সেতুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য, আর সরকার আমাদের পাঠে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে বিশ্বকবি হয়েছেন। আমরা এ ব্যবস্থা মানি না।’ বঙ্গবন্ধু দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এ দেশে গীত হবেই।' রবীন্দ্রনাথের গানকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচনের করে বঙ্গবন্ধু সেই ঘোষণারই প্রতিফলন ঘটান।
প্রিয় দেশবাসী,
বিপুল সৃষ্টির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন পূর্ববাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। প্রজাদের জন্য চালু করেন ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি। প্রতিষ্ঠা করেন দাতব্য চিকিৎসালয়, হেলথ্ কোঅপারেটিভ্ সোসাইটি ও কৃষি ল্যাবরেটরি। বাংলার কৃষিতে নিয়ে আসেন বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক পদ্ধতি। গ্রামীণ সমাজের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘শ্রীনিকেতন’। প্রকৃত অর্থে ক্ষুদ্র ঋণের তিনিই উদ্ভাবক।
প্রিয় দেশবাসী,
বাংলাদেশের মানচিত্র আজ খাবলে ধরেছে সেই পুরনো শকুন। দেশের শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা আজ নানাভাবে আক্রান্ত। চতুর্দিক থেকে আস্ফালন করছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি। সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের পঙ্গু করে দিতে আবারও টার্গেটে পরিণত করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। সাম্প্রদায়িক চিন্তার রোষানলে ফেলে বাঙালি জাতিকে শিকড় থেকে উৎপাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংগ্রামী দেশবাসী,
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, যখন আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে, যখন দেশবিরোধী অপশক্তি সুপরিকল্পিতভাবে বাঙালি সংস্কৃতিকে নিষ্প্রাণ করে দিচ্ছে, তখন আমাদের রবীন্দ্রচর্চা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কেননা রবীন্দ্রনাথ সব ধরনের ঐক্য ও সম্প্রীতির কথা বলেছেন। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির সর্বমানবিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে আমাদের আত্মশক্তিকে সুদৃঢ় করার কথা বলেছেন।
মুক্তিকামী দেশবাসী,
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে একাত্তরের বীর বাঙালির মতো আমাদের আরও একবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই ক্রান্তিকালে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমাদেরও রবীন্দ্রনাথ থেকে শক্তি ও প্রেরণা নিতে হবে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাহুর কবল থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।
বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে আমি আবারও তাঁর স্মৃতি ও সৃষ্টির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০৭ মে ২০২৫
----
প্রিয় দেশবাসী,
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। আপনাদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
বিশ্বসাহিত্যের এক বিরল প্রতিভার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ এখন পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে সাহিত্যে একমাত্র নোবেলজয়ী লেখক। সাহিত্যের প্রায় সর্বশাখায় তো বটেই সংগীত এবং চিত্রকলায়ও তিনি বাঙালির ভাবজগতকে বিশ্বদরবারে অসামান্য ভাষা ও শৈলীতে প্রকাশ করেছেন। সমাজচিন্তক এবং দার্শনিক হিসেবেও প্রাতঃস্মরণীয়। বাঙালির ভাবশক্তির স্বীকৃতি বিশ্বদরবারে তিনি আদায় করেছেন; তাঁরই পথ ধরে তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত আরেক প্রবাদপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদায় করেছেন বাঙালির রাজনৈতিক সত্ত্বার স্বীকৃতি। বাঙালির জাতীয় জীবনে অতুলনীয় দুই ঘটনা।
প্রিয় দেশবাসী,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অনিঃশেষ প্রেরণার উৎস ও বাতিঘর। পশ্চিম পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল বাঙালির জীবনধারা, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন যার প্রাণভোমরা। পাকিস্তান সরকার ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তাই রবীন্দ্রচর্চাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আজকের অবৈধ দখলদার সরকারের শত্রুও দেখা যাচ্ছে অভিন্ন এবং তারা পাকিস্তানী ভাবাদর্শের নানাবিধ প্রকাশ দেখিয়ে অঘোষিতভাবে বাঙালির সংস্কৃতি ও জীবনধারাকে তারা প্রতিনিয়ত আক্রমণ করছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বলেছিলেন, ‘আমরা মির্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকসপিয়ার, অ্যারিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাও সেতুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য, আর সরকার আমাদের পাঠে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে বিশ্বকবি হয়েছেন। আমরা এ ব্যবস্থা মানি না।’ বঙ্গবন্ধু দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এ দেশে গীত হবেই।' রবীন্দ্রনাথের গানকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচনের করে বঙ্গবন্ধু সেই ঘোষণারই প্রতিফলন ঘটান।
প্রিয় দেশবাসী,
বিপুল সৃষ্টির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন পূর্ববাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। প্রজাদের জন্য চালু করেন ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি। প্রতিষ্ঠা করেন দাতব্য চিকিৎসালয়, হেলথ্ কোঅপারেটিভ্ সোসাইটি ও কৃষি ল্যাবরেটরি। বাংলার কৃষিতে নিয়ে আসেন বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক পদ্ধতি। গ্রামীণ সমাজের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘শ্রীনিকেতন’। প্রকৃত অর্থে ক্ষুদ্র ঋণের তিনিই উদ্ভাবক।
প্রিয় দেশবাসী,
বাংলাদেশের মানচিত্র আজ খাবলে ধরেছে সেই পুরনো শকুন। দেশের শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা আজ নানাভাবে আক্রান্ত। চতুর্দিক থেকে আস্ফালন করছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি। সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের পঙ্গু করে দিতে আবারও টার্গেটে পরিণত করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। সাম্প্রদায়িক চিন্তার রোষানলে ফেলে বাঙালি জাতিকে শিকড় থেকে উৎপাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংগ্রামী দেশবাসী,
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, যখন আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে, যখন দেশবিরোধী অপশক্তি সুপরিকল্পিতভাবে বাঙালি সংস্কৃতিকে নিষ্প্রাণ করে দিচ্ছে, তখন আমাদের রবীন্দ্রচর্চা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কেননা রবীন্দ্রনাথ সব ধরনের ঐক্য ও সম্প্রীতির কথা বলেছেন। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির সর্বমানবিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে আমাদের আত্মশক্তিকে সুদৃঢ় করার কথা বলেছেন।
মুক্তিকামী দেশবাসী,
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে একাত্তরের বীর বাঙালির মতো আমাদের আরও একবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই ক্রান্তিকালে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমাদেরও রবীন্দ্রনাথ থেকে শক্তি ও প্রেরণা নিতে হবে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাহুর কবল থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।
বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে আমি আবারও তাঁর স্মৃতি ও সৃষ্টির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০৭ মে ২০২৫
৭ মে ২০০৭
গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল যেদিন
---
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান-ইলেভেনের। একটি চেপে বসা অপশক্তি সেই সময়ের বাস্তবতায় প্রবল প্রতাপে দেশ শাসন শুরু করে।
ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল সেনাসমর্থিত। তখন কেউ ধারণা করেনি যে দেশটিতে বিরাজনীতিকরণের একটি নতুন ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে মাত্র এবং এই ষড়যন্ত্রের প্রধান টার্গেট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এমনিতেই তো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অভিষেক তাঁর জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না। মসৃণ ছিল না তাঁর রাজনৈতিক চলার পথটিও। পায়ে পায়ে পাথর ঠেলে শেখ হাসিনাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক কল্যাণের যে পথযাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর, তা থেকে তাঁকে বিচ্যুত করা যায়নি। ১৯৮১ থেকে এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাটি একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ বলা যাবে না, বরং কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বাবার মতোই অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছেন। দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে নিঃসঙ্গ পরবাসে। স্বামী-সন্তান নিয়েও গভীর বেদনার দিন পার করতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হ্ত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি খুনিচক্র। তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। অবশেষে অনেক ঝুঁকি নিয়েই ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ফিরে আসার পরও ছায়ার মতো তাঁকে অনুসরণ করেছে ঘাতকেরা।
২০০৭ সালের মধ্য মার্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মহাজোটপ্রধান শেখ হাসিনা নিজের চোখের চিকিৎসা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী তাঁর পুত্রবধূর অসুস্থতার খবরে সেখানে যান। এরই মধ্যে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।
গণতন্ত্র তখন রুদ্ধ। সেই চেপে বসা শাসকদের বিবেচনায় রাজনীতি তখন যেন ছিল গর্হিত অপরাধ। আর সে কারণেই রাজনীতিক পরিচয় দিতেও যেন অনেকে কুণ্ঠিত ছিলেন তখন। পাঁচ বছরের জোট অপশাসনের সুযোগ নিয়ে চেপে বসা শাসককুল তখন রীতমতো ত্রাস। রাতারাতি সব কিছু বদলে ফেলার আভাস দিয়ে রাজনীতি থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার কথা তখন এমন করে বলা হতো, যেন রাজনীতি এক গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত ছিল।
ওয়ান-ইলেভেন নামের পটপরিবর্তনের পর সরকার পরিচালনায় আসা তত্ত্বাবধায়ক নামের সরকারের একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র দেশপ্রেমের সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী রাজনীতির পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাস মুছে ফেলার কী কুৎসিত, নির্মম ও ভয়াবহ চক্রান্তই না করেছিল! সংকীর্ণ রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার ছদ্মাবরণে তাঁর ভাবমূর্তি নস্যাৎ করার কী জঘন্য চেষ্টাই না তারা করেছিল ঐ সময়। নিষ্ঠুর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও চক্রান্তের জাল তারা বিছায় গোপনে।
২০০৭ সালের ৭ মে, স্বাভাবিকভাবেই সময়টা ছিল অন্যরকম। গণতন্ত্র আর রাজনীতির জন্য সে এক গুমোট পরিস্থিতি। তত্ত্বাবধায়ক নাম নিয়ে চেপে বসা সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হতে শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটাও পরিষ্কার হতে থাকে। অতীতে এ ধরনের লেবাসধারীরা যেসব কথা বলে চেয়ারে চেপে বসে, তারাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কত যে মধুর কথা শুনিয়েছিল সেই ‘চেপে বসা’ সরকার! কী করবে তারা? রাজনীতির ক্ষেত্রে হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছিল মানুষের মনে, তা কী করে হয়? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি কী করে এক লেভেলে থাকে? প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বিছায় চক্রান্তের জাল। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয় সংকীর্ণ হীনম্মন্যতায়। একের পর এক জারি হয় ফরমান। তখন অবস্থা ছিল এমন যেন রাজনীতি করার মতো গর্হিত কাজ পৃথিবীতে আর কিছু নেই। বাংলাদেশের যত রাজনীতিবিদ, কারো কোনো নীতি নেই-এটা প্রমাণের কী যে চেষ্টা তাদের!
২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং জামায়াত-শিবিরের দায়ের করা হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। বোঝাই যাচ্ছিল শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করতেই এমনটি করা হয়েছিল।
পর্দার অন্তরালে সেনাবাহিনীর একটি অংশ এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে টের পাওয়া যাচ্ছিল। ঐ সময় নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণের কর্মযজ্ঞ থেকে সরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্রমে দুর্নীতিবিরোধী, রাজনীতিবিরোধী, রাজনীতিতে সংস্কার আনাসহ নানা কথা বলতে শুরু করে এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে বাধা দেওয়া হতে থাকে।
২০০৭ সালের ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল যেদিন
---
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান-ইলেভেনের। একটি চেপে বসা অপশক্তি সেই সময়ের বাস্তবতায় প্রবল প্রতাপে দেশ শাসন শুরু করে।
ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল সেনাসমর্থিত। তখন কেউ ধারণা করেনি যে দেশটিতে বিরাজনীতিকরণের একটি নতুন ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে মাত্র এবং এই ষড়যন্ত্রের প্রধান টার্গেট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এমনিতেই তো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অভিষেক তাঁর জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না। মসৃণ ছিল না তাঁর রাজনৈতিক চলার পথটিও। পায়ে পায়ে পাথর ঠেলে শেখ হাসিনাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক কল্যাণের যে পথযাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর, তা থেকে তাঁকে বিচ্যুত করা যায়নি। ১৯৮১ থেকে এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাটি একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ বলা যাবে না, বরং কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বাবার মতোই অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছেন। দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে নিঃসঙ্গ পরবাসে। স্বামী-সন্তান নিয়েও গভীর বেদনার দিন পার করতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হ্ত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি খুনিচক্র। তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। অবশেষে অনেক ঝুঁকি নিয়েই ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ফিরে আসার পরও ছায়ার মতো তাঁকে অনুসরণ করেছে ঘাতকেরা।
২০০৭ সালের মধ্য মার্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মহাজোটপ্রধান শেখ হাসিনা নিজের চোখের চিকিৎসা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী তাঁর পুত্রবধূর অসুস্থতার খবরে সেখানে যান। এরই মধ্যে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।
গণতন্ত্র তখন রুদ্ধ। সেই চেপে বসা শাসকদের বিবেচনায় রাজনীতি তখন যেন ছিল গর্হিত অপরাধ। আর সে কারণেই রাজনীতিক পরিচয় দিতেও যেন অনেকে কুণ্ঠিত ছিলেন তখন। পাঁচ বছরের জোট অপশাসনের সুযোগ নিয়ে চেপে বসা শাসককুল তখন রীতমতো ত্রাস। রাতারাতি সব কিছু বদলে ফেলার আভাস দিয়ে রাজনীতি থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার কথা তখন এমন করে বলা হতো, যেন রাজনীতি এক গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত ছিল।
ওয়ান-ইলেভেন নামের পটপরিবর্তনের পর সরকার পরিচালনায় আসা তত্ত্বাবধায়ক নামের সরকারের একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র দেশপ্রেমের সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী রাজনীতির পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাস মুছে ফেলার কী কুৎসিত, নির্মম ও ভয়াবহ চক্রান্তই না করেছিল! সংকীর্ণ রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার ছদ্মাবরণে তাঁর ভাবমূর্তি নস্যাৎ করার কী জঘন্য চেষ্টাই না তারা করেছিল ঐ সময়। নিষ্ঠুর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও চক্রান্তের জাল তারা বিছায় গোপনে।
২০০৭ সালের ৭ মে, স্বাভাবিকভাবেই সময়টা ছিল অন্যরকম। গণতন্ত্র আর রাজনীতির জন্য সে এক গুমোট পরিস্থিতি। তত্ত্বাবধায়ক নাম নিয়ে চেপে বসা সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হতে শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটাও পরিষ্কার হতে থাকে। অতীতে এ ধরনের লেবাসধারীরা যেসব কথা বলে চেয়ারে চেপে বসে, তারাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কত যে মধুর কথা শুনিয়েছিল সেই ‘চেপে বসা’ সরকার! কী করবে তারা? রাজনীতির ক্ষেত্রে হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছিল মানুষের মনে, তা কী করে হয়? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি কী করে এক লেভেলে থাকে? প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বিছায় চক্রান্তের জাল। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয় সংকীর্ণ হীনম্মন্যতায়। একের পর এক জারি হয় ফরমান। তখন অবস্থা ছিল এমন যেন রাজনীতি করার মতো গর্হিত কাজ পৃথিবীতে আর কিছু নেই। বাংলাদেশের যত রাজনীতিবিদ, কারো কোনো নীতি নেই-এটা প্রমাণের কী যে চেষ্টা তাদের!
২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং জামায়াত-শিবিরের দায়ের করা হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। বোঝাই যাচ্ছিল শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করতেই এমনটি করা হয়েছিল।
পর্দার অন্তরালে সেনাবাহিনীর একটি অংশ এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে টের পাওয়া যাচ্ছিল। ঐ সময় নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণের কর্মযজ্ঞ থেকে সরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্রমে দুর্নীতিবিরোধী, রাজনীতিবিরোধী, রাজনীতিতে সংস্কার আনাসহ নানা কথা বলতে শুরু করে এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে বাধা দেওয়া হতে থাকে।
২০০৭ সালের ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
সে সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সব বিমান সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তারা যেন শেখ হাসিনাকে বহন না করে। শেখ হাসিনা একাধিকবার লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ফিরেও যান। কিন্তু তিনি ছিলেন তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। যেকোনো মূল্যে তিনি দেশে ফিরবেনই।
সাহসী শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের বেআইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
৭ মে শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরে এলে লাখো জনতা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসা হয়। দেশে ফিরে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু করেন নতুন সংগ্রাম।
দেশটিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। আমরা আশাবাদী হই এ কারণেই যে, আমাদের ভরসার স্থল বঙ্গবন্ধুকন্যা। আমরা জানি ‘অন্ধের দেশে’ অভয় দেওয়ার জন্য একজন শেখ হাসিনা আছেন, যাঁর দীপ্র কণ্ঠ আমাদের প্রাণিত করে।
দেশে আজ সেই একই ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আরেক চেপে বসা সরকারের প্র্রধান ড. ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন, কয়েক বছর ধরে 'মেটিকুলাসলি ডিজাইন' করা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। এই ইউনূস ২০০৭ সালেও সক্রিয় ছিলেন। সেই ষড়যন্ত্রও স্থায়ী হয়নি। আমরা নিশ্চিত, এই ষড়যন্ত্রও স্থায়ী হবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২০০৭ সালের ৭ মের মতো আবারও বীরদর্পে দেশের মাটিতে ফিরে আসবেন।
লেখক: এম. নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
nazrul@gmx.at
সাহসী শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের বেআইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
৭ মে শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরে এলে লাখো জনতা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসা হয়। দেশে ফিরে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু করেন নতুন সংগ্রাম।
দেশটিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। আমরা আশাবাদী হই এ কারণেই যে, আমাদের ভরসার স্থল বঙ্গবন্ধুকন্যা। আমরা জানি ‘অন্ধের দেশে’ অভয় দেওয়ার জন্য একজন শেখ হাসিনা আছেন, যাঁর দীপ্র কণ্ঠ আমাদের প্রাণিত করে।
দেশে আজ সেই একই ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আরেক চেপে বসা সরকারের প্র্রধান ড. ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন, কয়েক বছর ধরে 'মেটিকুলাসলি ডিজাইন' করা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। এই ইউনূস ২০০৭ সালেও সক্রিয় ছিলেন। সেই ষড়যন্ত্রও স্থায়ী হয়নি। আমরা নিশ্চিত, এই ষড়যন্ত্রও স্থায়ী হবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২০০৭ সালের ৭ মের মতো আবারও বীরদর্পে দেশের মাটিতে ফিরে আসবেন।
লেখক: এম. নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
nazrul@gmx.at
Message from Honorable Prime Minister and Awami League President, Daughter of Bangabandhu, Sheikh Hasina
https://x.com/ALBDMedia/status/1920057096319500752
https://x.com/ALBDMedia/status/1920057096319500752
পঞ্চগড়ে র্যাব সদস্য প্রফুল্ল রায় ও পরিবারের ওপর #সশস্ত্র #হামলা, #লুটপাট—নিরাপত্তা ঝুঁকিতে হিন্দু পরিবার!
----
র্যাব সদস্য হলেও রক্ষা পেলেন না, কারণ তিনি হিন্দু? প্রশাসনের নিরবতা কি ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে?
পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া এলাকায় ভয়াবহ #হামলার শিকার হয়েছেন র্যাব সদস্য প্রফুল্ল রায় ও তার পরিবার। জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের নামে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় #অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সকালে #হামলা চালায় তাদের বাড়িতে। শুধু মারধরই নয়, #লুটে নেয় নগদ দুই লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার, জমির দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
র্যাব সদস্য প্রফুল্ল রায় বলেন, “ছুটিতে বাড়ি এসে জীবন নিয়ে পালাতে হলো। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
একজন র্যাব সদস্যও যদি হিন্দু পরিচয়ে সুরক্ষা না পান, তাহলে সাধারণ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা কোথায়?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
----
র্যাব সদস্য হলেও রক্ষা পেলেন না, কারণ তিনি হিন্দু? প্রশাসনের নিরবতা কি ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে?
পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া এলাকায় ভয়াবহ #হামলার শিকার হয়েছেন র্যাব সদস্য প্রফুল্ল রায় ও তার পরিবার। জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের নামে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় #অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সকালে #হামলা চালায় তাদের বাড়িতে। শুধু মারধরই নয়, #লুটে নেয় নগদ দুই লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার, জমির দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
র্যাব সদস্য প্রফুল্ল রায় বলেন, “ছুটিতে বাড়ি এসে জীবন নিয়ে পালাতে হলো। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
একজন র্যাব সদস্যও যদি হিন্দু পরিচয়ে সুরক্ষা না পান, তাহলে সাধারণ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা কোথায়?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
অধিকার চাওয়ার অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহী! ইউনূস প্রশাসনের টার্গেট এখন জনতার কণ্ঠস্বর
একজন মানুষকে দমন করতে আর কী কী মামলা দেওয়া যায়—সেটাই যেন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে ইউনূস প্রশাসনের কাছে।
অন্যায়ভাবে দায় চাপিয়ে সাজানো #মামলা:
১. ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে থাকলেও তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ #মামলা*!
২. যখন তিনি পুলিশ হেফাজতে, তখন ‘আইনি কাজে বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ এনে আরেকটি #মামলা!
3. একই সময় পুলিশ হেফাজতেই থাকার পরও—আলিফ #হত্যা #মামলার আসামি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে!
এটাই কি আইনের শাসন? না কি প্রতিহিংসার শাসন?
একটা মানুষ কি কেবল ‘অধিকার চেয়েছে’ বলেই এতসব সাজানো অভিযোগে বন্দি হতে পারে?
মুখ খুললেই মামলা, কথা বললেই #রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রাণ চাইলে #হত্যা মামলা!
এটাই যদি হয় ‘সংস্কার’ নামের শাসন, তবে এই শাসন মানে এক নতুন দাসত্ব।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
একজন মানুষকে দমন করতে আর কী কী মামলা দেওয়া যায়—সেটাই যেন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে ইউনূস প্রশাসনের কাছে।
অন্যায়ভাবে দায় চাপিয়ে সাজানো #মামলা:
১. ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে থাকলেও তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ #মামলা*!
২. যখন তিনি পুলিশ হেফাজতে, তখন ‘আইনি কাজে বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ এনে আরেকটি #মামলা!
3. একই সময় পুলিশ হেফাজতেই থাকার পরও—আলিফ #হত্যা #মামলার আসামি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে!
এটাই কি আইনের শাসন? না কি প্রতিহিংসার শাসন?
একটা মানুষ কি কেবল ‘অধিকার চেয়েছে’ বলেই এতসব সাজানো অভিযোগে বন্দি হতে পারে?
মুখ খুললেই মামলা, কথা বললেই #রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রাণ চাইলে #হত্যা মামলা!
এটাই যদি হয় ‘সংস্কার’ নামের শাসন, তবে এই শাসন মানে এক নতুন দাসত্ব।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
#SaveBangladeshiHindus
Mob rule reigns under Yunus’s regime in Bangladesh
https://x.com/albd1971/status/1919788246336241942
Mob rule reigns under Yunus’s regime in Bangladesh
https://x.com/albd1971/status/1919788246336241942
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে বিলুপ্ত করা—এটাই কি 'নতুন আইন'?
----
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৯টি ধারা বাতিল করেছে সরকার - মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতকে ঘিরে বিভ্রান্তি বা কুৎসা রোধের বিধান।
ইউনুস সরকার কেন ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে?
এটা কি #মৌলবাদের জয়? নাকি #পাকিস্তানের হয়ে প্রতিশোধ ?
আজকের আইন বৈধ করে দিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত—সবই অবমাননা করা যাবে। এটা পাকিস্তানিদের পরাজয়ের প্রতিশোধ এভাবে নিচ্ছে বাংলাদেশে রেখে যাওয়া তাদের বীজদের দিয়ে। আর যারা এই অমানবিক আইন পাশ করেছে—ইনুছ ও আসিফ নজরুল—তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা সময়ই বলে দিবে?
এটা সেই বাংলাদেশ না, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান সবার উপরে ছিল?
#Bangladesh
----
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৯টি ধারা বাতিল করেছে সরকার - মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতকে ঘিরে বিভ্রান্তি বা কুৎসা রোধের বিধান।
ইউনুস সরকার কেন ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে?
এটা কি #মৌলবাদের জয়? নাকি #পাকিস্তানের হয়ে প্রতিশোধ ?
আজকের আইন বৈধ করে দিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত—সবই অবমাননা করা যাবে। এটা পাকিস্তানিদের পরাজয়ের প্রতিশোধ এভাবে নিচ্ছে বাংলাদেশে রেখে যাওয়া তাদের বীজদের দিয়ে। আর যারা এই অমানবিক আইন পাশ করেছে—ইনুছ ও আসিফ নজরুল—তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা সময়ই বলে দিবে?
এটা সেই বাংলাদেশ না, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান সবার উপরে ছিল?
#Bangladesh
বিচার চাইতে গেলেও #হামলার শিকার হতে হয়,কোথায় যাবো আমরা
---
এ কোন দেশে বাস করছি আমরা, যেখানে অন্যায়-অবিচারের বিচার চাইতে গেলেও #নির্যাতনের শিকার হতে হয়? বিচারপ্রার্থী মানুষ এখন আদালতের চত্বরে, থানা প্রাঙ্গণে, এমনকি মানববন্ধনের মঞ্চেও নিরাপদ নয়। যেন বিচার চাওয়াটাই অপরাধ!
সম্প্রতি কক্সবাজার, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যেখানে সাধারণ মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, সেখানেই #হামলা, হুমকি, #দমন-#পীড়ন নেমে এসেছে। যারা মুখ খুলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বলেছে #জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, প্রশ্ন তুলেছে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে।
একজন ভুক্তভোগী নারী বলেন, “আমার ভাইকে গুম করা হয়েছে। আমি বিচার চাইতে গেলে উল্টো আমার উপরই #মামলা হয়েছে। এখন আমি-ই আসামি!
যেখানে আইন আছে, আদালত আছে, প্রশাসন আছে সেখানে বিচারপ্রার্থীরা যদি #হামলার শিকার হয়, তবে সেটা কিসের ইঙ্গিত দেয়? এটা কি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, নাকি সচেতনভাবে গড়ে তোলা দমনমূলক শাসনব্যবস্থা?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
---
এ কোন দেশে বাস করছি আমরা, যেখানে অন্যায়-অবিচারের বিচার চাইতে গেলেও #নির্যাতনের শিকার হতে হয়? বিচারপ্রার্থী মানুষ এখন আদালতের চত্বরে, থানা প্রাঙ্গণে, এমনকি মানববন্ধনের মঞ্চেও নিরাপদ নয়। যেন বিচার চাওয়াটাই অপরাধ!
সম্প্রতি কক্সবাজার, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যেখানে সাধারণ মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, সেখানেই #হামলা, হুমকি, #দমন-#পীড়ন নেমে এসেছে। যারা মুখ খুলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বলেছে #জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, প্রশ্ন তুলেছে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে।
একজন ভুক্তভোগী নারী বলেন, “আমার ভাইকে গুম করা হয়েছে। আমি বিচার চাইতে গেলে উল্টো আমার উপরই #মামলা হয়েছে। এখন আমি-ই আসামি!
যেখানে আইন আছে, আদালত আছে, প্রশাসন আছে সেখানে বিচারপ্রার্থীরা যদি #হামলার শিকার হয়, তবে সেটা কিসের ইঙ্গিত দেয়? এটা কি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, নাকি সচেতনভাবে গড়ে তোলা দমনমূলক শাসনব্যবস্থা?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ সাবেক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মিলিয়ে ২১০ জনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট ষড়যন্ত্রের ৯ মাস পর প্রহসনের #মামলা করেছে সাবেক #ছাত্রদল নেতা
------
গত রোববার (৪ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার আদালতে এই #মামলাটি দায়ের করে।
ককটেইল #বিস্ফোরণ #বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্য। এর উপর মোটরসাইকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পুড়িয়ে সরকার পন্থী শিক্ষক ও ছাত্রলীগ কেন বিক্ষোভ মিছিল করবে- এই যুক্তি একমাত্র #ছাত্রদলের বুড়ো হওয়া সাবেক নেতার বুদ্ধি-বিবেকহীন খালি মাথাতেই থাকার কথা। আন্তর্জাতিক মহল থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা #মামলা-#হামলা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও #অবৈধ #দখলদার ইউনূস সরকার ভূয়া মামলা গুলো গ্রহণ করে মামলাবাজদের উৎসাহিত করছে। দেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়া দলটিকে মাইনাস করে #পাকিস্তানের সাথে অর্থনৈতিক ও সামরিক সখ্যতা বাড়িয়ে পুরোনো ধারায় এক পাকিস্তান হতে চায় দেশবিরোধী হায়নারা।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
------
গত রোববার (৪ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার আদালতে এই #মামলাটি দায়ের করে।
ককটেইল #বিস্ফোরণ #বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্য। এর উপর মোটরসাইকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পুড়িয়ে সরকার পন্থী শিক্ষক ও ছাত্রলীগ কেন বিক্ষোভ মিছিল করবে- এই যুক্তি একমাত্র #ছাত্রদলের বুড়ো হওয়া সাবেক নেতার বুদ্ধি-বিবেকহীন খালি মাথাতেই থাকার কথা। আন্তর্জাতিক মহল থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা #মামলা-#হামলা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও #অবৈধ #দখলদার ইউনূস সরকার ভূয়া মামলা গুলো গ্রহণ করে মামলাবাজদের উৎসাহিত করছে। দেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়া দলটিকে মাইনাস করে #পাকিস্তানের সাথে অর্থনৈতিক ও সামরিক সখ্যতা বাড়িয়ে পুরোনো ধারায় এক পাকিস্তান হতে চায় দেশবিরোধী হায়নারা।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
ডেকে নিয়ে #নির্মম #খুন: ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানকে #হত্যা করলো #বিএনপি-#জামাতের #সন্ত্রাসীরা!
----
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ডেকে নিয়ে মিজানুর রহমান (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে #নৃশংসভাবে #হত্যা করেছে #বিএনপি-#জামাতের #সন্ত্রাসী বাহিনী।শুক্রবার রাতে উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ভাইঘাট বাজার এলাকায় সংঘটিত এই #হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও পূর্বপরিকল্পিত #সন্ত্রাসী #হামলার আভাস মিলেছে।
মিজানুর রহমান ছিলেন ধোপাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও, দলীয় কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন সক্রিয় ও জনপ্রিয়। এলাকাবাসীর ধারণা, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রগতিশীল নেতৃত্বকে স্তব্ধ করতেই তাকে টার্গেট করা হয়।
মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের সামনে থেকে একদল #দুর্বৃত্ত তাকে ডেকে নেয় গলির ভিতরে। সেখানেই চলে পৈশাচিক #নির্যাতন ও #কুপিয়ে #হত্যার পরিকল্পিত প্রয়াস। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলেও টাঙ্গাইল নেওয়ার পথে মিজানুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগ কে ধ্বংস করতে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একে একে টার্গেট করে হত্যা করছে #বিএনপি-#জামাতের #সন্ত্রাসী মেশিনারি।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
----
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ডেকে নিয়ে মিজানুর রহমান (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে #নৃশংসভাবে #হত্যা করেছে #বিএনপি-#জামাতের #সন্ত্রাসী বাহিনী।শুক্রবার রাতে উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ভাইঘাট বাজার এলাকায় সংঘটিত এই #হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও পূর্বপরিকল্পিত #সন্ত্রাসী #হামলার আভাস মিলেছে।
মিজানুর রহমান ছিলেন ধোপাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও, দলীয় কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন সক্রিয় ও জনপ্রিয়। এলাকাবাসীর ধারণা, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রগতিশীল নেতৃত্বকে স্তব্ধ করতেই তাকে টার্গেট করা হয়।
মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের সামনে থেকে একদল #দুর্বৃত্ত তাকে ডেকে নেয় গলির ভিতরে। সেখানেই চলে পৈশাচিক #নির্যাতন ও #কুপিয়ে #হত্যার পরিকল্পিত প্রয়াস। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলেও টাঙ্গাইল নেওয়ার পথে মিজানুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগ কে ধ্বংস করতে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একে একে টার্গেট করে হত্যা করছে #বিএনপি-#জামাতের #সন্ত্রাসী মেশিনারি।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
"এই রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।"
- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২, টাঙ্গাইলের জনসভায় প্রদত্ত ভাষণ
#Bangabandhu #Bangladesh
- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২, টাঙ্গাইলের জনসভায় প্রদত্ত ভাষণ
#Bangabandhu #Bangladesh
মায়ের চোখের সামনে ছেলেকে #ছুরিকাঘাতে #হত্যা—পেকুয়ায় #ছাত্রদলের #নৃশংস #সন্ত্রাস!
পেকুয়ায় ছাত্রদলের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী #নিহত, মাকে পর্যন্ত রেহাই দেয়নি #ছাত্রদলের #সন্ত্রাসীরা! কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাঝিরপাড়া গ্রামে ছাত্রদলের ভয়াবহ #সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে #হত্যা করে এহসান কবির নামে ছাত্রলীগ কর্মীকে। #হত্যার সময় তার মা ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে #সন্ত্রাসীরা তাকেও #নির্মমভাবে #কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
#ছাত্রদলের #সন্ত্রাসী #বাহিনী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীপন্থী তরুণদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়, এই হামলা তারই জঘন্য প্রমাণ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
পেকুয়ায় ছাত্রদলের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী #নিহত, মাকে পর্যন্ত রেহাই দেয়নি #ছাত্রদলের #সন্ত্রাসীরা! কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাঝিরপাড়া গ্রামে ছাত্রদলের ভয়াবহ #সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে #হত্যা করে এহসান কবির নামে ছাত্রলীগ কর্মীকে। #হত্যার সময় তার মা ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে #সন্ত্রাসীরা তাকেও #নির্মমভাবে #কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
#ছাত্রদলের #সন্ত্রাসী #বাহিনী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীপন্থী তরুণদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়, এই হামলা তারই জঘন্য প্রমাণ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
ইউনুসের করায়ত্ত বাংলাদেশ,গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও সার্বভৌমত্বের পতন
---
বাংলাদেশ আজ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এমন একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এই সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ সেই চেষ্টারই চূড়ান্ত রূপ দেখা যাচ্ছে জনগণের ইচ্ছা উপেক্ষা করে, তাদের অজান্তে, জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এই সরকার আমেরিকার কাছে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
এই ঘাঁটি শুধু একটি ভবন বা স্থাপনা নয় এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক আগ্রাসনের প্রতীক। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক প্রভাব বিস্তারে নামে, তার কুফল প্রথমে ভোগ করবে বাংলাদেশের জনগণই। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতিতে চরম হস্তক্ষেপ।
এদিকে দেশের ভেতরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে, কিন্তু বিচার নেই। মামলা হয় না, কিংবা হলে দোষীদের বিচার হয় না। সরকারকে রক্ষা করার জন্য একটি মব বাহিনী মাঠে নেমে এসেছে তারা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিরোধী মতকে দমন করছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই গ্রেফতার, হামলা, হয়রানি ও মামলা এ যেন নতুন স্বৈরতন্ত্রের চিত্র।
জনগণ এখন অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে। কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সংবাদমাধ্যম বাধাপ্রাপ্ত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি চলছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না, চলা উচিতও নয়।
অনির্বাচিত সরকার, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন এক অশনি সংকেত
বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছে মুক্তির জন্য, বন্দিত্বের জন্য নয়। তারা স্বপ্ন দেখেছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও স্বাধীন দেশের, যেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে, শাসক হবে জবাবদিহিমূলক, আর দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এই জাতি কখনও অন্যায় মেনে নেয়নি। অতএব, এখন সময় এসেছে আবার জেগে ওঠার, সত্যকে বলা, অন্যায়কে রুখে দেওয়ার। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অগণতান্ত্রিক, দখলদার ও পরাধীনতামুখী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
#বাংলাদেশ #BangladeshCrisis #RakhineCorridor #DrYunus #YunusRegime #BangladeshUnderFascism
---
বাংলাদেশ আজ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এমন একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এই সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ সেই চেষ্টারই চূড়ান্ত রূপ দেখা যাচ্ছে জনগণের ইচ্ছা উপেক্ষা করে, তাদের অজান্তে, জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এই সরকার আমেরিকার কাছে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
এই ঘাঁটি শুধু একটি ভবন বা স্থাপনা নয় এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক আগ্রাসনের প্রতীক। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক প্রভাব বিস্তারে নামে, তার কুফল প্রথমে ভোগ করবে বাংলাদেশের জনগণই। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতিতে চরম হস্তক্ষেপ।
এদিকে দেশের ভেতরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে, কিন্তু বিচার নেই। মামলা হয় না, কিংবা হলে দোষীদের বিচার হয় না। সরকারকে রক্ষা করার জন্য একটি মব বাহিনী মাঠে নেমে এসেছে তারা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিরোধী মতকে দমন করছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই গ্রেফতার, হামলা, হয়রানি ও মামলা এ যেন নতুন স্বৈরতন্ত্রের চিত্র।
জনগণ এখন অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে। কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সংবাদমাধ্যম বাধাপ্রাপ্ত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি চলছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না, চলা উচিতও নয়।
অনির্বাচিত সরকার, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন এক অশনি সংকেত
বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছে মুক্তির জন্য, বন্দিত্বের জন্য নয়। তারা স্বপ্ন দেখেছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও স্বাধীন দেশের, যেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে, শাসক হবে জবাবদিহিমূলক, আর দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এই জাতি কখনও অন্যায় মেনে নেয়নি। অতএব, এখন সময় এসেছে আবার জেগে ওঠার, সত্যকে বলা, অন্যায়কে রুখে দেওয়ার। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অগণতান্ত্রিক, দখলদার ও পরাধীনতামুখী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
#বাংলাদেশ #BangladeshCrisis #RakhineCorridor #DrYunus #YunusRegime #BangladeshUnderFascism