ইউনুসের ভুল সিদ্ধান্তে দেশ মুখোমুখি যুদ্ধ-অর্থনৈতিক ধ্বংসের
---
বাংলাদেশ এখন একটি ভয়ানক ভুল পথে হাঁটছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে দূরদর্শিতা নেই, আছে হঠকারিতা; আছে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লোভ আর জাতির ভাগ্য নিয়ে জুয়া খেলার নির্মম চক্রান্ত। ভারত ও চীন এই দুই আঞ্চলিক পরাশক্তি যদি কোনো ভুখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে সেই স্বপ্ন একদিনও সফল হবে না। অথচ আমরা সেই স্বীকৃতিহীন ভূখণ্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।
চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড এই তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে। কিন্তু কেউই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করছে না, কারণ তাদের সরকারগুলো রাজনৈতিক, শক্তিশালী এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। তারা জানে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কতটা বিপজ্জনক। কিন্তু আমাদের দুর্বল সরকার, যারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশি শক্তির দয়ার ওপর নির্ভর করে, তারা এখন আরেকটি দেশের বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে! এটা কেবল কূটনৈতিক আত্মহত্যা নয়, বরং গোটা জাতিকে অনিশ্চিত যুদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতা এবং অর্থনৈতিক ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া।
বিশ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেন এমন জুয়া খেলা হচ্ছে? কার স্বার্থে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংস হতে যাচ্ছে? যেখানে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা, হাজার হাজার কোটি টাকার পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগ রয়েছে—সেখানে যদি আগুন জ্বলে, রক্ত ঝরে, তাহলে দায় নেবে কে?
সরকার যদি এখনই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না। জনগণ জেগে উঠবে, এবং বিশ্বাসঘাতকদের নির্মমভাবে বিচার করবে। দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। জাতির সামনে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করো নইলে বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে।
---
বাংলাদেশ এখন একটি ভয়ানক ভুল পথে হাঁটছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে দূরদর্শিতা নেই, আছে হঠকারিতা; আছে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লোভ আর জাতির ভাগ্য নিয়ে জুয়া খেলার নির্মম চক্রান্ত। ভারত ও চীন এই দুই আঞ্চলিক পরাশক্তি যদি কোনো ভুখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে সেই স্বপ্ন একদিনও সফল হবে না। অথচ আমরা সেই স্বীকৃতিহীন ভূখণ্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।
চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড এই তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে। কিন্তু কেউই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করছে না, কারণ তাদের সরকারগুলো রাজনৈতিক, শক্তিশালী এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। তারা জানে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কতটা বিপজ্জনক। কিন্তু আমাদের দুর্বল সরকার, যারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশি শক্তির দয়ার ওপর নির্ভর করে, তারা এখন আরেকটি দেশের বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে! এটা কেবল কূটনৈতিক আত্মহত্যা নয়, বরং গোটা জাতিকে অনিশ্চিত যুদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতা এবং অর্থনৈতিক ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া।
বিশ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেন এমন জুয়া খেলা হচ্ছে? কার স্বার্থে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংস হতে যাচ্ছে? যেখানে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা, হাজার হাজার কোটি টাকার পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগ রয়েছে—সেখানে যদি আগুন জ্বলে, রক্ত ঝরে, তাহলে দায় নেবে কে?
সরকার যদি এখনই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না। জনগণ জেগে উঠবে, এবং বিশ্বাসঘাতকদের নির্মমভাবে বিচার করবে। দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। জাতির সামনে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করো নইলে বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে।
গণমাধ্যমে চতুর্মুখী সংকট, সাংবাদিকেরা টার্গেট, চাকরিহীন, আর নিঃস্ব
--
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আজ এক ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জিত। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এখন আর কেবল রাজনৈতিক শক্তির রোষানলে নয় এবার টার্গেটে রেখেছে #উগ্রবাদী #মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো। টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন সবখানেই চলছে সাংবাদিক #নিপীড়ন, #দমন-#পীড়ন, এবং #ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা।
বর্তমান সরকারকে সমালোচনা করা মানেই এখন মিথ্যা #মামলায় আসামি হওয়া, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ পাওয়া কিংবা #জঙ্গি #হামলার শিকার হওয়া। একদিকে পুলিশ ও প্রশাসনের রোষ, অন্যদিকে মৌলবাদী গোষ্ঠীর হুমকি এই দুই #আগুনের মাঝে পড়ে আছে সাংবাদিক সমাজ।
৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে মিডিয়া জগতে এক ভয়াবহ 'শুদ্ধি অভিযান' শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০০ জন সাংবাদিক টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হয়েছেন। সরকারের অনুগত না হওয়া, নিরপেক্ষ থেকে কাজ করা বা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করাই তাদের "অপরাধ" হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেকার হয়ে পড়া সাংবাদিকদের জীবন আজ অনিশ্চয়তায় ভরা।
আর যারা এখনও চাকরিতে টিকে আছেন, তাদেরও অবস্থা শোচনীয়। অধিকাংশ সংবাদপত্র নিয়মিত বেতন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক সাংবাদিক ২-৩ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবে উপেক্ষিত। কোন কোন মিডিয়ায় জুনিয়র রিপোর্টারদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পূর্ণ সময় কাজ করানো হচ্ছে যা স্পষ্ট শ্রমিক শোষণ।
এই চতুর্মুখী বিশৃঙ্খলায় গণমাধ্যম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একদিকে রাজনৈতিক দমন, অন্যদিকে #মৌলবাদী #সন্ত্রাস, তৃতীয়দিকে আর্থিক অনিশ্চয়তা ও মালিক পক্ষের শোষণ এই তিনে পিষ্ট হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং তার প্রাণ সাংবাদিকেরা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেবল সাংবাদিকদের বিষয় নয়, এটি একটি জাতির বিবেকের প্রশ্ন। যদি সাংবাদিকেরা চুপ করে যান, যদি সত্য চাপা পড়ে যায়, যদি মিথ্যা-ভিত্তিক প্রচার চলে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে তবে জনগণের চোখ বন্ধ থাকবে, গণতন্ত্র নিঃশব্দে হারিয়ে যাবে।
এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
--
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আজ এক ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জিত। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এখন আর কেবল রাজনৈতিক শক্তির রোষানলে নয় এবার টার্গেটে রেখেছে #উগ্রবাদী #মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো। টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন সবখানেই চলছে সাংবাদিক #নিপীড়ন, #দমন-#পীড়ন, এবং #ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা।
বর্তমান সরকারকে সমালোচনা করা মানেই এখন মিথ্যা #মামলায় আসামি হওয়া, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ পাওয়া কিংবা #জঙ্গি #হামলার শিকার হওয়া। একদিকে পুলিশ ও প্রশাসনের রোষ, অন্যদিকে মৌলবাদী গোষ্ঠীর হুমকি এই দুই #আগুনের মাঝে পড়ে আছে সাংবাদিক সমাজ।
৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে মিডিয়া জগতে এক ভয়াবহ 'শুদ্ধি অভিযান' শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০০ জন সাংবাদিক টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হয়েছেন। সরকারের অনুগত না হওয়া, নিরপেক্ষ থেকে কাজ করা বা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করাই তাদের "অপরাধ" হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেকার হয়ে পড়া সাংবাদিকদের জীবন আজ অনিশ্চয়তায় ভরা।
আর যারা এখনও চাকরিতে টিকে আছেন, তাদেরও অবস্থা শোচনীয়। অধিকাংশ সংবাদপত্র নিয়মিত বেতন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক সাংবাদিক ২-৩ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবে উপেক্ষিত। কোন কোন মিডিয়ায় জুনিয়র রিপোর্টারদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পূর্ণ সময় কাজ করানো হচ্ছে যা স্পষ্ট শ্রমিক শোষণ।
এই চতুর্মুখী বিশৃঙ্খলায় গণমাধ্যম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একদিকে রাজনৈতিক দমন, অন্যদিকে #মৌলবাদী #সন্ত্রাস, তৃতীয়দিকে আর্থিক অনিশ্চয়তা ও মালিক পক্ষের শোষণ এই তিনে পিষ্ট হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং তার প্রাণ সাংবাদিকেরা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেবল সাংবাদিকদের বিষয় নয়, এটি একটি জাতির বিবেকের প্রশ্ন। যদি সাংবাদিকেরা চুপ করে যান, যদি সত্য চাপা পড়ে যায়, যদি মিথ্যা-ভিত্তিক প্রচার চলে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে তবে জনগণের চোখ বন্ধ থাকবে, গণতন্ত্র নিঃশব্দে হারিয়ে যাবে।
এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
The Persecution Report With Dr. Bidit Dey
Episode Title: Attack on Our Culture
Panelists:
Dr. Raihan Jamil
Center for Bangladesh Genocide Research
Saifur Rahman Mishu
IT Specialist & Blogger, Director of Global Justice Network Foundation
Tonoy Emroz Alam
Human Rights Activist, Member of the Editorial Board, BD Digest
In this episode, we take a hard look at a disturbing reality unfolding in Bangladesh — a wave of violence and hostility aimed at its cultural foundations. Culture isn't just music, art, or celebration — it's identity, memory, and belonging. It's the soul of a people.
Through compelling conversations and grounded storytelling, we explore how Bangladesh’s rich and pluralistic heritage — built over centuries by poets, mystics, and everyday people — is now being challenged by rising extremism, political unrest, and targeted assaults on religious and ethnic communities.
We examine what it truly means to be Bengali: the rhythms of our festivals, the wisdom of Lalon, the voices of Rabindranath and Nazrul, and how attacks on sculptures, cultural spaces, and activists reflect a deeper struggle over the soul of the nation.
Date: Sunday, May 04, 2025
Time: 11 PM Dhaka, 5 PM UTC
Episode Title: Attack on Our Culture
Panelists:
Dr. Raihan Jamil
Center for Bangladesh Genocide Research
Saifur Rahman Mishu
IT Specialist & Blogger, Director of Global Justice Network Foundation
Tonoy Emroz Alam
Human Rights Activist, Member of the Editorial Board, BD Digest
In this episode, we take a hard look at a disturbing reality unfolding in Bangladesh — a wave of violence and hostility aimed at its cultural foundations. Culture isn't just music, art, or celebration — it's identity, memory, and belonging. It's the soul of a people.
Through compelling conversations and grounded storytelling, we explore how Bangladesh’s rich and pluralistic heritage — built over centuries by poets, mystics, and everyday people — is now being challenged by rising extremism, political unrest, and targeted assaults on religious and ethnic communities.
We examine what it truly means to be Bengali: the rhythms of our festivals, the wisdom of Lalon, the voices of Rabindranath and Nazrul, and how attacks on sculptures, cultural spaces, and activists reflect a deeper struggle over the soul of the nation.
Date: Sunday, May 04, 2025
Time: 11 PM Dhaka, 5 PM UTC
"An atmosphere of fear grips the journalists in Bangladesh"
https://x.com/albd1971/status/1918973939629351349
https://x.com/albd1971/status/1918973939629351349
৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে মিডিয়া জগতে এক ভয়াবহ 'শুদ্ধি অভিযান' শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০০ জন সাংবাদিক টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হয়েছেন। সরকারের অনুগত না হওয়া, নিরপেক্ষ থেকে কাজ করা বা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করাই তাদের "অপরাধ" হয়ে দাঁড়িয়েছে।
👉 https://albd.org/bn/articles/news/41546
👉 https://albd.org/bn/articles/news/41546
এই মানুষটা নিজের জন্য কিছু চায় না, সবই দেশের জন্য!
চলুন দেখে আসি।
🎦 https://youtube.com/shorts/zzOUOc920EE?si=pQoAdtrI005dJ8qZ
চলুন দেখে আসি।
🎦 https://youtube.com/shorts/zzOUOc920EE?si=pQoAdtrI005dJ8qZ
YouTube
এই মানুষটা নিজের জন্য কিছু চায় না, সবই দেশের জন্য!
এই মানুষটা নিজের জন্য কিছু চায় না, সবই দেশের জন্য!চলুন দেখে আসি।
মাগুরায় আওয়ামী লীগ নেতার ওপর #সন্ত্রাসী হামলা: শহিদুল ইসলাম বাবুকে #কুপিয়ে #হত্যাচেষ্টা
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মীর শহিদুল ইসলাম বাবু সন্ত্রাসী #হামলার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় #বিএনপি ও তাদের সহযোগী ক্যাডার বাহিনীর পরিকল্পিত #হামলায় তাকে #কুপিয়ে #জখম করা হয়।
#হামলাকারীরা ছিলো চিহ্নিত #বিএনপি ও #ছাত্রদল ক্যাডার। তারা আগেও এলাকায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। এই হামলা তাদের #সন্ত্রাসী রাজনৈতিক মনোভাবেরই আরেকটি প্রকাশ।
এটাই কি #বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল—আওয়ামী লীগ কর্মীদের দমন করতে রক্ত ও #সন্ত্রাসের পথ বেছে নেওয়া?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মীর শহিদুল ইসলাম বাবু সন্ত্রাসী #হামলার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় #বিএনপি ও তাদের সহযোগী ক্যাডার বাহিনীর পরিকল্পিত #হামলায় তাকে #কুপিয়ে #জখম করা হয়।
#হামলাকারীরা ছিলো চিহ্নিত #বিএনপি ও #ছাত্রদল ক্যাডার। তারা আগেও এলাকায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। এই হামলা তাদের #সন্ত্রাসী রাজনৈতিক মনোভাবেরই আরেকটি প্রকাশ।
এটাই কি #বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল—আওয়ামী লীগ কর্মীদের দমন করতে রক্ত ও #সন্ত্রাসের পথ বেছে নেওয়া?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
এই বাংলার হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-ননবেঙ্গলি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।
- বঙ্গবন্ধু
#Bangabandhu #Bangladesh
- বঙ্গবন্ধু
#Bangabandhu #Bangladesh
"চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে সুবিধাপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের একাল-সেকাল"
---
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা নিয়ে কয়েকটি লেখা লিখেছি। কিছু প্রশ্নও উঠেছে যে, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সাংবাদিকেরা ব্যাপক সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন এবং সরকারের পদলেহন করেছেন। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠার পেছনে এই সুবিধাভোগী সাংবাদিকদের নাকি ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন সংজ্ঞাতেই ফ্যাসিস্ট নয়, এটা নিয়ে বিশদে লেখা প্রকাশের ইচ্ছা রইল। দ্বিতীয়ত শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের সরকারে খুব নগণ্য সংখ্যক সাংবাদিক বিশেষ সুবিধা বা প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছেন। পক্ষান্তরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাত্র ৯ মাসের সরকারে তুলনামূলক বিশাল সংখ্যক সাংবাদিক বিশেষ সুবিধা বা প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছেন।
লেখাতেই স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের তেমন কোন সুবিধা দেয়নি। এমনকি আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিক বলে যাদেরকে চাকরিচ্যুত, মামলা, গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২/১ জন ছাড়া বাকীরা কখনও সামাজিক মাধ্যম বা টকশোতে আওয়ামী লীগের কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হননি। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ বিরোধী সাংবাদিকেরা বরাবরই দলীয় কর্মীর ভূমিকা পালন করেন, অনেকেই বিএনিপি-জামায়াতের কমিটির পদধারী নেতা। খেয়াল করলেই বোঝা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলার কারণে অনেককেই আওয়ামী লীগার ট্যাগ দেয়া হলেও তারা মূলত পেশাদার সাংবাদিক। এদেশে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কথা বললে হয় নিরপেক্ষ আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বললে বানানো হয় আওয়ামী লীগার, নাস্তিক, সুবিধাবাদী, ফ্যাসিস্টের দোসর ইত্যাদি। এটা বুঝতে পারা এবং উপলব্ধি করা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি জরুরি বিষয় জানা থাকা ভালো যে, প্লট পাওয়া কোন বিশেষ সুবিধা নয়, এটা অন্যান্য অনেক পেশার নাগরিকদের মতোই সাংবাদিকদেরও অধিকার এবং আইনগতভাবে বৈধ। বিএনপি-জামায়াত ঘরানার অনেকেই যেমন আওয়ামী লীগ আমলে প্লট পেয়েছেন, তেমনি জামায়াত-বিএনপি আমলেও আওয়ামী ঘরানার বলে পরিচিত কেউ কেউ প্লট পেয়েছেন। সঙ্গত কারণেই নামগুলো উল্লেখ করছি না। এবার লেখার মূল আলাপে ফেরা যাক।
খ.
অধ্যাপদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৮ আগস্ট শপথ নিয়েছেন। এরপর থেকে আজ অব্দি কতজন সাংবাদিককে বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে, তার হিসাব নিচে দেয়া হলো-
১। শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। প্রথমে সচিব মর্যাদায় নিয়োগ হলেও পরে পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা নিয়েছেন। একইসাথে তিনি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য/পরিচালক হয়েছেন, কিন্তু এতে সরকার প্রধানের প্রেস সচিব হিসেবে একটি কোম্পানির বোর্ড মেম্বার হওয়ায় কি কি কনফ্লিক্ট হতে পারে সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে লেখা যাবে। তিনি এএফপি’র ব্যুরো চীফ ছিলেন। ফ্যাক্ট চেকের নামে অনানুষ্ঠানিক অফিস ও ফ্যাক্টচেকার নামক জনবল নিয়োজিত করে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমকে হেনস্তা করছে। কিন্তু এই অফিস ও লোকবলের খরচ কোথা থেকে আসে? প্রেস সচিবের ক্ষমতায় তিনি যে মাফিয়াগিরি চালিয়ে গণমাধ্যমকে চুপ করে দিয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও ঘটে নাই।
২। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব। ইংরেজি দ্য নিউ এইজের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ছিলেন।
৩। অপূর্ব জাহাঙ্গীর, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব। পৈতৃক সূত্রে লেখালেখি করেন বলে সাংবাদিক হয়ে গেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপন ভাতিজা।
৪। ফয়েজ আহাম্মেদ, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব। ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন।
৫। সুচিস্মিতা তিথি, প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব। দ্য ডেইলি স্টারের সাব-এডিটর ছিলেন। সাবেক উপদেষ্টা ও এনসিপি’র আহবায়ক নাহিদ ইসলামের বন্ধু কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন।
৬। নাইম আলী, প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব। দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ভিজুয়াল সাংবাদিক ছিলেন।
৭। মনির হায়দার, সিনিয়র সচিব মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। অর্ধ শিক্ষিত এই সাংবাদিক ১/১১ এর সুবিধাভোগী হিসেবে তখনই একটি পেট্রোল পাম্প সহ নানান সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ছিলেন বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের উপদেষ্টা। মার্কিন নাগরিক। দীর্ঘদিন পরে দেশে ফিরেই সিনিয়র সচিব হয়ে গেছেন।
৮। মোঃ মাহবুবুল আলম, বিটিভির ডিজি। দিগন্ত টিভির ম্যানেজিং এডিটর ছিলেন।
৯। ফারুক ওয়াসিফ, পিআইবির মহাপরিচালক। রাজনৈতিক কলামিস্ট বিবেচনায় সাংবাদিক এবং দৈনিক সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন।
১০। এম আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি। বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা হলেও সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝায় তার আশেপাশে নেই বললেই চলে। একদা দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার রিপোর্টার ছিলেন।
---
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা নিয়ে কয়েকটি লেখা লিখেছি। কিছু প্রশ্নও উঠেছে যে, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সাংবাদিকেরা ব্যাপক সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন এবং সরকারের পদলেহন করেছেন। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠার পেছনে এই সুবিধাভোগী সাংবাদিকদের নাকি ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন সংজ্ঞাতেই ফ্যাসিস্ট নয়, এটা নিয়ে বিশদে লেখা প্রকাশের ইচ্ছা রইল। দ্বিতীয়ত শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের সরকারে খুব নগণ্য সংখ্যক সাংবাদিক বিশেষ সুবিধা বা প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছেন। পক্ষান্তরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাত্র ৯ মাসের সরকারে তুলনামূলক বিশাল সংখ্যক সাংবাদিক বিশেষ সুবিধা বা প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছেন।
লেখাতেই স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের তেমন কোন সুবিধা দেয়নি। এমনকি আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিক বলে যাদেরকে চাকরিচ্যুত, মামলা, গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২/১ জন ছাড়া বাকীরা কখনও সামাজিক মাধ্যম বা টকশোতে আওয়ামী লীগের কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হননি। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ বিরোধী সাংবাদিকেরা বরাবরই দলীয় কর্মীর ভূমিকা পালন করেন, অনেকেই বিএনিপি-জামায়াতের কমিটির পদধারী নেতা। খেয়াল করলেই বোঝা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলার কারণে অনেককেই আওয়ামী লীগার ট্যাগ দেয়া হলেও তারা মূলত পেশাদার সাংবাদিক। এদেশে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কথা বললে হয় নিরপেক্ষ আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বললে বানানো হয় আওয়ামী লীগার, নাস্তিক, সুবিধাবাদী, ফ্যাসিস্টের দোসর ইত্যাদি। এটা বুঝতে পারা এবং উপলব্ধি করা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি জরুরি বিষয় জানা থাকা ভালো যে, প্লট পাওয়া কোন বিশেষ সুবিধা নয়, এটা অন্যান্য অনেক পেশার নাগরিকদের মতোই সাংবাদিকদেরও অধিকার এবং আইনগতভাবে বৈধ। বিএনপি-জামায়াত ঘরানার অনেকেই যেমন আওয়ামী লীগ আমলে প্লট পেয়েছেন, তেমনি জামায়াত-বিএনপি আমলেও আওয়ামী ঘরানার বলে পরিচিত কেউ কেউ প্লট পেয়েছেন। সঙ্গত কারণেই নামগুলো উল্লেখ করছি না। এবার লেখার মূল আলাপে ফেরা যাক।
খ.
অধ্যাপদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৮ আগস্ট শপথ নিয়েছেন। এরপর থেকে আজ অব্দি কতজন সাংবাদিককে বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে, তার হিসাব নিচে দেয়া হলো-
১। শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। প্রথমে সচিব মর্যাদায় নিয়োগ হলেও পরে পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা নিয়েছেন। একইসাথে তিনি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য/পরিচালক হয়েছেন, কিন্তু এতে সরকার প্রধানের প্রেস সচিব হিসেবে একটি কোম্পানির বোর্ড মেম্বার হওয়ায় কি কি কনফ্লিক্ট হতে পারে সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে লেখা যাবে। তিনি এএফপি’র ব্যুরো চীফ ছিলেন। ফ্যাক্ট চেকের নামে অনানুষ্ঠানিক অফিস ও ফ্যাক্টচেকার নামক জনবল নিয়োজিত করে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমকে হেনস্তা করছে। কিন্তু এই অফিস ও লোকবলের খরচ কোথা থেকে আসে? প্রেস সচিবের ক্ষমতায় তিনি যে মাফিয়াগিরি চালিয়ে গণমাধ্যমকে চুপ করে দিয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও ঘটে নাই।
২। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব। ইংরেজি দ্য নিউ এইজের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ছিলেন।
৩। অপূর্ব জাহাঙ্গীর, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব। পৈতৃক সূত্রে লেখালেখি করেন বলে সাংবাদিক হয়ে গেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপন ভাতিজা।
৪। ফয়েজ আহাম্মেদ, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব। ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন।
৫। সুচিস্মিতা তিথি, প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব। দ্য ডেইলি স্টারের সাব-এডিটর ছিলেন। সাবেক উপদেষ্টা ও এনসিপি’র আহবায়ক নাহিদ ইসলামের বন্ধু কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন।
৬। নাইম আলী, প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব। দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ভিজুয়াল সাংবাদিক ছিলেন।
৭। মনির হায়দার, সিনিয়র সচিব মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। অর্ধ শিক্ষিত এই সাংবাদিক ১/১১ এর সুবিধাভোগী হিসেবে তখনই একটি পেট্রোল পাম্প সহ নানান সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ছিলেন বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের উপদেষ্টা। মার্কিন নাগরিক। দীর্ঘদিন পরে দেশে ফিরেই সিনিয়র সচিব হয়ে গেছেন।
৮। মোঃ মাহবুবুল আলম, বিটিভির ডিজি। দিগন্ত টিভির ম্যানেজিং এডিটর ছিলেন।
৯। ফারুক ওয়াসিফ, পিআইবির মহাপরিচালক। রাজনৈতিক কলামিস্ট বিবেচনায় সাংবাদিক এবং দৈনিক সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন।
১০। এম আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি। বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা হলেও সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝায় তার আশেপাশে নেই বললেই চলে। একদা দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার রিপোর্টার ছিলেন।
১১। মাহবুব মোর্শেদ, বাসসের এমডি ও প্রধান সম্পাদক। অখ্যাত গল্পকার ও কথাকার এবং একদা দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার অনলাইন বিভাগের উপ-সম্পাদক ছিলেন। বাংলা ব্লগ যুগের ‘কলু মাহবুব’ সাহেব একজন স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীও বটে!
১২। আনোয়ার আলদিন, বাসসের চেয়ারম্যান। দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার ছিলেন, ৫ আগস্টের পরে যুগ্ম সম্পাদকের পদে বসেছে। বাসস, পিআইবি, প্রেস কাউন্সিল ইত্যাদি হলো সাংবাদিকদের পেশাগত প্রতিষ্ঠান। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে থেকে একজনকে বানানোর রেওয়াজ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পিআইবির চেয়ারম্যান অত্যন্ত সিনিয়র ও যশস্বী সাংবাদিককে বানানোর রেওয়াজ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার এবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ফেরদৌস আজিমকে নিয়োগ দিয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বাসসের চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও প্রয়াত অধ্যাপক ড. আবুল আহসান মোহাম্মদ সামছুল আরেফিন সিদ্দিক। আর অন্তর্বর্তী সরকার চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছে একজন নিম্নমেধার অসৎ সাংবাদিককে। যিনি অতি অল্পবয়সে ২০০১ সালে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়ে টাকার বিনিময়ে সিনেমার ছাড়পত্রে সই করতেন। একটু বয়সী পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০০১ পরবর্তী বাংলাদেশের সিনেমার বেহাল দশার হালহকিকত। বাসসের চেয়ারম্যানের মতো একটি সম্মানজনক পদে তাকে বসানোর মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার ও বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনা নীতির আভাস পাওয়া যায়। আর আনোয়ার আলদিনের একমাত্র যোগ্যতা সম্ভবত লন্ডনের ভাইয়ার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও সম্পর্ক।
১৩। গোলাম মোর্তোজা, সচিব মর্যাদায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইনের বাংলা বিভাগের অনলাইনের সম্পাদক ছিলেন। মজার ব্যাপার হলো ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতও সচিবের মর্যাদাপ্রাপ্ত নন, তিনি অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদার পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। অথচ রাষ্ট্রদূতের অধিনস্ত প্রেস মিনিস্টারকে সচিবের মর্যাদা দিয়েছে ইউনূস সরকার। এ-এক তুঘলকি কাণ্ড! বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন বে-নজির আর দ্বিতীয়টি ঘটেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাটদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের পাশাপাশি এক লাইন ইংরেজি বলতে ও লিখতে গোলাম মোর্তোজার দাঁত ও কলম দুটোই ভাঙ্গার উপক্রম হওয়ায় ব্যাপক হাস্যরসেরও সঞ্চার হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরেই গোলাম মোর্তোজা টকশোতে বারবার বলেছেন, যেসব সাংবাদিক সরকারের সুবিধা নেয় এবং বিভিন্ন পদে নিয়োগ পায়, তারা হলো দালাল সাংবাদিক। তাহলে এখন গোলাম সাহেব কি অভিধায় ভূষিত হবেন?
১৪। এম মুশফিকুল ফজল আনসারী, সিনিয়র সচিব মর্যাদায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্টনিউজবিডির সম্পাদক এবং ওয়াশিংটন ভিত্তিক ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পার্সপেকটিভস এর নির্বাহী সম্পাদক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ছিলেন। মার্কিন নাগরিক।
১৫। আকবর হোসেন মজুমদার, লন্ডনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার। বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক ছিলেন।
১৬। ফয়সাল মাহমুদ, দিল্লিতে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার। মূলত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল খানের প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা আউটলুকের’ ইংরেজি সংস্করণের সম্পাদক এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বাংলাদেশ প্রতিনিধি।
১৭। তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (তারিক চয়ন), কলকাতায় নিযুক্ত প্রেস শাখার প্রথম সচিব। দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক এবং তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর রহমানের প্রতিষ্ঠান সিজিএস-এর কর্মকর্তা ছিলেন।
১৮। তালুকদার সালাহউদ্দিন আহমাদ, কর্মসংস্থান ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন। এসএ টিভির নিউজ এডিটর।
১৯। মোঃ খাজা মাঈন উদ্দিন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। দৈনিক প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের সাবেক সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
২০। সালেহ উদ্দিন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। ৫ আগস্টের পরে দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদকের পদ দখলকারী। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
২১। মোঃ জিয়াউর রহমান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাবেক বিশেষ সংবাদদাতা।
২২। শাহনাজ সারমিন রিনভী, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের সাবেক সাংবাদিক।
২৩। সামসুল হক জাহিদ, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য। দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক।
২৪। রফিউল ইসলাম, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানি লি (ওজোপাডিকো) এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক। খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি।
১২। আনোয়ার আলদিন, বাসসের চেয়ারম্যান। দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার ছিলেন, ৫ আগস্টের পরে যুগ্ম সম্পাদকের পদে বসেছে। বাসস, পিআইবি, প্রেস কাউন্সিল ইত্যাদি হলো সাংবাদিকদের পেশাগত প্রতিষ্ঠান। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে থেকে একজনকে বানানোর রেওয়াজ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পিআইবির চেয়ারম্যান অত্যন্ত সিনিয়র ও যশস্বী সাংবাদিককে বানানোর রেওয়াজ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার এবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ফেরদৌস আজিমকে নিয়োগ দিয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বাসসের চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও প্রয়াত অধ্যাপক ড. আবুল আহসান মোহাম্মদ সামছুল আরেফিন সিদ্দিক। আর অন্তর্বর্তী সরকার চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছে একজন নিম্নমেধার অসৎ সাংবাদিককে। যিনি অতি অল্পবয়সে ২০০১ সালে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়ে টাকার বিনিময়ে সিনেমার ছাড়পত্রে সই করতেন। একটু বয়সী পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০০১ পরবর্তী বাংলাদেশের সিনেমার বেহাল দশার হালহকিকত। বাসসের চেয়ারম্যানের মতো একটি সম্মানজনক পদে তাকে বসানোর মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার ও বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনা নীতির আভাস পাওয়া যায়। আর আনোয়ার আলদিনের একমাত্র যোগ্যতা সম্ভবত লন্ডনের ভাইয়ার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও সম্পর্ক।
১৩। গোলাম মোর্তোজা, সচিব মর্যাদায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইনের বাংলা বিভাগের অনলাইনের সম্পাদক ছিলেন। মজার ব্যাপার হলো ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতও সচিবের মর্যাদাপ্রাপ্ত নন, তিনি অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদার পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। অথচ রাষ্ট্রদূতের অধিনস্ত প্রেস মিনিস্টারকে সচিবের মর্যাদা দিয়েছে ইউনূস সরকার। এ-এক তুঘলকি কাণ্ড! বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন বে-নজির আর দ্বিতীয়টি ঘটেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাটদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের পাশাপাশি এক লাইন ইংরেজি বলতে ও লিখতে গোলাম মোর্তোজার দাঁত ও কলম দুটোই ভাঙ্গার উপক্রম হওয়ায় ব্যাপক হাস্যরসেরও সঞ্চার হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরেই গোলাম মোর্তোজা টকশোতে বারবার বলেছেন, যেসব সাংবাদিক সরকারের সুবিধা নেয় এবং বিভিন্ন পদে নিয়োগ পায়, তারা হলো দালাল সাংবাদিক। তাহলে এখন গোলাম সাহেব কি অভিধায় ভূষিত হবেন?
১৪। এম মুশফিকুল ফজল আনসারী, সিনিয়র সচিব মর্যাদায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্টনিউজবিডির সম্পাদক এবং ওয়াশিংটন ভিত্তিক ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পার্সপেকটিভস এর নির্বাহী সম্পাদক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ছিলেন। মার্কিন নাগরিক।
১৫। আকবর হোসেন মজুমদার, লন্ডনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার। বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক ছিলেন।
১৬। ফয়সাল মাহমুদ, দিল্লিতে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার। মূলত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল খানের প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা আউটলুকের’ ইংরেজি সংস্করণের সম্পাদক এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বাংলাদেশ প্রতিনিধি।
১৭। তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (তারিক চয়ন), কলকাতায় নিযুক্ত প্রেস শাখার প্রথম সচিব। দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক এবং তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর রহমানের প্রতিষ্ঠান সিজিএস-এর কর্মকর্তা ছিলেন।
১৮। তালুকদার সালাহউদ্দিন আহমাদ, কর্মসংস্থান ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন। এসএ টিভির নিউজ এডিটর।
১৯। মোঃ খাজা মাঈন উদ্দিন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। দৈনিক প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের সাবেক সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
২০। সালেহ উদ্দিন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। ৫ আগস্টের পরে দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদকের পদ দখলকারী। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
২১। মোঃ জিয়াউর রহমান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাবেক বিশেষ সংবাদদাতা।
২২। শাহনাজ সারমিন রিনভী, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের সাবেক সাংবাদিক।
২৩। সামসুল হক জাহিদ, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য। দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক।
২৪। রফিউল ইসলাম, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানি লি (ওজোপাডিকো) এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক। খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি।
২৫। কামাল আহমেদ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান। দৈনিক প্রথম আলোর কলামিস্ট-সাংবাদিক। ব্রিটিশ নাগরিক।
২৬। সৈয়দ আবদাল আহমেদ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব ছিলেন।
২৭। ফাহিম আহমেদ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক এই সাংবাদিক যমুনা টিভির সিইও এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি।
২৮। জিমি আমির, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও আহবায়ক, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক।
২৯। মোস্তফা সবুজ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
৩০। টিটু দত্ত গুপ্ত, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর।
৩১। মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। ডিবিসি চ্যানেলের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
৩২। তাসলিমা আখতার (লিমা), শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য। আলোকচিত্র সাংবাদিক।
৩৩। শিবলী আহমেদ, চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানি কমিটির সদস্য। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ডিজিটালের বিনোদন বিভাগের ইনচার্জ।
মন্তব্যঃ প্রতিটি পদ ও দায়িত্বের সাথে রয়েছে অর্থ, সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক। ৩৩ জন মানুষ ৩৬টি পদের দায়িত্বে নিয়োজিত। বেতন, ভাতা, বোনাস, সভা ফি, বাড়ি, গাড়ি, চিকিৎসার সুবিধাসহ নানারকম বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এই সাংবাদিক নামক ভদ্র মহোদয়গণ ও ভদ্র মহিলাগণ। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া ও রাজনীতির অঙ্গনে তারা ইউনূস সরকারের দালাল নয়, জ#ঙ্গিবাদ সমর্থক নয় এবং সাম্রাজ্যবাদের দালাল নয়। ভাবখানা এমন যে, বাংলাদেশে কেবল তারাই প্রগতির পরিব্রাজক! তাদের কেউ বিভিন্ন পদে যোগদানের আগে সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছে বলে শুনিনি এবং এরকম কোন নিউজও গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখিনি। অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো বাংলাদেশে একমাত্র ফেরেশতাদের সরকার, আর রাজনৈতিক সরকার হলো শয়তানের সরকার। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের তোষামোদকারীদের সবকিছু হালাল। আর এখন তো শোনা যায় কেউ কেউ সম্পদের পাহাড় গড়ছেন। নিশ্চয়ই তারা সাবেক হলে সেইসব তথ্যও প্রকাশ্যে আসবে।
গ.
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের সরকার শপথ নিয়েছিল। মাঝখানে আরও তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা প্রায় ১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। এই সময়কালে কতজন সাংবাদিককে বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন, সেই তালিকা নিচে দেয়া হলো-
১। সাংবাদিকদের মধ্যে বড় নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হয়েছিলেন, কিন্তু অবৈতনিক; অর্থাৎ বেতন নিতেন না।
২। আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও বাসসের এমডি।
৩। প্রয়াত ইহসানুল করিম হেলাল, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
৪। নাইমুল ইসলাম খান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
৫। মামুন অর রশিদ, জাতিসংঘে দ্বিতীয় সচিব এবং জাতিসংঘের মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হন।
৬। আশরাফুল আলম খোকন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব ছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
৭। হাসান জাহিদ তুষার, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব ছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
৮। আসিফ কবীর, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবং পরে মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির মিডিয়া কনসালট্যান্ট ছিলেন।
৯। এস এম গোর্কি, দৈনিক যুগান্তরের চীফ ফটোসাংবাদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ ফটোগ্রাফার হয়েছিলেন।
১০। আন্দ্রিয় স্কু, প্রধানমন্ত্রীর ফটোগ্রাফার ছিলেন।
১১। মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রধানমন্ত্রীর ফটোগ্রাফার ছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
১২। মনজুরুল আহসান বুলবুল, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি কি (আরজিপিজিসিএল) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
১৩। কাশেম হুমায়ুন, সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
১৪। মাসুদা ভাট্টি, তথ্য কমিশনার হয়েছিলেন।
১৫। সুভাষ চন্দ বাদল, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি।
১৬। প্রয়াত মোঃ শাহ আলমগীর, পিআইবির মহাপরিচালক ছিলেন।
১৭। জাফর ওয়াজেদ, পিআইবির মহাপরিচালক ছিলেন।
১৮। রাশেদ চৌধুরী, লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
১৯। আশিকুন নবী চৌধুরী, লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন। বাসসের সাংবাদিক।
২০। নাদিম কাদির, লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার হয়েছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
২১। স্বপন সাহা, ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২২। শামীম আহমেদ সিদ্দিকী, ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২৩। সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২৪। মোবাশ্বিরা ফারজানা (মিথিলা ফারজানা), কানাডার অটোয়া হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন।
২৬। সৈয়দ আবদাল আহমেদ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব ছিলেন।
২৭। ফাহিম আহমেদ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক এই সাংবাদিক যমুনা টিভির সিইও এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি।
২৮। জিমি আমির, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও আহবায়ক, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক।
২৯। মোস্তফা সবুজ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
৩০। টিটু দত্ত গুপ্ত, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর।
৩১। মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য। ডিবিসি চ্যানেলের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
৩২। তাসলিমা আখতার (লিমা), শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য। আলোকচিত্র সাংবাদিক।
৩৩। শিবলী আহমেদ, চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানি কমিটির সদস্য। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ডিজিটালের বিনোদন বিভাগের ইনচার্জ।
মন্তব্যঃ প্রতিটি পদ ও দায়িত্বের সাথে রয়েছে অর্থ, সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক। ৩৩ জন মানুষ ৩৬টি পদের দায়িত্বে নিয়োজিত। বেতন, ভাতা, বোনাস, সভা ফি, বাড়ি, গাড়ি, চিকিৎসার সুবিধাসহ নানারকম বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এই সাংবাদিক নামক ভদ্র মহোদয়গণ ও ভদ্র মহিলাগণ। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া ও রাজনীতির অঙ্গনে তারা ইউনূস সরকারের দালাল নয়, জ#ঙ্গিবাদ সমর্থক নয় এবং সাম্রাজ্যবাদের দালাল নয়। ভাবখানা এমন যে, বাংলাদেশে কেবল তারাই প্রগতির পরিব্রাজক! তাদের কেউ বিভিন্ন পদে যোগদানের আগে সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছে বলে শুনিনি এবং এরকম কোন নিউজও গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখিনি। অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো বাংলাদেশে একমাত্র ফেরেশতাদের সরকার, আর রাজনৈতিক সরকার হলো শয়তানের সরকার। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের তোষামোদকারীদের সবকিছু হালাল। আর এখন তো শোনা যায় কেউ কেউ সম্পদের পাহাড় গড়ছেন। নিশ্চয়ই তারা সাবেক হলে সেইসব তথ্যও প্রকাশ্যে আসবে।
গ.
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের সরকার শপথ নিয়েছিল। মাঝখানে আরও তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা প্রায় ১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। এই সময়কালে কতজন সাংবাদিককে বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন, সেই তালিকা নিচে দেয়া হলো-
১। সাংবাদিকদের মধ্যে বড় নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হয়েছিলেন, কিন্তু অবৈতনিক; অর্থাৎ বেতন নিতেন না।
২। আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও বাসসের এমডি।
৩। প্রয়াত ইহসানুল করিম হেলাল, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
৪। নাইমুল ইসলাম খান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
৫। মামুন অর রশিদ, জাতিসংঘে দ্বিতীয় সচিব এবং জাতিসংঘের মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হন।
৬। আশরাফুল আলম খোকন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব ছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
৭। হাসান জাহিদ তুষার, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব ছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
৮। আসিফ কবীর, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবং পরে মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির মিডিয়া কনসালট্যান্ট ছিলেন।
৯। এস এম গোর্কি, দৈনিক যুগান্তরের চীফ ফটোসাংবাদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ ফটোগ্রাফার হয়েছিলেন।
১০। আন্দ্রিয় স্কু, প্রধানমন্ত্রীর ফটোগ্রাফার ছিলেন।
১১। মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রধানমন্ত্রীর ফটোগ্রাফার ছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
১২। মনজুরুল আহসান বুলবুল, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি কি (আরজিপিজিসিএল) এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
১৩। কাশেম হুমায়ুন, সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
১৪। মাসুদা ভাট্টি, তথ্য কমিশনার হয়েছিলেন।
১৫। সুভাষ চন্দ বাদল, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি।
১৬। প্রয়াত মোঃ শাহ আলমগীর, পিআইবির মহাপরিচালক ছিলেন।
১৭। জাফর ওয়াজেদ, পিআইবির মহাপরিচালক ছিলেন।
১৮। রাশেদ চৌধুরী, লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
১৯। আশিকুন নবী চৌধুরী, লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন। বাসসের সাংবাদিক।
২০। নাদিম কাদির, লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার হয়েছিলেন। মেয়াদ পূর্তির আগেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
২১। স্বপন সাহা, ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২২। শামীম আহমেদ সিদ্দিকী, ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২৩। সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২৪। মোবাশ্বিরা ফারজানা (মিথিলা ফারজানা), কানাডার অটোয়া হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন।
২৫। এনামুল হক চৌধুরী, ৬ বছর দিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার এবং পরে পিআইবির চেয়ারম্যান ছিলেন।
২৬। ফরিদ হোসেন, দিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন। এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)’র ব্যুরো চীফ ছিলেন।
২৭। শাবান মাহমুদ, দিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২৮। রঞ্জন সেন, কলকাতায় উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ছিলেন।
২৯। শেখ নাজমুল হক সৈকত, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. আবদুল্লাহর এপিএস ছিলেন। এর আগে এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন।
মন্তব্যঃ এখানে ২৯ জনের নামোল্লেখ করেছি। শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এর বাইরে কোন সাংবাদিক কোন পদে বসেছিলেন বলে জানা নেই। কেউ একইসাথে একাধিক পদেও থাকেননি। আর ৫ আগস্টের পরে ইউনূস সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মিডিয়াগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সুবিধাভোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অগণিত নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও চরিত্রহনন করছে। এই ২৯ জনের মধ্যেও অনেকের ক্ষেত্রে একই আচরণ দেখেছি। হয়ত সবার চরিত্রই হনন করা হবে। এবং আমি এটা চাই যে বা যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত তারা বিচারের আওতায় আসুক। কঠিন বিচার হোক।
কিন্তু প্রশ্ন হলো দুইদিন আগের লেখাটিতে আমি কি কোন অন্যায়কারী, বিশেষ সুবিধাভোগী সাংবাদিকের গুণকীর্তন করেছি? আমার জানামতে করিনি। এরপরেও দেখেছি অনেকের গায়ে জ্বালা ধরেছে। কিন্তু কেন? লেখার জবাব তথ্য উপাত্ত দিয়ে আরেকটি লেখার মাধ্যমে দিন। এমন জবাবকে স্বাগত জানাবো।
ঘ.
আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মাত্র ২৯ জন সাংবাদিক সরকারী বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন, অর্থাৎ সরকারের কোষাগার থেকে বেতন পেয়েছেন। এদিকে ড. ইউনূস সরকারের মাত্র ৯ মাসেই ৩৩ জন সাংবাদিক সরকারী বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন, অর্থাৎ সরকারের কোষাগার থেকে বেতন পাচ্ছেন এবং পদ-পদবীর উচ্চতা ও ভারে বোঝা যায় পয়সার পরিমাণও অনেক অনেক বেশি।
১৬ বছরে ২৯জন, অপরদিকে মাত্র ৯ মাসেই ৩৩ জন। আনুপাতিক হিসাব করলে বিষয়টা কি দাঁড়ায়? ভাবা যায়? প্লিজ ভাবুন। অথচ বাজারে চালু রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকেরা গণহারে প্রচুর সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে, তখন নাকি সবাই দলদাস ছিলেন!
এখন যারা ড. ইউনূস সরকারের বদান্যতায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা বিট করেন এবং তাঁর সাথে বিদেশ সফরে যান, তারাও কি দালাল সাংবাদিক? বিশেষ সুবিধাভোগী?
প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের তুলনায় ড. ইউনূসের ৯ মাসেই এত বেশি সংখ্যক সাংবাদিক বিশেষ সুবিধার আওতায় বিভিন্ন চেয়ারে বসলেন কিভাবে এবং কেন? কোন বিশেষ যোগ্যতায়? এটা দলদাস ও ব্যক্তিপূজার পুরস্কার নয়?
ঙ.
আমার আগের লেখাটিতে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার মতো সততা, দক্ষতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য আছে বলে কিছু নাম উল্লেখ করেছিলাম। আজকেও কিছু নাম উল্লেখ করছি, যেমন- বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, শাহজাহান সরদার, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সুকান্ত গুপ্ত অলক, জ ই মামুন, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মুন্নী সাহা, জুলফিকার আলি মানিক, বায়েজিদ মিল্কী, মুস্তাফিজ শফি, মোস্তফা মামুন, নঈম তারিক, জুলহাস আলম (রিপন), ওবায়দুল করিম মোল্লা, রহমান মুস্তাফিজ, নজরুল কবীর, নবনীতা চৌধুরী, মানস ঘোষ, সোমা ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এদের কারও নামে হত্যা মামলা, চাকরিচ্যুতি কারও ব্যাংক হিসাব জব্দ, ইত্যাদি করে হয়রানির মধ্যে ফেলা হয়েছে। যাতে তাদের কলম থেমে থাকে, মুখ বন্ধ থাকে এবং এভাবে হাঁসফাঁশ করতে করতে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা ভুলে যায়।
আচ্ছা বলুন তো এই সাংবাদিকেরা বিগত ১৬ বছরে কে কোন চেয়ারে বসেছিল, সরকারের কাছ থেকে কে কি বিশেষ সুবিধা নিয়েছে? কেউই কোন বিশেষ সুবিধা নিয়েছে বলে জানি না। যাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক, সেই মুন্নী সাহা ২০১৩ সাল থেকে এবং জ ই মামুনও গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনেও যেতে পারেননি। তাদের নামেও মামলা হয়েছে। জ ই মামুন এবং এরকম অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে সক্রিয় সমর্থন জুগিয়েছিলেন, অথচ তাদের ললাটেও ফ্যাসিস্টের দোসরের তকমা জুটেছে। জায়েদুল আহসান পিন্টু কখনও কোন সংবাদ সম্মেলনেই যায়নি। অথচ তাকে কয়েকটি হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। এপি’র ব্যুরো চীফ জুলহাস আলম কখনও প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গিয়েছেন কি? সম্ভবত না। কিন্তু তিনিও বিএফআইইউ এবং দুদকের হয়রানির শিকার। আর সামগ্রিকভাবে এবং হরেদরে সবাইকে শেখ হাসিনার দালাল, ফ্যাসিস্টের দোসর ইত্যাদি বানিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল দেয়া হচ্ছে। কী অদ্ভুত বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, মিডিয়া ও মিডিয়া কর্মীরা!
চ.
২৬। ফরিদ হোসেন, দিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন। এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)’র ব্যুরো চীফ ছিলেন।
২৭। শাবান মাহমুদ, দিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার ছিলেন।
২৮। রঞ্জন সেন, কলকাতায় উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ছিলেন।
২৯। শেখ নাজমুল হক সৈকত, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. আবদুল্লাহর এপিএস ছিলেন। এর আগে এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন।
মন্তব্যঃ এখানে ২৯ জনের নামোল্লেখ করেছি। শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এর বাইরে কোন সাংবাদিক কোন পদে বসেছিলেন বলে জানা নেই। কেউ একইসাথে একাধিক পদেও থাকেননি। আর ৫ আগস্টের পরে ইউনূস সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মিডিয়াগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সুবিধাভোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অগণিত নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও চরিত্রহনন করছে। এই ২৯ জনের মধ্যেও অনেকের ক্ষেত্রে একই আচরণ দেখেছি। হয়ত সবার চরিত্রই হনন করা হবে। এবং আমি এটা চাই যে বা যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত তারা বিচারের আওতায় আসুক। কঠিন বিচার হোক।
কিন্তু প্রশ্ন হলো দুইদিন আগের লেখাটিতে আমি কি কোন অন্যায়কারী, বিশেষ সুবিধাভোগী সাংবাদিকের গুণকীর্তন করেছি? আমার জানামতে করিনি। এরপরেও দেখেছি অনেকের গায়ে জ্বালা ধরেছে। কিন্তু কেন? লেখার জবাব তথ্য উপাত্ত দিয়ে আরেকটি লেখার মাধ্যমে দিন। এমন জবাবকে স্বাগত জানাবো।
ঘ.
আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মাত্র ২৯ জন সাংবাদিক সরকারী বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন, অর্থাৎ সরকারের কোষাগার থেকে বেতন পেয়েছেন। এদিকে ড. ইউনূস সরকারের মাত্র ৯ মাসেই ৩৩ জন সাংবাদিক সরকারী বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন, অর্থাৎ সরকারের কোষাগার থেকে বেতন পাচ্ছেন এবং পদ-পদবীর উচ্চতা ও ভারে বোঝা যায় পয়সার পরিমাণও অনেক অনেক বেশি।
১৬ বছরে ২৯জন, অপরদিকে মাত্র ৯ মাসেই ৩৩ জন। আনুপাতিক হিসাব করলে বিষয়টা কি দাঁড়ায়? ভাবা যায়? প্লিজ ভাবুন। অথচ বাজারে চালু রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকেরা গণহারে প্রচুর সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে, তখন নাকি সবাই দলদাস ছিলেন!
এখন যারা ড. ইউনূস সরকারের বদান্যতায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা বিট করেন এবং তাঁর সাথে বিদেশ সফরে যান, তারাও কি দালাল সাংবাদিক? বিশেষ সুবিধাভোগী?
প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের তুলনায় ড. ইউনূসের ৯ মাসেই এত বেশি সংখ্যক সাংবাদিক বিশেষ সুবিধার আওতায় বিভিন্ন চেয়ারে বসলেন কিভাবে এবং কেন? কোন বিশেষ যোগ্যতায়? এটা দলদাস ও ব্যক্তিপূজার পুরস্কার নয়?
ঙ.
আমার আগের লেখাটিতে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার মতো সততা, দক্ষতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য আছে বলে কিছু নাম উল্লেখ করেছিলাম। আজকেও কিছু নাম উল্লেখ করছি, যেমন- বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, শাহজাহান সরদার, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সুকান্ত গুপ্ত অলক, জ ই মামুন, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মুন্নী সাহা, জুলফিকার আলি মানিক, বায়েজিদ মিল্কী, মুস্তাফিজ শফি, মোস্তফা মামুন, নঈম তারিক, জুলহাস আলম (রিপন), ওবায়দুল করিম মোল্লা, রহমান মুস্তাফিজ, নজরুল কবীর, নবনীতা চৌধুরী, মানস ঘোষ, সোমা ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এদের কারও নামে হত্যা মামলা, চাকরিচ্যুতি কারও ব্যাংক হিসাব জব্দ, ইত্যাদি করে হয়রানির মধ্যে ফেলা হয়েছে। যাতে তাদের কলম থেমে থাকে, মুখ বন্ধ থাকে এবং এভাবে হাঁসফাঁশ করতে করতে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা ভুলে যায়।
আচ্ছা বলুন তো এই সাংবাদিকেরা বিগত ১৬ বছরে কে কোন চেয়ারে বসেছিল, সরকারের কাছ থেকে কে কি বিশেষ সুবিধা নিয়েছে? কেউই কোন বিশেষ সুবিধা নিয়েছে বলে জানি না। যাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক, সেই মুন্নী সাহা ২০১৩ সাল থেকে এবং জ ই মামুনও গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনেও যেতে পারেননি। তাদের নামেও মামলা হয়েছে। জ ই মামুন এবং এরকম অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে সক্রিয় সমর্থন জুগিয়েছিলেন, অথচ তাদের ললাটেও ফ্যাসিস্টের দোসরের তকমা জুটেছে। জায়েদুল আহসান পিন্টু কখনও কোন সংবাদ সম্মেলনেই যায়নি। অথচ তাকে কয়েকটি হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। এপি’র ব্যুরো চীফ জুলহাস আলম কখনও প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গিয়েছেন কি? সম্ভবত না। কিন্তু তিনিও বিএফআইইউ এবং দুদকের হয়রানির শিকার। আর সামগ্রিকভাবে এবং হরেদরে সবাইকে শেখ হাসিনার দালাল, ফ্যাসিস্টের দোসর ইত্যাদি বানিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল দেয়া হচ্ছে। কী অদ্ভুত বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, মিডিয়া ও মিডিয়া কর্মীরা!
চ.
আজকের লেখার শেষ প্রসঙ্গ হলো কাদেরকে চাকরিচ্যুত করে কাদেরকে বসানো হয়েছে? সাদাচোখে এই চাকরিচ্যুতিতে সরকারের দৃশ্যমান ভূমিকা নেই, কিন্তু বাস্তবতা হলো ইউনূস সরকার, বিএনপি ও জামায়াত মিলেমিশে এই চাকরিচ্যুতি নিশ্চিত করেছে এবং তাদের দলীয় কর্মীর চেয়েও বেশি অনুগত তথাকথিত রিপোর্টারদের সম্পাদকীয় পদে বসানো হয়েছে। বেসরকারী মিডিয়ার ব্যবসায়ী মালিকদের ঘাড়ে কয়টা মাথা যে, সরকার বাহাদুর এবং বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশ অমান্য করবে? এবার দেখা যাক কার পরিবর্তে কে চেয়ার দখল করেছে-
একুশে টিভির রাশেদ চৌধুরীর পরিবর্তে হারুনুর রশীদ স্বপন, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবুর পরিবর্তে একই টিভির বিএনপি বিটের রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরীর পরিবর্তে জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ জিয়াউল কবীর সুমন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে আশিস সৈকতের পরিবর্তে বিএনপি বিটের রিপোর্টার মোস্তফা আকমল, এটিএন বাংলায় জ ই মামুনের পরিবর্তে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টুর পরিবর্তে সমকালের বিএনপি বিটের রিপোর্টার লোটন একরাম, এটিএন নিউজের প্রভাষ আমিনের পরিবর্তে শহীদুল আজম, নিউজ ২৪ এর রাহুল রাহার পরিবর্তে জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ শরিফুল ইসলাম। দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে দৈনিক কালেরকণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের পরিবর্তে হাসান হাফিজ, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলমের পরিবর্তে আবদুল হাই সিকদার, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুনের পরিবর্তে কামালউদ্দিন সবুজ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
প্রিয় পাঠক, আপনারা খেয়াল করে দেখুন বাই চয়েজ সাংবাদিকতায় যোগ দেওয়া একঝাঁক মেধাবী, দক্ষ ও তুলনামূলক সৎ সাংবাদিকের চেয়ারগুলো দখল করেছে একপাল আটকেপড়া সাংবাদিক। ষাঁড়ের পরিবর্তে ছাগল দিয়ে হালচাষের মতো দশা চলছে বাংলাদেশের মিডিয়ায়। এখন আপনারা বিবেচনা করুন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ কি এবং কোনদিকে যাবে।
শেষকথাঃ আওয়ামী লীগের আমলে বিশেষ সুবিধা বা প্রাইজ পোস্টিং পাওয়া সাংবাদিকদের অনেকেই চেনেন না। কারণ তারা নির্লজ্জের মতো ফেইসবুক, ট্যুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবে দলীয় প্রচারণা করেননি। মোটামুটি অনেকেই পেশাদারিত্ব রক্ষা করে চলেন। অপরদিকে ড. ইউনূস সরকারের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের দেখুন, তারা দিনেরাতে জলে স্থলে অন্তরীক্ষে ইউনূসের পক্ষে এবং আওয়ামী লীগের বিপক্ষে মিথ্যা-সত্যের বেসাতি করেই চলেছেন।
ফুটনোটঃ এই লেখায় বিভিন্ন নাম ও সংখ্যাগত কোন ভুল থাকলে, তা সংশোধনের সুযোগ প্রত্যাশা করছি। আগের লেখাটি প্রায় ৪ লাখ পাঠক পড়েছেন, আশাকরি এই এই লেখাটিও পাঠক সমাদৃত হবে এবং প্রতিক্রিয়া প্রকাশকারীরা তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন।
মূল লেখাঃ সাব্বির খান
টাইটেলঃ আলি শরিয়তির সবাক নিবেদন
#Bangladesh #BangladeshCrisis #FreePress
একুশে টিভির রাশেদ চৌধুরীর পরিবর্তে হারুনুর রশীদ স্বপন, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবুর পরিবর্তে একই টিভির বিএনপি বিটের রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরীর পরিবর্তে জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ জিয়াউল কবীর সুমন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে আশিস সৈকতের পরিবর্তে বিএনপি বিটের রিপোর্টার মোস্তফা আকমল, এটিএন বাংলায় জ ই মামুনের পরিবর্তে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টুর পরিবর্তে সমকালের বিএনপি বিটের রিপোর্টার লোটন একরাম, এটিএন নিউজের প্রভাষ আমিনের পরিবর্তে শহীদুল আজম, নিউজ ২৪ এর রাহুল রাহার পরিবর্তে জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ শরিফুল ইসলাম। দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে দৈনিক কালেরকণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের পরিবর্তে হাসান হাফিজ, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলমের পরিবর্তে আবদুল হাই সিকদার, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুনের পরিবর্তে কামালউদ্দিন সবুজ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
প্রিয় পাঠক, আপনারা খেয়াল করে দেখুন বাই চয়েজ সাংবাদিকতায় যোগ দেওয়া একঝাঁক মেধাবী, দক্ষ ও তুলনামূলক সৎ সাংবাদিকের চেয়ারগুলো দখল করেছে একপাল আটকেপড়া সাংবাদিক। ষাঁড়ের পরিবর্তে ছাগল দিয়ে হালচাষের মতো দশা চলছে বাংলাদেশের মিডিয়ায়। এখন আপনারা বিবেচনা করুন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ কি এবং কোনদিকে যাবে।
শেষকথাঃ আওয়ামী লীগের আমলে বিশেষ সুবিধা বা প্রাইজ পোস্টিং পাওয়া সাংবাদিকদের অনেকেই চেনেন না। কারণ তারা নির্লজ্জের মতো ফেইসবুক, ট্যুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবে দলীয় প্রচারণা করেননি। মোটামুটি অনেকেই পেশাদারিত্ব রক্ষা করে চলেন। অপরদিকে ড. ইউনূস সরকারের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের দেখুন, তারা দিনেরাতে জলে স্থলে অন্তরীক্ষে ইউনূসের পক্ষে এবং আওয়ামী লীগের বিপক্ষে মিথ্যা-সত্যের বেসাতি করেই চলেছেন।
ফুটনোটঃ এই লেখায় বিভিন্ন নাম ও সংখ্যাগত কোন ভুল থাকলে, তা সংশোধনের সুযোগ প্রত্যাশা করছি। আগের লেখাটি প্রায় ৪ লাখ পাঠক পড়েছেন, আশাকরি এই এই লেখাটিও পাঠক সমাদৃত হবে এবং প্রতিক্রিয়া প্রকাশকারীরা তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন।
মূল লেখাঃ সাব্বির খান
টাইটেলঃ আলি শরিয়তির সবাক নিবেদন
#Bangladesh #BangladeshCrisis #FreePress
Media is too big
VIEW IN TELEGRAM
চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় পুলিশ সেনাবাহিনীর সাথে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনী আজ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়