Bangladesh Awami League
92.8K subscribers
9.62K photos
2.79K videos
18 files
10.4K links
Official Telegram Channel of Bangladesh Awami League.
Stay Connceted on Web 👉 www.albd.org
Follow us on -
🔴 Insta 👉 https://instagram.com/albd1949
🟣 Tw 👉 https://twitter.com/albd1971
🔵 FB 👉https://www.facebook.com/awamileague.1949
Download Telegram
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইসিসি, জাতিসংঘ ও ইন্টারপোলে অভিযোগ

বাংলাদেশের অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিসি, জাতিসংঘ ও ইন্টারপোলের অভিযোগ দায়ের করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান লুমেন কমিউনিট্যাটিস ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড পরিচালক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এই পিটিশন দাখিল করা হয়।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশিষ্ট সদস্যরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), জাতিসংঘ ও ইন্টারপোলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসব অভিযোগে ড. ইউনূস ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, #সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতায় আঁতাত এবং সাংবিধানিক অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

লুমেন কমিউনিট্যাটিস ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড পরিচালক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে গত ২১শে এপ্রিল এই পিটিশন দাখিল করা হয়। তানভীর কায়সারের নেতৃত্বে এই উদ্যোগটি গৃহীত হয়েছিল। আইনি বিষয়গুলো সমন্বয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মাহফুজ হায়দার। তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি।

যেসব গুরুতর অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে:

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তৃত রূপরেখা আইসিসির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:-

ছাত্র বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও নারীদের টার্গেট করে হত্যা
#গুম, #নির্বিচারে #আটক#নির্যাতন
গর্ভবতী পুলিশ কর্মকর্তার হত্যাসহ রাষ্ট্র সমর্থিত যৌন সহিংসতা
হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আহমদিয়া মুসলিমসহ #সংখ্যালঘুদের ওপর #নির্যাতন
বাড়িঘর, সংবাদমাধ্যম ও আদালতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা
৭ শতাধিক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত #সন্ত্রাসীকে গণহারে মুক্তি, #চরমপন্থী #জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে পুনরায় সক্রিয় করে তোলা
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিয়মতান্ত্রিক দমন
আইনি আবেদনে রোম সংবিধির একাধিক অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে—এর মধ্যে গণহত্যা (অনুচ্ছেদ ৬), মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ (অনুচ্ছেদ ৭), যুদ্ধাপরাধ (অনুচ্ছেদ ৮) এবং ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায়বদ্ধতা (অনুচ্ছেদ ২৫) অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া জাতিসংঘ সনদেরও উল্লেখ রয়েছে, যেখানে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। আবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি সহায়তার অপব্যবহার ও মতাদর্শগত অস্থিরতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপের আহ্বান

আবেদনকারীরা ইন্টারপোলের কাছে ইউনুস ও সংশ্লিষ্ট শাসকগোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ বা ডিফিউশন অ্যালার্ট জারির অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্ত ও #গ্রেপ্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালনের (আইসিসি) সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই একই কথা -
"আগেই ভালো ছিলাম"

#BangladeshCrisis
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন: ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে গভীর উদ্বেগ জেএমবিএফ-এর

ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি নিয়ে ফরাসি ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল জেএমবিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম প্যারিসে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের উপপ্রধান এবং বাংলাদেশ ডেস্কের প্রধান ম্যাডাম মার্জোরি ভারলে-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে “ব্যাপক ও কাঠামোগত দমন-পীড়নের” চিত্র তুলে ধরা হয়।

অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।

তিনি এসময় রাজনৈতিক হত্যা, সংঘবদ্ধ হামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া, গণগ্রেপ্তার এবং মিথ্যা মামলার অসংখ্য উদাহরণ তুলে ধরেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপের বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক ছাঁটাই, সংবাদমাধ্যমে হামলা এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরের ঘটনাগুলো তুলে ধরেন তিনি।

এসময় তিনি সাংবাদিক ফারজানা রূপা এবং সাবেক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ-কে উদ্দেশ্য করে নানাবিধ হয়রানির কথা তুলে ধরেন।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও জেএমবিএফ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

শাহানূর ইসলাম বলেন, সরকারবিরোধী সংশ্লিষ্টতা দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

তিনি ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া-র বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, বিচার বিভাগ বর্তমানে “চরম সংকটময় ও রাজনৈতিক প্রভাবাধীন” অবস্থায় রয়েছে।

এছাড়া, ইসলামী উগ্রবাদের পুনরুত্থান নিয়েও সতর্ক করেন অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ৩০০-র বেশি বন্দি জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পতাকা উড়িয়ে প্রকাশ্য মিছিল ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান গভীর উদ্বেগের বিষয়।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়ন এবং সরকারের নীরবতা ও অস্বীকার করার প্রবণতা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অবস্থার অবনতি নিয়েও আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়। দিনাজপুর ও শেরপুরে হিজড়া পল্লীতে হামলার ফলে অন্তত ১২০ জন বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা এবং সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে একজন সমকামী সদস্যকে বহিষ্কারের ঘটনাও তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে প্রমাণস্বরূপ, অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম ফরাসি প্রতিনিধির কাছে দুটি বিস্তারিত রিপোর্ট হস্তান্তর করেন— একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে এবং অন্যটি বাংলাদেশে যৌন সংখ্যালঘুদের অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে।

জেএমবিএফ ফরাসি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, তারা যেন জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

“এই বৈঠক আমাদের বিচার, স্বচ্ছতা এবং মৌলিক অধিকারের পক্ষে দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন,” বলেন অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম। “আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন পরিস্থিতি আরও অবনতির আগে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”
এই লোকটা শুধুই নাকি দেশের কথা ভাবে!

১.পিএসপি লাইসেন্স পেয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান

যেখানে রবি, বাংলালিংক মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানের পিএসপি লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি হয়ে আছে।

https://bangla.thedailystar.net/economy/news-646866

২. গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস নামে জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স

অন্তবর্তী সরকারের সময়ে দেওয়া একমাত্র লাইসেন্স

https://www.kalbela.com/ajkerpatrika/firstpage/173300

৩. গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য হিসেবে আছেন মুহাম্মদ ইউনূসের ছোটো ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও রয়েছেন।

https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2025/03/19/1494196

৪. ইউনূসের ঘনিষ্ঠজনেরা পেয়েছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ

সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক নূরজাহান বেগমকে।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/v5ryndssed

ইউনুস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন ইউনূস।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/dw0ljhdokt

নিজের ভাইয়ের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীরকে গত বছরের ১৩ আগস্ট উপপ্রেস সচিব পদে নিয়োগ দেন মুহাম্মদ ইউনূস। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতাহীন।

https://www.kalbela.com/national/111678

৫. গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা ২৫% থেকে কমে ১০% আসলো

https://bangla.bdnews24.com/economy/99a7ce94ba9c

৬. গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা মওকুফ

https://www.jugantor.com/tp-lastpage/860646

এই মানুষটা কখনোই নিজের কথা ভাবেনা, ধ্যানে জ্ঞানে শুধুই দেশ। ঠিক না??⁩
আশুলিয়ায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন-৯০টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ, রপ্তানি আদেশ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা, বিপাকে ১লাখ শ্রমিক

ডিইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ তিতাস কর্তৃপক্ষ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়। পূর্ব কোনো নোটিশ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ। ২৮ এপ্রিল দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় ৯০টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে আকস্মিক ছুটি।

‘এভাবে পূর্ব নোটিশ ছাড়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে শুধু শ্রমিকরাই নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে সংকট আরও তীব্র হবে।’- কালবেলাকে ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম

#Bangladesh #BangladeshCrisis
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
--------------

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় করিডোর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। যে সীমান্তে এই করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখানে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাত চলমান রয়েছে। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে ভারত এবং চীনেরও সীমান্ত রয়েছে। এ রকম জায়গায় করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে এবং ঐ এলাকায় যেহেতু বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্বার্থ রয়েছে সেহেতু সে সকল রাষ্ট্রের মধ্যে স্বার্থগত দ্বন্দ্বও রয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসলে বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলছে বিশেষজ্ঞরা। একটি শান্তিকামী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে অংশ নিতে পারে না। একদিকে এই অবৈধ দখলদার সরকারের শিরোমণি ফ্যাসিস্ট ইউনূস বলেছে, 'প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে'। সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ সমস্যাসমূহের সমাধান করেছেন। অথচ দেশবিরোধী শক্তির প্রতিভূ ফ্যাসিস্ট ইউনূস দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে আসছে। বাংলাদেশ কার সঙ্গে ও কীসের জন্য যুদ্ধ করবে? বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হলে তার দায়ভার এই অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক দখলদার গোষ্ঠীকে নিতে হবে। আসলে তারা তাদের গণতান্ত্রিক বৈধতা না থাকা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে এ ধরনের অর্বাচীন মন্তব্য করছে। আবার এই অবৈধ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছে, 'আমাদের সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়।' অন্যদিকে তারা মানবিক করিডোর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। যে সরকার সীমান্তের সুরক্ষা দিতে পারে না, তারা মানবিক করিডোর দেওয়ার চিন্তা করে কীভাবে এবং কীসের ভিত্তিতে এটাকে মানবিক করিডোর বলা হচ্ছে ও তার শর্তগুলো কী কী? জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন এই সরকার এখন পর্যন্ত সেটা জনগণের সামনে প্রকাশ করেনি। এই সরকার আসলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছেলেখেলা করছে। প্রকৃতপক্ষে, তারা একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে বিদেশি প্রভুদের খুশি করার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার দুরভিসন্ধি আঁটছে। এছাড়াও করিডোর দিলে সেটার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে এবং এতে যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটবে না, এই নিশ্চয়তা কে দেবে?

এর পূর্বে মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিপন্ন জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ১১লাখ সদস্যকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছিল। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং তার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। ফলে মিয়ানমার প্রাথমিকভাবে দুই লাখ রোহিঙ্গা ফেরত নিতে এবং পর্যায় ক্রমে আরও ফেরত নেবে বলে রাজি হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের সময়ে রোহিঙ্গাদের তালিকাও করা আছে। এই অবৈধ সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কোনো ভূমিকা তো রাখতেই পারছে না। বরং অতিসম্প্রতি ১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এমনিতেই এই অঞ্চলকে ঘিরে শক্তিশালী দেশগুলোর পৃথক পৃথক পরিকল্পনা আছে এবং তাদের স্বার্থগত দ্বন্দ্ব আছে। সুতরাং এই অঞ্চলে বাংলাদেশ কোনো স্বার্থগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লে দেশের স্বার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতি চরম হুমকির মুখে পড়বে। তাছাড়া একটি অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক সরকার কোনোভাবেই এ রকম স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকার রাখে না। যদি এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে তারা জনগণের সম্মিলিত অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বরাবরের ন্যায় গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বাংলার জনগণ কোনোভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আপস করবে না এবং তা বিকিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১ মে ২০২৫⁩
সাংবাদিককে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি : ইউনুস ও তার উপদেষ্টামণ্ডলী কি গণতন্ত্রের কবর রচনায় ব্যস্ত?
----
রংপুরের পীরগঞ্জে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে #হত্যার হুমকি—এটা শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং সুপরিকল্পিত #সন্ত্রাসী রাজনীতির অংশ। এ ঘটনার পেছনে যে চক্র সক্রিয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইউনুস নামের এক নেপথ্য খেলোয়াড় ও তার প্রেস সচিব শফিক, উপদেষ্টা ফারুকি, মাহফুজ, আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীর — যারা সবাই মিলে রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এই গোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত। কখনো তারা কথিত “গণতন্ত্র” ও “অধিকার”-এর নামে মাঠ গরম করে, আবার কখনো সরাসরি সাংবাদিকদের টার্গেট করে। মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে এই হুমকি, মূলত একটি ভয়ংকর বার্তা: যারা সত্য বলবে, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কবরের কাপড়।

প্রশ্ন হচ্ছে—এই ষড়যন্ত্রকারীদের মদদ কে দিচ্ছে? রাষ্ট্রের ভেতরে বসেই কিছু ব্যক্তি কি এই সহিংস রাজনীতির ছক আঁকছেন? ইউনুসের চারপাশে থাকা উপদেষ্টা নামধারী এসব সুবিধাবাদী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে, আগামীতে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে দেশ।

পীরগঞ্জের এ ঘটনা স্পষ্ট করেছে—এ দেশে যারা ক্ষমতার আশায়, অরাজনৈতিক শক্তির ছায়ায় রাজনীতি করছে, তারা এখন কলমের শত্রু। তারা সত্য লিখলে কাফনের কাপড় পাঠায়, সংবাদ প্রচার করলে হুমকি দেয়।

#Bangladesh #BangladeshCrisis
নাইক্ষ্যংছড়িতে আরসা’র দাপট : রাষ্ট্র কি নীরব সহযোগী?

সম্প্রতি কিছু ছবি এবং তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর সদস্যরা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভেতর দিব্যি #অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করছে। এমনকি দিনদুপুরে তাদের এই আনাগোনা যেন কোনো বাধা ছাড়াই ঘটছে। প্রশ্ন উঠছে—এটা কিভাবে সম্ভব?

বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশে অন্য কোনো দেশের #সশস্ত্র গোষ্ঠী বা বিদ্রোহী বাহিনী কীভাবে প্রকাশ্যে #অস্ত্রসহ বিচরণ করতে পারে? এটা কি সম্ভব রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থা—সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিছুই জানে না? না জানাটা যেমন অবাস্তব, তেমনি জানার পরেও নিষ্ক্রিয় থাকা আরও উদ্বেগজনক।

আরসা বাহিনীকে নিয়ে বরাবরই বিতর্ক রয়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতর তাদের অস্তিত্ব ও প্রভাব নিয়ে নানা প্রতিবেদন থাকলেও, এবার সীমান্ত পেরিয়ে মূল ভূখণ্ডে তাদের #সশস্ত্র উপস্থিতি এক নতুন মাত্রা যোগ করলো। কিছুদিন আগেই তারা স্থানীয় উৎসব ‘জলকেলি’তে অংশ নিয়ে নিজেদের পতাকা ও পরিচয় প্রকাশ্যে তুলে ধরেছিল। তখনও রাষ্ট্র ছিল নির্বিকার।

এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে—রাষ্ট্র কি এদের সহযোগিতা করছে? না কি কার্যত এদের উপস্থিতিকে উপেক্ষা করে কোনো গোপন সমঝোতার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

সরকারি ও মূলধারার মিডিয়াগুলো এ বিষয়ে নিশ্চুপ। সেন্সরশিপের আবরণে তারা এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এড়িয়ে যাচ্ছে, যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি নিছক অবহেলা নয়, বরং ভয়ংকর একটি রাজনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিতও হতে পারে।

দেশের শাসকগোষ্ঠী, বিশেষ করে ইউনুস গং-এর ভূমিকা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ যদি রাজনৈতিক সুবিধা কিংবা আন্তর্জাতিক চাপের কাছে বিকিয়ে দেওয়া হয়—তাহলে জাতি হিসেবে আমরা কোন পথে এগোচ্ছি?

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরসার উপস্থিতি নিছক একটি নিরাপত্তাজনিত ইস্যু নয়, এটি রাষ্ট্রের নীতির, বিশ্বাসযোগ্যতার এবং নেতৃত্বের একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন। জনগণের প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রকে দিতেই হবে—না হলে এই নীরবতা কালক্রমে দুর্যোগে রূপ নিতে পারে।⁩

#Bangladesh #BangladeshCrisis
জাতীয় আত্মহত্যার পথে বাংলাদেশ : গ্যাস সংকট আর ইউনুসের #লুটেরা এনজিও সিন্ডিকেটের ধ্বংসাত্মক রূপ
-----

এই যে এখন আপনি গ্যাস পাচ্ছেন না, আপনার শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আপনার রান্নার চুলা নিভে যাচ্ছে—এটা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। এটা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এর জন্য দায়ী হলো চরম ব্যর্থ, বিলম্বিত, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার এবং ইউনুসের নেতৃত্বে পরিচালিত বিদেশি প্রভুভক্ত #লুটেরা এনজিও চক্র, যারা বাংলাদেশকে নিঃস্ব করে ফেলে গেছে চোখের সামনে বসে।

দেশের বুক জুড়ে গ্যাস আছে, কিন্তু তাতে দেশের মানুষের কোন অধিকার নেই। ভোলা ফিল্ডে প্রতিদিন উত্তোলন সম্ভব ১৯০ মিলিয়ন ঘনফুট, অথচ ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্র ৭৩ মিলিয়ন! কেন? কারণ পাইপলাইন নেই। আর কেন নেই? কারণ বছর বছর ধরে কেবল ফাইল ঠেলাধেলি চলছে—আমলাতন্ত্রের অসাড়তা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা আর ষড়যন্ত্রের সমাহার! বরিশাল-ঢাকা পাইপলাইনের মতো একটি প্রকল্প পর্যন্ত আজও “চলতি” আছে; সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি! এগুলো আর অব্যবস্থা নয়—এটা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র।

বিবিয়ানা ফিল্ড ধসে পড়ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে উৎপাদন নেমে আসবে ভয়ানক স্তরে, অথচ আজ পর্যন্ত এলএনজি আমদানি বাড়ানোর মতো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। নতুন FSRU করতে চাইলে সময় লাগবে ১৮ মাস। স্থলভিত্তিক টার্মিনাল? ৮০ মাস! অথচ দেশীয় অনুসন্ধানে আবারও আমলাতান্ত্রিক জুজু—৫০ কোটি টাকার ফিজিবিলিটি স্টাডির নামে গড়িমসি। এ যেন দেশের বুকের উপর বসে হায়েনার নাচ।

আর এই পুরো সময়জুড়ে ইউনুসের মতো তথাকথিত 'নোবেল বিজয়ী'দের নেতৃত্বে এনজিও চক্র দেশের ডলার শুষে নিয়েছে, রিজার্ভ খালি করে দিয়েছে, বৈদেশিক লেনদেন অচল করে দিয়েছে। যারা দিনরাত "দারিদ্র্য দূরীকরণ" আর "উন্নয়ন"এর বুলি কপচায়, তাদের প্রকৃত মুখোশ আজ উন্মোচিত—তারা মূলত অর্থনৈতিক দখলদার।

এই সংকটের দায় একা সরকার বা একটি মন্ত্রণালয়ের নয়। এটি হলো রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা এবং করপোরেট লুটেরাদের সম্মিলিত চক্রান্ত। বিবিয়ানা ধসে পড়লে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে পুরো শিল্প খাত অচল হয়ে যাবে। ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ অচলাবস্থায় পড়বে—তখন আর ঘাটতি মেটানোর কোনো উপায় থাকবে না।

যারা এখনও ঘুমাচ্ছেন, তারা জেনে রাখুন—এটা আর শুধুই গ্যাস সংকট নয়, এটা বাংলাদেশের অস্তিত্ব সংকট। এখনো যদি সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, দ্রুত গ্যাস অনুসন্ধান, পাইপলাইন বাস্তবায়ন এবং এলএনজি অবকাঠামো গড়ে না তোলা হয়—তবে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত। দেউলিয়াত্ব, বেকারত্ব এবং জাতীয় পতনের পথে আমরা এগোচ্ছি।⁩

#Bangladesh #BangladeshCrisis