Bangladesh Awami League
92.3K subscribers
9.6K photos
2.79K videos
18 files
10.4K links
Official Telegram Channel of Bangladesh Awami League.
Stay Connceted on Web 👉 www.albd.org
Follow us on -
🔴 Insta 👉 https://instagram.com/albd1949
🟣 Tw 👉 https://twitter.com/albd1971
🔵 FB 👉https://www.facebook.com/awamileague.1949
Download Telegram
ঢাবিতে স্বজনপ্রীতির নিয়োগ : ছাত্রসমাজের হক নিয়ে এই বেআইনি খেলা আর কতদিন চলবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় — যে নাম শুনলে দেশের মানুষ গর্ব করে, সেই জায়গায় আজ ন্যায়বিচারের নামে এমন বেহায়াপনা চলছে, যা দেখলে রাগে-দুঃখে বুক ফেটে কান্না আসে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই, পরীক্ষা ছাড়াই, পছন্দের লোককে চাকরি দিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসন!

রেজিস্ট্রার দপ্তরের উচ্চমান সহকারীর মতো স্থায়ী পদে, যেখানে নিয়োগের জন্য দেশের হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী বছরের পর বছর প্রস্তুতি নেয়, সেখানে কোনো আগাম বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে, কোনো পরীক্ষা ছাড়াই, চুপিসারে উপাচার্যের নিজের প্রটোকল অফিসার ফিরোজ শাহকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে!
এটাই কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়ম? — যোগ্যতা নয়, পরিচয় থাকলেই হবে?

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলছেন, "আমি কিছু জানি না।"
এটা মিথ্যার ভান!
আপনার সই ছাড়া কি কেউ এই ধরনের স্থায়ী নিয়োগে বসতে পারে?
আপনি যদি জানতেন না, তবে আপনি কীসের উপাচার্য? আর যদি জানতেন, তবে আপনি কীসের নৈতিক নেতৃত্ব?

যারা রাত জেগে, হাজারো বঞ্চনা পেছনে ফেলে, ঢাকার গলির গলির কোচিং সেন্টারে পড়ে, টিউশন করে খেয়ে পরে বাঁচে, তারা কি কেবল হাস্যকর দর্শক হয়ে থাকবে?
আজ ফিরোজের চাকরি ভাগ করে নেওয়া হলো গোপনে — কাল আরেকজনের হবে। একদিন আপনার, আমার, সবার হবে।

ছাত্রসমাজের দিকে সরাসরি থুতু ছুড়ে মারা হয়েছে এই নিয়োগের মাধ্যমে। এরা আমাদের পরিশ্রমের, আমাদের স্বপ্নের, আমাদের জীবনের মূল্য বুঝে না। বুঝবেও না — যদি আমরা চুপ করে থাকি।

আমরা বলছি :

• গোপন নিয়োগ বাতিল করো!

• নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করো!

• অভিযুক্তদের বিচার চাই!

• উপাচার্যের জবাবদিহি চাই!

এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে এখনই। কারণ আজ যদি আমরা মুখ না খুলি, কাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে আরেকটা কর্পোরেট অফিস — যেখানে পরিচয় আর তেলবাজিই হবে সবকিছু।

আমরা চাকরি চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে, কারও প্রটোকল অফিসার হয়ে নয়!
আমরা হক চাই — ভিক্ষা নয়!

#Bangladesh #BangladeshCrisis
The dreaded abduction of Sri Lanka citizens exposes the danger for foreign nationals in Bangladesh:
Release of top criminals and record surge in crime shattering foreign investment potentials under Yunus’s rule

https://x.com/bdperspectives/status/1917210009236123796
#Live

ক্ষমতালিপ্সু অবৈধ সরকারের চলমান অনাচারের কিছু নমুনা নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠান জয় যাত্রা দেখুন

🎦https://www.facebook.com/share/v/1ER3rXSmQ1/?mibextid=wwXIfr
তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বান
-----

বিগত বছরের ৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করে একটি দেশবিরোধী গোষ্ঠী অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। অবৈধ দখলদার গোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। পাশাপাশি তাদের উস্কানিতে সৃষ্ট মবসন্ত্রাস নির্বিচারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ফলে দেশের জনগণের জানমাল চরমভাবে হুমকির মুখে পড়ে। শত প্রতিকূলতার মাঝে বিপন্ন এই সময়েও নীতি এবং আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একে অন্যের প্রতি পাশে যেমন দাঁড়িয়েছে তেমনি অসহায় জনগণের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকারের অবর্ণনীয় দমন-পীড়ন ও মামলা-হামলার মধ্যেও দলের সামর্থ্যবান কেউ কেউ দলের নেতাকর্মী ও জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সারা দেশে সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগণসহ সামর্থ্যবান সকলকে সর্বাত্মক প্রয়াস নিয়ে দলের নেতাকর্মীসহ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জোরালো আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫
আওয়ামী লীগ করাই আজ #মৃত্যুর অপরাধ! ইউনুসের শাসনে #বিএনপি #সন্ত্রাসীদের হাতে রক্তাক্ত কাপাসিয়ায় মাটি
==========
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রুবেল মিয়াকে (৩২) নির্মমভাবে #পিটিয়ে হত্যা করেছে #বিএনপি-#জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ক্যাডাররা।শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করার 'অপরাধে' — তার স্ত্রী আর সন্তানের সামনে ঘরে ঢুকে ১২-১৪ জন #সন্ত্রাসী নির্দয়ভাবে #পিটিয়ে #হত্যা করে রুবেলকে।ঘটনার মূল হোতা বারিষাব ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি তাইজুদ্দিন ও তার নেতৃত্বে স্থানীয় #বিএনপি #সন্ত্রাসীরা।

এই দানবীয় #সন্ত্রাস কাদের প্রশ্রয়ে? এই রক্তের হিসাব ইতিহাস রাখবে। বাংলার মাটি বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করে না!

#Bangladesh #BangladeshCrisis
#বিএনপি #চাঁদাবাজিতে লিজেন্ডারি লেভেলে পৌছেছে, নিস্তার নেই পর্যটকদেরও

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক পর্যটককে মারধর করে ২৩ হাজার ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন #যুবদল, #শ্রমিক দল ও #মৎস্যজীবী দলের নেতারা। গতকাল রবিবার রাতে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ‘আপন ভুবনে’ এ ঘটনা ঘটে। কুয়াকাটা পৌর #শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি জসিম মৃধা, #মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড #যুবদলের সভাপতি আবু বকরের নেতৃত্বে ওই পর্যটককে মারধর করা হয়।

#Bangladesh #BNP #BangladeshCrisis
The second issue of The Spotlight by the Global Center for Democratic Governance (GCDG) continues to document the alarming human rights violations under Bangladesh’s interim government following August 5, 2024. It highlights the brutal crackdown on students, political activists, and minority groups, along with attacks on cultural heritage sites. Major features include in-depth analysis of media suppression, violations of freedom of association, and destruction of Bangladesh’s artistic and historical symbols.

➡️ https://globalcdg.org/the-spotlight-human-rights-violations-and-abuses-in-bangladesh-under-the-rule-of-the-interim-government/

#Bangladesh #BangladeshCrisis #HumanRights
The second issue of The Spotlight by the Global Center for Democratic Governance (GCDG) continues to document the alarming human rights violations under Bangladesh’s interim government following August 5, 2024. It highlights the brutal crackdown on students, political activists, and minority groups, along with attacks on cultural heritage sites. Major features include in-depth analysis of media suppression, violations of freedom of association, and destruction of Bangladesh’s artistic and historical symbols.

➡️ https://globalcdg.org/the-spotlight-human-rights-violations-and-abuses-in-bangladesh-under-the-rule-of-the-interim-government/
One such headline reads: “Bangladesh's Economy Shrinking.” This is no ordinary market fluctuation—it’s the result of political upheaval. The unelected regime has launched flawed, costly mega-projects while ignoring core sectors like agriculture and manufacturing. Growth has stalled, exports are declining, import costs are rising, and inflation is out of control.

Another headline: “Gas for Industry Redirected to Power Plants: Collapse in Production.” Gas supplies to key industrial sectors—garments, leather, ceramics, pharmaceuticals—are being cut and rerouted. While power production may temporarily increase, that electricity isn't reaching consumers. Factories are shortening hours and laying off workers. Many believe this isn’t just mismanagement but a deliberate policy attack designed to weaken domestic production and increase dependency on imports.
https://albd.org/articles/news/41541/

#Bangladesh #BangladeshCrisis
মন্ত্রীত্বের ছয় মাসে গণমাধ্যমে কল করেনি ফারুকী-মাহফুজরা, তবে হাসনাতদের মত #সন্ত্রাসী পাঠিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরি খেয়েছে ঠিকই
---
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছে, এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে, সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেওয়া হয়নি।

মাহফুজ আরও বলে 'মন্ত্রিত্বের ৬ মাসে কাউকে আমরা কল দেইনি। দীপ্ত টিভির সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। এখন মানুষ ভাববে- এটা সরকার করেছে।'
(দীপ্ত টিভির সংবাদ প্রচার বন্ধ, ৩ সাংবাদিক চাকরিচ্যুত, মানবজমিন, ২৯ এপ্রিল ২০২৫)

জানা যায়, গত ডিসেম্বরেও বৈছা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ চাপ প্রয়োগ করে ৫ জনের চাকরি খেয়েছে।

গত ১৮ই ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকজনকে নিয়ে সময় টিভির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন এবং টিভি স্টেশনের ১০ জনের নামের একটি তালিকা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করতে চাপ দেন।
(বিবিসি নিউজ বাংলা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪)

সুতরাং ফারুকী আর মাহফুজদের অবৈধ সরকার যে গণ মাধ্যমের স্বাধীনতা পুরোপুরি কেড়ে নিয়েছে বিগত ৯ মাসের মিডিয়ার এপিয়ারেন্স এবং একাধিক চাকরিচ্যুতির ঘটনাগুলো থেকে অত্যন্ত স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

#Bangladesh #BangladeshCrisis #FreePress
একটি শিরোনাম বলছে, “সংকুচিত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।” এই সংকোচন কেবল অর্থনৈতিক চক্রের স্বাভাবিক ওঠানামা নয়, বরং এটি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ফল। ক্ষমতা দখলের পর থেকে সরকার যে হারে ব্যয়বহুল ও ত্রুটিপূর্ণ মেগা প্রকল্প চালু করেছে এবং উৎপাদন ও কৃষি খাতকে অবহেলা করেছে, তাতে প্রবৃদ্ধির জায়গায় এখন স্থবিরতা এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের রপ্তানি কমছে, আমদানি খরচ বেড়ে গেছে, আর মুদ্রাস্ফীতি লাগামছাড়া।

আরেকটি হেডলাইন—“শিল্পের গ্যাস যাচ্ছে বিদ্যুতে : কারখানায় উৎপাদনে ধ্বস।” শিল্প খাত, বিশেষত তৈরি পোশাক, চামড়া, সিরামিক ও ওষুধ শিল্প যেগুলো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, সেগুলোর গ্যাস সংযোগ কেটে তা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়তো সাময়িকভাবে বাড়ছে, কিন্তু সেই বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছচ্ছে না, আর শিল্প কারখানাগুলো কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিচ্ছে, ছাঁটাই বাড়ছে। এটি কেবল অব্যবস্থাপনা নয়—অনেকেই মনে করছেন, এটি এক পরিকল্পিত নীতিগত হামলা, যাতে দেশের উৎপাদন বন্ধ হয়ে আমদানিনির্ভরতা তৈরি হয়।

https://albd.org/bn/articles/news/41542/
সংবাদপত্রের শিরোনামে রাষ্ট্র : যেভাবে বাংলাদেশ হারালো নিজের পথ

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ মোড় নেওয়া দিন। বিদেশি শক্তি ও দেশীয় জেহাদি গোষ্ঠীর সহায়তায় একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মোহাম্মদ ইউনুসকে সামনে রেখে একটি এনজিওপন্থী, সুদনির্ভর প্রশাসন জোর করে গঠন করা হয়। তার পর থেকে দেশের অর্থনীতি একটি দুর্বল, ভঙ্গুর কাঠামোয় রূপ নিতে শুরু করে। সেই পতনের সবচেয়ে দৃশ্যমান লক্ষণগুলোই এখন দেশের সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ছাপা হচ্ছে।

যেমন একটি শিরোনাম বলছে, “সংকুচিত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।” এই সংকোচন কেবল অর্থনৈতিক চক্রের স্বাভাবিক ওঠানামা নয়, বরং এটি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ফল। ক্ষমতা দখলের পর থেকে সরকার যে হারে ব্যয়বহুল ও ত্রুটিপূর্ণ মেগা প্রকল্প চালু করেছে এবং উৎপাদন ও কৃষি খাতকে অবহেলা করেছে, তাতে প্রবৃদ্ধির জায়গায় এখন স্থবিরতা এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের রপ্তানি কমছে, আমদানি খরচ বেড়ে গেছে, আর মুদ্রাস্ফীতি লাগামছাড়া।

আরেকটি হেডলাইন—“শিল্পের গ্যাস যাচ্ছে বিদ্যুতে : কারখানায় উৎপাদনে ধ্বস।” শিল্প খাত, বিশেষত তৈরি পোশাক, চামড়া, সিরামিক ও ওষুধ শিল্প যেগুলো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, সেগুলোর গ্যাস সংযোগ কেটে তা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়তো সাময়িকভাবে বাড়ছে, কিন্তু সেই বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছচ্ছে না, আর শিল্প কারখানাগুলো কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিচ্ছে, ছাঁটাই বাড়ছে। এটি কেবল অব্যবস্থাপনা নয়—অনেকেই মনে করছেন, এটি এক পরিকল্পিত নীতিগত হামলা, যাতে দেশের উৎপাদন বন্ধ হয়ে আমদানিনির্ভরতা তৈরি হয়।

অন্যদিকে “দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশেই বেশী”—এই সংবাদ এক গভীর রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। যেখানে ভারত, নেপাল, এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত পাকিস্তানেও খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল, ডিম—সবকিছুই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর পেছনে কেবল আন্তর্জাতিক বাজার দায়ী নয়; বরং সরকারপন্থী সিন্ডিকেট, গুদামজাত মজুতদারদের প্রশ্রয় এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতা এই দুর্দশার মূল কারণ। অথচ এই সরকার “ডাটাভিত্তিক প্রশাসন” নাম দিয়ে দিন কাটাচ্ছে, বাস্তব বাজারে তারা একেবারেই অনুপস্থিত।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক হেডলাইনটি হলো—“গ্যাস সংকটে শিল্প উৎপাদনে ধ্বস।” এটি কেবল একটি খাতের ব্যর্থতা নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের ওপর সরাসরি আঘাত। শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা দেউলিয়া হচ্ছেন, ব্যাংক খাতে ঋণ খেলাপির হার বাড়ছে। এই চিত্রের পেছনে রাজনৈতিক ব্যর্থতা অনস্বীকার্য, কারণ এক অগণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতাহীন সরকার জনস্বার্থ নয়, বরং বিদেশি ঋণদাতা, এনজিও এবং করপোরেট স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র চালাচ্ছে।

এই শিরোনামগুলোর মাঝে একটিই লাল সুতা—ব্যবস্থাপনার সর্বগ্রাসী ব্যর্থতা, যার শিকড় পোঁতা ৫ আগস্টের ক্যুতে। জনগণের হাতে নির্বাচনের অধিকার না থাকা, রাষ্ট্রের সম্পদ বিদেশি স্বার্থে বন্ধক রাখা, আর অভ্যন্তরীণ মৌলবাদী গোষ্ঠীর ছায়া সরকারে উপস্থিতি—এই সব মিলেই তৈরি করেছে এক বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। সংবাদপত্রে প্রতিদিন যে খবর আসে, তা যেন দেশের বাস্তবতার কষ্টকর দলিল হয়ে উঠেছে। এবং প্রতিটি হেডলাইনই ধ্বনিত করছে—এই সরকার বাংলাদেশের নয়, এটি ক্ষমতা-আকুল, জনগণবিচ্ছিন্ন এক ‘অর্থনৈতিক দখলদারিত্বের প্রকল্প’।

এই শিরোনামগুলো কেবল সংবাদপত্রের এক দিনের ছবি নয়; এগুলো এক গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক অপরাধের দলিল। এই সংবাদগুলো বাংলাদেশের জনমানসের কষ্ট, দেশের উৎপাদন কাঠামোর পতন, এবং রাষ্ট্রের গভীরতর দুর্বলতার প্রতিফলন। প্রতিটি শিরোনামের পেছনে লুকিয়ে আছে ৫ আগস্টের সেই কালরাত্রির ছায়া—যেদিন জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো।

দেশের অর্থনীতিকে পরিকল্পিতভাবে সংকুচিত করা হয়েছে, শিল্পকে নিঃশেষ করা হয়েছে, এবং খাদ্যনিরাপত্তা ও বাজারব্যবস্থাকে তুলে দেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেট আর আন্তর্জাতিক দাতাদের হাতে। রাষ্ট্রের সম্পদ যেমন গ্যাস ও বিদ্যুৎ এখন ‘পলিসি এক্সপেরিমেন্ট’ এর পরীক্ষাগারে আটকে আছে, যেখানে জনগণ গিনিপিগ মাত্র।

সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, এই সরকার জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে। নির্বাচনের কোনো মানে নেই, সংসদ কণ্ঠনিরোধে পরিণত, বিচারব্যবস্থা ব্যবস্থাপনার এক্সটেনশনে রূপান্তরিত, আর মিডিয়া ধীরে ধীরে এক আত্মরক্ষামূলক নীরবতা বেছে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ আজ এক গভীর অস্তিত্ব সংকটে। আমরা কি এই সংকটকে চুপচাপ মেনে নেব? নাকি ইতিহাসের দায় কাঁধে তুলে, এই দখলদার ও জনবিচ্ছিন্ন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সত্য বলার সাহস করব?

কারণ ইতিহাসের আদালতে নিরব থাকাও এক ধরনের অপরাধ। আর জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া শাসনের বৈধতা দিতে থাকলে, একদিন আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না—না গণতন্ত্র, না অর্থনীতি, না বাংলাদেশ।