ইউনুসের নির্দেশে কারাগারে চলছে #গণহত্যা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা কর্মী
🎦 https://youtube.com/shorts/QEcWmgasp8c?si=ZLmD56i00A3vkeT4
🎦 https://youtube.com/shorts/QEcWmgasp8c?si=ZLmD56i00A3vkeT4
YouTube
ইউনুসের নির্দেশে কারাগারে চলছে #গণহত্যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা কর্মী
ইউনুসের নির্দেশে কারাগারে চলছে #গণহত্যা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা কর্মীসাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ৩৫ নং বক্সীর হাট ওয়ার্ড স্বেচ্ছাস...
প্রশ্ন: দুর্নীতি আর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে ইউনুস সরকারের শোষণ আর কতদিন চলবে
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
প্রশ্ন: দুর্নীতি আর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে ইউনুস সরকারের শোষণ আর কতদিন চলবে
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
টেকনাফ স্থলবন্দরের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ইউনুস সরকারের ব্যর্থতার কাঠগড়ায়
----------------
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত টেকনাফ স্থলবন্দর ছিল এক সময়ের সম্ভাবনাময় সীমান্তবাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা আমদানি-রপ্তানির পথ ছিল এটি, যা শুধু কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাও সমৃদ্ধ করত। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে এই বন্দর কার্যত মৃতপ্রায়। এখানে নেই কোনো আমদানি, নেই কোনো রপ্তানি, গুদামে পড়ে আছে কোটি টাকার পচনশীল পণ্য, আর বেকার হয়ে পড়েছে শত শত শ্রমিক। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সেই অবৈধ দখলদার সরকার, যারা দেশ চালানোর বৈধতা হারিয়েছে অনেক আগেই, আর আজ দেশের প্রতিটি খাতকে একের পর এক গলা টিপে হত্যা করছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে আজ ব্যবসায়ীরা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না। রাখাইন থেকে আসা সব ধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম আরাকান আর্মির অনুমতির উপর নির্ভর করছে। রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা এবং দুর্বল কূটনীতি যে কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের ভূখণ্ডের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে, তা টেকনাফ বন্দর তার জ্যান্ত উদাহরণ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখে বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল একটি শক্ত কূটনৈতিক কণ্ঠস্বর তৈরি করা, আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সীমান্তবাণিজ্য চালু রাখার উপায় বের করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নতজানু, অদক্ষ, দলকানা প্রশাসন কেবল চুপচাপ বসে আছে। বিদেশনীতি যেন এখন শুধু ধমক খাওয়া আর ঋণ ভিক্ষা করার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
এই বন্দর দিয়ে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব আসত, বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহিত হতো। মার্চ মাসেও প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল, অথচ আজ সেই বন্দর প্রায় শূন্য। ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে গুদামে বসে আছেন, আলু, শুঁটকি, বিস্কুট, পানি — সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গুদামে পড়ে আছে কয়েক হাজার বস্তা পণ্য, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। একটি কাঠবাহী বোট বিজিবির হেফাজতে, তার কোনো মালিক নেই। আর রাখাইন থেকে এখন কোনো নতুন বোট আসারও সম্ভাবনা নেই। সরকার চুপ, নীতি নির্ধারকেরা চুপ, যেন দেশের এই ধ্বংস তাদের কোনো দায় নয়।
শ্রমিকেরা যারা একসময় দৈনিক হাজিরায় জীবিকা চালাতেন, আজ তারা বেকার। স্থলবন্দরে প্রাণ নেই, শ্রমিকদের মুখে হাসি নেই, ব্যবসায়ীদের চোখে শুধু ক্ষতির হিসাব। অথচ এই সরকার, যাদের একটি চুনোপুঁটি গার্মেন্টস উদ্বোধনের সময় হাজার ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলে, যারা প্রতিটি মেগা প্রজেক্টে মেগা প্রচারণা চালায়, তারা আজ টেকনাফ বন্দর ধ্বংস হয়ে গেলেও কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করে না। কারণ তারা জানে, এই সরকারের ক্ষমতা জনগণের ভোট থেকে আসেনি—তাদের ক্ষমতা বন্দুকের ছায়া আর চক্রান্তের চোরা পথ দিয়ে এসেছে। তাই এই দেশে পচে যাওয়া আলু কিংবা গুদামে পড়ে থাকা বিস্কুট তাদের বিবেচনায় পড়ে না।
আরাকান আর্মির দখলের অজুহাতে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারে না। কারণ একটি স্বাধীন দেশের জন্য আরেকটি দেশের সীমানা সমস্যার বিপরীতে বিকল্প কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থাকা উচিত। বাস্তবতা হলো, ইউনুস সরকার কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে। তাদের রাষ্ট্রচালনা মানে শুধু টিকিয়ে রাখা, কিছু গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া আর বাকিদের দমন করা। তাদের কাছে সীমান্তবাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ তাতে লুটপাট নেই, লাইসেন্স বাণিজ্য নেই, কমিশনের খেলা নেই। ফলে টেকনাফ মরুক, কক্সবাজারের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, বা হাজারো শ্রমিক না খেয়ে থাকুক—এতে সরকারের কিছু যায় আসে না।
এই অবস্থা শুধু টেকনাফ নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে প্রশাসন অকার্যকর, নেতৃত্ব অবৈধ, পরিকল্পনা দূরের কথা—তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা বিদ্যুৎ খাতের মতো সীমান্তবাণিজ্যও এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। এবং এই পুরো অনিশ্চয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মোহাম্মদ ইউনুস—একজন গণতন্ত্রবিরোধী, জনগণবিমুখ শাসক যিনি রাষ্ট্রকে নিজের মত করে পরিচালনা করছেন একটি দখলদার দলের মদদে।
আজ টেকনাফের বন্দরে বাতাস বইছে এক ধ্বংসের গন্ধ নিয়ে। সেখানে নেই কোনো গর্জন, নেই কোনো ব্যস্ততা, নেই কোনো ভবিষ্যৎ। এই বন্দরের স্তব্ধতা, এই গুদামের পচা আলু, এই শ্রমিকদের শূন্য চোখ—সব মিলে গড়ে উঠছে সেই প্রশ্ন, যেটা গোটা জাতিকে এখন করতে হবে: আর কত দূর যাবে এই দখলদার সরকারের অপশাসনের মিছিল?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
----------------
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত টেকনাফ স্থলবন্দর ছিল এক সময়ের সম্ভাবনাময় সীমান্তবাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা আমদানি-রপ্তানির পথ ছিল এটি, যা শুধু কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাও সমৃদ্ধ করত। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে এই বন্দর কার্যত মৃতপ্রায়। এখানে নেই কোনো আমদানি, নেই কোনো রপ্তানি, গুদামে পড়ে আছে কোটি টাকার পচনশীল পণ্য, আর বেকার হয়ে পড়েছে শত শত শ্রমিক। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সেই অবৈধ দখলদার সরকার, যারা দেশ চালানোর বৈধতা হারিয়েছে অনেক আগেই, আর আজ দেশের প্রতিটি খাতকে একের পর এক গলা টিপে হত্যা করছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে আজ ব্যবসায়ীরা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না। রাখাইন থেকে আসা সব ধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম আরাকান আর্মির অনুমতির উপর নির্ভর করছে। রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা এবং দুর্বল কূটনীতি যে কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের ভূখণ্ডের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে, তা টেকনাফ বন্দর তার জ্যান্ত উদাহরণ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখে বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল একটি শক্ত কূটনৈতিক কণ্ঠস্বর তৈরি করা, আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সীমান্তবাণিজ্য চালু রাখার উপায় বের করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নতজানু, অদক্ষ, দলকানা প্রশাসন কেবল চুপচাপ বসে আছে। বিদেশনীতি যেন এখন শুধু ধমক খাওয়া আর ঋণ ভিক্ষা করার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
এই বন্দর দিয়ে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব আসত, বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহিত হতো। মার্চ মাসেও প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল, অথচ আজ সেই বন্দর প্রায় শূন্য। ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে গুদামে বসে আছেন, আলু, শুঁটকি, বিস্কুট, পানি — সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গুদামে পড়ে আছে কয়েক হাজার বস্তা পণ্য, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। একটি কাঠবাহী বোট বিজিবির হেফাজতে, তার কোনো মালিক নেই। আর রাখাইন থেকে এখন কোনো নতুন বোট আসারও সম্ভাবনা নেই। সরকার চুপ, নীতি নির্ধারকেরা চুপ, যেন দেশের এই ধ্বংস তাদের কোনো দায় নয়।
শ্রমিকেরা যারা একসময় দৈনিক হাজিরায় জীবিকা চালাতেন, আজ তারা বেকার। স্থলবন্দরে প্রাণ নেই, শ্রমিকদের মুখে হাসি নেই, ব্যবসায়ীদের চোখে শুধু ক্ষতির হিসাব। অথচ এই সরকার, যাদের একটি চুনোপুঁটি গার্মেন্টস উদ্বোধনের সময় হাজার ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলে, যারা প্রতিটি মেগা প্রজেক্টে মেগা প্রচারণা চালায়, তারা আজ টেকনাফ বন্দর ধ্বংস হয়ে গেলেও কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করে না। কারণ তারা জানে, এই সরকারের ক্ষমতা জনগণের ভোট থেকে আসেনি—তাদের ক্ষমতা বন্দুকের ছায়া আর চক্রান্তের চোরা পথ দিয়ে এসেছে। তাই এই দেশে পচে যাওয়া আলু কিংবা গুদামে পড়ে থাকা বিস্কুট তাদের বিবেচনায় পড়ে না।
আরাকান আর্মির দখলের অজুহাতে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারে না। কারণ একটি স্বাধীন দেশের জন্য আরেকটি দেশের সীমানা সমস্যার বিপরীতে বিকল্প কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থাকা উচিত। বাস্তবতা হলো, ইউনুস সরকার কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে। তাদের রাষ্ট্রচালনা মানে শুধু টিকিয়ে রাখা, কিছু গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া আর বাকিদের দমন করা। তাদের কাছে সীমান্তবাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ তাতে লুটপাট নেই, লাইসেন্স বাণিজ্য নেই, কমিশনের খেলা নেই। ফলে টেকনাফ মরুক, কক্সবাজারের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, বা হাজারো শ্রমিক না খেয়ে থাকুক—এতে সরকারের কিছু যায় আসে না।
এই অবস্থা শুধু টেকনাফ নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে প্রশাসন অকার্যকর, নেতৃত্ব অবৈধ, পরিকল্পনা দূরের কথা—তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা বিদ্যুৎ খাতের মতো সীমান্তবাণিজ্যও এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। এবং এই পুরো অনিশ্চয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মোহাম্মদ ইউনুস—একজন গণতন্ত্রবিরোধী, জনগণবিমুখ শাসক যিনি রাষ্ট্রকে নিজের মত করে পরিচালনা করছেন একটি দখলদার দলের মদদে।
আজ টেকনাফের বন্দরে বাতাস বইছে এক ধ্বংসের গন্ধ নিয়ে। সেখানে নেই কোনো গর্জন, নেই কোনো ব্যস্ততা, নেই কোনো ভবিষ্যৎ। এই বন্দরের স্তব্ধতা, এই গুদামের পচা আলু, এই শ্রমিকদের শূন্য চোখ—সব মিলে গড়ে উঠছে সেই প্রশ্ন, যেটা গোটা জাতিকে এখন করতে হবে: আর কত দূর যাবে এই দখলদার সরকারের অপশাসনের মিছিল?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
দ্রব্যমূল্যে নেই সমন্বয়, ইউনুসের মিষ্টি কথায় কি খিদে মিটবে দেশের জনগণের!
বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে ত্রেতাদের মনে স্বস্তি নেই। যে টাকা নিয়ে মানুষ বাজারে আসে তা দিয়ে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বাজারই জোটে কপালে।
আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।
তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের। (দামের উত্তাপ সবজিতে, ক্রেতার পকেটে টান, ঢাকা পোস্ট, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই ৮০টাকার উপরে (সূত্র ঢাকা পোস্ট ও প্রথম আলো)। এর কারণ শীত মৌসুমে কৃষকের লোকসান। কৃষক তার কাঙ্ক্ষিত দামে তার ফসল বেচতে পারেননি, এছাড়া অনেক কৃষক লোকসানের জন্যে জমি থেকে ফসল উত্তোলনও করেননি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন লোকসান মেটাতে এখন কৃষকেরা বেশি দামে বিক্রি করছেন সবজি, তাছাড়াও শীতের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হয়।
বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা; আর এক মাসের মধ্যে এ দাম ২০–২৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাড়া–মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা। অবশ্য এ ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ খুব কম। (পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, সবজি চড়া, প্রথমআলো, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
কয়েকদিন ধরে বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলেন আমদানিকারকরা। গত ১৫এপ্রিল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম দেখা গেছে। (বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম ৭০টাকার ওপরে, সমকাল, ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
সবজির দামে আগুন, মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে চরম মুদ্রাস্ফিতির কারণে এই অর্থবছরে বাংলাদেশে আরও ৩০লক্ষ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। এতে গরিব মানুষ আরও গরিব হবে এবং দিনাতিপাত হবে আরও চ্যালেঞ্জিং। মানুষ চাকরি হারাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ মিথ্যা বুলি আওড়ালেও এবছর বিনিয়োগ ছিলো সর্বনিম্ন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে ইউনুস। এমন কঠিন সময়ে দেশের জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে ত্রেতাদের মনে স্বস্তি নেই। যে টাকা নিয়ে মানুষ বাজারে আসে তা দিয়ে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বাজারই জোটে কপালে।
আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।
তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের। (দামের উত্তাপ সবজিতে, ক্রেতার পকেটে টান, ঢাকা পোস্ট, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই ৮০টাকার উপরে (সূত্র ঢাকা পোস্ট ও প্রথম আলো)। এর কারণ শীত মৌসুমে কৃষকের লোকসান। কৃষক তার কাঙ্ক্ষিত দামে তার ফসল বেচতে পারেননি, এছাড়া অনেক কৃষক লোকসানের জন্যে জমি থেকে ফসল উত্তোলনও করেননি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন লোকসান মেটাতে এখন কৃষকেরা বেশি দামে বিক্রি করছেন সবজি, তাছাড়াও শীতের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হয়।
বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা; আর এক মাসের মধ্যে এ দাম ২০–২৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাড়া–মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা। অবশ্য এ ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ খুব কম। (পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, সবজি চড়া, প্রথমআলো, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
কয়েকদিন ধরে বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলেন আমদানিকারকরা। গত ১৫এপ্রিল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম দেখা গেছে। (বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম ৭০টাকার ওপরে, সমকাল, ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
সবজির দামে আগুন, মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে চরম মুদ্রাস্ফিতির কারণে এই অর্থবছরে বাংলাদেশে আরও ৩০লক্ষ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। এতে গরিব মানুষ আরও গরিব হবে এবং দিনাতিপাত হবে আরও চ্যালেঞ্জিং। মানুষ চাকরি হারাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ মিথ্যা বুলি আওড়ালেও এবছর বিনিয়োগ ছিলো সর্বনিম্ন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে ইউনুস। এমন কঠিন সময়ে দেশের জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের জন্মদিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
----------
আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭২তম জন্মদিন। এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে বনানীস্থ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা ও তাঁর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ শেখ জামালকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সংগঠনের সকল সহযোগী সংগঠনের ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহবান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫
----------
আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭২তম জন্মদিন। এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে বনানীস্থ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা ও তাঁর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ শেখ জামালকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সংগঠনের সকল সহযোগী সংগঠনের ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহবান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও জাতীয় ঋণ নিয়ে ইউনুস সরকারের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার
🎦 https://youtube.com/shorts/vfQWl-7YiHM?si=PZvbWg-6w8G8yqQs
🎦 https://youtube.com/shorts/vfQWl-7YiHM?si=PZvbWg-6w8G8yqQs
YouTube
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও জাতীয় ঋণ নিয়ে ইউনুস সরকারের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার
শুভ জন্মদিন
শেখ জামাল : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে
———
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যে বাড়িটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সেই বাড়ির সন্তান। যে পরিবারটি দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিল, তিনি সেই বাড়ির সদস্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বাবা একটি রাজনৈতিক দলের কর্ণধার হলেও পরিবারটি মধ্যবিত্ত।
খুব সাধারণ পরিবেশেই তাঁর বেড়ে ওঠা। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এখান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দি হন তিনি।
তাঁর বড় ভাই শেখ কামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। একদিন সেই পথ ধরলেন শেখ জামালও। পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। কতই বা বয়স তখন তাঁর।
কিশোরই বলতে হবে তাঁকে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর শেখ জামাল ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট ধানমন্ডির তারকাঁটার বেড়া দেওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে যান। ধানমন্ডি থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা পৌঁছানো ছিল রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতার জন্য সেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে মুজিব বাহিনীর (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স) ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে শেখ জামাল ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন ৯ নম্বর সেক্টরে।
যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন। ওই দিনই বিকালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আয়োজিত স্বাধীন বাংলায় ঢাকার পল্টনে প্রথম জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো। তিনি শেখ জামালকে যুুগোস্লাভ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। ১৯৭৪ সালের বসন্তে ঢাকা কলেজের ছাত্র জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু একেবারে ভিন্ন পরিবেশ, প্রতিকূল আবহাওয়া আর ভাষার অসুবিধার কারণে সেখানকার প্রশিক্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শেখ জামালের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। মার্শাল টিটো তাঁকে ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্টে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ জামালকে সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.) লিখেছেন, ১৯৭৪ সালের শরতে স্যান্ডহার্স্টে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে শেখ জামাল লন্ডনে এসে পৌঁছেন। তবে স্যান্ডহার্স্টের পূর্বশর্ত হিসেবে তাঁর ব্রিটেনের আর্মি স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ, বেকনসফিল্ড থেকে প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সামরিক একাডেমির মধ্যে স্যান্ডহার্স্ট অন্যতম। এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের তিনজন তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে আসেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন ক্যাডেট শফি মো. মেহবুব ও লুৎফে কামাল স্যান্ডহার্স্ট থেকে কমিশন লাভ করেন। স্যান্ডহার্স্টের শর্ট সার্ভিস কমিশনের সুকঠিন গ্র্যাজুয়েট কোর্সটির মেয়াদ ছিল প্রায় ছয় মাস- ৩ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন ১৯৭৫। ৪০০ ক্যাডেটের মধ্যে বিদেশি ক্যাডেটের সংখ্যা ছিল ৩০। ১৯৭৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে স্যান্ডহার্স্ট থেকে ক্যাডেটরা রণকৌশলগত চূড়ান্ত অনুশীলন এক্সারসাইজ ডায়নামিক ভিক্টোরিতে অংশগ্রহণ করতে পশ্চিম জার্মানিতে ব্রিটিশ আর্মি অন রাইন যান। এ অনুশীলনকে রীতিমতো যুদ্ধই বলা যায়। গায়ে কমব্যাট ইউনিফর্ম, হাতে রাইফেল, পিঠে হ্যাভারস্যাক পরে জামাল পুরোপুরি যোদ্ধা। কখনো পাহাড়ি এলাকা, কখনো অরণ্য, কখনো খোলা প্রান্তরে চলে দুঃসাহসিক অনুশীলন। সারা দিন প্রতিরক্ষায় ট্রেঞ্চে বসে থাকা। ভোররাতে পরিচালিত হলো গোর্খা ব্যাটালিয়নের আক্রমণ। আকাশে শত্র“র বিমান। ট্রেঞ্চের কিছু দূরে আর্টিলারি শেল পড়ে। চলে লাইভ ফায়ারিং। শত্রুদের হটিয়ে এবার এগিয়ে যেতে হয়। পাইন বৃক্ষশোভিত অরণ্যময় এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে র্যাপলিং করে নামতে হতো কয়েক শ ফুট।
স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এলে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের পোস্টিং হয় ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। সেখানে বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন নজরুলের অধীনে ‘কোম্পানি অফিসার’ হিসেবে শেখ জামালের রেজিমেন্ট জীবনের হাতেখড়ি। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে জামালের চাকরিকাল ছিল প্রায় দেড় মাস। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.
শেখ জামাল : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে
———
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যে বাড়িটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সেই বাড়ির সন্তান। যে পরিবারটি দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিল, তিনি সেই বাড়ির সদস্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বাবা একটি রাজনৈতিক দলের কর্ণধার হলেও পরিবারটি মধ্যবিত্ত।
খুব সাধারণ পরিবেশেই তাঁর বেড়ে ওঠা। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এখান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দি হন তিনি।
তাঁর বড় ভাই শেখ কামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। একদিন সেই পথ ধরলেন শেখ জামালও। পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। কতই বা বয়স তখন তাঁর।
কিশোরই বলতে হবে তাঁকে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর শেখ জামাল ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট ধানমন্ডির তারকাঁটার বেড়া দেওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে যান। ধানমন্ডি থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা পৌঁছানো ছিল রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতার জন্য সেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে মুজিব বাহিনীর (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স) ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে শেখ জামাল ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন ৯ নম্বর সেক্টরে।
যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন। ওই দিনই বিকালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আয়োজিত স্বাধীন বাংলায় ঢাকার পল্টনে প্রথম জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো। তিনি শেখ জামালকে যুুগোস্লাভ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। ১৯৭৪ সালের বসন্তে ঢাকা কলেজের ছাত্র জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু একেবারে ভিন্ন পরিবেশ, প্রতিকূল আবহাওয়া আর ভাষার অসুবিধার কারণে সেখানকার প্রশিক্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শেখ জামালের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। মার্শাল টিটো তাঁকে ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্টে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ জামালকে সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.) লিখেছেন, ১৯৭৪ সালের শরতে স্যান্ডহার্স্টে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে শেখ জামাল লন্ডনে এসে পৌঁছেন। তবে স্যান্ডহার্স্টের পূর্বশর্ত হিসেবে তাঁর ব্রিটেনের আর্মি স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ, বেকনসফিল্ড থেকে প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সামরিক একাডেমির মধ্যে স্যান্ডহার্স্ট অন্যতম। এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের তিনজন তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে আসেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন ক্যাডেট শফি মো. মেহবুব ও লুৎফে কামাল স্যান্ডহার্স্ট থেকে কমিশন লাভ করেন। স্যান্ডহার্স্টের শর্ট সার্ভিস কমিশনের সুকঠিন গ্র্যাজুয়েট কোর্সটির মেয়াদ ছিল প্রায় ছয় মাস- ৩ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন ১৯৭৫। ৪০০ ক্যাডেটের মধ্যে বিদেশি ক্যাডেটের সংখ্যা ছিল ৩০। ১৯৭৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে স্যান্ডহার্স্ট থেকে ক্যাডেটরা রণকৌশলগত চূড়ান্ত অনুশীলন এক্সারসাইজ ডায়নামিক ভিক্টোরিতে অংশগ্রহণ করতে পশ্চিম জার্মানিতে ব্রিটিশ আর্মি অন রাইন যান। এ অনুশীলনকে রীতিমতো যুদ্ধই বলা যায়। গায়ে কমব্যাট ইউনিফর্ম, হাতে রাইফেল, পিঠে হ্যাভারস্যাক পরে জামাল পুরোপুরি যোদ্ধা। কখনো পাহাড়ি এলাকা, কখনো অরণ্য, কখনো খোলা প্রান্তরে চলে দুঃসাহসিক অনুশীলন। সারা দিন প্রতিরক্ষায় ট্রেঞ্চে বসে থাকা। ভোররাতে পরিচালিত হলো গোর্খা ব্যাটালিয়নের আক্রমণ। আকাশে শত্র“র বিমান। ট্রেঞ্চের কিছু দূরে আর্টিলারি শেল পড়ে। চলে লাইভ ফায়ারিং। শত্রুদের হটিয়ে এবার এগিয়ে যেতে হয়। পাইন বৃক্ষশোভিত অরণ্যময় এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে র্যাপলিং করে নামতে হতো কয়েক শ ফুট।
স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এলে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের পোস্টিং হয় ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। সেখানে বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন নজরুলের অধীনে ‘কোম্পানি অফিসার’ হিসেবে শেখ জামালের রেজিমেন্ট জীবনের হাতেখড়ি। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে জামালের চাকরিকাল ছিল প্রায় দেড় মাস। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.
) লিখেছেন, এই স্বল্প সময়ে অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাঁদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্ট্রাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন। বিকালে খেলার মাঠে ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে বাস্কেট বল খেলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন তিনি। বিপথগামী কয়েকজন সহকর্মীই তাঁর ঘাতক। আজ তাঁর জন্মদিনে স্মরণ করি সেই কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি যুদ্ধে গিয়েছিলেন, নিজেকে চৌকস সামরিক অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
লেখক : এম. নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
nazrul@gmx.at
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন তিনি। বিপথগামী কয়েকজন সহকর্মীই তাঁর ঘাতক। আজ তাঁর জন্মদিনে স্মরণ করি সেই কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি যুদ্ধে গিয়েছিলেন, নিজেকে চৌকস সামরিক অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
লেখক : এম. নজরুল ইসলাম
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
nazrul@gmx.at
ইউনুসের উদ্দেশ্যই যেনো দেশে আইন শৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি দেখতে থাকা
------------
#ছিনতাই-#ডাকাতি, #কুপিয়ে #জখম, #গুম-#খুন ইউনুসের জোকার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের কাছে খুবই সাধারণ। এতই সাধারণ যে পাহাড় আর সমতল যেখানেই হোক অপরাধের স্কোর তার কাছে সমান সমানই। কারণ এতে তো তাদেরই লাভ! তার কারণ মিডিয়া এদিকে দেশ অস্থিতিশীল হওয়ার নিউজ তুলবে অন্য দিকে সরকার সুন্দর তলে তলে #লুটপাট চালাবে এই আর কি!
ইউনুসের কি? ইউনুস আমেরিকান পুতুল তার মাথার উপর হিলারি আপা আছেই তো! ইউনুসের চুলটাও কেউ বাকা করতে পারবে না, যাও একজন ইউনুসের ঘাড় মটকে বাটপারি বের করতে চেয়েছিলো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পড়ে তাকেও আপাতত চলে যেতে হলো। তো যাই হোক, এরপর দেশের অবস্থা কি?
#গুম,#খুন, #ডাকাতি, #জবরদখল লেগেই তো আছে! #বিএনপি দখল আর #চাঁদাবাজি কোথায় বাদ রেখেছে বলতে পারেন? এরপর চলছে ছিনতাই আর ডাকাতি। গত দুই দিন ধরে নাটোরে দুটো #দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে- 'আগের দিন আইনজীবী, পরের দিন ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি', সমকালেই ছাপা হয়েছে।
তো মধ্যরাতের মাতাল উপদেষ্টাকে দিয়ে যখন দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাচ্ছে না তাহলে এই ভন্ডকে কেনো অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না। ইউনুস নাকি ছাত্রদের নিয়োগ প্রাপ্ত? তাহলে সারাদেশের ছাত্র-জনতাই যখন এই লোকের পদত্যাগ দাবি করার পরেও কেন এই লোক বহাল তবিয়তে আছে?
#ধর্ষণ কি থেমেছে?
-- না থামেনি
#ছিনতাই, #ডাকাতি থেমেছে?
-- না থামেনি
#বিএনপির ভোগদখল থেমেছে?
-- সরকার বিএনপির টেরর ভয়পায়।
জনগণকে এভাবে জিম্মি করে দেশকে কোথায় নিবে ইউনুসের অবৈধ সরকার কেউ যানে না। তাই দেড়ি হবার আগেই, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার আগেই করতে হবে প্রতিবাদ, গড়ে তুলুন প্রতিরোধ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
------------
#ছিনতাই-#ডাকাতি, #কুপিয়ে #জখম, #গুম-#খুন ইউনুসের জোকার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের কাছে খুবই সাধারণ। এতই সাধারণ যে পাহাড় আর সমতল যেখানেই হোক অপরাধের স্কোর তার কাছে সমান সমানই। কারণ এতে তো তাদেরই লাভ! তার কারণ মিডিয়া এদিকে দেশ অস্থিতিশীল হওয়ার নিউজ তুলবে অন্য দিকে সরকার সুন্দর তলে তলে #লুটপাট চালাবে এই আর কি!
ইউনুসের কি? ইউনুস আমেরিকান পুতুল তার মাথার উপর হিলারি আপা আছেই তো! ইউনুসের চুলটাও কেউ বাকা করতে পারবে না, যাও একজন ইউনুসের ঘাড় মটকে বাটপারি বের করতে চেয়েছিলো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পড়ে তাকেও আপাতত চলে যেতে হলো। তো যাই হোক, এরপর দেশের অবস্থা কি?
#গুম,#খুন, #ডাকাতি, #জবরদখল লেগেই তো আছে! #বিএনপি দখল আর #চাঁদাবাজি কোথায় বাদ রেখেছে বলতে পারেন? এরপর চলছে ছিনতাই আর ডাকাতি। গত দুই দিন ধরে নাটোরে দুটো #দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে- 'আগের দিন আইনজীবী, পরের দিন ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি', সমকালেই ছাপা হয়েছে।
তো মধ্যরাতের মাতাল উপদেষ্টাকে দিয়ে যখন দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাচ্ছে না তাহলে এই ভন্ডকে কেনো অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না। ইউনুস নাকি ছাত্রদের নিয়োগ প্রাপ্ত? তাহলে সারাদেশের ছাত্র-জনতাই যখন এই লোকের পদত্যাগ দাবি করার পরেও কেন এই লোক বহাল তবিয়তে আছে?
#ধর্ষণ কি থেমেছে?
-- না থামেনি
#ছিনতাই, #ডাকাতি থেমেছে?
-- না থামেনি
#বিএনপির ভোগদখল থেমেছে?
-- সরকার বিএনপির টেরর ভয়পায়।
জনগণকে এভাবে জিম্মি করে দেশকে কোথায় নিবে ইউনুসের অবৈধ সরকার কেউ যানে না। তাই দেড়ি হবার আগেই, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার আগেই করতে হবে প্রতিবাদ, গড়ে তুলুন প্রতিরোধ।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
#খুনি বাহিনীর শাসন চান? তাহলে ইউনুসই সঠিক পছন্দ!
#জঙ্গিবন্ধু মোহাম্মাদ ইউনুসের ক্ষমতা দখলের পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল, #কিলার আব্বাস, #শিবির নাসির কিংবা নারায়ণগঞ্জের জাকির খান।
ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত কয়েক ডজন মামলার শীর্ষ #স'ন্ত্রাসীরাও জামিনে বের হয়ে গিয়েছে। কোন আওয়াজ নাই। হইচই নাই!
ইউনুস'কে আরো পাঁচ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় দেখতে চান?
৪৬০ টা থানা #লুট করে পুলিশের ৬০০০ এর অধিক #অস্ত্র ও অগণিত #গুলি #লুট করে #সন্ত্রাসীরা।
ভয়ঙ্কর কুখ্যাত #সন্ত্রাসী ও #জঙ্গিরা জেলখানা ভেঙে পালানোর সময় জেলের আর্মুরিতে রাখা কয়েক হাজার #অস্ত্র ও গোলাবারুদ #লুট করে নিয়ে যায়। এই সমস্ত #অস্ত্র ও গোলাবারুদের কোন হদিস নাই, কোন আওয়াজ বা হৈচৈ ও নাই। প্রশাসন নিশ্চুপ।
তিন হাজারেরো বেশী পুলিশ #হত্যা করেছে ছাত্রনামধারী #জামাত #শিবিরের ক্যাডাররা। কিন্তু ইউনুস সরকার এ বিষয়ে মুখে কুলুপ। তাই পুলিশ কেন শুনবে #অবৈধ ইউনুস সরকারের ভাঁড় অবৈধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ??
তবুও ওরা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকে আরো পাঁচ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় দেখতে চায়, তারা কারা ?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
#জঙ্গিবন্ধু মোহাম্মাদ ইউনুসের ক্ষমতা দখলের পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল, #কিলার আব্বাস, #শিবির নাসির কিংবা নারায়ণগঞ্জের জাকির খান।
ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত কয়েক ডজন মামলার শীর্ষ #স'ন্ত্রাসীরাও জামিনে বের হয়ে গিয়েছে। কোন আওয়াজ নাই। হইচই নাই!
ইউনুস'কে আরো পাঁচ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় দেখতে চান?
৪৬০ টা থানা #লুট করে পুলিশের ৬০০০ এর অধিক #অস্ত্র ও অগণিত #গুলি #লুট করে #সন্ত্রাসীরা।
ভয়ঙ্কর কুখ্যাত #সন্ত্রাসী ও #জঙ্গিরা জেলখানা ভেঙে পালানোর সময় জেলের আর্মুরিতে রাখা কয়েক হাজার #অস্ত্র ও গোলাবারুদ #লুট করে নিয়ে যায়। এই সমস্ত #অস্ত্র ও গোলাবারুদের কোন হদিস নাই, কোন আওয়াজ বা হৈচৈ ও নাই। প্রশাসন নিশ্চুপ।
তিন হাজারেরো বেশী পুলিশ #হত্যা করেছে ছাত্রনামধারী #জামাত #শিবিরের ক্যাডাররা। কিন্তু ইউনুস সরকার এ বিষয়ে মুখে কুলুপ। তাই পুলিশ কেন শুনবে #অবৈধ ইউনুস সরকারের ভাঁড় অবৈধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ??
তবুও ওরা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকে আরো পাঁচ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় দেখতে চায়, তারা কারা ?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
শেখ হাসিনার দুর্নীতির রেকর্ড নেই, রাশিয়ান দূতাবাসের পর এবার ইউনুসের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার জবাব দিলো স্বয়ং বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অনুসন্ধানী কমিটি
আদানির সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে দুর্নীতি পায়নি স্বয়ং বিদ্যুৎ বিভাগঃ
ইউনুস ক্ষমতা দখলের পর বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ বিধান ২০১৫ বাতিল করে। অভিযোগ ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার বিনা দরপত্রে চুক্তির মাধ্যমে বিপুল দুর্নীতি করেছে। এমনকি, দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও চুক্তিতে উপেক্ষিত বলে সমালোচনা ওঠে।
প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, ডেইলি স্টারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই নিয়মিত ফরমায়েশি প্রতিবেদন ও কলাম ছেপে দাবি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় করা এই চুক্তিতে নানা অসামঞ্জস্য এবং দুর্নীতি হয়েছে, চুক্তিটি দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, এখানে ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার… ইত্যাদি। চুক্তি নিয়ে নানারকম ভিত্তিহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচার করা হয়েছিল গণমাধ্যমে, যা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।
ড. ইউনূসের ক্ষমতায় বসার পর নানা মহলের আলোচনার মধ্যে বিষয়টি আদালতে গড়ালে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনসহ ৩ দফা নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সব নথি ও প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
আইনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতে। এছাড়া এই চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতিরও তথ্য পাওয়া যায়নি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশনা অনুসারেই প্রতিবেদনটি দাখিল করে বিদ্যুৎ বিভাগ। (আদানির সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে দুর্নীতি বা অনিয়ম ঘটেনি: হাইকোর্ট; বিডিডাইজেস্ট, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫)
এছাড়াও ইউনুসের প্রোপাগান্ডা সেল জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ববি হাজ্জাজ আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ মঙ্গলবার রিটটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। (রূপপুর প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট, প্রথম আলো, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪)
এরপর রুশ দুতাবাস সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির দাবিটি ভুয়া বলে একটি বিবৃতি দেয়ঃ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ (আরএনপিপি) প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রোসাটমের বরাত দিয়ে ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যারা রূপপুর এনপিপিতে দুর্নীতি বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে চায় এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। (রূপপুর প্রকল্পকে ঘিরে মস্কো ও ঢাকার সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে: রাশিয়ার বিবৃতি ; বাংলা ট্রিবিউন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪)
এভাবেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হাজারও মিথ্যা অভিযোগ রটানো হয়েছে। কিন্তু দিনশেষে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে,শুধু মাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্যে নিবেদিত সৎ নিষ্ঠাবান ও দুর্নীতি বিমুখ অন্যায়ের সাথে আপোষহীন একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।
আদানির সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে দুর্নীতি পায়নি স্বয়ং বিদ্যুৎ বিভাগঃ
ইউনুস ক্ষমতা দখলের পর বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ বিধান ২০১৫ বাতিল করে। অভিযোগ ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার বিনা দরপত্রে চুক্তির মাধ্যমে বিপুল দুর্নীতি করেছে। এমনকি, দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও চুক্তিতে উপেক্ষিত বলে সমালোচনা ওঠে।
প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, ডেইলি স্টারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই নিয়মিত ফরমায়েশি প্রতিবেদন ও কলাম ছেপে দাবি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় করা এই চুক্তিতে নানা অসামঞ্জস্য এবং দুর্নীতি হয়েছে, চুক্তিটি দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, এখানে ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার… ইত্যাদি। চুক্তি নিয়ে নানারকম ভিত্তিহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচার করা হয়েছিল গণমাধ্যমে, যা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।
ড. ইউনূসের ক্ষমতায় বসার পর নানা মহলের আলোচনার মধ্যে বিষয়টি আদালতে গড়ালে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনসহ ৩ দফা নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সব নথি ও প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
আইনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতে। এছাড়া এই চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতিরও তথ্য পাওয়া যায়নি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশনা অনুসারেই প্রতিবেদনটি দাখিল করে বিদ্যুৎ বিভাগ। (আদানির সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে দুর্নীতি বা অনিয়ম ঘটেনি: হাইকোর্ট; বিডিডাইজেস্ট, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫)
এছাড়াও ইউনুসের প্রোপাগান্ডা সেল জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ববি হাজ্জাজ আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ মঙ্গলবার রিটটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। (রূপপুর প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট, প্রথম আলো, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪)
এরপর রুশ দুতাবাস সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির দাবিটি ভুয়া বলে একটি বিবৃতি দেয়ঃ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ (আরএনপিপি) প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রোসাটমের বরাত দিয়ে ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যারা রূপপুর এনপিপিতে দুর্নীতি বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে চায় এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। (রূপপুর প্রকল্পকে ঘিরে মস্কো ও ঢাকার সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে: রাশিয়ার বিবৃতি ; বাংলা ট্রিবিউন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪)
এভাবেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হাজারও মিথ্যা অভিযোগ রটানো হয়েছে। কিন্তু দিনশেষে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে,শুধু মাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্যে নিবেদিত সৎ নিষ্ঠাবান ও দুর্নীতি বিমুখ অন্যায়ের সাথে আপোষহীন একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।