দখলদার ইউনুসের প্ররোচনায় আজ জনগণের চোখেই নিজ দেশের পুলিশ শত্রু! অবমুক্ত #সন্ত্রাসবাদ, বাড়ছে অপরাধ- পুড়ছে আমার স্বদেশ
----
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সংঘটিত অপরাধের ঘটনায় করা #মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়– #খুন, #অপহরণ, #ডাকাতি, #ছিনতাইসহ ছয় ধরনের অপরাধ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে।
সারাদেশের সব ধরনের অপরাধের তথ্য নথিভুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুধু #হত্যার ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে #মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি এবং মার্চে ৩১৬টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে সারাদেশে হত্যা #মামলা নথিভুক্ত হয়েছে যথাক্রমে ২৩১, ২৪০ ও ২৩৯টি। গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে #হত্যা #মামলা বেশি হয়েছে ৭৭টি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বেশি হয়েছে যথাক্রমে ৬৩ ও ৬০টি।
'সমাজে অনেকের মধ্যে এমন ধারণা– এখন চাইলে যা ইচ্ছা তা করা যায়। পুলিশ তো শত্রু! তারা কিছু করতে পারবে না। ৫ আগস্টের পর এমন ধারণা তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।'- সমকালকে কথা গুলো বলছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহারুল আলম। আইজিপি বলেন, এখনও পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। থানায় হামলা হচ্ছে। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১২, ফেব্রুয়ারিতে ২২ ও মার্চে ৪০টি।
সারাদেশে পুলিশের মামলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৩০ এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৩৭১ ও মার্চে ১ হাজার ৫০৯টি।
পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘আমরাই পারি’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক সমকালকে বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।'
আগস্টের পর জামিনে বেরিয়ে মুসা তার সঙ্গীদের নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে চাপাতি দিয়ে #কুপিয়ে মো. বাবু নামে এক যুবককে #হত্যা করেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু #হত্যা #মামলার আসামি ছিলেন এই মুসা।
এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দীপু শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। গত ১০ জানুয়ারি ইমন মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে কম্পিউটার ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক ও ওয়াহিদুল হাসান দীপুকে মাল্টিপ্লানের এলোপাতাড়ি #কুপিয়ে আহত করে।
এছাড়াও, ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মিরপুরের আব্বাস আলী, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। অভিযোগ আছে, কারাগারে থেকেও নানা কৌশলে তারা অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ধারণা করা হয়, ৫ আগস্টের পর কুখ্যাত #সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দিয়ে #মামলা খালাস করার পরপরই দেশে অপরাধযজ্ঞ, সন্ত্রাসবাদ আরও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।
বিজু উৎসব উদযাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাত দিন পর গত বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে সারাদেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ১০৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮টি এবং মার্চে ৮৩টি। ২০২৪ সালের একই সময়ে অপহরণের ঘটনা ছিল যথাক্রমে ৫১, ৪৩ ও ৫১টি।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনে পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ আজ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। জনবল না থাকায় এবং অবৈধ দখলদারদের প্ররোচনায় জনগণ আজ তাদেরই পরম বন্ধু পুলিশকেই শত্রু ভাবছে, তাদের উপর করছে আক্রমণ। এর বাইরেও দখলদার ইউনুসের উদ্যোগে দাগী #সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জিম্মি করে ফেলেছে বাংলাদেশ পুলিশকেই।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
----
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সংঘটিত অপরাধের ঘটনায় করা #মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়– #খুন, #অপহরণ, #ডাকাতি, #ছিনতাইসহ ছয় ধরনের অপরাধ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে।
সারাদেশের সব ধরনের অপরাধের তথ্য নথিভুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুধু #হত্যার ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে #মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি এবং মার্চে ৩১৬টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে সারাদেশে হত্যা #মামলা নথিভুক্ত হয়েছে যথাক্রমে ২৩১, ২৪০ ও ২৩৯টি। গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে #হত্যা #মামলা বেশি হয়েছে ৭৭টি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বেশি হয়েছে যথাক্রমে ৬৩ ও ৬০টি।
'সমাজে অনেকের মধ্যে এমন ধারণা– এখন চাইলে যা ইচ্ছা তা করা যায়। পুলিশ তো শত্রু! তারা কিছু করতে পারবে না। ৫ আগস্টের পর এমন ধারণা তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।'- সমকালকে কথা গুলো বলছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহারুল আলম। আইজিপি বলেন, এখনও পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। থানায় হামলা হচ্ছে। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১২, ফেব্রুয়ারিতে ২২ ও মার্চে ৪০টি।
সারাদেশে পুলিশের মামলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৩০ এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৩৭১ ও মার্চে ১ হাজার ৫০৯টি।
পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘আমরাই পারি’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক সমকালকে বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।'
আগস্টের পর জামিনে বেরিয়ে মুসা তার সঙ্গীদের নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে চাপাতি দিয়ে #কুপিয়ে মো. বাবু নামে এক যুবককে #হত্যা করেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু #হত্যা #মামলার আসামি ছিলেন এই মুসা।
এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দীপু শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। গত ১০ জানুয়ারি ইমন মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে কম্পিউটার ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক ও ওয়াহিদুল হাসান দীপুকে মাল্টিপ্লানের এলোপাতাড়ি #কুপিয়ে আহত করে।
এছাড়াও, ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মিরপুরের আব্বাস আলী, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। অভিযোগ আছে, কারাগারে থেকেও নানা কৌশলে তারা অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ধারণা করা হয়, ৫ আগস্টের পর কুখ্যাত #সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দিয়ে #মামলা খালাস করার পরপরই দেশে অপরাধযজ্ঞ, সন্ত্রাসবাদ আরও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।
বিজু উৎসব উদযাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাত দিন পর গত বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে সারাদেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ১০৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮টি এবং মার্চে ৮৩টি। ২০২৪ সালের একই সময়ে অপহরণের ঘটনা ছিল যথাক্রমে ৫১, ৪৩ ও ৫১টি।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনে পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ আজ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। জনবল না থাকায় এবং অবৈধ দখলদারদের প্ররোচনায় জনগণ আজ তাদেরই পরম বন্ধু পুলিশকেই শত্রু ভাবছে, তাদের উপর করছে আক্রমণ। এর বাইরেও দখলদার ইউনুসের উদ্যোগে দাগী #সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জিম্মি করে ফেলেছে বাংলাদেশ পুলিশকেই।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
ছেলে ছাত্রলীগ করে, তাই বাবার উপর #হামলা! #বিএনপি #সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইমদাদ খান বাবুর পিতার উপর #বর্বর #হামলা চালিয়েছে #বিএনপির #সন্ত্রাসীরা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এ #হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে—#ইউনুস #গংয়ের বাংলাদেশে পরিবারের নিরাপত্তাও এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি!
#Bangladesh #BangladeshCrisis
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইমদাদ খান বাবুর পিতার উপর #বর্বর #হামলা চালিয়েছে #বিএনপির #সন্ত্রাসীরা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এ #হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে—#ইউনুস #গংয়ের বাংলাদেশে পরিবারের নিরাপত্তাও এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি!
#Bangladesh #BangladeshCrisis
জান্নাতীর রক্তের উপর ইউনুসের #নপুংসক শাসনের #নগ্ন নৃত্য!
লালমনিরহাটের ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকা জান্নাতীর নিথর দেহটা শুধু একটা #হত্যাকাণ্ড নয়—এটা এই জাতির শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়া ব্যর্থতা, কাপুরুষতা আর নৈতিক দেউলিয়াপনার উলঙ্গ দলিল। ১১ বছরের স্কুলছাত্রী জান্নাতী আক্তার, যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, যে স্কুলব্যাগে বই নিয়ে স্বপ্ন বুনে, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুখে মাটি গুঁজে #হত্যা করেছে এক পাশবিক নরপশু। #ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে খুন!
আর এই সময় বাংলাদেশ শাসিত হচ্ছে এক #অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসৎ, অক্ষম ও #নপুংসক তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বারা, যার রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে তথাকথিত 'নোবেল বিজয়ী' ইউনুসের হাতে।
জান্নাতীর এই #নৃশংস #হত্যার দায় একা সেই খুনির নয়—এই রক্তের ভাগীদার হচ্ছে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা, যে রাষ্ট্র এখন আর জনগণের নয়, বরং একদল সুবিধাবাদী আন্তর্জাতিক দালালের পা চাটা পুতুল সরকারের হাতে বন্দী।
এই সরকার ক্ষমতা দখল করেছে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর সেই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিকার হলো আমাদের নারী ও শিশু—কারণ একটা অক্ষম সরকার কখনোই দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে পারে না।
এই জান্নাতীর লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল শোক জানিয়ে বসে থাকতে পারি না। কারণ এই শোক যদি ক্রোধে না রূপ নেয়, তাহলে কাল আরেকটি জান্নাতী, আরেকটি তানহা, আরেকটি মুক্তা রক্তাক্ত হবে সেই একই ভুট্টাক্ষেতে, অথবা কোনো ঘরের কোণে।
জান্নাতীর রক্ত আমাদের ঋণী করেছে। যদি আমরা এখনও চুপ থাকি, তাহলে আগামীকাল আরেক জান্নাতী, পরশু আরেক মুক্তা, আরেক লিজা—এইভাবে একের পর এক মাটিতে মিশে যাবে।
আর ক’জনের লাশ লাগবে আমাদের জাগতে?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
লালমনিরহাটের ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকা জান্নাতীর নিথর দেহটা শুধু একটা #হত্যাকাণ্ড নয়—এটা এই জাতির শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়া ব্যর্থতা, কাপুরুষতা আর নৈতিক দেউলিয়াপনার উলঙ্গ দলিল। ১১ বছরের স্কুলছাত্রী জান্নাতী আক্তার, যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, যে স্কুলব্যাগে বই নিয়ে স্বপ্ন বুনে, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুখে মাটি গুঁজে #হত্যা করেছে এক পাশবিক নরপশু। #ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে খুন!
আর এই সময় বাংলাদেশ শাসিত হচ্ছে এক #অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসৎ, অক্ষম ও #নপুংসক তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বারা, যার রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে তথাকথিত 'নোবেল বিজয়ী' ইউনুসের হাতে।
জান্নাতীর এই #নৃশংস #হত্যার দায় একা সেই খুনির নয়—এই রক্তের ভাগীদার হচ্ছে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা, যে রাষ্ট্র এখন আর জনগণের নয়, বরং একদল সুবিধাবাদী আন্তর্জাতিক দালালের পা চাটা পুতুল সরকারের হাতে বন্দী।
এই সরকার ক্ষমতা দখল করেছে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর সেই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিকার হলো আমাদের নারী ও শিশু—কারণ একটা অক্ষম সরকার কখনোই দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে পারে না।
এই জান্নাতীর লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল শোক জানিয়ে বসে থাকতে পারি না। কারণ এই শোক যদি ক্রোধে না রূপ নেয়, তাহলে কাল আরেকটি জান্নাতী, আরেকটি তানহা, আরেকটি মুক্তা রক্তাক্ত হবে সেই একই ভুট্টাক্ষেতে, অথবা কোনো ঘরের কোণে।
জান্নাতীর রক্ত আমাদের ঋণী করেছে। যদি আমরা এখনও চুপ থাকি, তাহলে আগামীকাল আরেক জান্নাতী, পরশু আরেক মুক্তা, আরেক লিজা—এইভাবে একের পর এক মাটিতে মিশে যাবে।
আর ক’জনের লাশ লাগবে আমাদের জাগতে?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
ইউনুসের নির্দেশে কারাগারে চলছে #গণহত্যা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা কর্মী
🎦 https://youtube.com/shorts/QEcWmgasp8c?si=ZLmD56i00A3vkeT4
🎦 https://youtube.com/shorts/QEcWmgasp8c?si=ZLmD56i00A3vkeT4
YouTube
ইউনুসের নির্দেশে কারাগারে চলছে #গণহত্যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা কর্মী
ইউনুসের নির্দেশে কারাগারে চলছে #গণহত্যা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা কর্মীসাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ৩৫ নং বক্সীর হাট ওয়ার্ড স্বেচ্ছাস...
প্রশ্ন: দুর্নীতি আর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে ইউনুস সরকারের শোষণ আর কতদিন চলবে
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
প্রশ্ন: দুর্নীতি আর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে ইউনুস সরকারের শোষণ আর কতদিন চলবে
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
মিথ্যাবাদী ইউনুস:
'একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।'- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও'র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে 'দায়মুক্তি' দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
'কোটা না মেধা'র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)'র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে 'সাময়িক' অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।...’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংককের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?
টেকনাফ স্থলবন্দরের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ইউনুস সরকারের ব্যর্থতার কাঠগড়ায়
----------------
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত টেকনাফ স্থলবন্দর ছিল এক সময়ের সম্ভাবনাময় সীমান্তবাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা আমদানি-রপ্তানির পথ ছিল এটি, যা শুধু কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাও সমৃদ্ধ করত। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে এই বন্দর কার্যত মৃতপ্রায়। এখানে নেই কোনো আমদানি, নেই কোনো রপ্তানি, গুদামে পড়ে আছে কোটি টাকার পচনশীল পণ্য, আর বেকার হয়ে পড়েছে শত শত শ্রমিক। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সেই অবৈধ দখলদার সরকার, যারা দেশ চালানোর বৈধতা হারিয়েছে অনেক আগেই, আর আজ দেশের প্রতিটি খাতকে একের পর এক গলা টিপে হত্যা করছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে আজ ব্যবসায়ীরা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না। রাখাইন থেকে আসা সব ধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম আরাকান আর্মির অনুমতির উপর নির্ভর করছে। রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা এবং দুর্বল কূটনীতি যে কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের ভূখণ্ডের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে, তা টেকনাফ বন্দর তার জ্যান্ত উদাহরণ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখে বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল একটি শক্ত কূটনৈতিক কণ্ঠস্বর তৈরি করা, আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সীমান্তবাণিজ্য চালু রাখার উপায় বের করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নতজানু, অদক্ষ, দলকানা প্রশাসন কেবল চুপচাপ বসে আছে। বিদেশনীতি যেন এখন শুধু ধমক খাওয়া আর ঋণ ভিক্ষা করার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
এই বন্দর দিয়ে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব আসত, বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহিত হতো। মার্চ মাসেও প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল, অথচ আজ সেই বন্দর প্রায় শূন্য। ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে গুদামে বসে আছেন, আলু, শুঁটকি, বিস্কুট, পানি — সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গুদামে পড়ে আছে কয়েক হাজার বস্তা পণ্য, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। একটি কাঠবাহী বোট বিজিবির হেফাজতে, তার কোনো মালিক নেই। আর রাখাইন থেকে এখন কোনো নতুন বোট আসারও সম্ভাবনা নেই। সরকার চুপ, নীতি নির্ধারকেরা চুপ, যেন দেশের এই ধ্বংস তাদের কোনো দায় নয়।
শ্রমিকেরা যারা একসময় দৈনিক হাজিরায় জীবিকা চালাতেন, আজ তারা বেকার। স্থলবন্দরে প্রাণ নেই, শ্রমিকদের মুখে হাসি নেই, ব্যবসায়ীদের চোখে শুধু ক্ষতির হিসাব। অথচ এই সরকার, যাদের একটি চুনোপুঁটি গার্মেন্টস উদ্বোধনের সময় হাজার ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলে, যারা প্রতিটি মেগা প্রজেক্টে মেগা প্রচারণা চালায়, তারা আজ টেকনাফ বন্দর ধ্বংস হয়ে গেলেও কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করে না। কারণ তারা জানে, এই সরকারের ক্ষমতা জনগণের ভোট থেকে আসেনি—তাদের ক্ষমতা বন্দুকের ছায়া আর চক্রান্তের চোরা পথ দিয়ে এসেছে। তাই এই দেশে পচে যাওয়া আলু কিংবা গুদামে পড়ে থাকা বিস্কুট তাদের বিবেচনায় পড়ে না।
আরাকান আর্মির দখলের অজুহাতে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারে না। কারণ একটি স্বাধীন দেশের জন্য আরেকটি দেশের সীমানা সমস্যার বিপরীতে বিকল্প কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থাকা উচিত। বাস্তবতা হলো, ইউনুস সরকার কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে। তাদের রাষ্ট্রচালনা মানে শুধু টিকিয়ে রাখা, কিছু গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া আর বাকিদের দমন করা। তাদের কাছে সীমান্তবাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ তাতে লুটপাট নেই, লাইসেন্স বাণিজ্য নেই, কমিশনের খেলা নেই। ফলে টেকনাফ মরুক, কক্সবাজারের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, বা হাজারো শ্রমিক না খেয়ে থাকুক—এতে সরকারের কিছু যায় আসে না।
এই অবস্থা শুধু টেকনাফ নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে প্রশাসন অকার্যকর, নেতৃত্ব অবৈধ, পরিকল্পনা দূরের কথা—তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা বিদ্যুৎ খাতের মতো সীমান্তবাণিজ্যও এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। এবং এই পুরো অনিশ্চয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মোহাম্মদ ইউনুস—একজন গণতন্ত্রবিরোধী, জনগণবিমুখ শাসক যিনি রাষ্ট্রকে নিজের মত করে পরিচালনা করছেন একটি দখলদার দলের মদদে।
আজ টেকনাফের বন্দরে বাতাস বইছে এক ধ্বংসের গন্ধ নিয়ে। সেখানে নেই কোনো গর্জন, নেই কোনো ব্যস্ততা, নেই কোনো ভবিষ্যৎ। এই বন্দরের স্তব্ধতা, এই গুদামের পচা আলু, এই শ্রমিকদের শূন্য চোখ—সব মিলে গড়ে উঠছে সেই প্রশ্ন, যেটা গোটা জাতিকে এখন করতে হবে: আর কত দূর যাবে এই দখলদার সরকারের অপশাসনের মিছিল?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
----------------
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত টেকনাফ স্থলবন্দর ছিল এক সময়ের সম্ভাবনাময় সীমান্তবাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা আমদানি-রপ্তানির পথ ছিল এটি, যা শুধু কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাও সমৃদ্ধ করত। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে এই বন্দর কার্যত মৃতপ্রায়। এখানে নেই কোনো আমদানি, নেই কোনো রপ্তানি, গুদামে পড়ে আছে কোটি টাকার পচনশীল পণ্য, আর বেকার হয়ে পড়েছে শত শত শ্রমিক। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সেই অবৈধ দখলদার সরকার, যারা দেশ চালানোর বৈধতা হারিয়েছে অনেক আগেই, আর আজ দেশের প্রতিটি খাতকে একের পর এক গলা টিপে হত্যা করছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে আজ ব্যবসায়ীরা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না। রাখাইন থেকে আসা সব ধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম আরাকান আর্মির অনুমতির উপর নির্ভর করছে। রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা এবং দুর্বল কূটনীতি যে কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের ভূখণ্ডের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে, তা টেকনাফ বন্দর তার জ্যান্ত উদাহরণ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখে বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল একটি শক্ত কূটনৈতিক কণ্ঠস্বর তৈরি করা, আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সীমান্তবাণিজ্য চালু রাখার উপায় বের করা। কিন্তু ইউনুস সরকারের নতজানু, অদক্ষ, দলকানা প্রশাসন কেবল চুপচাপ বসে আছে। বিদেশনীতি যেন এখন শুধু ধমক খাওয়া আর ঋণ ভিক্ষা করার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
এই বন্দর দিয়ে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব আসত, বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহিত হতো। মার্চ মাসেও প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল, অথচ আজ সেই বন্দর প্রায় শূন্য। ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে গুদামে বসে আছেন, আলু, শুঁটকি, বিস্কুট, পানি — সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গুদামে পড়ে আছে কয়েক হাজার বস্তা পণ্য, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। একটি কাঠবাহী বোট বিজিবির হেফাজতে, তার কোনো মালিক নেই। আর রাখাইন থেকে এখন কোনো নতুন বোট আসারও সম্ভাবনা নেই। সরকার চুপ, নীতি নির্ধারকেরা চুপ, যেন দেশের এই ধ্বংস তাদের কোনো দায় নয়।
শ্রমিকেরা যারা একসময় দৈনিক হাজিরায় জীবিকা চালাতেন, আজ তারা বেকার। স্থলবন্দরে প্রাণ নেই, শ্রমিকদের মুখে হাসি নেই, ব্যবসায়ীদের চোখে শুধু ক্ষতির হিসাব। অথচ এই সরকার, যাদের একটি চুনোপুঁটি গার্মেন্টস উদ্বোধনের সময় হাজার ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলে, যারা প্রতিটি মেগা প্রজেক্টে মেগা প্রচারণা চালায়, তারা আজ টেকনাফ বন্দর ধ্বংস হয়ে গেলেও কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করে না। কারণ তারা জানে, এই সরকারের ক্ষমতা জনগণের ভোট থেকে আসেনি—তাদের ক্ষমতা বন্দুকের ছায়া আর চক্রান্তের চোরা পথ দিয়ে এসেছে। তাই এই দেশে পচে যাওয়া আলু কিংবা গুদামে পড়ে থাকা বিস্কুট তাদের বিবেচনায় পড়ে না।
আরাকান আর্মির দখলের অজুহাতে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারে না। কারণ একটি স্বাধীন দেশের জন্য আরেকটি দেশের সীমানা সমস্যার বিপরীতে বিকল্প কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থাকা উচিত। বাস্তবতা হলো, ইউনুস সরকার কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে। তাদের রাষ্ট্রচালনা মানে শুধু টিকিয়ে রাখা, কিছু গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া আর বাকিদের দমন করা। তাদের কাছে সীমান্তবাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ তাতে লুটপাট নেই, লাইসেন্স বাণিজ্য নেই, কমিশনের খেলা নেই। ফলে টেকনাফ মরুক, কক্সবাজারের অর্থনীতি ধ্বংস হোক, বা হাজারো শ্রমিক না খেয়ে থাকুক—এতে সরকারের কিছু যায় আসে না।
এই অবস্থা শুধু টেকনাফ নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে প্রশাসন অকার্যকর, নেতৃত্ব অবৈধ, পরিকল্পনা দূরের কথা—তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা বিদ্যুৎ খাতের মতো সীমান্তবাণিজ্যও এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। এবং এই পুরো অনিশ্চয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মোহাম্মদ ইউনুস—একজন গণতন্ত্রবিরোধী, জনগণবিমুখ শাসক যিনি রাষ্ট্রকে নিজের মত করে পরিচালনা করছেন একটি দখলদার দলের মদদে।
আজ টেকনাফের বন্দরে বাতাস বইছে এক ধ্বংসের গন্ধ নিয়ে। সেখানে নেই কোনো গর্জন, নেই কোনো ব্যস্ততা, নেই কোনো ভবিষ্যৎ। এই বন্দরের স্তব্ধতা, এই গুদামের পচা আলু, এই শ্রমিকদের শূন্য চোখ—সব মিলে গড়ে উঠছে সেই প্রশ্ন, যেটা গোটা জাতিকে এখন করতে হবে: আর কত দূর যাবে এই দখলদার সরকারের অপশাসনের মিছিল?
#Bangladesh #BangladeshCrisis
দ্রব্যমূল্যে নেই সমন্বয়, ইউনুসের মিষ্টি কথায় কি খিদে মিটবে দেশের জনগণের!
বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে ত্রেতাদের মনে স্বস্তি নেই। যে টাকা নিয়ে মানুষ বাজারে আসে তা দিয়ে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বাজারই জোটে কপালে।
আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।
তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের। (দামের উত্তাপ সবজিতে, ক্রেতার পকেটে টান, ঢাকা পোস্ট, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই ৮০টাকার উপরে (সূত্র ঢাকা পোস্ট ও প্রথম আলো)। এর কারণ শীত মৌসুমে কৃষকের লোকসান। কৃষক তার কাঙ্ক্ষিত দামে তার ফসল বেচতে পারেননি, এছাড়া অনেক কৃষক লোকসানের জন্যে জমি থেকে ফসল উত্তোলনও করেননি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন লোকসান মেটাতে এখন কৃষকেরা বেশি দামে বিক্রি করছেন সবজি, তাছাড়াও শীতের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হয়।
বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা; আর এক মাসের মধ্যে এ দাম ২০–২৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাড়া–মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা। অবশ্য এ ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ খুব কম। (পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, সবজি চড়া, প্রথমআলো, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
কয়েকদিন ধরে বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলেন আমদানিকারকরা। গত ১৫এপ্রিল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম দেখা গেছে। (বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম ৭০টাকার ওপরে, সমকাল, ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
সবজির দামে আগুন, মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে চরম মুদ্রাস্ফিতির কারণে এই অর্থবছরে বাংলাদেশে আরও ৩০লক্ষ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। এতে গরিব মানুষ আরও গরিব হবে এবং দিনাতিপাত হবে আরও চ্যালেঞ্জিং। মানুষ চাকরি হারাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ মিথ্যা বুলি আওড়ালেও এবছর বিনিয়োগ ছিলো সর্বনিম্ন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে ইউনুস। এমন কঠিন সময়ে দেশের জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে ত্রেতাদের মনে স্বস্তি নেই। যে টাকা নিয়ে মানুষ বাজারে আসে তা দিয়ে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বাজারই জোটে কপালে।
আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।
তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের। (দামের উত্তাপ সবজিতে, ক্রেতার পকেটে টান, ঢাকা পোস্ট, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই ৮০টাকার উপরে (সূত্র ঢাকা পোস্ট ও প্রথম আলো)। এর কারণ শীত মৌসুমে কৃষকের লোকসান। কৃষক তার কাঙ্ক্ষিত দামে তার ফসল বেচতে পারেননি, এছাড়া অনেক কৃষক লোকসানের জন্যে জমি থেকে ফসল উত্তোলনও করেননি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন লোকসান মেটাতে এখন কৃষকেরা বেশি দামে বিক্রি করছেন সবজি, তাছাড়াও শীতের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হয়।
বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা; আর এক মাসের মধ্যে এ দাম ২০–২৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাড়া–মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা। অবশ্য এ ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ খুব কম। (পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, সবজি চড়া, প্রথমআলো, ২৫ এপ্রিল ২০২৫)
কয়েকদিন ধরে বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলেন আমদানিকারকরা। গত ১৫এপ্রিল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম দেখা গেছে। (বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম ৭০টাকার ওপরে, সমকাল, ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
সবজির দামে আগুন, মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে চরম মুদ্রাস্ফিতির কারণে এই অর্থবছরে বাংলাদেশে আরও ৩০লক্ষ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। এতে গরিব মানুষ আরও গরিব হবে এবং দিনাতিপাত হবে আরও চ্যালেঞ্জিং। মানুষ চাকরি হারাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ মিথ্যা বুলি আওড়ালেও এবছর বিনিয়োগ ছিলো সর্বনিম্ন। একটি উন্নয়নশীল দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে ইউনুস। এমন কঠিন সময়ে দেশের জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
#Bangladesh #BangladeshCrisis
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের জন্মদিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
----------
আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭২তম জন্মদিন। এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে বনানীস্থ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা ও তাঁর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ শেখ জামালকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সংগঠনের সকল সহযোগী সংগঠনের ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহবান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫
----------
আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭২তম জন্মদিন। এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে বনানীস্থ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা ও তাঁর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ শেখ জামালকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সংগঠনের সকল সহযোগী সংগঠনের ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহবান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও জাতীয় ঋণ নিয়ে ইউনুস সরকারের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার
🎦 https://youtube.com/shorts/vfQWl-7YiHM?si=PZvbWg-6w8G8yqQs
🎦 https://youtube.com/shorts/vfQWl-7YiHM?si=PZvbWg-6w8G8yqQs
YouTube
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও জাতীয় ঋণ নিয়ে ইউনুস সরকারের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার
শুভ জন্মদিন
শেখ জামাল : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে
———
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যে বাড়িটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সেই বাড়ির সন্তান। যে পরিবারটি দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিল, তিনি সেই বাড়ির সদস্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বাবা একটি রাজনৈতিক দলের কর্ণধার হলেও পরিবারটি মধ্যবিত্ত।
খুব সাধারণ পরিবেশেই তাঁর বেড়ে ওঠা। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এখান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দি হন তিনি।
তাঁর বড় ভাই শেখ কামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। একদিন সেই পথ ধরলেন শেখ জামালও। পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। কতই বা বয়স তখন তাঁর।
কিশোরই বলতে হবে তাঁকে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর শেখ জামাল ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট ধানমন্ডির তারকাঁটার বেড়া দেওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে যান। ধানমন্ডি থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা পৌঁছানো ছিল রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতার জন্য সেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে মুজিব বাহিনীর (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স) ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে শেখ জামাল ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন ৯ নম্বর সেক্টরে।
যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন। ওই দিনই বিকালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আয়োজিত স্বাধীন বাংলায় ঢাকার পল্টনে প্রথম জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো। তিনি শেখ জামালকে যুুগোস্লাভ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। ১৯৭৪ সালের বসন্তে ঢাকা কলেজের ছাত্র জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু একেবারে ভিন্ন পরিবেশ, প্রতিকূল আবহাওয়া আর ভাষার অসুবিধার কারণে সেখানকার প্রশিক্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শেখ জামালের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। মার্শাল টিটো তাঁকে ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্টে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ জামালকে সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.) লিখেছেন, ১৯৭৪ সালের শরতে স্যান্ডহার্স্টে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে শেখ জামাল লন্ডনে এসে পৌঁছেন। তবে স্যান্ডহার্স্টের পূর্বশর্ত হিসেবে তাঁর ব্রিটেনের আর্মি স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ, বেকনসফিল্ড থেকে প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সামরিক একাডেমির মধ্যে স্যান্ডহার্স্ট অন্যতম। এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের তিনজন তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে আসেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন ক্যাডেট শফি মো. মেহবুব ও লুৎফে কামাল স্যান্ডহার্স্ট থেকে কমিশন লাভ করেন। স্যান্ডহার্স্টের শর্ট সার্ভিস কমিশনের সুকঠিন গ্র্যাজুয়েট কোর্সটির মেয়াদ ছিল প্রায় ছয় মাস- ৩ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন ১৯৭৫। ৪০০ ক্যাডেটের মধ্যে বিদেশি ক্যাডেটের সংখ্যা ছিল ৩০। ১৯৭৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে স্যান্ডহার্স্ট থেকে ক্যাডেটরা রণকৌশলগত চূড়ান্ত অনুশীলন এক্সারসাইজ ডায়নামিক ভিক্টোরিতে অংশগ্রহণ করতে পশ্চিম জার্মানিতে ব্রিটিশ আর্মি অন রাইন যান। এ অনুশীলনকে রীতিমতো যুদ্ধই বলা যায়। গায়ে কমব্যাট ইউনিফর্ম, হাতে রাইফেল, পিঠে হ্যাভারস্যাক পরে জামাল পুরোপুরি যোদ্ধা। কখনো পাহাড়ি এলাকা, কখনো অরণ্য, কখনো খোলা প্রান্তরে চলে দুঃসাহসিক অনুশীলন। সারা দিন প্রতিরক্ষায় ট্রেঞ্চে বসে থাকা। ভোররাতে পরিচালিত হলো গোর্খা ব্যাটালিয়নের আক্রমণ। আকাশে শত্র“র বিমান। ট্রেঞ্চের কিছু দূরে আর্টিলারি শেল পড়ে। চলে লাইভ ফায়ারিং। শত্রুদের হটিয়ে এবার এগিয়ে যেতে হয়। পাইন বৃক্ষশোভিত অরণ্যময় এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে র্যাপলিং করে নামতে হতো কয়েক শ ফুট।
স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এলে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের পোস্টিং হয় ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। সেখানে বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন নজরুলের অধীনে ‘কোম্পানি অফিসার’ হিসেবে শেখ জামালের রেজিমেন্ট জীবনের হাতেখড়ি। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে জামালের চাকরিকাল ছিল প্রায় দেড় মাস। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.
শেখ জামাল : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে
———
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যে বাড়িটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সেই বাড়ির সন্তান। যে পরিবারটি দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিল, তিনি সেই বাড়ির সদস্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বাবা একটি রাজনৈতিক দলের কর্ণধার হলেও পরিবারটি মধ্যবিত্ত।
খুব সাধারণ পরিবেশেই তাঁর বেড়ে ওঠা। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এখান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দি হন তিনি।
তাঁর বড় ভাই শেখ কামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। একদিন সেই পথ ধরলেন শেখ জামালও। পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। কতই বা বয়স তখন তাঁর।
কিশোরই বলতে হবে তাঁকে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর শেখ জামাল ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট ধানমন্ডির তারকাঁটার বেড়া দেওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে যান। ধানমন্ডি থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা পৌঁছানো ছিল রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতার জন্য সেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে মুজিব বাহিনীর (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স) ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে শেখ জামাল ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন ৯ নম্বর সেক্টরে।
যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন। ওই দিনই বিকালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আয়োজিত স্বাধীন বাংলায় ঢাকার পল্টনে প্রথম জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো। তিনি শেখ জামালকে যুুগোস্লাভ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। ১৯৭৪ সালের বসন্তে ঢাকা কলেজের ছাত্র জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু একেবারে ভিন্ন পরিবেশ, প্রতিকূল আবহাওয়া আর ভাষার অসুবিধার কারণে সেখানকার প্রশিক্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শেখ জামালের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। মার্শাল টিটো তাঁকে ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্টে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ জামালকে সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.) লিখেছেন, ১৯৭৪ সালের শরতে স্যান্ডহার্স্টে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে শেখ জামাল লন্ডনে এসে পৌঁছেন। তবে স্যান্ডহার্স্টের পূর্বশর্ত হিসেবে তাঁর ব্রিটেনের আর্মি স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ, বেকনসফিল্ড থেকে প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সামরিক একাডেমির মধ্যে স্যান্ডহার্স্ট অন্যতম। এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের তিনজন তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে আসেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন ক্যাডেট শফি মো. মেহবুব ও লুৎফে কামাল স্যান্ডহার্স্ট থেকে কমিশন লাভ করেন। স্যান্ডহার্স্টের শর্ট সার্ভিস কমিশনের সুকঠিন গ্র্যাজুয়েট কোর্সটির মেয়াদ ছিল প্রায় ছয় মাস- ৩ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন ১৯৭৫। ৪০০ ক্যাডেটের মধ্যে বিদেশি ক্যাডেটের সংখ্যা ছিল ৩০। ১৯৭৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে স্যান্ডহার্স্ট থেকে ক্যাডেটরা রণকৌশলগত চূড়ান্ত অনুশীলন এক্সারসাইজ ডায়নামিক ভিক্টোরিতে অংশগ্রহণ করতে পশ্চিম জার্মানিতে ব্রিটিশ আর্মি অন রাইন যান। এ অনুশীলনকে রীতিমতো যুদ্ধই বলা যায়। গায়ে কমব্যাট ইউনিফর্ম, হাতে রাইফেল, পিঠে হ্যাভারস্যাক পরে জামাল পুরোপুরি যোদ্ধা। কখনো পাহাড়ি এলাকা, কখনো অরণ্য, কখনো খোলা প্রান্তরে চলে দুঃসাহসিক অনুশীলন। সারা দিন প্রতিরক্ষায় ট্রেঞ্চে বসে থাকা। ভোররাতে পরিচালিত হলো গোর্খা ব্যাটালিয়নের আক্রমণ। আকাশে শত্র“র বিমান। ট্রেঞ্চের কিছু দূরে আর্টিলারি শেল পড়ে। চলে লাইভ ফায়ারিং। শত্রুদের হটিয়ে এবার এগিয়ে যেতে হয়। পাইন বৃক্ষশোভিত অরণ্যময় এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে র্যাপলিং করে নামতে হতো কয়েক শ ফুট।
স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এলে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের পোস্টিং হয় ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। সেখানে বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন নজরুলের অধীনে ‘কোম্পানি অফিসার’ হিসেবে শেখ জামালের রেজিমেন্ট জীবনের হাতেখড়ি। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে জামালের চাকরিকাল ছিল প্রায় দেড় মাস। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার (অব.