ইসরাঈল যদি ইরানের উপর হামলা চালায়, আমরা কী করবো?
.
অনেকেই ভাবছেন- "এটা তো ইহুদিদের সঙ্গে শিয়াদের যুদ্ধ। আমাদের সুন্নী মুসলমানদের এতে চিন্তার কী আছে?"
এই চিন্তাটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক!
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই শুরু হয় বিভ্রান্তি। কারণ এই যুদ্ধ আকীদা বা মাজহাবের লড়াই নয়। এটি রাজনৈতিক কর্তৃত্ব, দখলদারিত্ব ও প্রতিরোধের প্রশ্ন।
হামাস, যাদের আমরা বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের মুখ হিসেবে চিনি, তাদের বহু নেতা গত কয়েক বছরে ইরানের সহযোগিতা গ্রহণ করেছেন। কেন?
কারণ উভয়ের শত্রু এক। আর তা হলো- ইসরাঈল এবং তাদের পেছনের দখলদার শক্তি।
আরব দেশের অনেকগুলো রাষ্ট্র এখন নিঃশব্দ, নিরপেক্ষ কিংবা দখলদারদের সহযোগী হয়ে উঠেছে।
এই কারণে হামাস যখন ইরানের সহায়তা চেয়েছে, সেটা প্রয়োজন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে; আকীদা পরিবর্তনের জন্য নয়।
ইরানের নেতৃত্ব যে চেতনা নিয়ে প্রতিরোধ করছে, সেটা শিয়া আকীদা নয়। সেটা হলো ইসলামের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রতি এক দৃঢ় অঙ্গীকার- যেটা সুন্নী ও শিয়া উভয় আকীদার সাথেই সঙ্গতিপূর্ণ।
অন্যদিকে, যারা পশ্চিমাদের কাছে মাথানত করেছে, তাদের পতনের মূল কারণ সুন্নী আকীদা নয়, বরং একটি ভিন্ন মানসিকতা: সুবিধাবাদ, ক্ষমতার লোভ, এবং দুনিয়াবি স্বার্থে আপোষ।
ইরানকে সমর্থন করার কারণ আকীদা নয় বরং তাদের অবস্থান, তাদের স্পষ্ট ন্যায়ভিত্তিক অবস্থান, যা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে।
যদি কেউ এই বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে ইসলামি রাজনৈতিক চেতনার বড় একটি স্তম্ভকে অস্বীকার করছে।
সুতরাং, ইরান ও ইসরাঈলের যুদ্ধকে “ওদের ব্যাপার” ভেবে নিজেদের দায়িত্ব ভুলে যাওয়া একটি ভয়াবহ ভুল।
ইসরাইল কেনো ইরানের ওপর হামলা করলো? তার পেছনে নিজেদের টিকে থাকার লড়াই, আধিপত্য বিস্তার তথা ফিলিস্তিন ইস্যু জড়িত।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, যদি ফিলিস্তিনের ধারাবাহিক ইতিহাস, একটি আরেকটির সাথে কতোটা সম্পর্কিত সেটা জানতে পারেন।
এজন্য পড়তে পারেন গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় বই- ‘দ্য রোড টু অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’।
https://www.guardianpubs.com/product-details/operation-al-aqsa-flood
.
অনেকেই ভাবছেন- "এটা তো ইহুদিদের সঙ্গে শিয়াদের যুদ্ধ। আমাদের সুন্নী মুসলমানদের এতে চিন্তার কী আছে?"
এই চিন্তাটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক!
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই শুরু হয় বিভ্রান্তি। কারণ এই যুদ্ধ আকীদা বা মাজহাবের লড়াই নয়। এটি রাজনৈতিক কর্তৃত্ব, দখলদারিত্ব ও প্রতিরোধের প্রশ্ন।
হামাস, যাদের আমরা বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের মুখ হিসেবে চিনি, তাদের বহু নেতা গত কয়েক বছরে ইরানের সহযোগিতা গ্রহণ করেছেন। কেন?
কারণ উভয়ের শত্রু এক। আর তা হলো- ইসরাঈল এবং তাদের পেছনের দখলদার শক্তি।
আরব দেশের অনেকগুলো রাষ্ট্র এখন নিঃশব্দ, নিরপেক্ষ কিংবা দখলদারদের সহযোগী হয়ে উঠেছে।
এই কারণে হামাস যখন ইরানের সহায়তা চেয়েছে, সেটা প্রয়োজন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে; আকীদা পরিবর্তনের জন্য নয়।
ইরানের নেতৃত্ব যে চেতনা নিয়ে প্রতিরোধ করছে, সেটা শিয়া আকীদা নয়। সেটা হলো ইসলামের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রতি এক দৃঢ় অঙ্গীকার- যেটা সুন্নী ও শিয়া উভয় আকীদার সাথেই সঙ্গতিপূর্ণ।
অন্যদিকে, যারা পশ্চিমাদের কাছে মাথানত করেছে, তাদের পতনের মূল কারণ সুন্নী আকীদা নয়, বরং একটি ভিন্ন মানসিকতা: সুবিধাবাদ, ক্ষমতার লোভ, এবং দুনিয়াবি স্বার্থে আপোষ।
ইরানকে সমর্থন করার কারণ আকীদা নয় বরং তাদের অবস্থান, তাদের স্পষ্ট ন্যায়ভিত্তিক অবস্থান, যা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে।
যদি কেউ এই বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে ইসলামি রাজনৈতিক চেতনার বড় একটি স্তম্ভকে অস্বীকার করছে।
সুতরাং, ইরান ও ইসরাঈলের যুদ্ধকে “ওদের ব্যাপার” ভেবে নিজেদের দায়িত্ব ভুলে যাওয়া একটি ভয়াবহ ভুল।
ইসরাইল কেনো ইরানের ওপর হামলা করলো? তার পেছনে নিজেদের টিকে থাকার লড়াই, আধিপত্য বিস্তার তথা ফিলিস্তিন ইস্যু জড়িত।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, যদি ফিলিস্তিনের ধারাবাহিক ইতিহাস, একটি আরেকটির সাথে কতোটা সম্পর্কিত সেটা জানতে পারেন।
এজন্য পড়তে পারেন গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় বই- ‘দ্য রোড টু অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’।
https://www.guardianpubs.com/product-details/operation-al-aqsa-flood
❤22
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে একজন নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা চিন্তা করুন!
একজন নারী আলেমা ভারতের দেওবন্দ, মিসরের আল-আজহার, সৌদি আরবের মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাদীস-ফিক্বহ-ইসলামিক স্টাডিজে পড়াশোনা করে বাংলাদেশে স্থায়ী হন। বর্তমান সময়ের পৃথিবীর জ্ঞানের কেন্দ্রগুলো থেকে জ্ঞানার্জন করে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীসের প্রফেসর হন। পৃথিবীর নানান প্রান্তের শিক্ষার্থী তার কাছে পড়াশোনা করতে আসছে।
এ যেন ভাবতেই অবাক লাগছে! এই যুগে একজন নারী কীভাবে এতো জ্ঞানী হতে পারেন? তা-ও আবার ইসলামিক স্টাডিজে?
অথচ আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে একজন নারী এমনই এক কীর্তি অর্জন করেন।
কোনো প্লেন ছিলো না, বাস, কার, ট্রেন ছিলো না। বিশ্ব ভ্রমণকারী ইবনে বতুতার জন্মের প্রায় দুশো বছর আগে তিনি জ্ঞানার্জনের জন্য বিশ্ব ভ্রমণ করেন বাবা এবং স্বামীর সাথে!
চীনের কাশগড়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র। চীনে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পিতৃপুরুষের পিতৃভূমি ছিলো স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া। স্পেনে তথা আন্দালুসের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সা’দ আল খায়র রাহিমাহুল্লাহ পরিবার নিয়ে পাড়ি জমান চীনে। ফাতিমার বাবা সা’দ আল খায়র ছিলেন একজন আলেম। ফলে, ফাতিমার পড়ালেখার হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে।
সা’দ আল খায়র নিজে যেমন মেয়েকে পড়ান, তেমনি তাঁর শিক্ষকদের কাছেও মেয়েকে পড়াতে নিয়ে যান।
তৎকালীন বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্র ছিলো বাগদাদ, ইস্পাহান, দামেস্ক, বুখারা, নিশাপুর, কায়রো প্রভৃতি অঞ্চল। ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র তখনকার সময়ের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ করেন।
ইস্পাহানের বিখ্যাত নারী মুহাদ্দিস ফাতিমা আল-যুযদানিয়্যাহর কাছে তিনি ইমাম আত-তাবরানী রাহিমাহুল্লাহর বিখ্যাত দুটো হাদীসগ্রন্থ ‘মাজমু আল-কাবীর’ ও ‘মাজমু আস-সাগীর’ পড়াশোনা করেন। বর্তমানে হাদীস গ্রন্থ দুটো প্রকাশিত হয়েছে ৩৯ খণ্ডে।
ছাত্রী ফাতিমা তাঁর শিক্ষিকা ফাতিমার কাছে ৩৯ খণ্ডের হাদীসের কিতাব পড়াশোনা করেন। সেই পড়াশোনা শুধু পড়ে যাওয়া ছিলো না। হাদীসের অর্থ বুঝানো, হাদীসের প্রয়োগ বুঝানো তথা ফিক্বহের জ্ঞানও শেখানো হতো।
ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র ইরান থেকে ইরাকে যান। ইস্পাহান থেকে বাগদাদ। বর্তমান সময়ের রোডম্যাপ অনুযায়ী ইস্পাহান থেকে বাগদাদের দূরত্ব প্রায় ১০০০ কিলোমিটার; ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্বের প্রায় ৩ গুণ বেশি।
তখনকার সময়ের একজন শিক্ষক বর্তমান সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিপার্টমেন্টের সমতুল্য। একজন শিক্ষকের কাছে গিয়ে পড়াশোনা করার মানে হলো একটি বিষয়ে বা একটি কিতাব ঐ শিক্ষকের অধীনে সম্পন্ন করা; বর্তমান সময়ের একটি ডিগ্রি সম্পন্ন করার মতো।
যেহেতু ফাতিমা বিনতে সা’দের বাবা সা’দ আল-খায়র নিজে একজন আলেম ছিলেন, মেয়েকে কার কাছে পড়তে দিলে সে ভালো জ্ঞানার্জন করতে পারবে সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। ফলে, প্রাথমিকদিকে মেয়ের জ্ঞানার্জনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন তিনি।
সা’দ আল খায়েরের অনেক ছাত্র ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন যাইনুদ্দীন আবুল হাসান। ছাত্রের প্রতিভায় শিক্ষক মুগ্ধ হোন। এমন একজন জ্ঞানী ছাত্রের হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দেন।
ফাতিমা বিনতে সা’দ আল খায়রের বয়স যখন ১৯ বছর, তখন তাঁর বাবা ইন্তেকাল করেন। বাবার ইন্তেকালের পর স্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতা করেন যাইনুদ্দীন আবুল হাসান। তিনি নিজে ছিলেন একজন জনপ্রিয় ওয়ায়েজ, সুলতুন নুরুদ্দীন জেংকির সেক্রেটারি, সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ূবীর প্রিয়ভাজন।
বিয়ের পর ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র স্বামীর সাথে বাগদাদ থেকে প্রথমে সিরিয়ার দামেস্কে ও পরবর্তীতে কায়রোতে স্থায়ী হোন। তাঁর শিক্ষকতা ক্যারিয়ার মূলত এই দুই শহরব্যাপী ছিলো। বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় ফাতিমার অধীনে পড়াশোনা করার জন্য।
ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র মুসলিম সভ্যতার রাজধানীগুলো থেকে জ্ঞানার্জন করেন, জ্ঞান বিতরণ করেন। উমাইয়া খিলাফতের রাজধানী দামেস্ক, আব্বাসী খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ, আইয়ূবী-মামলুক সালতানাতের রাজধানী কায়রোতে তিনি বসবাস করেন।
ইমাম আয-যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেন, ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র বাবা ও স্বামীর মাধ্যমে অনেক সম্পদের অধিকারী হোন। কিন্তু, সম্পদের মোহে পড়েননি। তিনি জ্ঞানচর্চা অব্যাহত রাখেন।
বাবা ও স্বামীর সম্পদ ভোগ করে তিনি চাইলে প্রশাধনী ও রূপচর্চার পেছনে সময় কাটাতে। কিন্তু, তিনি হাদীস-ফিক্বহ শেখা ও শেখানোর পেছনে তাঁর সারাজীবন বিনিয়োগ করেন।
মিশরের কায়রোতে বসে ফাতিমা পাঠদান করতেন। দামেস্ক, হামাদান, মিসরের তেন্নিস, ফিলিস্তিনের নাবলুস থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে হাদীস পড়তে আসতেন। ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়রের কয়েকজন ছাত্র পরবর্তীতে বিখ্যাত আলেম হন।
আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র রাহিমাহাল্লাহ তৎকালীন পৃথিবীর জ্ঞানের কেন্দ্রগুলোতে জ্ঞানার্জন করেন; যা এই যুগেও মনে হচ্ছে বিস্ময়কর।
একজন নারী আলেমা ভারতের দেওবন্দ, মিসরের আল-আজহার, সৌদি আরবের মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাদীস-ফিক্বহ-ইসলামিক স্টাডিজে পড়াশোনা করে বাংলাদেশে স্থায়ী হন। বর্তমান সময়ের পৃথিবীর জ্ঞানের কেন্দ্রগুলো থেকে জ্ঞানার্জন করে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীসের প্রফেসর হন। পৃথিবীর নানান প্রান্তের শিক্ষার্থী তার কাছে পড়াশোনা করতে আসছে।
এ যেন ভাবতেই অবাক লাগছে! এই যুগে একজন নারী কীভাবে এতো জ্ঞানী হতে পারেন? তা-ও আবার ইসলামিক স্টাডিজে?
অথচ আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে একজন নারী এমনই এক কীর্তি অর্জন করেন।
কোনো প্লেন ছিলো না, বাস, কার, ট্রেন ছিলো না। বিশ্ব ভ্রমণকারী ইবনে বতুতার জন্মের প্রায় দুশো বছর আগে তিনি জ্ঞানার্জনের জন্য বিশ্ব ভ্রমণ করেন বাবা এবং স্বামীর সাথে!
চীনের কাশগড়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র। চীনে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পিতৃপুরুষের পিতৃভূমি ছিলো স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া। স্পেনে তথা আন্দালুসের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সা’দ আল খায়র রাহিমাহুল্লাহ পরিবার নিয়ে পাড়ি জমান চীনে। ফাতিমার বাবা সা’দ আল খায়র ছিলেন একজন আলেম। ফলে, ফাতিমার পড়ালেখার হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে।
সা’দ আল খায়র নিজে যেমন মেয়েকে পড়ান, তেমনি তাঁর শিক্ষকদের কাছেও মেয়েকে পড়াতে নিয়ে যান।
তৎকালীন বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্র ছিলো বাগদাদ, ইস্পাহান, দামেস্ক, বুখারা, নিশাপুর, কায়রো প্রভৃতি অঞ্চল। ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র তখনকার সময়ের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ করেন।
ইস্পাহানের বিখ্যাত নারী মুহাদ্দিস ফাতিমা আল-যুযদানিয়্যাহর কাছে তিনি ইমাম আত-তাবরানী রাহিমাহুল্লাহর বিখ্যাত দুটো হাদীসগ্রন্থ ‘মাজমু আল-কাবীর’ ও ‘মাজমু আস-সাগীর’ পড়াশোনা করেন। বর্তমানে হাদীস গ্রন্থ দুটো প্রকাশিত হয়েছে ৩৯ খণ্ডে।
ছাত্রী ফাতিমা তাঁর শিক্ষিকা ফাতিমার কাছে ৩৯ খণ্ডের হাদীসের কিতাব পড়াশোনা করেন। সেই পড়াশোনা শুধু পড়ে যাওয়া ছিলো না। হাদীসের অর্থ বুঝানো, হাদীসের প্রয়োগ বুঝানো তথা ফিক্বহের জ্ঞানও শেখানো হতো।
ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র ইরান থেকে ইরাকে যান। ইস্পাহান থেকে বাগদাদ। বর্তমান সময়ের রোডম্যাপ অনুযায়ী ইস্পাহান থেকে বাগদাদের দূরত্ব প্রায় ১০০০ কিলোমিটার; ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্বের প্রায় ৩ গুণ বেশি।
তখনকার সময়ের একজন শিক্ষক বর্তমান সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিপার্টমেন্টের সমতুল্য। একজন শিক্ষকের কাছে গিয়ে পড়াশোনা করার মানে হলো একটি বিষয়ে বা একটি কিতাব ঐ শিক্ষকের অধীনে সম্পন্ন করা; বর্তমান সময়ের একটি ডিগ্রি সম্পন্ন করার মতো।
যেহেতু ফাতিমা বিনতে সা’দের বাবা সা’দ আল-খায়র নিজে একজন আলেম ছিলেন, মেয়েকে কার কাছে পড়তে দিলে সে ভালো জ্ঞানার্জন করতে পারবে সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। ফলে, প্রাথমিকদিকে মেয়ের জ্ঞানার্জনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন তিনি।
সা’দ আল খায়েরের অনেক ছাত্র ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন যাইনুদ্দীন আবুল হাসান। ছাত্রের প্রতিভায় শিক্ষক মুগ্ধ হোন। এমন একজন জ্ঞানী ছাত্রের হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দেন।
ফাতিমা বিনতে সা’দ আল খায়রের বয়স যখন ১৯ বছর, তখন তাঁর বাবা ইন্তেকাল করেন। বাবার ইন্তেকালের পর স্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতা করেন যাইনুদ্দীন আবুল হাসান। তিনি নিজে ছিলেন একজন জনপ্রিয় ওয়ায়েজ, সুলতুন নুরুদ্দীন জেংকির সেক্রেটারি, সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ূবীর প্রিয়ভাজন।
বিয়ের পর ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র স্বামীর সাথে বাগদাদ থেকে প্রথমে সিরিয়ার দামেস্কে ও পরবর্তীতে কায়রোতে স্থায়ী হোন। তাঁর শিক্ষকতা ক্যারিয়ার মূলত এই দুই শহরব্যাপী ছিলো। বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় ফাতিমার অধীনে পড়াশোনা করার জন্য।
ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র মুসলিম সভ্যতার রাজধানীগুলো থেকে জ্ঞানার্জন করেন, জ্ঞান বিতরণ করেন। উমাইয়া খিলাফতের রাজধানী দামেস্ক, আব্বাসী খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ, আইয়ূবী-মামলুক সালতানাতের রাজধানী কায়রোতে তিনি বসবাস করেন।
ইমাম আয-যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেন, ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র বাবা ও স্বামীর মাধ্যমে অনেক সম্পদের অধিকারী হোন। কিন্তু, সম্পদের মোহে পড়েননি। তিনি জ্ঞানচর্চা অব্যাহত রাখেন।
বাবা ও স্বামীর সম্পদ ভোগ করে তিনি চাইলে প্রশাধনী ও রূপচর্চার পেছনে সময় কাটাতে। কিন্তু, তিনি হাদীস-ফিক্বহ শেখা ও শেখানোর পেছনে তাঁর সারাজীবন বিনিয়োগ করেন।
মিশরের কায়রোতে বসে ফাতিমা পাঠদান করতেন। দামেস্ক, হামাদান, মিসরের তেন্নিস, ফিলিস্তিনের নাবলুস থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে হাদীস পড়তে আসতেন। ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়রের কয়েকজন ছাত্র পরবর্তীতে বিখ্যাত আলেম হন।
আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে ফাতিমা বিনতে সা’দ আল-খায়র রাহিমাহাল্লাহ তৎকালীন পৃথিবীর জ্ঞানের কেন্দ্রগুলোতে জ্ঞানার্জন করেন; যা এই যুগেও মনে হচ্ছে বিস্ময়কর।
❤12
জ্ঞানার্জনে মুসলিম নারীদের বিস্ময়কর ইতিহাস জানতে পারবেন ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভি লেখা বিশ্ববিখ্যাত বই ‘আল মুহাদ্দিসাত’ পড়ে।
এই বইটি মুসলিম নারীদের সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া, ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারণা বদলে দিতে পারে!
বইটি অর্ডার করতে ক্লিক করুন : https://www.guardianpubs.com/product-details/al-muhaddisat
এই বইটি মুসলিম নারীদের সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া, ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারণা বদলে দিতে পারে!
বইটি অর্ডার করতে ক্লিক করুন : https://www.guardianpubs.com/product-details/al-muhaddisat
👍5
পর্ব- ১
আজকে এই বইটির রিভিউ দিতে গিয়ে চিন্তা করছি শুরুটা করবো কিভাবে? শুধু সারাংশ টেনে, ইতিহাসের হিরোদের বীরত্ব গেয়ে? খলনায়কদের স্ট্যাটেজি বর্ণনা করে? নাকি লেখকের প্রশংসা লিখে?
কারণ, এ পর্যন্ত আমি ইতিহাসের যে কয়টি বই পড়েছি- " অসাধারণ " এর লিস্টে এই বইটিও জায়গা করে নিয়েছে। বইটির লেখনী এমন যে, ইতিহাস পড়তে পড়তে আপনি যেনো নিজেই বুরখান খালদুনের ঢালে ওনোন নদীর তীরে পৌঁছাবেন। সেখানে- মোঙ্গলবাহিনীর সাথে ইতিহাসের পাতায় প্রবেশ করে পৌঁছাবেন উত্তর চীন, মোঙ্গলিয়া, সাইবেরিয়া হয়ে মধ্য এশিয়ায়, পিছনে সিল্করোড আর সামনে বুখারা, সামারকান্দ - দুই প্রসিদ্ধ শহর।
এই শহর দুটি কিভাবে ধ্বংস হয়েছিলো? তাও দেখবেন। বইটির বৈশিষ্ট্য যেনো এখানেই- আপনি শুধু পড়ছেনই না বরং দেখছেন।
রিভিউ লিখেছেন : Fatema Mahfuz
বই : সানজাক-ই উসমান
আজকে এই বইটির রিভিউ দিতে গিয়ে চিন্তা করছি শুরুটা করবো কিভাবে? শুধু সারাংশ টেনে, ইতিহাসের হিরোদের বীরত্ব গেয়ে? খলনায়কদের স্ট্যাটেজি বর্ণনা করে? নাকি লেখকের প্রশংসা লিখে?
কারণ, এ পর্যন্ত আমি ইতিহাসের যে কয়টি বই পড়েছি- " অসাধারণ " এর লিস্টে এই বইটিও জায়গা করে নিয়েছে। বইটির লেখনী এমন যে, ইতিহাস পড়তে পড়তে আপনি যেনো নিজেই বুরখান খালদুনের ঢালে ওনোন নদীর তীরে পৌঁছাবেন। সেখানে- মোঙ্গলবাহিনীর সাথে ইতিহাসের পাতায় প্রবেশ করে পৌঁছাবেন উত্তর চীন, মোঙ্গলিয়া, সাইবেরিয়া হয়ে মধ্য এশিয়ায়, পিছনে সিল্করোড আর সামনে বুখারা, সামারকান্দ - দুই প্রসিদ্ধ শহর।
এই শহর দুটি কিভাবে ধ্বংস হয়েছিলো? তাও দেখবেন। বইটির বৈশিষ্ট্য যেনো এখানেই- আপনি শুধু পড়ছেনই না বরং দেখছেন।
রিভিউ লিখেছেন : Fatema Mahfuz
বই : সানজাক-ই উসমান
🔥6❤2
গার্ডিয়ানের নতুন দুইটি মাস্টারপিস বই-
১. প্রফেশনাল ইথিকস
লেখক : ডা. জাকির নায়েক
২. মুসলিম লাইফস্টাইল
লেখক : রায়হান রাশেদ
বই দুটো আপনার পার্সোনাল ও প্রফেনাল লাইফকে শুদ্ধতার জমজমে ধুয়ে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ!
অর্ডার করতে ক্লিক করুন :
মুসলিম লাইফস্টাইল : https://www.guardianpubs.com/product-details/muslim-lifestyle-90
প্রফেশনাল ইথিকস্ : https://www.guardianpubs.com/product-details/professional-ethics-in-islam-15
১. প্রফেশনাল ইথিকস
লেখক : ডা. জাকির নায়েক
২. মুসলিম লাইফস্টাইল
লেখক : রায়হান রাশেদ
বই দুটো আপনার পার্সোনাল ও প্রফেনাল লাইফকে শুদ্ধতার জমজমে ধুয়ে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ!
অর্ডার করতে ক্লিক করুন :
মুসলিম লাইফস্টাইল : https://www.guardianpubs.com/product-details/muslim-lifestyle-90
প্রফেশনাল ইথিকস্ : https://www.guardianpubs.com/product-details/professional-ethics-in-islam-15
❤5
খোমেনি আ/মেরি/কাকে আখ্যায়িত করেছেন 'সবচেয়ে বড়ো শয়তান' হিসেবে
ইতিহাসের যাত্রা তো কখনোই শেষ হয় না। ৯/১১-এর ঘটনা ইতিহাসকে যেন আরেক দিকে টেনে নিয়ে যায়। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং ওয়াশিংটনে প্রতিরক্ষা দফতরে হামলার ঘটনার পরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেন। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, সন্ত্রাসীরা গণতন্ত্র আর স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে চায়। তাই আমরা আমাদের রক্ত আর সম্পদ দিয়ে তাদের মোকাবিলা করব।
৩০-এর দশকে নাৎসিদের বিরুদ্ধে এবং ৫০-এর দশকে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বুশের এই ঘোষণার পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা (যাদের অধিকাংশই বেশ অনীহা নিয়েই এই অভিযানে সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হয়েছিল) ইরাকে যুদ্ধ শুরু করে।
কিন্তু যাদের ৯/১১-এর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রচার করছে, তারা কি আসলে গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল? আজও যেসব সশস্ত্র মুসলমান কিংবা তথাকথিত জঙ্গিরা বিশ্বজুড়ে কাজ করছে, তারা কি আসলেই স্বাধীনতাকে ঘৃণা করে?
আপনি যদি সেসব মুসলমানদের কথা শোনেন, তাহলে কিন্তু মোটেও মার্কিনিদের অভিযোগের সত্যতা পাবেন না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বলে না; বরং স্বাধীনতার পক্ষে ও স্বাধীন হওয়ার জন্যই কথা বলে। তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেও অবস্থান নেয় না; বরং তারা মানুষের নৈতিক পতন এবং সেই পতন প্রতিরোধে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। তারা দুর্নীতির সাথে নৈতিকতার অবিরাম ঘটে যাওয়া সংগ্রাম নিয়ে কথা বলে। এই লড়াকু সৈনিকরা মুসলমানদের আপাত পরাজয়ের নেপথ্যে গিয়ে কারণ অনুসন্ধান করেছে। মুসলমান সমাজে আজকের সামগ্রিক অবক্ষয়ের মূল কারণ হচ্ছে পশ্চিমাদের আধিপত্য, মুসলিম পরিবারে ভাঙন, ইসলামি মূল্যবোধের চর্চার অভাব, মদ ও বেহায়াপনার প্রসার, ধর্মের ছলে বিনোদনের প্রভাব বৃদ্ধি, সর্বোপরি মুসলমান অভিজাতশ্রেণির ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতা, যা সমাজে ধনী ও গরিবের মধ্যকার ব্যবধানকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই যে একপক্ষ আরেক পক্ষকে দুষছে এবং নিজেদের কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে, সেই চর্চা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। ১৯৮০ সালে খোমেনি আমেরিকাকে 'সবচেয়ে বড়ো শয়তান' হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
অন্য অনেক মুসলিম নেতারাও একই মানসিকতা লালন করতেন। আর ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক জেফরি হার্ফ বলেন, মৌলবাদী মুসলমানরা হলো নাৎসির সাম্প্রতিক সংস্করণ। তারাও অন্য ধর্ম বিশেষ করে ইহুদিদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ লালন করে, নারীদের অপদস্থ করে।
বই: ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড
লেখক: তামিম আনসারী
অনুবাদক : আলী আহমাদ মাবরুর
মূল্য : ৪৮০৳
ইতিহাসের যাত্রা তো কখনোই শেষ হয় না। ৯/১১-এর ঘটনা ইতিহাসকে যেন আরেক দিকে টেনে নিয়ে যায়। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং ওয়াশিংটনে প্রতিরক্ষা দফতরে হামলার ঘটনার পরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেন। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, সন্ত্রাসীরা গণতন্ত্র আর স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে চায়। তাই আমরা আমাদের রক্ত আর সম্পদ দিয়ে তাদের মোকাবিলা করব।
৩০-এর দশকে নাৎসিদের বিরুদ্ধে এবং ৫০-এর দশকে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বুশের এই ঘোষণার পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা (যাদের অধিকাংশই বেশ অনীহা নিয়েই এই অভিযানে সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হয়েছিল) ইরাকে যুদ্ধ শুরু করে।
কিন্তু যাদের ৯/১১-এর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রচার করছে, তারা কি আসলে গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল? আজও যেসব সশস্ত্র মুসলমান কিংবা তথাকথিত জঙ্গিরা বিশ্বজুড়ে কাজ করছে, তারা কি আসলেই স্বাধীনতাকে ঘৃণা করে?
আপনি যদি সেসব মুসলমানদের কথা শোনেন, তাহলে কিন্তু মোটেও মার্কিনিদের অভিযোগের সত্যতা পাবেন না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বলে না; বরং স্বাধীনতার পক্ষে ও স্বাধীন হওয়ার জন্যই কথা বলে। তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেও অবস্থান নেয় না; বরং তারা মানুষের নৈতিক পতন এবং সেই পতন প্রতিরোধে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। তারা দুর্নীতির সাথে নৈতিকতার অবিরাম ঘটে যাওয়া সংগ্রাম নিয়ে কথা বলে। এই লড়াকু সৈনিকরা মুসলমানদের আপাত পরাজয়ের নেপথ্যে গিয়ে কারণ অনুসন্ধান করেছে। মুসলমান সমাজে আজকের সামগ্রিক অবক্ষয়ের মূল কারণ হচ্ছে পশ্চিমাদের আধিপত্য, মুসলিম পরিবারে ভাঙন, ইসলামি মূল্যবোধের চর্চার অভাব, মদ ও বেহায়াপনার প্রসার, ধর্মের ছলে বিনোদনের প্রভাব বৃদ্ধি, সর্বোপরি মুসলমান অভিজাতশ্রেণির ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতা, যা সমাজে ধনী ও গরিবের মধ্যকার ব্যবধানকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই যে একপক্ষ আরেক পক্ষকে দুষছে এবং নিজেদের কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে, সেই চর্চা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। ১৯৮০ সালে খোমেনি আমেরিকাকে 'সবচেয়ে বড়ো শয়তান' হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
অন্য অনেক মুসলিম নেতারাও একই মানসিকতা লালন করতেন। আর ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক জেফরি হার্ফ বলেন, মৌলবাদী মুসলমানরা হলো নাৎসির সাম্প্রতিক সংস্করণ। তারাও অন্য ধর্ম বিশেষ করে ইহুদিদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ লালন করে, নারীদের অপদস্থ করে।
বই: ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড
লেখক: তামিম আনসারী
অনুবাদক : আলী আহমাদ মাবরুর
মূল্য : ৪৮০৳
❤9
আপনি সর্বশেষ কবে কুরআন তেলাওয়াত করেছেন?
.
প্রশ্নটি শুনে কেউ কেউ হয়ত বলবেন- প্রতিদিনই তো পড়ি।
আবার কেউ কেউ স্মৃতির পাতা খুঁজতে শুরু করবেন। নিজেকে প্রশ্ন করবেন, রমাদান মাসের পর কি আর কুরআন পড়েছিলাম?
কুরআন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কুরআন তেলাওয়াতের কত ফযিলত, এসব আমরা জানি। আমরা অনেকেই কুরআনের আলোকে শাসনব্যবস্থাও চাই।
কিন্তু, এত কিছুর পরও আমরা প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট কুরআনের জন্য বের করতে পারি না!
ফযিলতপূর্ণ অসংখ্য সূরার মধ্যে মাত্র ১ টি সূরা কেন প্রতিদিন তেলাওয়াত করতে পারি না?
কারণ, আমরা আমাদের জীবনযাত্রায় কুরআনকে স্থান দিতে পারিনি!
কুরআনকে ভালোবাসি বলে দাবি করি, কিন্তু কুরআন তেলাওয়াতের জন্য, কুরআন বুঝার জন্য সময় পাই না!
তাহলে এখন প্রশ্ন আসে, কীভাবে আমরা প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি? কোনো ফর্মুলা আছে কি?
হ্যাঁ, একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে সুন্দর একটি ফর্মুলা আছে।
এটাকে বলে ‘Habit Staking’।
আপনি নিয়মিত এমন কোনো কাজ করেন, যেই কাজের সাথে মিলিয়ে একটি নতুন কাজ করাকে বলা হয় হ্যাভিট স্টেকিং।
যেমন: মাগরিবের নামাজ পড়ে আপনি নাস্তা করেন। এটা প্রতিদিনের অভ্যাস।
এখন চাইলে মাগরিবের নামাজের সাথে প্রতিদিন ১০ মিনিট কুরআন পড়াকে যুক্ত করতে পারেন।
নামাজ এবং নাস্তার আগে অন্তত ১০ মিনিট কুরআন তেলাওয়াত।
এতে করে প্রতিদিনের অভ্যাসের সাথে কুরআন তেলাওয়াতের কথাও মনে থাকবে। নাস্তার কথা মাথায় আসলেই মনে পড়বে- ‘আজ তেলাওয়াত করছি তো?’
.
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা এই যুগে কীভাবে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কীভাবে আমাদের সময়, আমাদের কাজে প্রোডাক্টিভিটি আনতে পারি, এই নিয়ে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’।
লক্ষাধিক পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই বই!
বইটির বিছু পৃষ্ঠা পড়ে দেখতে এবং অর্ডার করতে ক্লিক করুন : https://www.guardianpubs.com/product-details/the-productive-muslim
.
প্রশ্নটি শুনে কেউ কেউ হয়ত বলবেন- প্রতিদিনই তো পড়ি।
আবার কেউ কেউ স্মৃতির পাতা খুঁজতে শুরু করবেন। নিজেকে প্রশ্ন করবেন, রমাদান মাসের পর কি আর কুরআন পড়েছিলাম?
কুরআন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কুরআন তেলাওয়াতের কত ফযিলত, এসব আমরা জানি। আমরা অনেকেই কুরআনের আলোকে শাসনব্যবস্থাও চাই।
কিন্তু, এত কিছুর পরও আমরা প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট কুরআনের জন্য বের করতে পারি না!
ফযিলতপূর্ণ অসংখ্য সূরার মধ্যে মাত্র ১ টি সূরা কেন প্রতিদিন তেলাওয়াত করতে পারি না?
কারণ, আমরা আমাদের জীবনযাত্রায় কুরআনকে স্থান দিতে পারিনি!
কুরআনকে ভালোবাসি বলে দাবি করি, কিন্তু কুরআন তেলাওয়াতের জন্য, কুরআন বুঝার জন্য সময় পাই না!
তাহলে এখন প্রশ্ন আসে, কীভাবে আমরা প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি? কোনো ফর্মুলা আছে কি?
হ্যাঁ, একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে সুন্দর একটি ফর্মুলা আছে।
এটাকে বলে ‘Habit Staking’।
আপনি নিয়মিত এমন কোনো কাজ করেন, যেই কাজের সাথে মিলিয়ে একটি নতুন কাজ করাকে বলা হয় হ্যাভিট স্টেকিং।
যেমন: মাগরিবের নামাজ পড়ে আপনি নাস্তা করেন। এটা প্রতিদিনের অভ্যাস।
এখন চাইলে মাগরিবের নামাজের সাথে প্রতিদিন ১০ মিনিট কুরআন পড়াকে যুক্ত করতে পারেন।
নামাজ এবং নাস্তার আগে অন্তত ১০ মিনিট কুরআন তেলাওয়াত।
এতে করে প্রতিদিনের অভ্যাসের সাথে কুরআন তেলাওয়াতের কথাও মনে থাকবে। নাস্তার কথা মাথায় আসলেই মনে পড়বে- ‘আজ তেলাওয়াত করছি তো?’
.
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা এই যুগে কীভাবে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কীভাবে আমাদের সময়, আমাদের কাজে প্রোডাক্টিভিটি আনতে পারি, এই নিয়ে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’।
লক্ষাধিক পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই বই!
বইটির বিছু পৃষ্ঠা পড়ে দেখতে এবং অর্ডার করতে ক্লিক করুন : https://www.guardianpubs.com/product-details/the-productive-muslim
❤13
আজ রাত ৮ টা থেকে শুরু হচ্ছে ১০ দিনব্যাপী কারবালা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা!
.
এই কুইজ প্রতিযোগিতা হবে পূর্বের সীরাত প্রতিযোগিতার মতো।
প্রতিটি কুইজে কারবালার ইতিহাসের বিভিন্ন বিবরণ থাকবে, যা পড়ে অনেককিছুই জানতে পারবেন।
কুইজে অংশ নিতে প্রতিদিন রাত ৮ টায় গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের পেইজে প্রকাশিত কুইজের কমেন্ট বক্সে সঠিক উত্তর দিতে পারেন।
১০ টি কুইজ শেষে সঠিক উত্তর দাতাদের মধ্যে দৈবচয়নে ৫ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
প্রত্যেকেই পাবেন গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স প্রকাশিত 'কারবালা ও ইয়াজিদ' বইটি।
.
#Quiz #Guardian #Publications #Ashura #Karbala
.
এই কুইজ প্রতিযোগিতা হবে পূর্বের সীরাত প্রতিযোগিতার মতো।
প্রতিটি কুইজে কারবালার ইতিহাসের বিভিন্ন বিবরণ থাকবে, যা পড়ে অনেককিছুই জানতে পারবেন।
কুইজে অংশ নিতে প্রতিদিন রাত ৮ টায় গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের পেইজে প্রকাশিত কুইজের কমেন্ট বক্সে সঠিক উত্তর দিতে পারেন।
১০ টি কুইজ শেষে সঠিক উত্তর দাতাদের মধ্যে দৈবচয়নে ৫ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
প্রত্যেকেই পাবেন গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স প্রকাশিত 'কারবালা ও ইয়াজিদ' বইটি।
.
#Quiz #Guardian #Publications #Ashura #Karbala
❤24
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স এর - একটি বই কর্পোরেট সেক্টর কে আরও মজবুত করবে।
বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন - https://surl.lu/vjaolq
বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন - https://surl.lu/vjaolq
The book - Echoes of Red July
-The 2024 Uprising in Bangladesh-
Writer : Mahmud Rakib
Fixed Price : 250 Taka
-The 2024 Uprising in Bangladesh-
Writer : Mahmud Rakib
Fixed Price : 250 Taka
❤9👍2
Awakening of the Students and the Masses
A. Role of student organizations
The July Uprising of 2024 in Bangladesh was not just a political rebellion; it was an eruption of deep-seated frustration and a yearning for justice that had simmered for years. Students, armed not with weapons but with conviction, became the harbingers of change. The masses, inspired by their courage, followed suit, creating a movement that no amount of suppression could extinguish.
Let us time-travel to 2018 to get a clear picture of the quota movement. The first phase began in early 2018 and ended following Prime Minister Hasina's executive order abolishing the quota system, which became effective on July 1, 2020.
However, the quota system's problem was revisited when the Bangladesh High Court issued a verdict on June 5, 2024, in response to a lawsuit canceling the executive order and restoring the quota system. Ironically, Hasina supported this verdict of reinstitution of the quota system by saying that she acted previously out of petulance when she issued the quota cancelation executive order in 2018. On the contrary, her Attorney General's Office filed an appeal with the Supreme Court against the High Court Verdict of June 5, 2024. It is well known that the judicial courts, attorney general, and law ministry do everything according to Hasina's wishes. So, the inconsistencies and contradictions appeared to be caused by Hasina playing games with Gen Z without any intent to reform the quota. The students could not trust her. Therefore, the powder keg kept on building up.
A. Role of student organizations
The July Uprising of 2024 in Bangladesh was not just a political rebellion; it was an eruption of deep-seated frustration and a yearning for justice that had simmered for years. Students, armed not with weapons but with conviction, became the harbingers of change. The masses, inspired by their courage, followed suit, creating a movement that no amount of suppression could extinguish.
Let us time-travel to 2018 to get a clear picture of the quota movement. The first phase began in early 2018 and ended following Prime Minister Hasina's executive order abolishing the quota system, which became effective on July 1, 2020.
However, the quota system's problem was revisited when the Bangladesh High Court issued a verdict on June 5, 2024, in response to a lawsuit canceling the executive order and restoring the quota system. Ironically, Hasina supported this verdict of reinstitution of the quota system by saying that she acted previously out of petulance when she issued the quota cancelation executive order in 2018. On the contrary, her Attorney General's Office filed an appeal with the Supreme Court against the High Court Verdict of June 5, 2024. It is well known that the judicial courts, attorney general, and law ministry do everything according to Hasina's wishes. So, the inconsistencies and contradictions appeared to be caused by Hasina playing games with Gen Z without any intent to reform the quota. The students could not trust her. Therefore, the powder keg kept on building up.
❤6
আমি আমার জনগণকে আরেকটি অনিবার্য বিপ্লবের জন্য
প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেভাবে রুখে দাঁড়ায় আক্রান্ত দুর্বল
বিধ্বস্ত জাহাজ যাত্রীরা আঁকড়ে ধরে ভাসমান পাটাতন
তেমনি একাগ্রতা নিয়ে
আমি আপনাদের আসন্ন বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি।
-মরহুম কবি আসাদ বিন হাফিজ
গার্ডিয়ান থেকে প্রকাশিত ইসলামি কবিতা সংকলন "তরঙ্গে দাও তুমুল নাড়া" বই থেকে...
প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেভাবে রুখে দাঁড়ায় আক্রান্ত দুর্বল
বিধ্বস্ত জাহাজ যাত্রীরা আঁকড়ে ধরে ভাসমান পাটাতন
তেমনি একাগ্রতা নিয়ে
আমি আপনাদের আসন্ন বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি।
-মরহুম কবি আসাদ বিন হাফিজ
গার্ডিয়ান থেকে প্রকাশিত ইসলামি কবিতা সংকলন "তরঙ্গে দাও তুমুল নাড়া" বই থেকে...
❤21
ইয়াজিদকে আগাম খলিফা মনোনয়নের বাইয়াতের ব্যাপারে মদিনাবাসী একমত ছিলেন না। এতে মুয়াবিয়া (রা.) চিন্তিত হয়ে পড়েন।
কেননা, ইসলামি দুনিয়ার রাজনীতিতে মদিনার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মুয়াবিয়া (রা.) সেখানের অভিজাত এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ইয়াজিদকে খলিফা বানানোর ব্যাপারে তাদের রাজি করানোর পরিকল্পনা করেন।
কারণ তিনি জানতেন, শীর্ষস্থানীয় সাহাবিরা রাজি না হলে ইয়াজিদকে খলিফা বানানো কখনোই সম্ভব হবে না। এ জন্য মুয়াবিয়া (রা.) তাদের সমর্থন নেওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান।
তিনি ইরাকের গভর্নর জিয়াদকে মদিনায় প্রেরণ করেন। ধারণা করা হয়, জিয়াদের মদিনা আসার এই ঘটনা ৫৩ হিজরি বা এর পূর্বের। কেননা ৫৩ হিজরিতে জিয়াদের ওফাত হয়। তিনি মদিনাবাসীর সামনে বক্তৃতা দিয়ে লোকদের সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আবদুর রহমান ইবনু আবি বকর (রা.) দাঁড়িয়ে যান। বলেন–
‘হে বনু উমাইয়্যা! তোমরা আমাদের তিনটি কথা থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নাও। রাসূল (সা.) বা আবু বকর বা উমর (রা.)–তাঁদের মাঝে যেকোনো একজনের নীতিকে মেনে নাও। তোমরা যা বলছ, সেটা তো হেরাক্লিয়াস, কিসরাহ ও পারস্যের পদ্ধতি। যখন একজন কায়সার বা রোম সম্রাট মারা যায়, তখন তাদের অপরজন এসে মসনদে বসে যায়। এখন কি আমরা তাহলে তাদের মতো হেরাক্লিয়ান পদ্ধতি বা রোমান পদ্ধতি অনুসরণ করে খলিফা নির্ধারণ করব?’
মুয়াবিয়া (রা.) কিছুসময় পর এই দায়িত্ব মারওয়ান ইবনু হাকামকে অর্পণ করেন, যাকে ৫৪ হিজরিতে দ্বিতীয়বার মদিনার গভর্নর বানানো হয়েছিল। নির্দেশ পেয়ে মদিনার গভর্নর মারওয়ান ইবনুল হাকাম লোকজনের উদ্দেশে ভাষণ দিতে যান।
তিনি প্রথমে লোকজনকে আমিরুল মুমিনিনের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ দেন এবং ফিতনা থেকে সাবধান করেন।-শেষে ইয়াজিদের হাতে তাদের বাইয়াতের আহ্বান জানান। মসনদের উত্তরাধিকারী হওয়ার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করে তিনি বলেন–
‘এটা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর সুপথপ্রাপ্ত রীতি। কেননা, তিনিও তাঁর পরে খলিফা হিসেবে উমর (রা.)-কে নির্ধারণ করে গেছেন।’ আবদুর রহমান ইবনু আবি বকর (রা.) আবারও আপত্তি জানান। তিনি বলেন–‘কখনোই না। আবু বকর (রা.) তার পরিবার ও ভ্রাতৃত্বকে পরিত্যাগ করে বনু আদির উমর (রা.)-কে শুধু এটা দেখেই নির্বাচিত করেছিলেন যে, তিনি এই পদের যোগ্য।’
এরপর একে একে ইবন উমর, হুসাইন ইবন আলি, আবদুল্লাহ ইবন জুবাইরসহ সকলেই স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের কেউই ইয়াজিদের পক্ষে বাইয়াত দিতে রাজি হননি; বরং তাঁরা ইয়াজিদের পরবর্তী খলিফা হওয়ার বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
আশারায়ে মুবাশশারার শেষ দুজন সায়িদ ইবনে জায়েদ ও সাদ ইবনু আবি ওয়াককাস (রা.)-এর মতামত ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খিলাফতে রাশিদায় প্রবর্তিত একটি নীতি অনুযায়ী তাদের সম্মতি ব্যতীত খিলাফতের বিষয় চূড়ান্তই হতে পারত না। কিন্তু এই দুজন প্রবীণ ব্যক্তিও বাইয়াতের প্রতি একেবারেই আগ্রহ দেখাননি। মারওয়ান অনেকটা সময় পর্যন্ত সায়িদ ইবনে জায়েদ (রা.)-এর জন্য অপেক্ষা করেন।
অবশেষে এক শামি সৈন্য তাঁর কাছে গিয়ে গর্দান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তবুও তিনি মারওয়ানের কাছে যাননি। একইভাবে ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রা.)-ও নির্জনবাস গ্রহণ করেন।
মুয়াবিয়া (রা.) তাঁদের প্রত্যাখানের কথা জানতে পারেন। তাই তিনি নিজেই মদিনার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যেন নিজেই তাঁদের থেকে ইয়াজিদের পক্ষে বাইয়াত নিতে পারেন। আর এই কথা জানার পরে সেই প্রবীণ সাহাবিরা সবাই মদিনা থেকে পালিয়ে মক্কায় চলে যান, যেন কোনোভাবেই তাঁদের ইয়াজিদের পক্ষে বাইয়াত দিতে না হয়।
গার্ডিয়ানের আলোচিত বই ‘কারবালা ও ইয়াজিদ’ থেকে...
কেননা, ইসলামি দুনিয়ার রাজনীতিতে মদিনার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মুয়াবিয়া (রা.) সেখানের অভিজাত এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ইয়াজিদকে খলিফা বানানোর ব্যাপারে তাদের রাজি করানোর পরিকল্পনা করেন।
কারণ তিনি জানতেন, শীর্ষস্থানীয় সাহাবিরা রাজি না হলে ইয়াজিদকে খলিফা বানানো কখনোই সম্ভব হবে না। এ জন্য মুয়াবিয়া (রা.) তাদের সমর্থন নেওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান।
তিনি ইরাকের গভর্নর জিয়াদকে মদিনায় প্রেরণ করেন। ধারণা করা হয়, জিয়াদের মদিনা আসার এই ঘটনা ৫৩ হিজরি বা এর পূর্বের। কেননা ৫৩ হিজরিতে জিয়াদের ওফাত হয়। তিনি মদিনাবাসীর সামনে বক্তৃতা দিয়ে লোকদের সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আবদুর রহমান ইবনু আবি বকর (রা.) দাঁড়িয়ে যান। বলেন–
‘হে বনু উমাইয়্যা! তোমরা আমাদের তিনটি কথা থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নাও। রাসূল (সা.) বা আবু বকর বা উমর (রা.)–তাঁদের মাঝে যেকোনো একজনের নীতিকে মেনে নাও। তোমরা যা বলছ, সেটা তো হেরাক্লিয়াস, কিসরাহ ও পারস্যের পদ্ধতি। যখন একজন কায়সার বা রোম সম্রাট মারা যায়, তখন তাদের অপরজন এসে মসনদে বসে যায়। এখন কি আমরা তাহলে তাদের মতো হেরাক্লিয়ান পদ্ধতি বা রোমান পদ্ধতি অনুসরণ করে খলিফা নির্ধারণ করব?’
মুয়াবিয়া (রা.) কিছুসময় পর এই দায়িত্ব মারওয়ান ইবনু হাকামকে অর্পণ করেন, যাকে ৫৪ হিজরিতে দ্বিতীয়বার মদিনার গভর্নর বানানো হয়েছিল। নির্দেশ পেয়ে মদিনার গভর্নর মারওয়ান ইবনুল হাকাম লোকজনের উদ্দেশে ভাষণ দিতে যান।
তিনি প্রথমে লোকজনকে আমিরুল মুমিনিনের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ দেন এবং ফিতনা থেকে সাবধান করেন।-শেষে ইয়াজিদের হাতে তাদের বাইয়াতের আহ্বান জানান। মসনদের উত্তরাধিকারী হওয়ার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করে তিনি বলেন–
‘এটা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর সুপথপ্রাপ্ত রীতি। কেননা, তিনিও তাঁর পরে খলিফা হিসেবে উমর (রা.)-কে নির্ধারণ করে গেছেন।’ আবদুর রহমান ইবনু আবি বকর (রা.) আবারও আপত্তি জানান। তিনি বলেন–‘কখনোই না। আবু বকর (রা.) তার পরিবার ও ভ্রাতৃত্বকে পরিত্যাগ করে বনু আদির উমর (রা.)-কে শুধু এটা দেখেই নির্বাচিত করেছিলেন যে, তিনি এই পদের যোগ্য।’
এরপর একে একে ইবন উমর, হুসাইন ইবন আলি, আবদুল্লাহ ইবন জুবাইরসহ সকলেই স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের কেউই ইয়াজিদের পক্ষে বাইয়াত দিতে রাজি হননি; বরং তাঁরা ইয়াজিদের পরবর্তী খলিফা হওয়ার বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
আশারায়ে মুবাশশারার শেষ দুজন সায়িদ ইবনে জায়েদ ও সাদ ইবনু আবি ওয়াককাস (রা.)-এর মতামত ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খিলাফতে রাশিদায় প্রবর্তিত একটি নীতি অনুযায়ী তাদের সম্মতি ব্যতীত খিলাফতের বিষয় চূড়ান্তই হতে পারত না। কিন্তু এই দুজন প্রবীণ ব্যক্তিও বাইয়াতের প্রতি একেবারেই আগ্রহ দেখাননি। মারওয়ান অনেকটা সময় পর্যন্ত সায়িদ ইবনে জায়েদ (রা.)-এর জন্য অপেক্ষা করেন।
অবশেষে এক শামি সৈন্য তাঁর কাছে গিয়ে গর্দান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তবুও তিনি মারওয়ানের কাছে যাননি। একইভাবে ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রা.)-ও নির্জনবাস গ্রহণ করেন।
মুয়াবিয়া (রা.) তাঁদের প্রত্যাখানের কথা জানতে পারেন। তাই তিনি নিজেই মদিনার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যেন নিজেই তাঁদের থেকে ইয়াজিদের পক্ষে বাইয়াত নিতে পারেন। আর এই কথা জানার পরে সেই প্রবীণ সাহাবিরা সবাই মদিনা থেকে পালিয়ে মক্কায় চলে যান, যেন কোনোভাবেই তাঁদের ইয়াজিদের পক্ষে বাইয়াত দিতে না হয়।
গার্ডিয়ানের আলোচিত বই ‘কারবালা ও ইয়াজিদ’ থেকে...
❤4
ইসলামের ইতিহাসে কারবালা এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা, যার নৃশংসতা ভারাক্রান্ত করে প্রত্যেক মুমিনের অন্তর। একই সাথে এই ঘটনার অতিরঞ্জিত বর্ণনা ও জাল হাদিসের মাধ্যমে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। কারবালার ঘটনার সাথে এ দেশের জনসাধারণের পরিচয় ঘটেছে মূলত বিষাদসিন্ধু'র মতো কল্পিত উপন্যাস, মুখনিঃসৃত বানোয়াট গল্প এবং মুহাররমে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের মধ্য দিয়ে। আদতে এসব সূত্র থেকে আমাদের সামনে চিত্রিত হয় বিকৃত ইতিহাসের একটি ভ্রান্ত রূপ
এর ফলে যেমন খারেজি-রাফেজিদের নিপুণ মিথ্যাচার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে,তেমনই আশঙ্কা থাকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হিসেবে নিজেদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় নিয়ে সংশয়ে পড়ার।একজন মুসলমান হিসেবে পূর্বসূরিদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা আমাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা ও বিশুদ্ধ বিশ্বাসের জন্য অত্যন্ত জরুরি
কীভাবে ঘটেছিল আলি (রা.)-এর পর খিলাফতের রূপান্তর?কীভাবে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছিল ইয়াজিদ?তার হাত ধরে কীভাবে চিত্রিত হলো রক্তাক্ত কারবালা? এই বই এসবের নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের সন্ধান দেবে, ইনশাআল্লাহ।
অর্ডার লিংক https://surl.lu/qhcbdy
এর ফলে যেমন খারেজি-রাফেজিদের নিপুণ মিথ্যাচার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে,তেমনই আশঙ্কা থাকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হিসেবে নিজেদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় নিয়ে সংশয়ে পড়ার।একজন মুসলমান হিসেবে পূর্বসূরিদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা আমাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা ও বিশুদ্ধ বিশ্বাসের জন্য অত্যন্ত জরুরি
কীভাবে ঘটেছিল আলি (রা.)-এর পর খিলাফতের রূপান্তর?কীভাবে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছিল ইয়াজিদ?তার হাত ধরে কীভাবে চিত্রিত হলো রক্তাক্ত কারবালা? এই বই এসবের নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের সন্ধান দেবে, ইনশাআল্লাহ।
অর্ডার লিংক https://surl.lu/qhcbdy
❤12
গল্প শুনতে-পড়তে কার না ভালো লাগে, বলো?
আর সেই গল্প যদি হয় সত্য এবং মহান মানুষদের নিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই!
এই বইয়ে আমরা পড়ব প্রিয় নবিজির পরশে যারা সোনার মানুষ হয়েছিলেন, তাঁদের কাহিনি; সেইসাথে হাদিসে বর্ণিত মজার মজার সব গল্প।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক!
আর হ্যাঁ, গল্প কিন্তু একা একা পড়বে না! সবাইকে সাথে নিয়ে জোরে জোরে পড়বে, কেমন?
গল্পে গল্পে ছোটোদের হাদিস (পেপারব্যাক)
by মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান
TK. 150
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন:
https://rkmri.co/p2R2ApE22eMT/
আর সেই গল্প যদি হয় সত্য এবং মহান মানুষদের নিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই!
এই বইয়ে আমরা পড়ব প্রিয় নবিজির পরশে যারা সোনার মানুষ হয়েছিলেন, তাঁদের কাহিনি; সেইসাথে হাদিসে বর্ণিত মজার মজার সব গল্প।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক!
আর হ্যাঁ, গল্প কিন্তু একা একা পড়বে না! সবাইকে সাথে নিয়ে জোরে জোরে পড়বে, কেমন?
গল্পে গল্পে ছোটোদের হাদিস (পেপারব্যাক)
by মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান
TK. 150
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন:
https://rkmri.co/p2R2ApE22eMT/
👍7